পেশা হিসেবে সমাজকর্ম

বর্তমানে সমাজকর্ম একটি পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। কারো কারো মতে, এটি একটি মানব সেবামূলক পেশা (ধ
যঁসধহ ংবৎারপব ঢ়ৎড়ভবংংরড়হ)। তবে অনেকের ধারণা, দান-খয়রাত, সাহায্য-সহায়তার মতো যে কোনো মানব
কল্যাণমূলক ও সেবামূলক কাজই সমাজকর্ম। তাদের মতে, অর্থ, সামর্থ্য, সময় ও সদিচ্ছা থাকলে সে কেউই সমাজকর্ম
করতে পারে। যে কারণে সমাজকর্মকে স্বতন্ত্র কোনো পেশার মর্যাদা দিতে তাদের আপত্তি রয়েছে। মূলত জ্ঞানের
সীমাবদ্ধতার দরুন তারা এই ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করেন। নিঃসন্দেহে চিকিৎসা, আইন, শিক্ষকতা ইত্যাদি পেশার ন্যায়
সমাজকর্মও একটি পেশা। কেননা যে সকল মানদÐের নিরিখে একটি জীবিকা বা বৃত্তিকে পেশা বলা হয়ে থাকে, সেই
বিশ্লেষণে সমাজকর্ম একটি পেশা। সমাজবিজ্ঞানী গ্রীনউড (এৎববহড়িড়ফ) ১৯৫৭ সালে এবং বোয়েহম (ইড়যবস) ১৯৫৯
সালে পেশার বৈশিষ্ট্যের আলোকে সমাজকর্মকে পূর্ণাঙ্গ পেশা হিসেবে উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে গ্রীণউড বলেন, “প্রত্যেক
পেশার যে পেশাগত মানদÐের কথা বলা হয়, সমাজকর্মে তার সবগুলোর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।” সমাজকর্মের
পেশাদারিত্ব সম্পর্কে ড. অ. ঋৎরবফষধহফবৎ এবং জ. ত. অঢ়ঃব বলেন, æঝড়পরধষ ড়িৎশ ধং ধ ঢ়ৎড়ভবংংরড়হ ফড়বং
যড়ষফ ধ সধলড়ৎ সধহফধঃব ঃড় ড়িৎশ ঃড়ধিৎফ ংড়পরধষ নবঃঃবৎসবহঃ ঃযৎড়ঁময বংঃধনষরংযবফ সবঃযড়ফং ধহফ
রহংঃরঃঁংরড়হধষরুবফ ৎড়ষবং।” পেশার পাঁচটি মৌলিক উপাদান যেমনÑ উদ্দেশ্য (ঢ়ঁৎঢ়ড়ংব), মূল্যবোধ (াধষঁবং),
ক্ষমতাদান (ংধহপঃরড়হং), জ্ঞান (শহড়ষিবফমব) ও দক্ষতা (ংশরষষং) সমাজকর্মের মধ্যে বিদ্যমান। এছাড়া সমাজকর্মীরা
সমাজকর্মের জ্ঞান, দক্ষতা ও মূল্যবোধ প্রয়োগ করে সাহায্যার্থীর মধ্যে ইতিবাচক ও পরিকল্পিত পরিবর্তন আনয়নে কাজ
করে থাকে। নি¤েœ পেশার মানদÐ বা বৈশিষ্ট্যের আলোকে সমাজকর্ম কীভাবে একটি পূর্ণাঙ্গ পেশা তা তুলে ধরা হলো :
১. সুশৃংখল জ্ঞানভাÐার (ঝুংঃবসধঃরপ নড়ফু ড়ভ শহড়ষিবফমব) : প্রত্যেক পেশার মতো সমাজকর্মের সুশৃংখল, সুস্পষ্ট
ও প্রচারযোগ্য জ্ঞান (ংুংঃবসধঃরপ, পষধৎরভরবফ ধহফ ঃৎধহংসরংরনষব নড়ফু ড়ভ শহড়ষিবফমব) রয়েছে। সমাজকর্ম
অনুশীলনে সাহায্যার্থীর সমস্যা সমাধান করে আত্মনির্ভরশীল করার ক্ষেত্রে মৌলিক ও সহায়ক পদ্ধতি প্রয়োগ করে থাকে।
এছাড়া সমাজকর্মীরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে পেশাগত যোগ্যতার অধিকারী হয়।
