ধর্মগোলার ধারণা ব্যাখ্যা , ধর্মগোলার কার্যক্রম সম্পর্কে , সমাজকল্যাণে ধর্মগোলার গুরুত্ব , ,ধর্মগোলা কী?

ধর্মগোলা কী?
প্রাচীন ও ঐতিহ্যগত সমাজকল্যাণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ধর্মগোলা অন্যতম। বর্তমানে ধর্মগোলা নেই কিন্তু
ধর্মগোলার নীতির উপর ভিত্তি করে বর্তমান গ্রামদেশে এখনো এ ধরনের সেবা কার্যক্রম বিদ্যমান। ধর্মগোলা এমন একটি
বিশেষ শস্যভান্ডার যাতে মৌসুমের সময় স্থানীয়ভাবে উদ্বৃত্ত শস্য সংগ্রহ করে মজুদ রাখা হয় এবং পরবর্তীতে খাদ্যাভাব
দেখা দিলে দুর্গতদের মধ্যে তা বিতরণ করা হয়। ব্রিটিশ শাসনামলে ব্যাপক দুর্ভিক্ষের পটভূমিতে বিশিষ্ট মানবপ্রেমীদের
চিন্তাভাবনায় গড়ে ওঠে ধর্মগোলা। স্থানীয় ভিত্তিতে স্থানীয় সমস্যার মোকাবিলাÑ এ নীতির উপর ভিত্তি করে ধর্মগোলার
উদ্ভব। ভারত বিভক্তির পর থেকে ধর্মগোলার অস্তিত্ব ক্রমশ বিলুপ্ত হয়ে পড়ে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছরই বন্যা,
ঝড়, জলোচ্ছ¡াস এবং পোকামাকড়ের আক্রমণে ব্যাপক ফসলহানি ঘটে। যে কারণে কৃষক সমাজ চরম দুরবস্থার শিকার
হয়ে পড়ে এবং তারা চড়া সুদে গ্রাম্য মহাজনদের নিকট থেকে অর্থ বা শস্য ঋণ গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। এটা বন্ধ করতে
স্থানীয় উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ধর্মগোলা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।
৫.৪.২ ধর্মগোলার কার্যক্রম
ধর্মগোলার কার্যক্রমসমূহ হলো :
ক. ফসলের মৌসুমে কৃষকদের নিকট থেকে খাদ্যশস্য সংগ্রহ ও সমষ্টি শস্যভান্ডার গঠন করা।
খ. দুর্ভিক্ষ ও দুর্যোগকালে সংগৃহীত খাদ্যশস্য বিতরণ করা।
গ. অনাহার, মৃত্যু ও মহামারি প্রতিরোধ করা।
ঘ. গ্রামীণ মহাজন ও সুদখোরদের হাত থেকে কৃষককূলকে রক্ষা করা।
ঙ. নিজস্ব সম্পদের ভিত্তিতে আঞ্চলিক ও সমষ্টিগত বিপর্যয় মোকাবিলা করা।
৫.৪.৩ সমাজকল্যাণে ধর্মগোলার গুরুত্ব
ধর্মগোলা শুধু আপতকালীন খাদ্য সমস্যা মোকাবিলার ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। সমাজসেবা ও কল্যাণকর পদক্ষেপ
হিসেবে সমাজকল্যাণে এর গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে প্রচলিত খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ধর্মগোলার
ধারণা ও নীতি অনুসরণ করা যায়। এছাড়াওÑ
১. স্থানীয় প্রচেষ্টায় দুর্ভিক্ষ, মহামারি ও বিপর্যয়মূলক পরিস্থিতি মোকাবিলায় ধর্মগোলার গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
২. এটি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের বিনাসুদে ঋণদান ও মহাজন ও সুদখোরদের কবল থেকে কৃষকদের রক্ষা কবচ।
৩. দুঃস্থ ও অসহায়দের কল্যাণে নিবেদিত।
৪. সমষ্টিগত উদ্যোগে সমস্যা মোকাবিলা ও চাহিদা পূরণে ধর্মগোলার গুরুত্ব রয়েছে।
সুতরাং বলা যায় যে, সমাজকল্যাণে ধর্মগোলার গুরুত্ব বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সামাজিক ও অর্থনৈতিক
নিরাপত্তা ব্যবস্থার এক অনন্য দৃষ্টান্ত ধর্মগোলা।
সারসংক্ষেপ
দুর্ভিক্ষ ও আপতকালীন সময়ে অনহারে অকালমৃত্যু রোধ করার লক্ষ্যে ১৯৪২-৪৩ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে
ধর্মগোলা গড়ে তোলা হয় যাতে শস্য মৌসুমে উদ্বৃত্ত শস্য এই শস্যভান্ডারে মজুদ রাখা হতো এবং বিপদকালীন সময়ে
কৃষকদের মাঝে বিনাসুদে বিতরণ করা হতো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধজনিত খাদ্য সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য জেলা ও
মহকুমা কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণে ইউনিয়ন বোর্ডগুলো ধর্মগোলা গঠনের দায়িত্ব গ্রহণ করে জনগণের নির্বাচিত গ্রামীণ ফুড
কমিটি ধর্মগোলার সার্বিক দায়িত্ব পালন করতো। সার্কেল অফিসার এবং ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্টগণ ধর্মগোলা
তত্ত¡াবধানের দায়িত্ব পালন করতো। এভাবে এই শস্যভান্ডার আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত থাকতো।
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন :
১। কোন নীতির উপর ভিত্তি করে ধর্মগোলার উ™ূ¢ত?
ক) সুদহীন ঋণদানের মাধ্যমে কৃষকের মুক্তি খ) দুর্গত মানুষকে অকাল মৃত্যুর হাত হতে রক্ষা
গ) স্থানীয় ভিত্তিতে স্থানীয় সমস্যার মোকাবিলা ঘ) জাতীয় ভিত্তিতে স্থানীয় সমস্যার মোকাবিলা
২। কোন সময়ে ধর্মগোলা গড়ে তোলা হয়?
ক) প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালীন খ) ১৯৪০Ñ৪১
গ) ১৯১৩Ñ১৪ ঘ) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]