পরিকল্পনার বৈশিষ্ট্য ও প্রকারভেদ

পরিকল্পনার বৈশিষ্ট্য
যেকোনো দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের জন্য প্রণীত হয় পরিকল্পনা। বাস্তব অবস্থার সাথে সামঞ্জস্য
রেখে কতগুলোা সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। এক্ষেত্রে পরিকল্পনার কতগুলোা বৈশিষ্ট্য
লক্ষ্য করা যায়। পি.এন শর্মা ও সি.শাস্ত্রী পরিকল্পনার কতগুলোা বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছেন। যেমনÑ ১) একটি
সুচিন্তিত ও সুশৃঙ্খল কর্মপ্রক্রিয়া, ২) বুদ্ধিমত্তা ও সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ, ৩) কর্মসংস্থানসমূহের ব্যবস্থাপনা, অনুমোদন
ও নিয়ন্ত্রণের নির্দেশনা, ৪) নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যভিত্তিক, ৫) বাস্তবভিত্তিক অভিজ্ঞতা ও তথ্যের আলোকে প্রণীত এবং ৬)
পরিকল্পনা একটি চলমান ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। সার্বিকভাবে পরিকল্পনার বৈশিষ্ট্যগুলো হলো :
১. সুশৃঙ্খল কর্মপ্রচেষ্টা : পরিকল্পনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এটি একটি সুচিন্তিত ও সুশৃঙ্খল কর্মপ্রক্রিয়া। কোনো একটি
কাজ কেন করা হবে, কখন, কীভাবে এবং কার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে এসকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার লক্ষ্যে
সুপরিকল্পিত কর্মপন্থা নির্দিষ্ট করা হয়।
২. সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যভিত্তিক : পরিকল্পনা সবসময়ই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রণীত হয়। সুনির্দিষ্ট
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য না থাকলে সম্পদ বিনিয়োগ, প্রকল্প গ্রহণ ও কৌশল নির্ধারণ সম্ভব হয় না। ফলে পরিকল্পনা অর্থহীন হয়ে
পড়ে। এজন্য প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা হয়ে তাকে।
৩. পরিকল্পনার তথ্য নির্ভরতা : প্রণীত পরিকল্পনা অবশ্যই বাস্তবমুখী ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্যনির্ভর হয়ে থাকে। পরিকল্পনা যেহেতু
ভবিষ্যতের কর্মপন্থা নির্দেশ করে সেহেতু অতীত এবং বর্তমানের যথাযথ তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়। এতে একদিকে
যেমন পরিকল্পনার মান বৃদ্ধি পায় তেমনি অতিদ্রæত লক্ষ্য অর্জনও সম্ভব হয়।
৪. সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণ : উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত সম্পদের সুষম বন্টন নিশ্চিত করতে
সম্পদের উৎস্য নির্ধারণ, সম্পদ প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ, প্রাপ্ত সম্পদের খাতওয়ারী বন্টন ব্যবস্থা পরিকল্পনায় প্রতিফলিত হয়।
মূলত পরিকল্পনা হলো কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে সম্পদের সাথে যথাযথ সামঞ্জস্যবিধান প্রক্রিয়া।
৫. অভিজ্ঞ ও দক্ষ পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্তৃপক্ষ : পরিকল্পনা একটি বুদ্ধিবৃত্তিক প্রক্রিয়া। এজন্য পরিকল্পনা প্রণয়নকারী
ব্যক্তিবর্গের দেশের সামগ্রিক অবস্থা, দেশজ ও বৈদেশিক সম্পদ ও সহযোগিতা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা এমনকি
ভবিষ্যত সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞানের অধিকারী হতে হয়। কেননা একটি অভিজ্ঞ, দক্ষ পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্তৃপক্ষই পারে
যুগোপযোগী ও বাস্তবমুখী পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে।
৬. উত্তম বিকল্প পন্থা : পরিকল্পনা হলো কোনো লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য অনেকগুলো বিকল্প পন্থার মধ্যে উত্তম পন্থা।