২. তাত্তি¡ক ভিত্তি (ঞযবড়ৎরঃরপধষ নধংরং) : সমাজকর্মে বস্তুনিষ্ঠ ও বৈজ্ঞানিক তথ্যভিত্তিক তাত্তি¡ক ভিত্তি রয়েছে। সমাজকর্ম
পেশার অনুশীলনে ও জ্ঞানের সমৃদ্ধিতে এসব তত্ত¡ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সমাজকর্মে তাত্তি¡ক জ্ঞানার্জন করে
ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর সমাজকর্মী হতে হয়। সমাজকর্মের বহুল ব্যবহৃত তত্ত¡গুলোর মধ্যে ব্যবস্থা
তত্ত¡ (ংুংঃবস ঃযবড়ৎু) ও ভূমিকা তত্ত¡ (ৎড়ষব ঃযবড়ৎু) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। পেশা হিসেবে সমাজকর্মের ভিত্তিকে
সুদৃঢ় করেছে এসব তাত্তি¡ক ভিত্তি।
৩. বিশেষ নৈপূণ্য ও দক্ষতা (ঝঢ়বপরধষ ধৎঃ ্ ংশরষষং) : সকল পেশার পেশাজীবীদের বিশেষ নৈপূণ্য ও দক্ষতার
অধিকারী হতে হয়। এক্ষেত্রে বিশেষ জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ অপরিহার্য। সমাজকর্মেও দক্ষ ও নৈপূণ্যের অধিকারী সমাজকর্মী
হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তাত্তি¡ক জ্ঞানের পাশাপাশি ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। একজন দক্ষ সমাজকর্মীর
মধ্যে সহমর্মিতা (বসঢ়ধঃযু), আত্মবিযুক্ত ভালোবাসা (হড়হ-ঢ়ড়ংংবংংরাব ধিৎসঃয), আন্তরিকতাসহ (মবহঁরহবংং) কিছু
শৈল্পিক বিষয় থাকে যা পেশাগত নৈপূণ্য ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
৪. পেশাগত দায়িত্ব (চৎড়ভবংংরড়হধষ ৎবংঢ়ড়হংরনরষরঃু) : পেশাগত দায়িত্ব ও জবাবদিহিতা প্রতিটি পেশার অন্যতম
বৈশিষ্ট্য যা সমাজকর্মেও বিদ্যমান। বর্তমানে পেশাদার সমাজকর্ম কোনো দরদী বা দানশীল ব্যক্তির পূণ্য অর্জনের নিমিত্তে
কোনো কাজ নয়। সমাজকর্মী পারিশ্রমিক প্রাপ্ত একজন পেশাদারকর্মী, যাকে কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সর্বদা
সজাগ থাকতে হয়।
৫. পেশাগত মূল্যবোধ ও নৈতিক মানদÐ (চৎড়ভবংংরড়হধষ াধষঁবং ধহফ পড়ফব ড়ভ বঃযরপং) : সমাজকর্ম অনুশীলনে
সমাজকর্মীরা কতগুলো পেশাগত মূল্যবোধ ও নৈতিক বিধিমালা অনুসরণ করে যা তাদের পেশাগত আচার-আচরণ নিয়ন্ত্রণ
করে পেশার স্বকীয়তা ও স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখে। ব্যক্তির মূল্য ও মর্যাদার স্বীকৃতি, আত্ম-নিয়ন্ত্রণ অধিকার, সকলের সমান
সুযোগ, সম্পদের সদ্ব্যবহার প্রভৃতি সমাজকর্মের পেশাগত মূল্যবোধ। সমাজকর্মের পেশাগত সংগঠন কর্তৃক প্রণীত পেশাগত
