সমাজর্মের মৌলিক ও সহায়ক পদ্ধতিগুলোর মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক বর্ণনা কর

সমাজকর্মের মৌলিক ও সহায়ক পদ্ধতির সম্পর্ক
সমাজকর্ম বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ও দক্ষতানির্ভর সাহায্যকারী পেশা যা সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তি, দল ও সমষ্টিকে তাদের
সমস্যা মোকাবিলায় সক্ষম করে তোলে। এ প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষভাবে সমাজকর্মের তিনটি পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। এগুলোকে
সমাজকর্মের মৌলিক পদ্ধতি বলা হয় । পদ্ধতি তিনটি হলোÑ ১) ব্যক্তি সমাজকর্ম, ২) দল সমাজকর্ম এবং ৩) সমষ্টি
সংগঠন ও সমষ্টি উন্নয়ন। এই তিনটি মৌলিক পদ্ধতিকে সহায়তা করার জন্য রয়েছে আরো তিনটি সহায়ক পদ্ধতি। যথাÑ
১) সমাজকল্যাণ প্রশাসন, ২) সামাজিক কার্যক্রম ও ৩) সমাজকর্ম গবেষণা। সমাজকর্মের এই মৌলিক ও সহায়ক
পদ্ধতিগুলো পরস্পর সম্পর্কযুক্ত ও নির্ভরশীল। একটি ছাড়া এদের অন্যটি সম্পূর্ণরূপে প্রয়োগ করা যায় না। নিচে বিভিন্ন
আঙ্গিকে সমাজকর্মের মৌলিক ও সহায়ক পদ্ধতিসমূহের পারস্পরিক সম্পর্ক আলোচনা করা হলো :
১. ব্যক্তিকেন্দ্রিক সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে : ব্যক্তিকেন্দ্রিক সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে ব্যক্তি সমাজকর্ম ব্যক্তির আর্থ-
সামাজিক, মনো-দৈহিক ও অর্থনৈতিক সমস্যার কারণ, প্রকৃতি ও প্রভাব নির্ণয়ের মাধ্যমে একটি বাস্তবমুখী ও কার্যকর
সমাধান পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। এক্ষেত্রে ব্যক্তি সমাজকর্ম পদ্ধতিকে সমাজকর্ম গবেষণা সহায়তা করে। সমাজকর্ম
গবেষণা অনুসন্ধানের মাধ্যমে সমস্যা নির্ণয় ও সমাধানের কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণে সহায়তা করে। ব্যক্তির সমস্যা নির্ণয়ের
পর সমাধান ব্যবস্থার সকল ক্ষেত্রে সমাজকল্যাণ প্রশাসন অত্যন্ত জরুরি। ব্যক্তি সমাজকর্ম পরিচালিত হয় কোনো না
কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। আর প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় সুনির্দিষ্ট প্রশাসনিক কাঠামোর আওতায়। অর্থাৎ
ব্যক্তির সমস্যা সমাধানের জন্য পরিকল্পনা প্রনয়ন, কর্মসূচি গ্রহণ, বাস্তবায়ন, সমন্বয় সাধন, মূল্যায়ন, প্রয়োজনে রেফারেল
বা অন্য প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ সকল ক্ষেত্রে সমাজকল্যাণ প্রশাসনের সহায়তা অত্যাবশ্যক।
অনেক সময় ব্যক্তির মধ্যে অজ্ঞতা, কুসংস্কার, কুপ্রথা, গোঁড়ামীসহ নানা ধরনের সমস্যা বিদ্যমান থাকে। ফলে ব্যক্তির
মনো-সামাজিক সমস্যা দূর করা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে ব্যক্তিকে নানা সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে সংশোধনের
উদ্যোগ নেয়া হয়। এক্ষেত্রে সামাজিক কার্যক্রমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সূতরাং দেখা যায় যে, ব্যক্তিকেন্দ্রিক সমস্যা
সমাধানে ব্যক্তি সমাজকর্ম প্রয়োগে সাহায্যার্থীকে গ্রহণ থেকে শুরু করে সমাধান ব্যবস্থা ও মূল্যায়ন পর্যন্ত সকল স্তরে
সমাজকর্মের সহায়ক পদ্ধতিগুলো কার্যকর ভূমিকা পালন করে। অর্থাৎ ব্যক্তি সমাজকর্মের সাথে সহায়ক পদ্ধতিগুলোর
সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়।
২. দলকেন্দ্রিক সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে : দল সমাজকর্ম এমন একটি পদ্ধতি যা দলীয় সদস্যদেরকে এমনভাবে সহায়তা
করে যাতে তারা সুনির্দিষ্ট ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও দলীয় অভিজ্ঞতার আলোকে প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ ও সমস্যা সমাধানের