কেননা কোনো সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য অনেকগুলো বিকল্প পথ থাকতে পারে, কিন্তু সব পথ সহজ সরল বা যথার্থ
কার্যকর নয়। এক্ষেত্রে পরিকল্পনা হলো বিকল্প পথগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম পথ।
৭. রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা : পরিকল্পনা যেহেতু একটি দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রার নির্দেশক, সেহেতু এটি সাধারণত রাষ্ট্র
কর্তৃক প্রণীত ও বাস্তবায়িত হয়ে থাকে। তবে অনেক সময় অনেক প্রতিষ্ঠান কর্তৃকও পরিকল্পনা গৃহীত হয়। সেক্ষেত্রে
পরিকল্পনার বিভিন্ন পর্যায়ে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা বিদ্যমান থাকে।
৮. জটিল ও বহুমাত্রিক কর্মপ্রক্রিয়া : পরিকল্পনা একটি জটিল ও বহুমাত্রিক কর্মপ্রক্রিয়া। কেননা কোনো পরিকল্পনা প্রণয়ন
করতে হলে তার পূর্বাপর সকল অবস্থার বিশ্লেষণ, সম্পদ ও সুযোগ চিহ্নিতকরণ ও যথাযথ ব্যবহার, সময়সূচি প্রণয়ন,
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় সাধন ইত্যাদি অত্যন্ত জরুরি বিষয়। আর এসকল কর্মপ্রক্রিয়ার সমন্বিত রূপ হলো
পরিকল্পনা।
৯. পরিকল্পনার ব্যাপ্তি : পরিকল্পনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এটি প্রতিষ্ঠানের সর্বত্র পরিব্যপ্ত থাকে। প্রতিষ্ঠানের উচ্চস্তর
থেকে নিম্নস্তর সকল বিভাগ ও উপবিভাগ পরিকল্পনার আওতাধীন থাকে। প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের নিমিত্তে গৃহীত কোনো
কর্মসূচিই পরিকল্পনার বাইরে নয়।
১০. নিরবিচ্ছিন্নতা : পরিকল্পনা একটি ধারাবাহিক ও চলমান প্রক্রিয়া। একটি শেষ হতে না হতেই আরেকটির শুরু হয়।
যেহেতু উন্নয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া সেহেতু উন্নয়নের গতিধারাকে অব্যাহত রাখতে ধারাবাহিকভাবে পরিকল্পনা প্রণয়ন
করতে হয়। তাই বলা হয় পরিকল্পনা একটি নিরবিচ্ছিন্ন কর্মপ্রক্রিয়া।
একটি উত্তম পরিকল্পনায় উপর্যুক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো ছাড়াও আরো যেসকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকে তা হলোÑ ১) পরিকল্পনার
যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ দ্বারা প্রণীত হয়, ২) অর্জন ও প্রাপ্তির ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত থাকে, ৩) সংশ্লিষ্ট
বিষয়ের পর্যাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ সাপেক্ষে পরিকল্পনা প্রণীত হয়, ৪) পরিকল্পনা বাস্তবায়নের একটি সুনির্দিষ্ট সময়সীমা
নির্ধারিত থাকে, ৫) পরিকল্পনায় সম্পদ সংগ্রহ ও বন্টনের রূপরেখা নির্দিষ্ট করা হয়, ৬) পরিবর্তনশীল অবস্থার সাথে
সংগতি রেখে পরিকল্পনা নমনীয় এবং ৯) স্থানীয় পরিকল্পনাসমূহের সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রণীত হয় জাতীয় পরিকল্পনা।
১০.১২.২ পরিকল্পনার প্রকারভেদ
পরিকল্পনা একটি ব্যাপক ও বিস্তৃত বিষয়। বিভিন্ন পরিকল্পনাবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে পরিকল্পনার
শ্রেণিবিন্যাসের প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। সার্বিকভাবে যথোপযুক্ত প্রয়োগযোগ্যতার ভিত্তিতে পরিকল্পনার শ্রেণিবিন্যাস নিচে
আলোচনা করা হলো :
১. প্রায়োগিক ব্যাপকতার ভিত্তিতে পরিকল্পনা দুই ধরনের। যথা :
ক. সামষ্টিক পরিকল্পনা : যে পরিকল্পনা জাতীয় পর্যায়ে সমগ্র দেশব্যাপী প্রয়োগের জন্য ব্যাপক পরিসরে প্রণীত হয়
তাই হলো সামষ্টিক পরিকল্পনা। এ ধরনের পরিকল্পনায় একটি মাত্র পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষ কার্যকর থাকে।