নৈতিক বিধিমালা সমাজকর্মীরা অনুসরণ করেন। আমেরিকার জাতীয় সমাজকর্মী সমিতি (ঘঅঝড) ১৯৬০ সালে সর্বপ্রথম
সমাজকর্মের নৈতিক বিধিমালা প্রণয়ন করে।
৬. পেশাগত সংগঠন (চৎড়ভবংংরড়হধষ ঙৎমধহরুধঃরড়হ) : পেশার মানোন্নয়ন ও পেশাজীবীদের সার্থ সংরক্ষণে প্রতিটি
পেশার পেশাগত সংগঠন থাকে। সমাজকর্ম পেশার বিস্তৃতি বিকাশ, মর্যাদা রক্ষা তথা মনোন্নয়নের জন্য সকল দেশেই
পেশাগত সংগঠন রয়েছে। যেমনÑ আমেরিকায় ঘধঃরড়হধষ অংংড়পরধঃরড়হ ড়ভ ঝড়পরধষ ডড়ৎশবৎং (ঘঅঝড),
ঈড়ঁহপরষ ভড়ৎ ঝড়পরধষ ডড়ৎশ ঊফঁপধঃরড়হ (ঈঝডঊ) ও অসবৎরপধহ অংংড়পরধঃরড়হ ড়ভ ঝপযড়ড়ষ
ঝড়পরধষ ডড়ৎশ (অঅঝঝড), যুক্তরাজ্যে ইঅঝড, বাংলাদেশে ইধহমষধফবংয ঈড়ঁহপরষ ভড়ৎ ঝড়পরধষ
ডড়ৎশ ঊফঁপধঃরড়হ (ইঈঝডঊ), ফিলিপাইনে চঅঝডও, অস্ট্রেলিয়ায় অঁংঃৎধষরধহ অংংড়পরধঃরড়হ ড়ভ
ঝড়পরধষ ডড়ৎশবৎ (অঅঝড), অঁংঃৎধষরধহ অংংড়পরধঃরড়হ ভড়ৎ ঝড়পরধষ ডড়ৎশ ঊফঁপধঃরড়হ
(অঅঝডঊ) ও অঁংঃৎধষরধহ অংংড়পরধঃরড়হ ভড়ৎ ঝড়পরধষ ডড়ৎশ ধহফ ডবষভধৎব ঊফঁপধঃরড়হ
(অঅঝডডঊ), জাপানে ঔধঢ়ধহববংব অংংড়পরধঃরড়হ ড়ভ ঝপযড়ড়ষং ড়ভ ঝড়পরধষ ডড়ৎশ, চীনে ঈযরহধ
ঝড়পরধষ ডড়ৎশবৎং অংংড়পরধঃরড়হ (ঈঝডঅ) ও ঈযরহধ অংংড়পরধঃরড়হ ড়ভ ঝড়পরধষ ডড়ৎশ
ঊফঁপধঃরড়হ (ঈঅঝডঊ) ছাড়াও ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঋবফবৎধঃরড়হ ড়ভ ঝড়পরধষ ডড়ৎশবৎং (ওঋঝড),
ওহঃবৎহধঃরড়হধষ অংংড়পরধঃরড়হ ড়ভ ঝপযড়ড়ষং ড়ভ ঝড়পরধষ ডড়ৎশ (ওঅঝড), অচঅঝডঊ, ঘধঃরড়হধষ
অংংড়পরধঃরড়হ ড়ভ ঝপযড়ড়ষ ড়ভ ঝড়পরধষ অফসরহরংঃহধঃরড়হ (ঘঅঝঝঅ) ইত্যাদি। তবে এক্ষেত্রে উল্লেখ্য
যে, ১৯১৮ সালে আমেরিকায় হাসপাতাল সমাজকর্ম সমিতি গঠনের মধ্যে দিয়ে সমাজকর্মের প্রথম পেশাগত সংগঠনের
সূত্রপাত হয়।
৭. পেশাগত কর্তৃত্ব (চৎড়ভবংংরড়হধষ ধঁঃযড়ৎরঃু) : সমাজকর্ম পেশায় পেশাগত কর্তৃত্ব সুপ্রতিষ্ঠিত রয়েছে। সমাজকর্মী
সাহায্যার্থীর ব্যক্তি স্বাধীনতা ও আত্ম-নিয়ন্ত্রণের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সত্তে¡ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কর্তৃত্ব পরায়ণ যা সমস্যা সমাধান
প্রক্রিয়ায় আস্থা আনয়নে বিশেষ উপযোগী। সমাজকর্মী বিশেষ জ্ঞান ও দক্ষতার অধিকারী হওয়ায় পেশাগত কর্তৃত্ব বজায়ে
সক্ষম। স্কুল সমাজকর্ম, চিকিৎসা সমাজকর্মসহ অন্যান্য কোনো সমাজকর্মীরা পেশাগত কর্তৃত্ব ও স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে
ভূমিকা পালন করে।
৮. জনকল্যাণমুখীতা (গধংং বিষভধৎব) : সকল পেশারই অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে জনকল্যাণমুখীতা। সমাজকর্ম
