বাংলাদেশে সমাজকর্মের জ্ঞান বিকাশ

বাংলাদেশে সমাজকর্মের জ্ঞান বিকাশ
শিল্পবিপ্লবের পর উদ্ভূত জটিল আর্থ-সামাজিক সমস্যা মোকাবিলায় সর্বপ্রথম ইউরোপ ও আমেরিকায় সমাজকর্ম
পেশার উন্মেষ ঘটে। দীর্ঘ পথপরিক্রমায় বর্তমানে সমাজকর্ম পূর্ণাঙ্গ পেশা হিসেবে স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত। তৎকালীন পাকিস্তান
আমলে বাংলাদেশে পেশাদার সমাজকর্মের উন্মেষ ঘটে। আজও এদেশে সমাজকর্ম পূর্ণাঙ্গ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি না পেলেও সমাজকর্মের দেশজ জ্ঞানভান্ডার বিকাশের প্রেক্ষাপট রয়েছে। জাতিসংঘের সুপারিশ ও সহায়তায় সমাজকর্ম বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে পেশাদার সমাজকর্ম
শিক্ষার অগ্রযাত্রা শুরু হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর তৎকালীন পকিস্তান তথা আজকের বাংলাদেশের সমাজজীবন
ও সমাজ কাঠামোতে সামাজিক পরিবর্তন সূচিত হয়। কেননা দেশ বিভাগের পর বহু মোহাজের ভারত থেকে বাংলাদেশে
আগমন করেন। একদিকে শিল্পায়ন ও শহরায়নজনিত আর্থ-সামাজিক সমস্যা, অন্যদিকে আগত মুহাজির পুনর্বাসন সমস্যা
জটিল আকার ধারণ করলে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার ১৯৫১ সালে জাতিসংঘের নিকট সাহায্যের আবেদন জানায়। এই
আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৯৫২ সালে ড. জেমস আর ডাম্পসন এর নেতৃত্বে জাতিসংঘের
কার্যকর সাহায্য কর্মসূচির ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি সমাজকর্ম বিশেষজ্ঞ দল
ঢাকায় আসেন। বিশেষজ্ঞ দলটি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ জ্ঞান লাভের উদ্দেশ্যে
একটি জরিপ কার্য পরিচালনা করে। বিশেষজ্ঞ দল জরিপে প্রাপ্ত ফলাফল পর্যালোচনা করে এদেশে পেশাদার সমাজকর্ম
অনুশীলনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন ও সুপারিশ করে। এই সুপারিশের ভিত্তিতে ১৯৫৩ সালে ঢাকায় তিন মাসব্যাপী
স্বল্পকালীন ‘প্রশিক্ষণ কোর্স’ প্রবর্তন করা হয়। এই কোর্স প্রবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশে পেশাদার সমাজকর্ম শিক্ষার সূচনা
হয়। জাতিসংঘের পরামর্শ অনুযায়ী ১৯৫৪ সালে ‘ঢাকা প্রজেক্ট’ নামে শহর সমষ্টি উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়।
এই প্রজেক্টের সাফল্যের ভিত্তিতে ১৯৫৫ সালে ঢাকার কায়েতটুলীতে শহর সমষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প নামে পরীক্ষামূলক একটি
কর্মসূচি প্রবর্তন করা হয়। ক্রমবর্ধমান সামাজিক চাহিদার প্রেক্ষিতে ১৯৫৫-৫৬ অর্থ বছরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে
চিকিৎসা সমাজকর্ম প্রবর্তনের মাধ্যমে এদেশে পেশাদার সমাজকর্মের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে। বেসরকারি পর্যায়ে
সমাজকল্যাণ প্রতিষ্ঠানের উন্নতি ও বিকাশে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে ১৯৫৬ সালে সমাজকল্যাণ পরিষদ গঠিত হয়। এ
পরিষদের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ প্রতিষ্ঠানকে কারিগরি ও অর্থনৈতিক সাহায্য প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা
হয়। সমাজকর্ম বিষয়ে উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হওয়ার প্রেক্ষাপটে সরকার দেশে দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন
সমাজকর্মী সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সমাজকর্ম শিক্ষা কার্যক্রম প্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই ধারাবাহিকতায়
১৯৫৮ সালের ২০ ফেব্রæয়ারি কলেজ অব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার (ঈড়ষষবমব ড়ভ ঝড়পরধষ ডবষভধৎব
