‘পেশা’ একটি সুপরিচিত শব্দ। সাধারণভাবে জীবনধারণ বা জীবিকা নির্বাহের উপায় বা পন্থাকে পেশা
হিসেবে অভিহিত করা হলেও সকল জীবিকা নির্বাহের উপায় পেশা নয়। কেননা জীবিকা নির্বাহের উপায় বা পন্থাকে বলা
হয় বৃত্তি বা । কোনো বৃত্তি তখনই পেশার মর্যাদা লাভ করবে যদি তার সুশৃঙ্খল জ্ঞান ও তাত্তি¡ক ভিত্তি, বিশেষ
দক্ষতা ও নৈপূণ্য, পেশাগত দায়িত্ব ও জবাবদিহিতা, পেশাগত সংগঠন ও নিয়ন্ত্রণ, পেশাগত নীতিমালা ও মূল্যবোধ,
জনকল্যাণমুখীতা ও উপার্জনশীলতা, ঐতিহাসিক পটভূমি এবং সামাজিক স্বীকৃতি থাকে। এদিক থেকে সকল পেশাকেই
বৃত্তি বলা গেলেও সকল বৃত্তিকে পেশা হিসেবে অভিহিত করা যায় না। যেমনÑ রিক্সাচালক হচ্ছেন বৃত্তিজীবী এবং ডাক্তার
হচ্ছেন পেশাজীবী। সকল পেশারই পেশাগত মূল্যবোধ ও নীতিমালা রয়েছে, যা তাকে স্বতন্ত্র মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করে।
সমাজকর্ম পেশার নিজস্ব কিছু পেশাগত মূল্যবোধ ও নীতিমালা রয়েছে, যা পেশাগত অনুশীলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে। ব্যক্তির মূল্য ও মর্যাদায় স্বীকৃতি, আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার, সকলের জন্য সমান সুযোগ, সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার
ইত্যাদি সমাজকর্ম মূল্যবোধ হিসেবে বিবেচিত।
বৃত্তি
বৃত্তির ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘। বৃত্তি বলতে জীবন ধারণের সাধারণ উপায় বা অবলম্বনকে বুঝানো
হয়। যার জন্য উচ্চতর তাত্তি¡ক জ্ঞান ও ব্যবহারিক শিক্ষা-প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না। যেমনÑ কুলি, মজুর, রিক্সাচালনা,
ঘরের কাজ, গৃহপরিচারিকার কাজ ইত্যাদি হচ্ছে বৃত্তির উদাহরণ। বৃত্তিজীবীরা ইচ্ছে করলেই তার বৃত্তি পরিবর্তন করে অন্য
কোনো বৃত্তিতে সম্পৃক্ত হতে পারে। যেমনÑ একজন সক্ষম ভিক্ষুক ইচ্ছে করলেই ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে রিক্সা চালাতে পারে।
৩.১.২ পেশার ধারণা
বাংলা পেশা মূলত একটি ফারসি শব্দ। অন্যদিকে পেশার ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো ‘চৎড়ভবংংরড়হ’। যার অভিধানিক অর্থ
জীবিকা বা জীবন ধারণের বিশেষ উপায় (ঙপপঁঢ়ধঃরড়হ)। তবে জীবিকা নির্বাহের সকল উপায় বা পন্থা পেশা নয়।
যেমনÑ রিক্সাচালক ও ডাক্তারের কাজ উভয়ই জীবিকা নির্বাহের উপায় হলেও রিক্সচালকের কাজ বৃত্তি এবং ডাক্তারের কাজ
পেশা হিসেবে বিবেচিত হবে। কেননা মানবজ্ঞানের কোনো একটি নির্দিষ্ট শাখার উচ্চমানের তাত্তি¡ক ও ব্যবহারিক দক্ষতা
অর্জন করে সে জ্ঞানকে অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যে তথা জীবন ধারণের উপায় হিসেবে প্রয়োগ করলে তা পেশা হিসেবে বিবেচিত
হবে।
মনীষী এ. ই. বেন এর মতে, “পেশা হলো অন্যকে নির্দেশনা, পরিচালনা বা উপদেশ প্রদানের এমন
একটি জীবিকা যার জন্য বিশেষ জ্ঞানার্জন করতে হয়।”
সমাজকর্ম অভিধানের (১৯৯৫) ব্যাখ্যানুযায়ী, “পেশা হলো এমন একদল জনগোষ্ঠী যারা নির্দিষ্ট সামাজিক প্রয়োজন বা
চাহিদা পূরণে অভিন্ন সাধারণ মূল্যবোধ, দক্ষতা, কৌশল, জ্ঞান এবং বিশ্বাস অনুসরণ ও ব্যবহার করে।” (
এক্ষেত্রে গ্রন্থে পেশার সংজ্ঞায় বলেন “পেশা
হলো একটি সার্বক্ষণিক কর্ম, যা সেবাদানে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ সহযোগীদের আলাদা পরিচিতি, বিশেষায়িত জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ
এবং সেবামুখীতা ও দায়িত্বপালনের মাধ্যমে স্বাতন্ত্রবোধ।”
সুতরাং পেশা বলতে বিশেষ কোনো বিষয়ে নির্দিষ্ট জ্ঞান, দক্ষতা, নৈপূণ্য, মূল্যবোধ, বিশেষ নীতি ও বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বৃত্তিকে
বোঝায়, যা সাধারণত জনকল্যাণমূখী এবং পেশাগত সংগঠনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়ে থাকে। যে কোনো
পেশাকে পরিপূর্ণ পেশার মর্যাদা অর্জন করতে হলে সমাজ ও রাষ্ট্রের স্বীকৃতি অর্জন করতে হয়।
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র