ব্যক্তি সমাজকর্মের নীতিমালা
ব্যক্তি সমাজকর্ম হলো সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তির সমস্যা সমাধানের এক গতিশীল সেবাদান প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে
সমাজকর্মী সেবাদানের কতিপয় নির্দেশনামূলক নীতিমালা অনুসরণ করে ব্যক্তি সমাজকর্ম অনুশীলন করে থাকেন। নিচে
ব্যক্তি সমাজকর্মের নীতিসমূহ আলোচনা করা হলো :
১. গ্রহণ নীতি : ব্যক্তি সমাজকর্মে গ্রহণ নীতি বলতে বোঝায় সাহায্যার্থীকে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে তাকে সম্মান প্রদর্শন,
ব্যক্তি মর্যাদার প্রতি গুরুত্ব প্রদান, সমস্যার যথাযথ মূল্যায়ন এবং তার প্রতি সেবাদানের সদিচ্ছা নির্দেশ করে সমাজকর্মী
কর্তৃক তাকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করা। প্রকৃতপক্ষে ব্যক্তি সমাজকর্মের সফলতা অনেকাংশেই গ্রহণনীতির উপর নির্ভরশীল।
দল ও সমষ্টিকেন্দ্রিক সমস্যা সমাধানে সমাজকর্মের মৌলিক পদ্ধতির মধ্যে দল সমাজকর্ম এবং সমষ্টি সংগঠন ও সমষ্টি
উন্নয়নের গুরুত্ব অপরিসীম। মূলত ইংল্যান্ড ও আমেরিকায় শিল্পবিপ্লবের ফলশ্রæতিতে দল সমাজকর্মের উদ্ভব ঘটে।
শিল্পবিপ্লবের ফলে গ্রামীণ জনগণ অধিক হারে শহরে স্থানান্তরিত হয়। ফলে ব্যাপক সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এসব
সমস্যার সমাধানে সেটেলমেন্ট হাউজ, নেইবারহুড সেন্টার, বয়েজ এ্যান্ড গার্লস স্কাউট, ফোর এইড ক্লাব, ইয়ংমেন এ্যান্ড
ইয়ং উইমেন ক্রিশ্চিয়ান সোসাইটি এগিয়ে আসে। এসব প্রতিষ্ঠানই মূলত দলকেন্দ্রিক সমাজকর্মের ভিত রচনা করে।
১৯২৩ সালে সর্বপ্রথম যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটির স্কুল অব এ্যাপলাইড সোশ্যাল সাইন্সেস কর্তৃক দল
সমাজকর্মের উপর দলভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্স প্রবর্তন করা হয়। ১৯৪০ এর দশকে দল সমাজকর্ম পেশাদার সমাজকর্মের
একটি পদ্ধতি হিসেবে ব্যাপক স্বীকৃতি লাভ করে।
অন্যদিকে, সমষ্টি সংগঠন আধুনিক সমাজকর্মের সর্বশেষ সংযোজিত একটি মৌলিক পদ্ধতি। যুক্তরাষ্টের দান সংগঠন
সমিতির আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সমষ্টি সংগঠন পদ্ধতির বিকাশ ঘটে। ১৯০৯ সালে আমেরিকার কমিউনিটি ওয়েলফেয়ার
কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে সমষ্টি সংগঠন প্রতিষ্ঠানিক মর্যাদা অর্জন করে এবং ১৯৬২ সালে সমাজকর্ম শিক্ষা পরিষদ
প্রকাশিত সমাজকর্ম শিক্ষা কারিকুলামে সমষ্টি সংগঠনকে সমাজকর্মের মৌলিক পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। আবার
বিভিন্ন দেশের পল্লীর জনগণের জীবনযাত্রার সার্বিক মান উন্নয়নে সমষ্টি উন্নয়ন পদ্ধতির উদ্ভব হয়। ১৯৫৭ সালে
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশের পল্লী ও অপেক্ষাকৃত অনুন্নত শহুরে