মাধ্যমে দলীয় লক্ষ্য অর্জনে সচেষ্ট হয়। এক্ষেত্রে সমাজকল্যাণ প্রশাসন দলীয় সদস্যদের আন্তক্রিয়া যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ
করে থাকে যাতে দলের লক্ষ্যার্জন ত্বরান্বিত হয়। দল সমাজকর্মে দল ও দলীয় সদস্যদের সম্পর্কে যথাযথ তথ্য সংগ্রহ,
দলের চাহিদা বা সমস্যা চিহ্নিতকরণ, সমাধান ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন অতীব জরুরি যা
সমাজকর্ম গবেষণা ব্যতীত সম্ভব নয়। দলের সদস্যদের ভূমিকা ও আন্তক্রিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেক সময় দল সমাজকর্মী
বিভিন্ন সচেতনতামূলক উদ্যোগ গ্রহণ করে। অনেক সময় দলের মধ্যে দ্ব›দ্ব, সংঘাত, মনোমালিন্য, বিক্ষোভ ইত্যাদি দেখা
দিতে পারে। এক্ষেত্রে দল সমাজকর্মীকে সামাজিক কার্যক্রমের জ্ঞান সর্বাত্মকভাবে সহায়তা করে। সুতরাং দেখা যায়,
সমাজকর্মের সহায়ক পদ্ধতিগুলোর সহায়তা ছাড়া দল সমাজকর্ম পদ্ধতির লক্ষ্যার্জন সম্ভব নয়।
৩. সমষ্টিকেন্দ্রিক সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে : সমষ্টি সংগঠন ও সমষ্টি উন্নয়নের লক্ষ্য হলো জনসমষ্টির চাহিদা পূরণ ও
সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে উন্নয়নমুখী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা, যাতে তারা উন্নততর জীবনযাত্রার পথে অগ্রসর হতে
পারে। সমাজকর্মেও অন্যান্য মৌলিক পদ্ধতির ন্যায় সহায়ক পদ্ধতির গুরুত্ব অপরিসীম। সমষ্টির উন্নয়ন ও সমস্যা
মোকাবিলায় সমষ্টির বিদ্যমান সমস্যাবলীর মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমস্যা নির্ণয়, সমস্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সম্পদ
চিহ্নিতকরণ, বাস্তবমুখী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমাজকর্ম গবেষণা যথাযথ অনুসন্ধানের মাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য
প্রদান করে থাকে। অন্যদিকে সমষ্টির উন্নয়নে গৃহীত কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়ন, নিয়ন্ত্রণ, প্রয়োজনে বহিঃসম্পদ সরবরাহ,
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলীর মধ্যে সমন্বয় সাধন নানাবিধ কর্মসম্পাদনে সমাজকল্যাণ প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে থাকে। সমষ্টির বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে জনসচেতনতা গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য ব্যাপকভিত্তিক সামাজিক আন্দোলন গড়ে
তোলা হয় যা সমষ্টির ব্যাপকভিত্তিক পরিবর্তনে সহায়ক। এক্ষেত্রে সামাজিক কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
নিচের চিত্রের সাহায্যে সমাজকর্মের মৌলিক ও সহায়ক পদ্ধতির মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক দেখানো হলো :
সমাজকর্ম পদ্ধতি
চিত্র : ৯.১২.১.১ সমাজকর্ম পদ্ধতিসমূহের মধ্যকার আন্তসম্পর্ক
সমাজকর্মের পদ্ধতিসমূহের মধ্যকার আন্তসম্পর্ক একটি উদাহরণের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হলো :
ভৌগোলিক অবস্থান ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ দেশ। প্রত্যেক বছর কোনো না কোনো
দুর্যোগে এদেশের মানুষের জীবন ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। দুর্যোগজনিত সৃষ্ট সমস্যা মোকাবিলায় সমাজকর্মের
পদ্ধতিগুলোর সমন্বিত প্রয়োগ দেখানো হলো :
মৌলিক পদ্ধতি সহায়ক পদ্ধতি
ব্যক্তি সমাজকর্ম
দল সমাজকর্ম
সমষ্টি সংগঠন ও সমষ্টি উন্নয়ন
সমাজকল্যাণ প্রশাসন
সমাজকর্ম গবেষণা
সামাজিক কার্যক্রম
স্বভাবতই দুর্যোগের কারণে ব্যক্তি তার স্বাভাবিক সক্ষমতাগুলো হারিয়ে ফেলে। ফলে ব্যক্তি তার নিজের সমস্যার সমাধান
