রাজা অষ্টম হেনরীর ১৫৩১ সালে দরিদ্র আইন প্রণয়ন হতে ১৮৩২ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক
পরিবর্তন সাধিত হয়। শিল্পবিপ্লবের প্রভাবে শিল্পায়ন ও শহরায়নের প্রসার, শিল্প ও বাণিজ্যের উন্নয়ন, নতুন নতুন দার্শনিক
মতবাদ, প্রচলিত দরিদ্র আইনের ব্যর্থতা ইত্যাদি ঘটনার প্রভাবে সমাজ জীবনের বিভিন্ন অসঙ্গিত অনুভূত হতে থাকে।
এছাড়াও এ সময়ে দরিদ্র আইন অনুশীলনের তীব্র বিরোধিতা, দরিদ্র কর সম্পর্কে জনগণের অসন্তুষ্টি, দারিদ্র্যের প্রসার এবং
প্রচলিত সাহায্য দান প্রক্রিয়া দরিদ্রদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। যার ফলে সরকারকে দরিদ্র আইন প্রণয়নের দুই
শতাব্দী পরে এসব আইন সংস্কারের জন্য নতুনভাবে চিন্তাভাবনা করতে হয়। যার প্রেক্ষিতেই ১৮৩২ সালে পার্লামেণ্ট
কর্তৃক দরিদ্র আইনসমূহের প্রয়োগ ও কার্যকারিতা অনুসন্ধান বিষয়ক জাতীয় কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশন গঠনের
মূল লক্ষ্য ছিল প্রচলিত দরিদ্র আইনগুলো বাস্তবায়নের দুর্বলতা অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ পেশ করা। কমিশন
দীর্ঘ দু’বছর প্রচলিত দরিদ্র আইন প্রশাসন এবং ইংল্যান্ডের প্রতিটি কাউণ্টির কার্যাবলী পর্যবেক্ষণ করে ১৮৩৪ সালে দরিদ্র
আইন সংশোধন সম্মলিত সুপারিশমালা পেশ করেন। কমিশন প্রচলিত সাহায্য ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে ছয়টি
সুপারিশ পেশ করেন। এগুলো হলো :
১. ১৭৯৫ সালের স্পিন হ্যামল্যান্ড এ্যাক্ট কর্তৃক প্রচলিত আংশিক সাহায্য ব্যবস্থার বিলোপ সাধন;
২. সকল সক্ষম ও কর্মক্ষম সাহায্য প্রার্থীকে শ্রমাগারে প্রেরণ করা;
৩. শুধুমাত্র অক্ষম, বৃদ্ধ, অসুস্থ ও সন্তানসন্ততিসহ বিধবাদের বহিঃসাহায্যের ব্যবস্থা করা;
৪. দরিদ্র আইন ইউনিয়ন গঠনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্যারিশের সাহায্য ব্যবস্থার প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় সাধন;
৫. সাহায্যপ্রার্থীর জীবনমান ও সামাজিক মর্যাদা নিম্ন বেতনভুক্ত কর্মচারীদের অপেক্ষা নিম্ন পর্যায়ে রাখা; এবং
৬. রাজা কর্তৃক কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা।
১৮৩২ সালে গঠিত রাজকীয় কমিশনের সুপারিশগুলোই পরবর্তীতে ১৮৩৪ সালে ১৪ আগস্ট আইনে পরিণত হয়, যা
ইংল্যান্ডের ইতিহাসে ১৮৩৪ সালের দরিদ্র আইনসংস্কার নামে পরিচিত।
১৮৩৪ সালের দরিদ্র সংস্কার আইনের বৈশিষ্ট্য
এই সংস্কার আইনেও ১৬০১ সালের এলিজাবেথীয় দরিদ্র আইনের বিধানসমূহের ন্যায় সক্ষম দরিদ্রদের জন্য কঠোর
পরিশ্রমের শর্ত আরোপ করা হয়। তাদের সাথে কয়েদিদের ন্যায় আচরণ, মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য করা অন্তর্ভুক্ত করা
হয়। এই আইনের মাধ্যমে দরিদ্রদের আত্মমর্যাদায় আঘাত হানা হয় এবং তাদের প্রতি কঠোর ও নির্যাতনমূলক ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হয়। অনেকের মতে এই আইনে দরিদ্রদের জীবনমান উন্নয়নের চেয়ে দরিদ্র সাহায্য খাতে ব্যয় হ্রাস করার প্রতি
গুরুত্ব দেয়া হয়।
১৮৩৪ সালের দরিদ্র সংস্কার আইনের নীতি
রাজকীয় কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে ১৮৩৪ সালের দরিদ্র আইনসংস্কার কার্যকরীকরণে কর্মযোগ্যতার নীতি, শ্রমাগার
পরীক্ষা পুণঃপ্রবর্তন ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কেন্দ্রীয়ভুক্তকরণ নীতিসমূহকে গুরুত্ব দেয়া হয়। এছাড়াও এই আইনের মাধ্যমে
সরকারের দরিদ্র আইন বাস্তবায়নের ব্যয়ভার অনেকাংশে হ্রাস করতে সক্ষম হয়। রোগ প্রতিরোধের জন্য সরকারিভাবে
টিকাদানের ব্যবস্থা করা হয়। দারিদ্র্য দূর করা হয় এবং আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের মাধ্যমে দরিদ্ররা নিজেদের প্রয়োজন
পূরণে সচেষ্ট হয়।
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র