এলাকার মানুষের সামগ্রিক জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সমষ্টি উন্নয়ন কর্মসূচি ব্যাপকভাবে গুরুত্ব পায়।
দলের ধারণা, বৈশিষ্ট্য ও শ্রেণিবিভাগ সামাজিক দল
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজবদ্ধতা ছাড়া মানুষের একার পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। সমাজে বাস করতে গিয়ে
পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে কিছু মানুষ খুব কাছাকাছি হয়। নিজেদের মধ্যে তৈরি হয় পারস্পরিক বোঝাপড়া,
সহানুভূতি, সহমর্মিতা ইত্যাদি। আর এভাবেই মানুষ একটি দলের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ে। সাধারণভাবে একের অধিক লোক
যখন কোনো সাধারণ উদ্দেশ্যে সংঘবদ্ধভাবে কাজ করে তখন তাকে দল বলে। অন্যদিকে সামাজিক দল হলো কতগুলো
মানুষের সমষ্টি, যারা সুনির্দিষ্ট সামাজিক লক্ষ্য অর্জনে একত্রিত হয়ে পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া করে থাকে।
শেরিফ এ্যান্ড শেরিফের মতে, একটি দল হলো কতগুলো ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত একটি সামাজিক একক। এখানে ব্যক্তিগণ
পারস্পরিক মর্যাদা ও ভূমিকার অংশীদার হয়। এক্ষেত্রে সদস্যদের আচরণের নির্দেশনা হিসেবে দলের কতগুলো নিজস্ব
আদর্শ বা মূল্যবোধ থাকে।
রামনাথ শর্মার মতে, সামাজিক দল হলো ব্যক্তির মধ্যে সংগঠিত চুক্তি, যার সদস্যদের মধ্যে সাধারণ লক্ষ্য, স্বার্থ, উদ্দীপনা
এবং পারস্পরিক আবেগ, সম্পর্ক এবং আন্তঃক্রিয়া বজায় থাকে।
সূতরাং বলা যায় যে, সামাজিক দল হলো একাধিক লোকের সমষ্টি যারা সুনির্দিষ্ট কিছু সামাজিক উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য
পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় লিপ্ত হয়। এক্ষেত্রে তারা সুনির্দিষ্ট কিছু নীতিমালা অনুসরণ করে থাকে।
৮.১.২ সামাজিক দলের বৈশিষ্ট্য
ঐধহং জধল তাঁর ওহঃৎড়ফঁপঃরড়হ ঃড় ঝড়পরড়ষড়মু গ্রন্থে সামাজিক দলের কতগুলো বৈশিষ্ট্যের কথা বলেছেন। যেমন :
১. দলের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বিদ্যামান থাকে;
২. দলের সদস্যদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি থাকে এবং নিজেরা একাত্ববোধ অনুভব করে;
৩. দলের সদস্যরা পারস্পরিক স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করে;
৪. সদস্যরা দলের সাধারণ উদ্দেশ্য বা স্বার্থ অর্জনে সম্মিলিতভাবে কাজ করে;
৫. দলের সদস্যরা সাধারণ উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য একই ধরনের পথ অনুসরণ করে; এবং
৬. দলের সদস্যরা দলীয় আদর্শ মেনে চলে।
সার্বিকভাবে সামাজিক দলের বৈশিষ্ট্যসমূহ নি¤œরূপ :
১. এটি একটি সামাজিক একক, যা দুই বা ততোধিক লোকের সমষ্টি;
২. এক বা একাধিক সাধারণ উদ্দেশ্য অর্জনে এর সদস্যগণ একত্রিত হয়;
৩. সদস্যদের মধ্যে মনো-সামাজিক ঐক্য বিদ্যমান থাকে;