নিজে করতে অক্ষম হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে পেশাগত সমাজকর্মের ব্যক্তি সমাজকর্ম পদ্ধতি প্রয়োগ করে ব্যক্তিকে তার সমস্যা
মোকাবিলায় সক্ষম করে তোলা হয়।
দুর্যোগের কারণে যখন কোনো এলাকার জনগোষ্ঠী সামগ্রিকভাবে সক্ষমতা হারিয়ে ফেলে তখন দল সমাজকর্মের কৌশল
প্রয়োগ করে দলীয় অভিজ্ঞতার আলোকে ক্ষুদ্র ঋণ, সমবায় সমিতি গঠনসহ নানা উপায়ে সম্পদ সঞ্চালনের মাধ্যমে
দলীয়ভাবে সক্ষম করে তোলা হয়।
দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন যেমনÑ রাস্তাঘাট, বেড়িবাঁধ, পুল-কালভার্ট নির্মাণ ও
মেরামত, পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপন এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণসহ সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সমাজকর্মের
সমষ্টি উন্নয়ন কৌশল প্রয়োগ করা যেতে পারে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ, দুর্যোগকালীন সময়ে জরুরি ত্রাণ ও পুনর্বাসন এবং দুর্যোগ পরবর্তী ও সার্বিক উন্নয়নে
সমাজকল্যাণ প্রশাসনের ভূমিকা অত্যাবশ্যক।
দুর্যোগের প্রভাব, ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয়, ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ, গৃহীত কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়ন
এবং মূল্যায়নের জন্য সমাজকর্ম গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
অন্যদিকে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ, দুর্যোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ
পরবর্তী সময়ে করণীয় সম্পর্কে জনসাধাণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে সামাজিক কার্যক্রম পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।
উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, সমাজের মানুষের সার্বিক কল্যাণ ও উন্নয়নে ব্যবহৃত সমাজকর্মের পদ্ধতিসমূহ
পরস্পর পরিপূরক। একদিকে যেমন সহায়ক পদ্ধতিসমূহের সহায়তা ব্যতীত মৌলিক পদ্ধতিসমূহের যথাযথ প্রয়োগ সম্ভব
নয়, তেমনি মৌলিক পদ্ধতিসমূহ সহায়ক পদ্ধতিগুলোকে অর্থবহ করে তুলেছে। তাই বলা যায়, সমাজকর্মের মৌলিক ও
সহায়ক পদ্ধতিসমূহ পরস্পর নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত।
সারসংক্ষেপ
সমাজকর্ম একটি সাহায্যকারী ও সক্ষমকারী প্রক্রিয়া যা সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তি, দল ও সমষ্টির সমস্যার সমাধানের জন্য
এমনভাবে সহায়তা করে যাতে তারা নিজেদের সমস্যা সমাধানে নিজেরাই সক্ষম হয়। এক্ষেত্রে সমাজকর্ম তিনটি
মৌলিক পদ্ধতি যথাÑ ব্যক্তি সমাজকর্ম, দল সমাজকর্ম এবং সমষ্টি সংগঠন ও সমষ্টি উন্নয়ন সরাসরি প্রয়োগ করে থাকে।
আবার সমাজকর্মের মৌলিক পদ্ধতিগুলোর যথাযথ প্রয়োগ এবং প্রয়োজনীয় লাগসই কৌশল উদ্ভবন ও প্রয়োগ ঘটিয়ে
মৌলিক পদ্ধতিগুলোকে সমৃদ্ধকরণে সমাজকর্মের আরও তিনটি সহায়ক পদ্ধতি যেমনÑ সমাজকর্ম প্রশাসন, সামাজিক
কার্যক্রম ও সমাজকর্ম গবেষণা সহায়তা করে থাকে। সমাজকর্মের মৌলিক ও সহায়ক পদ্ধতিগুলো পরস্পর
অবিচ্ছিন্নভাবে সম্পর্কযুক্ত। একদিকে যেমন সহায়ক পদ্ধতিগুলোর সহায়তা ছাড়া মৌলিক পদ্ধতির প্রয়োগ ফলপ্রসূ
হয়না, তেমনি সহায়ক পদ্ধতিগুলোকে যথাযথ অর্থবহ করে তুলেছে সমাজকর্মের মৌলিক পদ্ধতিসমূহ। সুতরাং বলা যায়,
সমাজকর্মের মৌলিক ও সহায়ক পদ্ধতিগুলো একে অন্যের পরিপুরক এবং পরস্পর নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত।
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন :
১। ব্যক্তিকেন্দ্রিক সমস্যা সমাধানে ব্যক্তি সমাজকর্মকে সহায়তা করে নিচের কোন পদ্ধতি?
