দেবোত্তর কী? ,দেবোত্তরের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে পারবেন।

দেবোত্তর কী?
হিন্দু সমাজে প্রচলিত স্থায়ীভাবে সম্পত্তি উৎর্সগের নাম দেবোত্তর প্রথা। এটি অন্যতম সমাজকল্যাণ প্রতিষ্ঠান
এবং মানবকল্যাণে গুরুত্ব অপরিসীম। দেবোত্তর শব্দের আভিধানিক অর্থ দেবতা বা ঈশ্বরের সম্পত্তি। হিন্দুধর্মের কোনো
অনুসারী সম্পত্তি উৎসর্গ করলে সে সম্পত্তিকে দেবোত্তর সম্পত্তি বলে এবং যে ব্যক্তি সম্পত্তি উৎসর্গ করে তাকে
দেবোত্তরস্বায়ী বলা হয়। আর হিন্দু ধর্মানুসারী পাপমোচন, ক্ষমালাভ, পূণ্যার্জন ও সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে
দেবতার অনুকূলে স্থায়ীভাবে সম্পত্তি (আংশিক বা সম্পূর্ণ) উৎসর্গ করার প্রথাকে দেবোত্তর বলে। এ প্রথার লক্ষ্য হচ্ছে
দেবতার সন্তুষ্টির সাথে সাথে হিন্দু সমজের কল্যাণ এবং ধর্মীয় ও সমাজসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা। নিম্নোক্ত
প্রতিষ্ঠানের জন্য ধর্মীয় উদ্দেশ্যে দেবোত্তর সম্পত্তি দান করা যেতে পারে :
ক. কোন দেবমূর্তি প্রতিষ্ঠা ও পূজার্চনার জন্য
খ. দরিদ্র ও ব্রাহ্মণ ভোজের জন্য
গ. বিশ্ববিদ্যালয়ের নিমিত্তে বৃত্তি প্রদানের জন্য
ঘ. হাসপাতাল স্থাপনের জন্য
হিন্দু ধর্মানুযায়ী দেবোত্তর দু’ধরনের। যথা :
১. আংশিক দেবোত্তর : যখন কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে সাময়িকভাবে সম্পত্তি উৎসর্গ করা হয় তখন তাকে আংশিক
দেবোত্তর বলে। এধরনের দেবোত্তর ব্যক্তির পরিবার পরিজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।
২. সার্বিক দেবোত্তর : ধর্মীয় ও জনকল্যাণমূলক কাজে স্থায়ীভাবে সম্পত্তি উৎসর্গের প্রথাই সার্বিক দেবোত্তর। এক্ষেত্রে
সরকার কর্তৃক তত্ত¡াবধায়ক নিযুক্ত করা হয়।
৫.৬.২ দেবোত্তরের গুরুত্ব
সমাজকল্যাণ ও আর্তমানবতার সেবা ও হিন্দুধর্মের প্রসারে দেবোত্তরের বহু গুরুত্ব রয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশসহ
ভারত উপমহাদেশে বহু মন্দির, আশ্রম, পূজামÐপ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মিত হয়েছে এবং হিন্দুধর্মের অনুষ্ঠানাদি, পূজা-পার্বন
ইত্যাদি সম্পন্ন হচ্ছে। দেবতাকে সন্তুষ্ট করার মধ্য দিয়ে পাপমোচন ও মৃত্যুর পর স্বর্গবাসী হওয়ার উপায় হিসেবে মূলত
দেবোত্তর প্রথার উদ্ভব। তীর্থ স্থানসমূহে তীর্থযাত্রীদের থাকা, খাওয়াসহ অন্যান্য প্রয়োজন পূরণে দেবোত্তর সম্পত্তির অবদান
ও ভূমিকা অপরিসীম। এছাড়াও তৎকালীন হিন্দু জমিদার, ধনাঢ্য ও মানবহিতৈষী ব্যক্তিবর্গ আর্তমানবতার সেবায় দেবোত্তর
সম্পত্তি দান করেছেন, যা সমাজসেবারই অংশ হিসেবে গণ্য হয়। তাই ঐতিহ্যগত প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেবোত্তর প্রথার
তাৎপর্যও গুরুত্ব অনেক।
সারসংক্ষেপ
দেবতা শব্দ থেকেই মূলত দেবোত্তর শব্দটি এসেছে। মূলত স্বর্গলাভ ও পাপমোচনের জন্যই এই প্রথাটি যুগ যুগ ধরে
চলে আসছে। দেবতার সন্তুষ্টি লাভের পাশাপাশি সমাজের কল্যাণ সাধন এবং ধর্মীয় ও সমাজসেবামূলক কার্যক্রম
পরিচালনা দেবোত্তর প্রথার লক্ষ্য।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৫.৬
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন :
১। দেবোত্তর সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণকারীকে কী বলে?
ক) রক্ষণাবেক্ষণকারী খ) সেবায়েত
গ) মোতওয়াল্লি ঘ) তত্ত¡াবধানকারী
২। দেবোত্তরের ধরন কয়টি?
ক) ৩টি খ) ২টি
গ) ৪টি ঘ) ৫টি

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]