খ. ব্যষ্টিক পরিকল্পনা : যখন কোনো পরিকল্পনা ব্যক্তি পর্যায়ে বা সংক্ষিপ্ত পরিসরে নির্দিষ্ট এলাকার জন্য প্রণয়ন করা
হয়, তখন তাকে ব্যষ্টিক পরিকল্পনা বলা হয়।
২. অর্থনৈতিক কাঠামোর উপর ভিত্তি করে পরিকল্পনা দুই প্রকার। যথা :
ক. বস্তুগত পরিকল্পনা : পরিকল্পনার লক্ষ্য নির্ধারণের পর তা অর্জনের জন্য দেশে বিরাজমান উৎপাদনের
উপাদানসমূহের প্রাপ্যতা ও সম্ভাব্য সম্পদের সামগ্রিক হিসেবের পর সেগুলো যথাযথ ও সুষ্ঠুভাবে কাজে লাগানোর
প্রেক্ষিতে যে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয় তাই হলো বস্তুগত পরিকল্পনা। বস্তুগত সম্পদ হলো দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ,
শ্রমিকের শ্রম, বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী ইত্যাদি।
খ. আর্থিক পরিকল্পনা : যে পরিকল্পনায় বিভিন্ন খাতের লক্ষ্যমাত্রা, উৎপাদনের উপাদান সমূহের বন্টন, সম্ভাব্য,
সম্পদের প্রাপ্যতা নির্ধারণের পর পরিকল্পনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য আর্থিক মূল্যমানের ভিত্তিতে কৌশল নির্ণয় করা হয়
তাকে আর্থিক পরিকল্পনা বলা হয়।
৩. উদ্দেশ্য ও কার্যকারিতার দিক থেকে পরিকল্পনা তিন ধরনের। যথা :
ক. অর্থনৈতিক পরিকল্পনা : নির্দিষ্ট সময়ে কোনো অর্থনীতির অগ্রাধিকার নির্ধারণপূর্বক সুনির্দিষ্ট অর্থনৈতিক লক্ষ্যপূরণের
জন্য প্রাপ্ত সম্পদের পূর্ণসদ্ব্যবহার নিশ্চিত করে যে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা গ্রহণ করা হয়, তাই অর্থনৈতিক পরিকল্পনা।
খ. সামাজিক পরিকল্পনা : সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট বিভিন্ন অনাচার ও সামাজিক
সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য গৃহীত সুপরিকল্পিত পদক্ষেপই হলো সামাজিক পরিকল্পনা।
গ. উন্নয়ন পরিকল্পনা : দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের সার্বিক কল্যাণ
সাধনের লক্ষ্যে রাস্তাঘাট, রেলপথ, সেতু ইত্যাদি ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য গৃহীত পরিকল্পনা হলো অবকাঠামোগত উন্নয়ন
পরিকল্পনা।
৪. লক্ষ্যমাত্রার ভিত্তিতে পরিকল্পনা দুই প্রকার। যথা :
ক. প্রেক্ষিত বা স্থায়ী পরিকল্পনা : দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বিস্তৃত পরিসরে দীর্ঘ সময়ব্যাপী যে পরিকল্পনা
প্রণয়ন করা হয় তাকে প্রেক্ষিত বা স্থায়ী পরিকল্পনা বলা হয়। এর মেয়াদকাল সাধারণত ১৫ থেকে ২০ বছর হয়।
খ. ঘূর্ণায়মান পরিকল্পনা : বিভিন্ন ধরনের বার্ষিক, পঞ্চবার্ষিক ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনার সমন্বয়ে এধরনের পরিকল্পনা
প্রণয়ন করা হয়ে থাকে। কোনো একটি ক্ষেত্রে সার্বিক লক্ষ্যার্জনে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন মেয়াদের পরিকল্পনা প্রয়োগ
করে ধাপে ধাপে লক্ষ্যার্জনে অগ্রসর হওয়া এ পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য।
৫. সময়ের ব্যাপকতার ভিত্তিতে পরিকল্পনা তিন ধরনের। যথা :
ক. স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা : সাধারণত এক বছরের বা তার কম সময়ের জন্য এ পরিকল্পনা প্রণীত হয়। একে অনেক
সময় বার্ষিক পরিকল্পনাও বলা হয়ে থাকে।
খ. মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনা : এধরনের পরিকল্পনা সাধারণত এক বছরের বেশি কিন্তু পাঁচ বছরের কম সময়কালের জন্য
প্রণীত হয়। কখনো কখনো একে অন্তবর্তীকালীন পরিকল্পনাও বলা হয়।
গ. দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা : দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য অর্জনের জন্য এ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। সাধারণত পাঁচ বছর হতে