ক) সমাজকল্যাণ প্রশাসন খ) সামাজিক প্রশাসন
গ) সমাজকর্ম প্রতিষ্ঠান ঘ) সামাজিক প্রতিষ্ঠান
২। ব্যক্তির মধ্যকার অজ্ঞতা, কুসংস্কার, গোড়ামী ইত্যাদি দূরীকরণে কার্যকর কোন পদ্ধতি?
ক) ব্যক্তি সমাজকর্ম খ) দল সমাজকর্ম
গ) সামাজিক কার্যক্রম ঘ) সমাজকল্যাণ প্রশাসন
৩। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে অবকাঠামোগত উন্নয়নে সমাজকর্মের কোন পদ্ধতিটি অধিক কার্যকর?
ক) সমষ্টি সংগঠন খ) সমষ্টি উন্নয়ন
গ) সামাজিক কার্যক্রম ঘ) সামাজিক প্রশাসন
৪। সমাজকল্যাণ প্রশাসনের ভূমিকা অত্যাবশ্যকÑ
র. দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণে
রর. দুর্যোগকালীন জরুরি ত্রাণ সরবরাহে ও পুনর্বাসনে
ররর. দুর্যোগ পরবর্তী পুনর্বাসন ও উন্নয়ন সাধনে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) র ও রর খ) র ও ররর
গ) রর ও ররর ঘ) র, রর ও ররর
চূড়ান্ত মূল্যায়ন
ক. বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
১। সামাজিক নীতিকে সমাজসেবায় রূপান্তর করার প্রক্রিয়া কোনটি?
ক) সমাজকল্যাণ প্রশাসন খ) সামাজিক কার্যক্রম গ) সমষ্টি সংগঠন ঘ) সমষ্টি উন্নয়ন
২। কোন বিষয় বা ঘটনা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের প্রণালীবদ্ধ অনুসন্ধানকে কী বলে?
ক) জরিপ খ) গবেষণা গ) কেস স্টাডি ঘ) আদমশুমারী
৩। সামাজিক কার্যক্রম কোন ধরনের প্রচেষ্টা?
ক) ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা খ) সরকারি প্রচেষ্টা গ) দলীয় প্রচেষ্টা ঘ) বেসরকারি প্রচেষ্টা
৪। সমাজকল্যাণ প্রশাসনের অন্যতম কাজ হলো এজেন্সিরÑ
র. উদ্দেশ্য নির্ধারণ রর. বাজেট প্রণয়ন ররর. কর্মসূচি বাস্তবায়ন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) র ও রর খ) র ও ররর গ) রর ও ররর ঘ) র, রর ও ররর
৫। ব্যক্তিকেন্দ্রিক সমস্যা সমাধানে সমাজকর্মের ব্যক্তি সমাজকর্ম পদ্ধতিকে সহায়তা করেÑ
র. সমাজকল্যাণ প্রশাসন রর. সমাজকর্ম গবেষণা ররর. সমষ্টি সংগঠন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) র ও রর খ) র ও ররর গ) রর ও ররর ঘ) র, রর ও ররর
৬। মানহা যৌতুক প্রথা রোধে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এর জন্য প্রয়োজনÑ
র. নকশা তৈরি করা রর. অনুমান গঠন করা ররর. তথ্য সংগ্রহ করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) র ও রর খ) র ও ররর গ) রর ও ররর ঘ) র, রর ও ররর
৭। সামাজিক কার্যক্রম জনগণের মধ্য থেকে কোন বিষয়টি দূর করতে সহায়তা করে?