ধহফ জবংবধৎপয ঈবহঃবৎ) প্রতিষ্ঠা করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সমাজকল্যাণ কলেজ ও গবেষণা কেন্দ্র হতে
১৯৫৮-৫৯ শিক্ষাবর্ষে এম.এ. কোর্স প্রবর্তন করা হয়। এর মাধ্যমেই বাংলাদেশে সমাজকর্মে উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠানিক সূচনা
হয়। শুরুর দিকে দু’বছর মেয়াদী এম.এ. কোর্স চালু করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৬৬-৬৭ শিক্ষা বছর থেকে ¯œাতক সম্মান
পর্যায়ে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়। এরপর ১৯৭৩ সালে উক্ত প্রতিষ্ঠানটির নতুন নামকরণ হয় ‘সমাজকল্যাণ ও
গবেষণা ইনস্টিটিউট’, যা ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন অব স্কুল অব সোশ্যাল ওয়ার্ক (ওহঃবৎহধঃরড়হধষ অংংড়পরধঃরড়হ ড়ভ
ঝপযড়ড়ষং ড়ভ ঝড়পরধষ ড়িৎশ) এর সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত । বর্তমানে এই ইনস্টিটিউট থেকে সমাজকল্যাণে ¯œাতক
(সম্মান), ¯œাতকোত্তর, এম.ফিল ও পিএইচ.ডি. ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়াও ক্লিনিক্যাল সোশ্যাল ওয়ার্ক,
ভিকটিমোলজি, জেরনটলজী ও ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল রিলেশনের উপর এই ইনস্টিটিউট বিশেষ ¯œাতকোত্তর কোর্স চালু রয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯৬৪-৬৫ শিক্ষাবর্ষে “সমাজকর্ম কলেজ” (বর্তমানে সমাজকর্ম বিভাগ) প্রতিষ্ঠা করে
সমাজকর্মে ¯œাতক (সম্মান) কোর্স চালু করা হয়। এরপর ১৯৬৭ সালে কলেজটিতে ¯œাতকোত্তর কোর্স চালু হয়। পরবর্তীতে
সমাজকর্ম বিভাগ হিসেবে কলেজটিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আত্মীকরণ করা হয়। এই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৩
সালে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকর্ম বিষয়ে ¯œাতক (সম্মান) ও ¯œাতকোত্তর কোর্স চালু হয়।
একই সাথে তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ¯œাতক (সম্মান) কোর্স প্রবর্তন করা হয়। বর্তমানে
উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে সমাজকর্মে ¯œাতক (সম্মান), ¯œাতকোত্তর, এম.ফিল ও পিএইচ.ডি. শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে।
অতি সম্প্রতি ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকর্মে ¯œাতক (সম্মান) কোর্স চালু হয়েছে।
সমাজকর্ম শিক্ষাকে সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে কলেজ পর্যায়ে ¯œাতক (সম্মান) এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে
সমাজকর্ম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯৯৮ সাল থেকে সরকারি ও বেসরকারি কলেজে
সমাজকর্ম বিষয়ে ¯œাতক (সম্মান) ও ¯œাতকোত্তর কোর্স চালু হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমাজকল্যাণ বিষয়কে সমাজকর্ম নামকরণ করেছে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, ২০১৪ সাল
থেকে দেশের সকল কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিষয়টির নাম সমাজকল্যাণ এর পরিবর্তে সমাজকর্ম করা হয়েছে, যা
এদেশে সমাজকর্ম জ্ঞান বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে বিবেচিত। বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিদ্যমান
পাঠ্যক্রম আন্তর্জাতিক পাঠ্যক্রমের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। বাংলাদেশে বেশ কিছু বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকর্ম শিক্ষা চালু আছে। আশা করা যায় যে, এ সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। দেশ স্বাধীনের পর জাতির
জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সমাজসেবা বিভাগে সমাজসেবা কর্মকর্তা