জনকল্যাণের সার্বিক দিক নিয়ে কাজ করে থাকে। জনকল্যাণের জন্য সমাজকর্ম পেশা সর্বদা নিয়োজিত। কেননা
সমাজকর্মের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে সুসংগঠিত সেবার মাধ্যমে সর্বাধিক উন্নত ও সুখী সমাজ গঠন করা।
৯. উপার্জনশীলতা (ওহপড়সব ড়ৎরবহঃবফ) : পেশার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে উপার্জনশীলতা, যা সমাজকর্মের ক্ষেত্রে
বিদ্যমান। সমাজকর্ম কোনো ইচ্ছা নির্ভর বা স্বেচ্ছাভিত্তিক কর্মকাÐ নয়। সমাজকর্মীরা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ব্যক্তি, দল ও
সমষ্টির সমস্যা সমাধানে সেবা প্রদান করে থাকে। এজন্য সমাজকর্মীকে উচ্চ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা ও নৈপূণ্য
অর্জন করতে হয়। উন্নত বিশ্বে লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত সমাজকর্মীরা সমাজকর্মকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে জীবিকা
নির্বাহ করে থাকে।
১০. পেশাগত স্বীকৃতি (চৎড়ভবংংরড়হধষ ৎবপড়মহরঃরড়হ) : বিশ্বের উন্নত ও কতিপয় উন্নয়নশীল দেশে সমাজকর্ম পেশার
পেশাগত স্বীকৃতি রয়েছে। বর্তমানে আধুনিক উন্নত বিশ্বে সমাজকর্ম একটি গতিশীল ও পূর্ণাঙ্গ পেশার মর্যাদা অর্জন
করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৬১ সালে সমাজকর্মকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাজ্য,
অস্ট্রেলিয়া, সুইডেন, কানাডাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সমাজকর্ম পেশা হিসেবে স্বীকৃত।
সার্বিক বিশ্লেষণে প্রতীয়মান হয় যে, পেশার মানদÐের আলোকে সমাজকর্ম একটি পেশা। সমাজকর্মকে পেশা হিসেবে গ্রহণ
করার প্রাথমিক পর্যায় ছিল বিতর্কমূলক। উল্লেখ্য, সমাজবিজ্ঞানী অনৎধস ঋষবীহবৎ (১৯১৫), ঊৎহবঃ ঐড়ষষরং ও অষরপব
ঞুষড়ৎ (১৯৫১) প্রমুখ সমাজকর্মকে পূর্ণাঙ্গ পেশাগত মর্যাদা প্রদানে নেতিবাচক অভিমত রাখেন। কিন্তু পরিবর্তিত সামাজিক
অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে গবেষণা ও সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনার মাধ্যমে প্রায় সকল মনীষীর স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে সমাজকর্ম পেশা
হিসেবে পরিপূর্ণতা লাভ করে। সুতরাং বলা যায়, সমাজকর্ম একটি পেশা; কারণ পেশার সকল বৈশিষ্ট্য বা মানদÐ এটি
পূরণ করেছে।

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]