বাংলাদেশে সমাজকর্ম পেশার সম্ভাব্য প্রয়োগক্ষেত্র
উন্নত বিশ্বে বিশেষ করে ইংল্যান্ড, আমেরিকা, কানাডাসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সমাজকর্ম পেশা হিসেবে
স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত। সেখানে লাইসেন্সধারী ও রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত সমাজকর্মীরা সমাজকর্ম অনুশীলন করে থাকেন।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে আর্থ-সামাজিক সমস্যা সমাধানে সমাজকর্মের প্রয়োগক্ষেত্র ধীরগতিতে হলেও প্রসার
লাভ করছে। শিল্পায়ন ও শাহরায়ণের ফলে সৃষ্ট সমস্যা যেমনÑ পারিবারিক বিশৃঙ্খলা, বস্তি ও গৃহায়ন সমস্যা, সামাজিক
বন্ধনে শিথিলতা, বেকারত্ব, জনসংখ্যাস্ফীতি, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতাসহ অন্যান্য সমস্যা কার্যকর সমাধানে সমাজকর্মের জ্ঞান ও
পদ্ধতি বিশেষভাবে উপযোগী। তাই বাংলাদেশের মতো দারিদ্র্য কবলিত দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মৌলিক মানবিক চাহিদা
পূরণ, মানবাধিকার সংরক্ষণ, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, অপরাধ, কিশোর অপরাধ, মানবপাচার, নারী ও শিশু নির্যাতন,
পরিবেশ দূষণসহ প্রভৃতি ক্ষেত্রে জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সামাজিক কল্যাণ (ংড়পরধষ নবঃঃবৎসবহঃ) আনয়নে
সমাজকর্মের জ্ঞান, কৌশল, দক্ষতা ও পদ্ধতি প্রয়োগের গুরুত্ব অপরিসীম। এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে সমাজকর্মের
সম্ভাব্য প্রয়োগক্ষেত্রগুলো নি¤েœ আলোচনা করা হলো :
১. শহর ও গ্রামীণ সমষ্টি উন্নয়ন : বাংলাদেশে পেশাদার সমাজকর্মের প্রয়োগ শুরু হয় মূলত শহর সমষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প
(টঈউচ) এর মাধ্যমে ১৯৫৫ সালে। এটি বর্তমানে শহর সমাজসেবা কার্যক্রম নামে ৮০টি ইউনিটের মাধ্যমে সারা
দেশের পৌর এলাকায় বাস্তবায়িত হচ্ছে, যা শহর এলাকার বস্তিবাসীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্য কাজ করছে।
অন্যদিকে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ১৯৭৪ সাল থেকে গ্রামীণ সমাজসেবা কর্মসূচি (জঝঝ) চালু
রয়েছে। এটি দেশের সকল উপজেলায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন রকম কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
শহর ও গ্রামীণ সমষ্টি উন্নয়নে সমাজকর্মের জ্ঞান, কৌশল ও পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
২. বিদ্যালয় পর্যায়ে সমাজকর্ম : বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া, পড়ালেখার প্রতি বিমুখতা,
বিদ্যালয়ের পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্যবিধান করতে না পারাসহ বিবিধ সমস্যা লক্ষণীয়। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে
পড়া প্রতিরোধ, পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী করা তথা শিক্ষার্থী বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির
ক্ষেত্রে বিদ্যালয় সমাজকর্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে ১৯৬৯ সালে পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকার
আরমানিটোলা উচ্চ বিদ্যালয় এবং চট্টগ্রামের মুসলিম হাই স্কুলে চালু করা হলেও তা ১৯৮৪ সালে এনাম কমিটির
সুপারিশ বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে বর্তমানে বাংলাদেশে ইউসেপ, ব্র্যাকের মতো কিছু এনজিও বিদ্যালয় সমাজকর্মের