৪. দলের মধ্যে পরিবর্তন ও গতিশীলতা বিদ্যামান;
৫. সামাজিক দল অপেক্ষাকৃত স্থায়ী;
৬. দলের মধ্যে বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে যোগাযোগ বিদ্যমান থাকে;
৭. সাধারণ নেতৃত্বের ভিত্তিতে দল পরিচালিত হয়;
৮. সাধারণ আদর্শ ও মূল্যবোধ বিদ্যমান, যা দলের সকল সদস্য মেনে চলে;
৯. দলের প্রতি সদস্যদের সাধারণ আনুগত্য বিদ্যমান থাকে। এর ভিত্তিতে সদস্যরা তাদের যৌথ স্বার্থকে রক্ষা করে; এবং
১০. দলের সদস্যরা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত ভূমিকা ও মর্যাদার অংশীদার হয়।
৮.১.৩ সামাজিক দলের শ্রেণিবিভাগ
সামাজিক দলসমূহকে এদের গঠন, আকৃতি, সদস্যদের পারস্পরিক সম্পর্ক, বৈশিষ্ট্য, উদ্দেশ্য, কার্যক্রম প্রভৃতির আলোকে
নি¤েœাক্তভাবে ভাগ করা যায়। যথা :
১. প্রাথমিক দল : প্রাথমিক দল হলো সবচেয়ে সহজ ও সর্বজনীন সামাজিক দল। প্রাথমিক দল বলতে সেই দলকে
বোঝানো হয় যার সদস্যদের মধ্যে প্রত্যক্ষ পরিচিতি, অন্তরঙ্গতা ও যোগাযোগ বিদ্যমান থাকে। এ দলের পরিধি বা সদস্য
সংখ্যা সীমিত সংখ্যক থাকে। সদস্যদের আচরণে আনুষ্ঠানিকতা কম এবং স্থায়িত্ব অপেক্ষাকৃত বেশি। এ ধরনের দলকে
ভধপব ঃড় ভধপব মৎড়ঁঢ় বলা হয়। এদের মধ্যে আমরা ভাব (বি ভববষরহম) প্রকট থাকে। পরিবার, খেলার দল, প্রতিবেশি
এ দলের উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
২. গৌণ দল : বৃহত্তর সমাজে বসবাস এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে জীবন ধারনের মৌলিক প্রয়োজন পূরণে
গৌণ দলের ভূমিকাই প্রধান। গৌণ দলের সদস্যদের সম্পর্ক অনেকটা রীতি মাফিক। এদের মধ্যে অন্তরঙ্গতা কম থাকে।
কতগুলো নীতি, আদর্শ ও মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে এ দল গড়ে ওঠে। এ ধরনের দলের সদস্য সংখ্যা ও পরিধি
তুলনামূলকভাবে ব্যাপক। দলের মধ্যে দ্ব›দ্ব অপেক্ষাকৃত বেশি এবং স্থায়িত্ব কম। ট্রেড ইউনিয়ন, বাণিজ্যিক সংঘ, ক্লাব এ
দলের উদাহরণ।
৩. অন্তঃদল : ব্যক্তি যে দলের সদস্যভুক্ত এবং যে দলের সদস্যদের সাথে তার অন্তরঙ্গতা, পারস্পরিক সম্প্রীতি ও
সহানুভূতি, আবেগ, আনুগত্য বজায় থাকে সেটি ব্যক্তির নিকট অন্তঃদল। এ দলের সাথে ব্যক্তির দৈহিক ও মনস্তাত্তি¡ক
সম্পর্ক ঘনিষ্ট থাকে। অন্তঃদলের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ, সমবায়িক দৃষ্টিভঙ্গি এবং দলের
জন্য উৎসর্গকৃত মনোভাব বিদ্যমান থাকে। এ দলকে বি মৎড়ঁঢ় বলা হয়। প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে তার নিজস্ব পরিবার,
ক্লাব, সমিতি হলো তার অন্তঃদল।
৪. বহিঃদল : ব্যক্তি যে দলের সদস্য নয় এবং যে দল সস্পর্কে সে উদাসীনতা ও বিরুদ্ধ মনোভাব পোষণ করে তাই হলো
ব্যক্তির বহিঃদল। এটাকে ঞযবু মৎড়ঁঢ় ও বলা হয়। খেলাধুলার ক্ষেত্রে প্রতিদ্ব›দ্বী দলগুলো এ দলের উদাহরণ।