বিশ বছর পর্যন্ত এ পরিকল্পনার মেয়াদ নির্ধারিত হয়।
এছাড়াও পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রেক্ষিতের ভিত্তিতেÑ ক) খাতভিত্তিক পরিকল্পনা ও খ) প্রকল্পভিত্তিক পরিকল্পনা এবং দেশের
উন্নয়ন স্তরের প্রসারতার ভিত্তিতেÑ ক) আঞ্চলিক পরিকল্পনা, খ) জাতীয় পরিকল্পনা ও গ) আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা ইত্যাদি
শিরোনামেও পরিকল্পনার শ্রেণিবিভাগ করা যেতে পারে।
সারসংক্ষেপ
অতীত ও বর্তমান অভিজ্ঞতার আলোকে ভবিষ্যতে কার্যসম্পাদনের একটি সুচিন্তিত ও কার্যকর পদ্ধতি হচ্ছে পরিকল্পনা।
এর মাধ্যমে একটি দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়। সব ধরনের পরিকল্পনায় কতগুলো বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা
যায়, যা পরিকল্পনার গঠন, বাস্তবায়ন, কার্যক্রম প্রভৃতি দিককে নির্দেশ করে। সাধারণত পরিকল্পনায় যে সকল বৈশিষ্ট্য
বিদ্যমান থাকে তাহলোÑ ১) সুশৃঙ্খল কর্মপ্রচেষ্টা, ২) সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের উপস্থিতি, ৩) তথ্যের নির্ভরতা, ৪)
সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা, ৫) দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরিকল্পনা প্রণয়ন, ৬) সর্বোত্তম বিকল্প পন্থা,
৭) রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা, ৮) জটিল ও বহুমাত্রিক কর্মপ্রক্রিয়া ৯) পরিকল্পনার ব্যাপকতা ১০) নিরবিচ্ছিন্ন কর্মপ্রচেষ্টা।
আবার পরিকল্পনাকে প্রয়োগিক দিক ও বৈশিষ্ট্যের আলোকে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমনÑ ক) সামষ্টিক
পরিকল্পনা, খ) ব্যষ্টিক পরিকল্পনা, গ) বস্তুগত পরিকল্পনা, ঘ) আর্থিক পরিকল্পনা, ঙ) অর্থনৈতিক পরিকল্পনা, চ) সামাজিক
পরিকল্পনা, ছ) উন্নয়ন পরিকল্পনা, জ) প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, ঝ) ঘূর্ণায়মান পরিকল্পনা, ঞ) স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা, ট)
মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনা, ঠ) দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, ড) আঞ্চলিক পরিকল্পনা, ঢ) জাতীয় পরিকল্পনা, ণ) আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা ইত্যাদি।
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন :
১। সমগ্র দেশব্যাপী ব্যাপক পরিসরে যে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয় তাকে কী বলা হয়?
ক) সামষ্টিক পরিকল্পনা খ) ব্যষ্টিক পরিকল্পনা
গ) আর্থিক পরিকল্পনা ঘ) ঘূর্ণায়মান পরিকল্পনা
২। সাধারণত ১ বছর বা তার কম সময়কালের জন্য প্রণীত পরিকল্পনাকে বলা হয়Ñ
ক) প্রেক্ষিত পরিকল্পনা খ) স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা
গ) মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনা ঘ) দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা
৩। কোনো দেশের সামাজিক খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের জন্য কী প্রণয়ন করা হয়?
ক) সামাজিক নীতি খ) সামাজিক কর্মসূচি
গ) সামাজিক পরিকল্পনা ঘ) সামাজিক কার্যক্রম
৪। পরিকল্পনা একটিÑ
র. সুচিন্তিত ও সুশৃঙ্খল কর্মপ্রক্রিয়া
রর. বুদ্ধিমত্তা ও সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ
ররর. চলমান ধারাবাহিক প্রক্রিয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) র ও রর খ) র ও ররর
গ) রর ও ররর ঘ) র, রর ও ররর

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]