নিয়োগে কেবল সমাজকর্ম/সমাজকল্যাণ বিষয়ে ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তর ডিগ্রি ধারীরাই যোগ্য বলে বিবেচিত হতো।
পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালে এটি বাতিল করে সকল বিষয়ে ডিগ্রী প্রাপ্তদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। যার ফলে বাংলাদেশে
সমাজকর্মের জ্ঞান ও শিক্ষার প্রসারে মন্থর গতি আসে। বর্তমানে বাংলাদেশে বেশ কিছু এনজিওতে সমাজকর্ম অনুশীলন
হচ্ছে। বাংলাদেশে সমাজকর্মের জ্ঞান ও শিক্ষার প্রসারে কাউন্সিল অন সোশ্যাল ওয়ার্ক এডুকেশন (ঈঝডঊ) এর আদলে
২০০৭ সালে বাংলাদেশ কাউন্সিল ফর সোশ্যাল ওয়ার্ক এডুকেশন (ইঈঝডঊ) গঠন করা হয়েছে। ইঈঝডঊ বাংলাদেশে
সমাজকর্ম শিক্ষা ও অনুশীলনের মানোন্নয়ন ও পেশাগত স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে ঘঅঝড, ওঅঝঝড এবং অচঅঝডঊ
এর মতো আন্তর্জাতিক পেশাগত সংগঠনসমূহের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টার এবং বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ চ্যাপ্টারে নিয়মিত কর্মশালা ও জার্নাল প্রকাশ করছে, যা বাংলাদেশে সমাজকর্মের জ্ঞান বিকাশে
অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।
সারসংক্ষেপ
বাংলাদেশে সমাজকর্মের অগ্রযাত্রা শুরু হয় দেশ বিভাগের পর জাতিসংঘের সহযোগিতায় ১৯৫৩ সালে ভারত থেকে
আগত মুহাজিদের আর্থ-সামাজিক সমস্যা সমাধানের জন্য। জাতিসংঘের বিশেষ দলের সুপারিশের ভিত্তিতে সর্বপ্রথম
১৯৫৩ সালে তিন মাসব্যাপী স্বল্পকালীন প্রশিক্ষণ কোর্স এবং ১৯৫৪ সালে ঢাকা প্রজেক্টের মাধ্যমে এই অগ্রযাত্রার শুরু
হয়। পেশাদার সমাজকর্মের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৫-৫৬ অর্থ বছরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা সমাজকর্ম
প্রবর্তনের মাধ্যমে। স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ প্রতিষ্ঠানকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে ১৯৫৬ সালে সমাজকল্যাণ পরিষদ
গঠিত হয়। বাংলাদেশে সমাজকর্ম শিক্ষা অগ্রযাত্রার অগ্রদূত হিসেবে ১৯৫৮ সালে কলেজ অব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার
এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয় যা বর্তমানে সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট নামে
পরিচিত। এই ধারাবাহিকতায় ১৯৬৪-৬৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে, ১৯৯৩ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয় সিলেটে, ১৯৯৩ সালে তৎকালীন জগন্নাথ কলেজে (বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়), ১৯৯৮ সালে জাতীয়
বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত কলেজে এবং ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকর্মে
উচ্চতর শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়েছে। বর্তমানে সমাজকর্ম শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সমাজকর্মের পেশাগত স্বীকৃতি অর্জনের
লক্ষ্যে ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত সমাজকর্মের পেশাগত সংগঠন হিসেবে ইঈঝডঊ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে যা বাংলাদেশে
সমাজকর্মের জ্ঞান বিকাশে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন :
১। বাংলাদেশে সমাজকর্ম শিক্ষার সূত্রপাত ঘটে কবে?
ক) ১৯৫২ সালে খ) ১৯৫৩ সালে
গ) ১৯৪৭ সালে ঘ) ১৯৪৮ সালে
২। বাংলাদেশে কলেজ অব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয় কবে?
ক) ১৯৫৭ সালে ২০ ফেব্রæয়ারি খ) ১৯৫৮ সালের ২০ ফেব্রæয়ারি
গ) ১৯৫৭ সালের ২০ মার্চ ঘ) ১৯৫৮ সালের ২০ মার্চ

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]