সমাজকর্মের পেশাগত মূল্যবোধের বিকাশ
ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে সমাজকর্মের পেশাগত বিকাশ শুরু হলেও ১৯২১ সালে পেশার নৈতিক
বিধিমালা ও মূল্যবোধ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এক্ষেত্রে সমাজকর্ম পেশার অন্যতম অগ্রদূত ম্যারী ই. রিচমন্ডের
বাংলাদেশ উš§ুক্ত বিশ^বিদ্যালয় এইচএসসি প্রোগ্রাম
ইউনিট তিন পৃষ্ঠা ৪৫
(গধৎু ঊ. জরপযসড়হফ) ভূমিকা অগ্রগণ্য। সমাজকর্মের নৈতিক বিধিমালা বা মূল্যবোধ প্রণয়নের প্রারম্ভিক প্রয়াস শুরু হয়
১৯২৩ সালে ব্যক্তি সমাজকর্মীদের জন্য একটি নীতিমালা প্রস্তাবের মধ্যে দিয়ে। আর এই নীতিমালার রূপকার ছিলেন ম্যারী
ই. রিচমন্ড। পরবর্তীতে ১৯৬০ সালে আমেরিকার জাতীয় সমাজকর্মী সমিতি সমাজকর্মীর নৈতিক বিধিমালা প্রণয়ন করে।
এরপর বৃটেন, কানাডা, জার্মানী, অস্ট্রেলিয়ায় নিজ দেশের অনুশীলনের পেক্ষাপটে সমাজকর্মের মূল্যবোধ প্রণয়ন করা হয়।
তবে বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশে আমেরিকার জাতীয় সমাজকর্মী সমিতি কর্তৃক প্রণীত বিধিমালা অনুসরণ করা
হয়। সময়ের আবর্তে বিভিন্ন সময়ে সমাজকর্মের নৈতিক বিধিমালায় বিভিন্ন পরিবর্তন ও সংস্কার সাধন করা হয়েছে।
সর্বপ্রথম সংশোধন করা হয় ১৯৭৯ সালে। এরপর ১৯৮৩, ১৯৯০ এবং সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে কিছু পরিবর্তন ও পরিমার্জন
করা হয়।
৩.৬.২ সমাজকর্ম পেশার মূল্যবোধ ও নীতিমালা
প্রতিটি পেশার ন্যায় সমাজকর্ম পেশারও স্বতন্ত্র ও সুনির্দিষ্ট কতিপয় পেশাগত মূল্যবোধ রয়েছে, যা সেবাদান প্রক্রিয়ার
হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। আমেরিকার জাতীয় সমাজকর্মী সমিতি (ঘঅঝড) সমাজকর্ম পেশার নি¤েœাক্ত মূল্যবোধসমূহ
উল্লেখ করেছে :
১. ব্যক্তির মূল্য ও মর্যাদা (ডড়ৎঃয ধহফ ফরমহঃু ড়ভ রহফরারফঁধষ);
২. মানুষের প্রতি সম্মান প্রদর্শন (জবংঢ়বপঃ ঃড় ঢ়বড়ঢ়ষব);
৩. পরিবর্তনের জন্য ব্যক্তির সামর্থের মূল্যায়ন (ঠধষঁরহম রহফরারফঁধষ’ং পধঢ়ধপরঃু ভড়ৎ পযধহমব);
৪. সেবাগ্রহণকারীর আত্ম-নিয়ন্ত্রণ অধিকার (ঈষরবহঃ ংবষভ-ফবঃবৎসরহধঃরড়হ);
৫. গোপনীয়তা (ঈড়হভরফবহঃরধষরঃু ধহফ ঢ়ৎরাধপু);
৬. ব্যক্তি মানুষকে তাদের প্রতিভা উপলব্ধির সুযোগ প্রদান (চৎড়ারফরহম রহফরারফঁধষং রিঃয ড়ঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃু ঃড় ৎবধষরুব
ঃযবরৎ ঢ়ড়ঃবহঃরধষ);
৭. মানুষের সাধারণ মৌলিক চাহিদা পূরণের প্রচেষ্টা (ঝববশরহম ঃড় সববঃ রহফরারফঁধষং পড়সসড়হ যঁসধহ হববফং);