ক) কুসংস্কার খ) দারিদ্র্য গ) ভিক্ষাবৃত্তি ঘ) দুর্নীতি
৮। সমাজকর্ম গবেষণাÑ
র. সমাজকর্মের নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করে
রর. নতুন কৌশল উদ্ভাবন করে
ররর. সমাজকর্মের পদ্ধতিগুলোকে আরও কার্যকর করে তোলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) র ও রর খ) র ও ররর গ) রর ও ররর ঘ) র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়–ন এবং ৯ ও ১০ নং প্রশ্নের উত্তর দিন :
স্বর্ণা তার গ্রামের যৌতুকপ্রথা দূর করতে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিতে স্থানীয় একটি সংগঠনের সাথে কাজ
করেন। তিনি মনে করেন এ প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রশাসনকে প্রভাবিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ (নীতি ও আইন
প্রণয়ন) গ্রহণ করা যেতে পারে।
৯। স্বর্ণার প্রচেষ্টা কোন পদ্ধতিকে নির্দেশ করে?
ক) দল সমাজকর্ম খ) সামাজিক কার্যক্রম গ) সমষ্টি উন্নয়ন ঘ) সামাজিক গবেষণা
১০। স্বর্ণার এই প্রচেষ্টা প্রয়োজনীয়Ñ
র. জনসচেতনতা সৃষ্টি করে
রর. কর্মসূচি প্রণয়ন করে
ররর. সামাজিক পরিবর্তন সাধন করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) র ও রর খ) র ও ররর গ) রর ও ররর ঘ) র, রর ও ররর
খ. সৃজনশীল প্রশ্ন
১। ফারজানা দেখলেন যে, তার গ্রামের মেয়েদের অধিকাংশেরই ১৮ বছরের আগে বিয়ে সম্পন্ন হচ্ছে। এ সম্পর্কে তিনি
অনুসন্ধান কাজ শুরু করলেন। তিনি ধারণা করলেন, নারী শিক্ষার অভাবই এর মূল কারণ। এরপর তিনি অনুসন্ধান
চালানোর জন্য একটি পূর্ব পরিকল্পনা গ্রহণ করলেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি তথ্য সংগ্রহ করলেন। সংগৃহীত তথ্য
বিশ্লেষণ করে দেখলেন যে, তার ধারণাই সঠিক।
ক. সামাজিক কার্যক্রমের উপাদান কয়টি? ১
খ. গবেষণা প্রস্তাবনা বলতে কী বোঝেন? ২
গ. উদ্দীপকে ফারজানার কাজ সমাজকর্মের কোন পদ্ধতিকে নির্দেশ করে?Ñ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “পেশাগত সমাজকর্মে ফারজানার কাজের গুরুত্ব অপরিসীম”Ñ উক্তিটি বিশ্লেষণ করুন। ৪
২। রিফাত হুসাইন একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান। তার প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য হলো সামাজিক নীতিকে সমাজসেবায় রূপান্তর
করা। এ জন্য তিনি সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কর্মসূচির মধ্যে সমন্বয় সাধন করেন। প্রয়োজনে তার
প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রশিক্ষণও দিয়ে থাকেন।
ক. সমাজকর্মের সহায়ক পদ্ধতি কয়টি ও কি কি? ১
খ. সামাজিক কার্যক্রম বলতে কী বোঝেন? ২
গ. উদ্দীপকে রিফাতের প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে কিসের প্রতিফলন ঘটেছে?Ñ ব্যাখ্যা করুন। ৩
ঘ. “সমাজকর্মের মৌলিক পদ্ধতিগুলো প্রয়োগের ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক নিবিড়”Ñ বিশ্লেষণ করুন। ৪

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]