জ্ঞান প্রয়োগ করে। বাংলাদেশে বিদ্যালয়ে সমাজকর্ম প্রয়োগ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
৩. সংশোধনমূলক কার্যক্রম : অপরাধী ও কিশোর অপরাধীদের আচরণ সংশোধনে বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক আবাসিক ও
অপ্রাতিষ্ঠানিক সমষ্টিভিত্তিক সেবা কর্মসূচি চালু রয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক আবাসিক সেবা কর্মসূচির মধ্যে কিশোর উন্নয়ন
কেন্দ্র, কারাগারের অভ্যন্তরে বন্দী কয়েদীদের প্রশিক্ষণ, কাউন্সেলিং ও মটিভেশন কর্মসূচি উল্লেখযোগ্য। অন্যদিকে
অপ্রাতিষ্ঠানিক সেবা কর্মসূচির মধ্যে প্রবেশন, আফটার কেয়ার সার্ভিস ও প্যারোল রয়েছে। প্রতিকারমূলক এই সব
কর্মসূচিতে সমাজকর্ম পদ্ধতি প্রয়োগ যথেষ্ট কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। উল্লেখ্য যে, কিশোর-কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে
ব্যক্তি সমাজকর্মী ও সাইকিয়াট্টিক সোশ্যাল ওয়ার্কার নামে পদ রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সমাজকর্মে ডিগ্রিধারীদের
নিয়োগের সুযোগ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৪. চিকিৎসা ক্ষেত্রে : বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাক্ষেত্রে সমাজকর্মীর জ্ঞান প্রয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এদেশে
১৯৫৬ সালে সর্বপ্রথম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চালুর মধ্য দিয়ে চিকিৎসা সমাজকর্মের যাত্রা শুরু হয়, যা
বর্তমানে হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রম নামে সমগ্র বাংলাদেশের মোট ৯০টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে
পরিচালিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে চিকিৎসা সমাজকর্মের জ্ঞান, কৌশল, দক্ষতা প্রয়োগের মাধ্যমে সাফল্য অর্জন সম্ভবপর।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে টীম ওয়ার্ক অ্যাপ্রোচের (ঃবধস ড়িৎশ ধঢ়ঢ়ৎড়ধপয) মাধ্যমে কাজ করা হয়ে থাকে, যা বাংলাদেশের
মতো তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে কার্যকর ফল বয়ে আনতে সক্ষম।
৫. পরিবারকল্যাণ : পরিবার সমাজের আদিম প্রতিষ্ঠান। পরিবারেই শিশু জন্ম গ্রহণ করে। পরিবারে সঠিক দিকনির্দেশনা,
সচেতনতা ও নেতৃত্বের অভাবে পরিবারের সদস্য ও সন্তান-সন্ততিরা অনেক সময় যথাযথ ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়।
ফলে পরিবারের সদস্যরা বহুমুখী সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। বাংলাদেশের মতো দেশে পরিবার কল্যাণে গৃহীত
কর্মসূচি যেমনÑ পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, পারিবারিক ও দাম্পত্যকলহ
প্রতিরোধে সমাজকর্মের জ্ঞান বিশেষভাবে উপযোগী।
৬. শিশুকল্যাণ : শিশুকল্যাণের নিমিত্ত গৃহীত কর্মসূচির সফলতা আনয়নে সমাজকর্ম অনুশীলন করা যেতে পারে। পুষ্টি
কার্যক্রম, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শিশু যতœ, মা ও শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, শিশু সুরক্ষা, শিশু নির্যাতন রোধ,
শিশু বঞ্চনা ও নিপীড়ন প্রতিরোধে সমাজকর্মীরা যথার্থ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। বাংলাদেশে শিশু পরিবার, ছোটমনি
নিবাস, দিবাকালীন শিশু যতœ কেন্দ্র, দুঃস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম, কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র, সেফ হোম,