৮. সামাজিক পরিবর্তন এবং সামাজিক ন্যায়-বিচারের অঙ্গীকার (ঈড়সসরঃসবহঃ ঃড় ংড়পরধষ পযধহমব ধহফ ংড়পরধষ
লঁংঃরপব);
৯. মৌলিক চাহিদা পূরণে পর্যাপ্ত সম্পদ ও সেবা প্রদানের প্রচেষ্টা (ঝববশরহম ঃড় ঢ়ৎড়ারফব রহফরারফঁধষং রিঃয
ধফবয়ঁধঃব ংবৎারপবং ধহফ ংবৎারপবং ঃড় সববঃ ঃযবরৎ নধংরপ হববফং);
১০. সাহায্যার্থীদের ক্ষমতায়ন (ঊসঢ়ড়বিৎসবহঃ ড়ভ পষরবহঃ/বসঢ়ড়বিৎরহম পষরবহঃ);
১১. সমান সুযোগ-সুবিধা প্রদান (ঊয়ঁধষ ড়ঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃু);
১২. বৈষম্য না করা (ঘড়হ-ফরংপৎরসরহধঃরড়হ);
১৩. মানব বৈচিত্র্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শন (জবংঢ়বপঃ ঃড় যঁসধহ ফরাবৎংরঃু);
১৪. অন্যের নিকট পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা প্রচারের সদিচ্ছা (ডরষষরহমহবংং ঃড় ঃৎধহংসরঃ ঢ়ৎড়ভবংংরড়হধষ শহড়ষিবফমব
ধহফ ংশরষষং ঃড় ড়ঃযবৎং);
অহসধহফড় ঞ. গড়ৎধষবং এবং ইৎধফভড়ৎফ ড. ঝযবধভড়ৎ (১৯৮৬) তাঁদের, æঝড়পরধষ ডড়ৎশ : অ চৎড়ভবংংরড়হ ড়ভ
গধহু ঋধপবং” গ্রন্থে উল্লেখ করেন, æঝড়পরধষ ড়িৎশ ড়ৎমরহধঃবং ভৎড়সং যঁসধহরঃধৎরধহ রফবধষং ধহফ ফবসড়পৎধঃরপ
ঢ়যরষড়ংড়ঢ়যু ধহফ যধং ঁহরাবৎংধষ ধঢ়ঢ়ষরপধঃরড়হ ঃড় সববঃ যঁসধহ হববফং ধৎরংরহম ভৎড়স ঢ়বৎংড়হধষ-ংড়পরবঃধষ
রহঃবৎধপঃরড়হং ধহফ ঃড় ফবাবষড়ঢ় যঁসধহ ঢ়ড়ঃবহঃরধষ।” তাঁরা সমাজকর্মের পেশাগত মূল্যবোধসমূহকে তিনটি ধারায়
বিভক্ত করে দেখিয়েছেন যথাÑ ক) মানুষের অগ্রাধিকার প্রাপ্ত ধারণা হিসেবে মূল্যবোধ (াধষঁবং ধং ঢ়ৎবভবৎৎবফ
পড়হপবঢ়ঃরড়হং ড়ভ ঢ়বড়ঢ়ষব); খ) মানুষের অগ্রাধিকার প্রাপ্ত ফলাফল হিসেবে মূল্যবোধ (াধষঁবং ধং ঢ়ৎবভবৎৎবফ
ড়ঁঃপড়সবং ভড়ৎ ঢ়বড়ঢ়ষব); এবং গ) মানুষের সাথে আচরণের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রক্রিয়া হিসেবে মূল্যবোধ (াধষঁবং ধং
ঢ়ৎবভবৎৎবফ রহংঃৎঁসবহঃধষরঃরবং ভড়ৎ ফবধষরহম রিঃয ঢ়বড়ঢ়ষব)। নি¤েœ সমাজকর্ম পেশার প্রধান মূল্যবোধসমূহ আলোচনা
করা হলো :
১। ব্যক্তির মূল্য ও মর্যাদার স্বীকৃতি (জবপড়মহরঃরড়হ ড়ভ রহযবৎবহঃ ড়িৎঃয ধহফ ফরমহরঃু ড়ভ রহফরারফঁধষং) :
সমাজকর্মের অন্যতম মৌলিক মূল্যবোধ হচ্ছে প্রতিটি মানুষের সামাজিক মূল্য, সামাজিক সংশ্লিষ্টতা ও সামাজিক মর্যাদার
স্বীকৃতি দেয়া। সমাজকর্মীরা প্রতিটি মানুষের অন্তর্নিহিত সুপ্ত প্রতিভা ও মর্যাদায় বিশ্বাসী। কেননা ব্যক্তির অন্তর্নিহিত মূল্য ও