৫. আনুষ্ঠানিক দল : আনুষ্ঠানিক চুক্তি বা আঙ্গীকারের ভিত্তিতে যে দল গড়ে ওঠে তাই আনুষ্ঠানিক দল। এ দলের
সদস্যদের নির্দিষ্ট আদর্শ, মূল্যবোধ ও নীতিমালা অনুসরণ করে চলতে হয়। এ দলের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক
প্রতিষ্ঠিত হয় নিয়ম মাফিক। এখানে নিয়ম-কানুনের আধিক্য বেশি থাকে। রাজনৈতিক দল, শ্রেণিকক্ষ প্রভৃতি এ দলের
উদাহরণ।
৬. অনানুষ্ঠানিক দল : কিছু লোক যখন এক বা একাধিক সাধারণ মূল্যবোধের ভিত্তিতে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি ও উন্নতির
জন্য সংগঠিত হয় তখন তাকে অনানুষ্ঠানিক দল বলা হয়। এ দলের সদস্যভুক্তি ও কার্যাবলী রীতিমাফিক পরিচালিত হয়
না। সাধারণত এ দল নিজেদের মধ্যে দ্ব›দ্ব দেখা না দেয়া পর্যন্ত স্থায়ী থাকে।
এছাড়াও স্থায়ী, অস্থায়ী, ব্যক্তিগত, নৈর্ব্যক্তিক, উন্নত, অনুন্নত, উলম্ব, আনুভূমিক, সরকারি, বেসরকারি, সামাজিক,
সমাজবিরোধী, স্বেচ্ছামূলক, অস্বেচ্ছামূলক, স্বাতন্ত্রসূচকসহ নানা ধরনের দল রয়েছে।
সারসংক্ষেপ
মানুষ সামাজিক জীব। দলবদ্ধ ছাড়া মানুষের পক্ষে একা বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। বর্তমান জটিল সমাজব্যবস্থায় দল ছাড়া
সামাজিক জীবন কল্পনা করা যায়না। মানবজীবনের অস্তিত্বের প্রয়োজন ও অনিবার্য কারণে দল একান্ত প্রয়োজন। দল
হলো একাধিক লোকের সম্মিলিতরূপ। একাধিক লোক যখন সুনির্দিষ্ট কিছু সামাজিক উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য একত্রিত হয়ে
পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় লিপ্ত হয় তাকে সামাজিক দল বলে। দলের সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য এবং নীতিমালা থাকে যা
দলের সকল সদস্যকে মেনে চলতে হয়। দল বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম হলোÑ ক) প্রাথমিক দল,
খ) গৌণ বা মাধ্যমিক দল, গ) অন্তঃদল, ঘ) বহিঃদল, ঙ) আনুষ্ঠানিক দল, চ) অনানুষ্ঠানিক দল প্রভৃতি।
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন :
১। মানুষ কেন দলবদ্ধভাবে বসবাস করে?
ক) মানুষ সামাজিক জীব খ) মানুষ প্রকৃতিনির্ভর
গ) মানুষ ভীতু ঘ) মানুষ মরণশীল
২। কোন ধরনের দলকে বি মৎড়ঁঢ় বলা হয়?
ক) প্রাথমিক দল খ) গৌন দল
গ) অন্তঃদল ঘ) বহিঃদল
৩। একাধিক লোকের সমাবেশই দল। এক্ষেত্রে প্রযোজ্য-
র. নির্দিষ্ট সাংগঠনিক কাঠামো
রর. সাধারণ উদ্দেশ্য
ররর. পারস্পরিক সম্পর্ক
নিচের কোনটি সঠিক
ক) র ও রর খ) র ও ররর
গ) রর ও ররর ঘ) র. রর ও ররর
৪। প্রাথমিক দলকে ভধপব ঃড় ভধপব দল বলার কারণÑ
র. প্রত্যক্ষ সম্পর্ক বিদ্যমান
রর. পরোক্ষ সম্পর্ক বিদ্যমান
ররর. নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান
নিচের কোনটি সঠিক
ক) র ও রর খ) র ও ররর
গ) রর ও ররর ঘ) র. রর ও ররর
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র