প্রতিবন্ধী শিশুদের কল্যাণে পরিচালিত কার্যক্রমসহ অন্যান্য কার্যক্রমে সমাজকর্মের পদ্ধতি প্রয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রাখতে পারে।
৭. নারীকল্যাণ : বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক হচ্ছে নারী। নারীরা বহুবিধ সমস্যায় জর্জরিত। নারীর
অনগ্রসরতা, অসচেতনতা ও কুসংস্কার দূর করে সচেতন, দায়িত্বশীল ও উপার্জনক্ষম করে নারী ক্ষমতায়ন তথা নারী
উন্নয়নের ক্ষেত্রে সমাজকর্ম জ্ঞান অধিক ফলপ্রসূ ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়া সেফ হোম, পল্লী মাতৃ কেন্দ্র,
দুঃস্থ মহিলা প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, এসিড দগ্ধ মহিলা ও শারীরিক প্রতিবন্ধীর পুনর্বাসন কর্মসূচিসহ নারী
কল্যাণমূলক কর্মসূচিতে সমাজকর্মের পদ্ধতি ও কৌশল প্রয়োগ করা যেতে পারে।
৮. যুবকল্যাণ : যুবকদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, দৈহিক, মানসিক, নৈতিক তথা সার্বিক কল্যাণের জন্য যেসব কর্মসূচি বা
কার্যক্রম নেয়া হয় তাই যুবকল্যাণ। বাংলাদেশের যুবকদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই বেকার। বাংলাদেশের যুবসমাজের
জন্য গৃহীত কর্মমুখী ও গঠনমূলক উন্নয়ন কর্মকাÐে সমাজকর্মের পদ্ধতি প্রয়োগের বিকল্প নেই বললেই চলে। বিশেষ
করে বিপথগামী, হতাশাগ্রস্ত ও বিভ্রান্ত যুবসমাজের জন্য সমাজকর্ম পদ্ধতি প্রয়োগ অধিক ফলপ্রসূ। সমাজকর্মের নীতি,
মূল্যবোধ, কৌশল ও পদ্ধতির আলোকে যুবসমাজকে সংগঠিত করে আত্মনির্ভরশীল তথা মানব সম্পদে পরিণত করা
সম্ভব।
৯. প্রবীণকল্যাণ : শিল্পসমাজে পারিবারিক বন্ধন শিথিল, যৌথ পরিবারে ভাঙ্গন ও পারিবারিক বিশৃঙ্খলার ফলে প্রবীণ
জনগোষ্ঠী নিরাপত্তাহীনতার শিকার হচ্ছেন। প্রবীণ জনগোষ্ঠীর অধিকার সংরক্ষণ, নতুন প্রজন্মের সাথে
সামঞ্জস্যবিধানসহ তাদের কল্যাণে গৃহীত কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়নে সমাজকর্মীরা বিশেষ ভূমিকা পালন করতে
সক্ষম। বাংলাদেশে প্রবীণকল্যাণে গৃহীত বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রম, বয়স্ক ভাতা কর্মসূচিসহ শান্তি নিবাসগুলোতে
সমাজকর্মীরা ভূমিকা পালন করতে সক্ষম। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রবীণদের জন্য মোট ৬টি শান্তি নিবাস আছে। এসব
নিবাসগুলোতে সমাজকর্ম অনুশীলনের যথেষ্ট সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে।
১০. প্রতিবন্ধীকল্যাণ : বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার প্রায় দশ ভাগ প্রতিবন্ধী। জন্মগত, দুর্ঘটনা ও অপুষ্টিসহ বিভিন্ন কারণে
দিন দিন প্রতিবন্ধীর সংখ্যার বেড়েই চলছে। প্রতিবন্ধীদের পরিবার ও সমাজের বোঝা না ভেবে সম্পদে পরিণত করার
ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি রয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সমন্বিত অন্ধ শিক্ষা কার্যক্রম, দৃষ্টি ও
শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের বিদ্যালয়, জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষণ ও পূনর্বাসন কার্যক্রমসহ বেশ কিছু কর্মসূচি যেখানে
সমাজকর্ম জ্ঞান ও পদ্ধতি প্রয়োগ করে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।
১১. সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি : বাংলাদেশের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির ক্ষেত্রে সমাজকর্মের জ্ঞান ও দক্ষতা