মর্যাদার স্বীকৃতি দিলে ব্যক্তির মধ্যে আত্ম-বিশ্বাসের সৃষ্টি হয় এবং গঠনমূলক ও ইতিবাচক কর্মকাÐে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ
করে। সমস্যা সমাধান প্রক্রিয়ায় সাহায্যার্থীর সক্রিয় অংশগ্রহণ আবশ্যক। তাই সমাজকর্মী প্রতিটি ব্যক্তির মূল্য ও মর্যাদার
প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
২। আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার (জরমঃয ঃড় ংবষভ-ফবঃবৎসরহধঃরড়হ) : ব্যক্তির সমস্যা ও তার গভীরতা সম্পর্কে ব্যক্তি নিজেই
বেশি অনুভব করতে সক্ষম। সমাজকর্ম অনুশীলনে ব্যক্তির সমস্যার সুষ্ঠু ও নিময়তান্ত্রিক সমাধান ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে
আত্ম-নিয়ন্ত্রণ অধিকারকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। পেশাগত সম্পর্ক (ৎধঢ়ঢ়ড়ৎঃ) স্থাপনের ক্ষেত্রে নীতিটির গুরুত্ব অত্যাধিক।
আত্ম-নিয়ন্ত্রণ অধিকার হচ্ছে ব্যক্তির স্বাধীন ইচ্ছা ও আকাক্সক্ষার ভিত্তিতে নিজ সমস্যা সমাধানের কোনো না কোনো
পরিকল্পনা, যা ব্যক্তির মধ্যে থাকে। এ নীতির মাধ্যমে ব্যক্তির সুপ্ত ক্ষমতা ও প্রতিভার বিকাশ ঘটে। যার আওতায় ধরে
নেয়া হয় যে, ঈষরবহঃ রং ধনষব ঃড় সধশব ধঢ়ঢ়ৎড়ৎরধঃব ফবপরংরড়হং রহ ৎবষধঃরড়হ ঃড় ৎবষু ড়হ ড়ঃযবৎং। তবে সমাজকর্মী
তার অবস্থানগত মর্যাদা ও ক্ষমতার প্রেক্ষিতে সাহায্যার্থীকে কোনো কাজ গ্রহণ ও বর্জনে প্রভাবিত করতে পারবেন। কেননা
সাহায্যার্থী কখনো আবেগ তাড়িত হয়ে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যা নিজের ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর বলে বিবেচিত
হতে পারে।
৩। সকলের সমান সুযোগ (ঊয়ঁধষ ড়ঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃু ঃড় ধষষ) : জাতি-ধর্ম বর্ণ-বয়স-স্তর নির্বিশেষে সকলের জন্য সমান
সুযোগ সৃষ্টি করা সমাজকর্মের অন্যতম প্রধান মূল্যবোধ। যদি সকলের সমান সুযোগের নিশ্চয়তা সাধন সম্ভব হয়; ব্যক্তি
তার সামর্থ্য, দক্ষতা ও যোগ্যতা অনুযায়ী নিজের, পরিবারের ও সমাজের উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে।
এছাড়া ব্যক্তির মধ্যে দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ জাগ্রত হয়। সমাজকর্মে সমন্বিত ও সমবেত প্রচেষ্টায় মানুষের মধ্যে স্বাছন্দ্য ও
সমৃদ্ধির লক্ষ্যে এই মূল্যবোধটি অনুসরণ করা হয়।
৪। স্বনির্ভরতা অর্জন (ঝবষভ-ৎবষরধহপব) : সমাজের মানুষকে স্বনির্ভর হতে উদ্বুদ্ধ করা সমাজের অন্যতম মূল্যবোধ হিসেবে
বিবেচিত। স্বনির্ভর বলতে মূলত আত্মনির্ভশীল হওয়ার প্রচেষ্টাকে বুঝানো হয়। ব্যক্তির দক্ষতা, যোগ্যতা, ক্ষমতা, সুপ্ত
প্রতিভা এবং বস্তুগত ও অবস্তুগত সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে আত্মনির্ভরতা অর্জন পারে। অন্যদিকে, স্বনির্ভর
ব্যক্তি নিজের সৃজনশীলতা ও উন্নয়নকে উত্তরাত্তোর সমৃদ্ধিতে রূপন্তরিত করে তুলতে সক্ষম। সমাজকর্ম একটি ফলপ্রসূ ও
টেকসই সমস্যা সমাধান প্রয়াসী পেশা যা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে স্বনির্ভরতা অর্জন নীতি অনুসরণ করে। যেমনÑ
ভিক্ষুককে ভিক্ষা না দিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে কর্মে নিয়োজিত করে স্বনির্ভর করা।
৫। সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার (চৎড়ঢ়বৎ ঁঃরষরুধঃরড়হ ড়ভ ৎবংড়ঁৎপবং) : সমাজকর্ম একটি গতিশীল পেশা হিসেবে
মানুষকে স্বনির্ভরতা অর্জনে সক্ষম করার মাধ্যমে সমস্যার স্থায়ী ও ফলপ্রসূ সমাধানে প্রয়াসী। এ লক্ষ্যে সাহায্যার্থীকে তার
বস্তুগত সম্পদ ও অবস্তুগত সম্পদ তথা অন্তর্নিহিত সামর্থ্যরে যথোপযুক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে সক্ষম করে তোলে।
৬। গোপনীয়তা (ঈড়হভরফবহঃরধষরঃু) : সাহায্যার্থীর প্রদত্ত তথ্য ও তৎপরতা গোপন রাখা সমাজকর্মীর অন্যতম দায়িত্ব।
সমাজকর্মীকে সমস্যা সমাধান প্রক্রিয়ায় সাহায্যার্থীর অনেক সংবেদনশীল তথ্য নিয়ে কাজ করতে হয়; যা একান্ত ব্যক্তিগত
ও গোপনীয়। অনেক সময় যা প্রকাশ পেলে সাহায্যার্থীর জন্য বিব্রতকর ও ক্ষতিকর হতে পারে। এক্ষেত্রে সমাজকর্মীকে
গোপনীয় তথ্য প্রকাশের ব্যাপারে সতর্ক ও দায়িত্বশীল হতে হবে। যদিও সমাজকর্ম অনুশীলনে সম্পূর্ণ গোপনীয়তা বিরল;
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেবাদান কার্যক্রম ’আপেক্ষিক গোপনীয়তা সংশ্লিষ্ট’ হয়ে থাকে যা সাহায্যার্থীর আত্মমর্যাদা ও স্বার্থ
সংরক্ষণে সহায়ক।
৭। সামাজিক দায়িত্ববোধ (ঝড়পরধষ ৎবংঢ়ড়হংরনষরঃু) : সামাজিক জীব হিসেবে প্রত্যেক মানুষকে তার ভূমিকা সংশ্লিষ্ট
সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে হয়। মূলত ব্যক্তি নিজের ও সমাজের উন্নয়নের জন্য যে ভূমিকা পালন করে তার সমষ্টিই
হচ্ছে সামাজিক দায়িত্ববোধ। অন্যভাবে বলা যায়, মানুষের নীতিবোধ, বিবেক, বুদ্ধি এবং মহানুভবতা থেকে যেসব
দায়িত্ববোধ জন্ম নেয় তাই হচ্ছে সামাজিক দায়িত্ববোধ। যেমনÑ সমস্যাগ্রস্ত প্রতিবেশীকে সাহায্য করা। সাহায্যার্থীর
সামাজিক ভূমিকা পালন ক্ষমতার উন্নয়ন সামাজিক সুসম্পর্কের সৃষ্টি, অন্যের অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান এবং সমস্যা সমাধানে