প্রয়োগ করে সফলতা নিশ্চত করা সম্ভবপর। বয়স্ক ভাতা, অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধীদের ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা,
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তি সংক্রান্ত সমাজসেবা কর্মসূচিসহ সামাজিক বীমা ও সামাজিক সাহায্য কার্যক্রমে
সমাজকর্ম পদ্ধতি প্রয়োগ করা যেতে পারে।
১২. শ্রমকল্যাণ : শ্রমজীবীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, কর্ম পরিবেশের মানোন্নয়নে গৃহীত কার্যক্রমে সমাজকর্মের জ্ঞান প্রয়োগ
তাৎপর্যপূর্ণ ও ফলপ্রসূ। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে শ্রমিক-কর্মচারিদের মধ্যে শ্রম অসন্তোষ, নিরাপত্তাহীনতা,
মালিক-শ্রমিকদ্বন্দসহ বিভিন্ন সমস্যা নিরসন করে শ্রমিকদের মধ্যে দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে সমাজকর্মের
পদ্ধতি সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। এছাড়া শ্রমিক কর্মচারিদের মধ্যে গঠনমূলক শিক্ষা, চিত্তবিনোদন, স্বাস্থ্য
সম্পর্কিত জ্ঞান, সামাজিক শিক্ষা প্রদান, পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কিত জ্ঞান দান ও পেশাগত কাজের অনুকূল পরিবেশ
সৃষ্টিতেও সমাজকর্মীরা সচেষ্ট হতে পারে।
উপরিউক্ত প্রয়োগক্ষেত্রগুলোর কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশে সমাজকর্মের জ্ঞান ও দক্ষতা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রয়োগ
করা হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশে সমাজকর্ম পেশার গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের মতো দরিদ্র দেশের বেকারত্ব,
জনসংখ্যাস্ফীতি, স্বাস্থ্য ও পুষ্টিহীনতা, নারী ও শিশু নির্যাতন, যৌতুক সমস্যা, মাদকাসক্তি, অপরাধ ও কিশোর অপরাধসহ
নানাবিধ সামাজিক সমস্যা ও সামাজিক ব্যাধি মোকাবিলার ক্ষেত্রে সমাজকর্ম প্রয়োগ করা যেতে পারে। এছাড়া বর্তমানে
দেশের পরিবেশ দূষণ, প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা, এইচআইভি/এইডস, আর্সেনিক সমস্যাসহ মনস্তাত্তি¡ক
সমস্যা মোকাবিলার ক্ষেত্রেও সমাজকর্মের জ্ঞান প্রয়োগ সুফল বয়ে আনতে পারে।
সারসংক্ষেপ
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে শিল্পায়ন ও শহরায়নজনিত জটিল ও বহুমুখী সমস্যার কার্যকর সমাধানে
সমাজকর্মের প্রয়োগক্ষেত্র ব্যাপক ও বহুমুখী হতে পারে। এদেশে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমাজর্মের জ্ঞান প্রত্যক্ষ ও
পরোক্ষভাবে প্রয়োগ করে সফলতা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে। শিশু, নারী, প্রবীণ, শ্রম ও যুবকল্যাণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে
সমাজকর্মের পদ্ধতি ফলপ্রসূ হতে পারে। তাই সমাজকর্মের পেশাগত স্বীকৃতির মাধ্যমে সম্ভাব্য প্রয়োগক্ষেত্রগুলো বিস্তৃত
করতে হবে।
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন :
১. বাংলাদেশে প্রথম কোন ক্ষেত্রে সমাজকর্মের প্রয়োগ শুরু হয়?
ক) গ্রামীণ সমষ্টি উন্নয়ন খ) শহর সমষ্টি উন্নয়ন
গ) শিক্ষা ক্ষেত্রে ঘ) চিকিৎসা ক্ষেত্রে
২. বাংলাদেশের কোন প্রতিষ্ঠানে সোশ্যাল কেস ওয়ার্কার নামে পদ রয়েছে?
ক) কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে খ) মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে
গ) শহর সমষ্টি কার্যক্রমে ঘ) গ্রামীণ সমষ্টি উন্নয়ন কার্যক্রমে
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র