প্রক্রিয়ার স্বক্রিয় অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সামাজিক দায়িত্ববোধ সমাজকর্মের মূল্যবোধ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।
৮। সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি (ঐড়ষরংঃরপ ধঢ়ঢ়ৎড়ধপয) : সমাজকর্ম অস্থায়ী বা বিছিন্নভাবে কোনো সমস্যার সমাধান না করে স্থায়ী
সমাধানে প্রয়াস চালায়। তাই ব্যক্তি, দল ও সমষ্টির সমস্যা সমাধানে সামগ্রিক জীবনধারাকে বিবেচনায় আনে। যেমনÑ
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য সমস্যা নিরসনে মাত্র ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করলে হবে না। তাদেরকে প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের
মাধ্যমে সচেতন ও স্বনির্ভর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সমস্যার সমাধান দিতে হবে
তাহলে তা স্থায়ী হবে।
উপরোক্ত মূল্যবোধসমূহ সমাজকর্ম পেশার চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত। সমস্যা সমাধান প্রক্রিয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত
একজন সমাজকর্মী একাগ্রতা ও নিষ্ঠার সাথে মূল্যবোধসমূহ অনুসরণ করে।
ঘঅঝড কর্তৃক ১৯৭৯ সালে প্রণীত সমাজকর্মের পেশাগত নৈতিক মানদÐ নীতিমালাগুলো (বঃযরপধষ ংঃধহফধৎফ) নি¤েœ তুলে
ধরা হলো :
১. পেশাদার ব্যক্তি হিসেবে সমাজকর্মীর ব্যবহার ও সদাচার (ঈড়হফঁপঃ ধহফ ঈড়সঢ়ড়ৎঃসবহঃ ধং ধ ংড়পরধষ ড়িৎশবৎ)
ক. সমাজকর্মী হিসেবে ব্যক্তি পর্যায়ে উত্তম আচরণ ও সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।
খ. সমাজকর্মীকে পেশাগত দক্ষতা ও নৈপূণ্য অর্জন এবং পেশাগত অনুশীলনের সাথে কর্ম সম্পাদনে আন্তরিক প্রচেষ্টা
চালাতে হবে।
গ. সমাজকর্মীকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকে প্রথম ও প্রধান কর্তব্য হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
ঘ. সর্বোচ্চ আদর্শ হিসেবে পেশাগত সততা ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সমাজকর্মী দায়িত্ব পালন করবে।
ঙ. অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞমÐলীর নির্দেশনায় সমাজকর্মীরা শিক্ষা ও গবেষণায় নিয়োজিত থাকবে।
২. সাহায্যার্থীর প্রতি সমাজকর্মীর নৈতিক দায়িত্ব (ঞযব ংড়পরধষ ড়িৎশবৎ’ং বঃযরপধষ ৎবংঢ়ড়হংরনরষরঃরবং ঃড় পষরবহঃং)
ক. সমাজকর্মীর প্রাথমিক দায়িত্ব হলো সাহায্যার্থীর স্বার্থের প্রতি সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়া।
খ. সমাজকর্মীর প্রতিটি পদক্ষেপ সাহায্যার্থীর সর্বাধিক আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার সংরক্ষণের প্রতি লক্ষ্য রেখে গ্রহণ করা।
গ. সাহায্যার্থীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রতি সমাজকর্মীকে অবশ্যই যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে এবং পেশাগত সেবা
প্রদানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল তথ্যাদির গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে।
ঘ. সমাজকর্মীকে পারিশ্রমিক নির্ধারণের সময় অবশ্যই সততা ও যৌক্তিকতা প্রদর্শন করতে হবে তা যেন সাহায্যার্থীর
সামর্থ্যরে সাথে সংগতিপূর্ণ হয়।
৩. সহকর্মীদের প্রতি সমাজকর্মীর নৈতিক দায়িত্ব (ঞযব ংড়পরধষ ড়িৎশবৎ’ং বঃযরপধষ ৎবংঢ়ড়হংরনরষরঃু ঃড়
পড়ষষবধমঁবং)
ক. সমাজকর্মীরা তাদের সহকর্মীদের প্রতি সম্মান, স্বচ্ছতা, শিষ্টাচার ও বিশ্বস্ততা বজায় রেখে আচরণ প্রদর্শন করবে।
খ. পেশাগত দৃষ্টিকোন হতে সহকর্মীদের কাছে অজ্ঞাত সাহায্যার্থীদের প্রতিও সমাজকর্মীদের বিশেষ দায়িত্ব ও কর্তব্য থাকবে।
৪. নিয়োগকারী ও নিয়োগকৃত প্রতিষ্ঠানের প্রতি সমাজকর্মীদের নৈতিক দায়িত্ব (ঞযব ংড়পরধষ ড়িৎশবৎ’ং বঃযরপধষ
ৎবংঢ়ড়হংরনরষরঃু ঃড় বসঢ়ষড়ুবৎং ধহফ বসঢ়ষড়ুরহম ড়ৎমধহরুধঃরড়হং)
ক. সমাজকর্মী নিয়োগকৃত প্রতিষ্ঠানের প্রতি কৃতজ্ঞ ও অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবেন।
৫. সমাজকর্ম পেশার প্রতি সমাজকর্মীর নৈতিক দায়িত্ব (ঞযব ংড়পরধষ ড়িৎশবৎ’ং বঃযরপধষ ৎবংঢ়ড়হংরনরষরঃু ঃড় ঃযব
ংড়পরধষ ড়িৎশ ঢ়ৎড়ভবংরড়হ)
ক. সমাজকর্মীকে অবশ্যই পেশাগত মূল্যবোধ, নৈতিক দায়িত্ব, জ্ঞান, ও লক্ষ্যকে ধারণ করতে হবে।
খ. সমাজকর্মীকে সাধারণ মানুষের কল্যাণে পর্যাপ্ত সেবাদানে পেশাগত সংস্থাকে যথাযথ সহযোগিতা প্রদান করতে হবে।
গ. সমাজকর্মীকে পেশার অনুশীলনে পেশাগত স্বকীয়তা, পেশার উন্নয়ন ও জ্ঞানের পরিপূর্ণ প্রয়োগে যথাযথ দায়িত্ব পালন
করতে হবে।
৬. সমাজের প্রতি সমাজকর্মীর নৈতিক দায়িত্ব (ঞযব ংড়পরধষ ড়িৎশবৎ’ং বঃযরপধষ ৎবংঢ়ড়হংরনরষরঃু ঃড় ংড়পরবঃু)
ক. সমাজকর্মীকে সমাজের সাধারণ কল্যাণে সচেষ্ট থাকতে হবে।
সুতরাং বলা যায়, সমাজকর্মীর পেশাগত আচরণ, আশা-আকাঙ্খা, কার্যক্রম, প্রত্যাশা ও ভূমিকা সবকিছুই নৈতিক মানদÐের
উপর প্রতিষ্ঠিত। তাই এগুলোকে সমাজকর্মের প্রাণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র