একটি দেশের মৌলিক মানবিক চাহিদাপূরণ নির্ভর করে সে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও রাষ্ট্রের রাজনৈতিক
কাঠামোগত অবস্থানের উপর। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দেশ। বাংলাদেশের খানা ব্যয় জরিপ-ঐওঊঝ, ২০১০
অনুযায়ী, এদেশের শতকরা ৩১.৫ ভাগ লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে। দেশের অর্থনীতি কৃষিনির্ভর হওয়া
সত্তে¡ও কৃষি উৎপাদন পর্যাপ্ত নয়। জাতীয় আয়ের মাত্র ১৫.৯৬ শতাংশ আসে কৃষিখাত থেকে। শিল্পখাতও তেমন উন্নত
নয়। কৃষি ও শিল্প অর্থনীতির উভয় ক্ষেত্রেই অনগ্রসরতার দরুন এ দেশের সম্পদ ও মাথাপিছু আয় কম। যদিও দেশের
মানুষের আয় আগের তুলনায় বেশ বেড়েছে। বর্তমানে মাথাপিছু আয় ১,৭৫২ মার্কিন ডলার। ফলে মানুষের মৌলিক
চাহিদা পূরণ পরিস্থিতিরও উন্নতি হওয়া কথা। কিন্তু প্রকৃত অবস্থা এর থেকে ভিন্ন। সমাজের উপরের স্তরের মানুষের আয়
বৃদ্ধি পেলেও মধ্যবিত্ত, নি¤œ মধ্যবিত্ত এবং খেটে খাওয়া মানুষের আয়ের তেমন পরিবর্তন হয়নি।
অন্যদিকে, অধিকাংশ জনগণের বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সমস্যা যেমনÑ জনসংখ্যাস্ফীতি, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা, অজ্ঞতা,
বেকারত্ব, নি¤œ জীবনমান, স্বাস্থ্যহীনতা, কুসংস্কার, অপরাধ প্রবণতা, নির্ভরশীলতা ইত্যাদি সামগ্রিক পরিস্থিতিকে আরও
জটিল করে তুলেছে। প্রতিকূল আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রভাবে এ দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী ন্যূনতম মৌলিক মানবিক
চাহিদা পূরণে সক্ষম হচ্ছে না। নিচে বাংলাদেশের মৌলিক মানবিক চাহিদার বর্তমান পরিস্থিতি সংক্ষেপে আলোচনা করা
হলো:
১। খাদ্য (ঋড়ড়ফ): খাদ্য মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। জীবনধারণ, দৈহিক ও মানসিক বিকাশের অপরিহার্য উপাদান
হলো খাদ্য। অধিক জনসংখ্যা, অনুন্নত কৃষিব্যবস্থা, আবাদি জমি হ্রাস, ভূমির অনুর্বরতা ও খÐ-বিখÐতা, ধারাবাহিক
প্রাকৃতিক দুর্যোগ, খাদ্যদ্রব্যের অসম বণ্টন ইত্যাদি বাংলাদেশের খাদ্য সমস্যার প্রধান কারণ। বাংলাদেশে খাদ্যঘাটতির
প্রভাবে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী ন্যূনতম খাদ্যমান অর্জনে সক্ষম হচ্ছে না। বিভিন্ন পরিসংখ্যান থেকে বাংলাদেশে খাদ্যের ন্যায়
মৌলিক চাহিদা পূরণ প্রতিক‚ল অবস্থা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের লোকসংখ্যা ১৬ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার জন,
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩৭ শতাংশ। মাথাপিছু আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ মাত্র ০.১৫ একর অথচ একজন মানুষের খাদ্য
চাহিদা পূরণের জন্য ন্যূনতম ১.৬৮ একর আবাদযোগ্য জমির প্রয়োজন। বর্তমান জনসংখ্যার সাথে প্রতিবছর যুক্ত হচ্ছে
প্রায় ২৫ লাখ নতুন মুখ, যারা আবাদি জমির পরিমাণ কমাচ্ছে, বিপরীতে খাদ্য চাহিদা বাড়াচ্ছে। ফলে খাদ্য গ্রহণের
পরিমান পর্যায়ক্রমে কমে যাচ্ছে।
আমাদের দেশে ৩১.৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। বাজারে খাদ্যসামগ্রী থাকা সত্তে¡ও এদেশের দরিদ্র
জনগোষ্ঠী সুষম ও প্রয়োজনীয় খাদ্য ক্রয়ের সামর্থ্য রাখে না। ফলে অনেকেই খাদ্যাভাবে অনাহার-অর্ধাহারে দিন কাটায়,
নয়তো অখাদ্য-কুখাদ্য খেয়ে ক্ষুধার তাড়না মেটানোর চেষ্টা করে।
বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও পরিবেশগত কারণে প্রায় প্রতিবছরই মৌসুমি অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, বন্যা, সাইক্লোন,
জলোচ্ছ¡াস, নদীভাঙ্গন প্রভৃতি দুর্যোগ ফসলের ও অন্যান্য সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। যেখানে উৎপাদন
প্রক্রিয়াই অনুন্নত সেখানে এ সকল প্রাকৃতিক বিপর্যয় খাদ্য উৎপাদন সমস্যাকে আরও প্রকট করে তুলে।
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি রক্ষার জন্য একজন মানুষের প্রতিদিন ২৫ আউন্স খাদ্যের প্রয়োজন অথচ বাংলাদেশে
একজন লোকের গড় খাদ্য গ্রহণের পরিমান মাত্র ১৫ আউন্স। বাংলাদেশ পরিসখ্যান ব্যুরোর চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী ২০১৩-
২০১৪ অর্থবছরে খাদ্যশস্যের মোট উৎপাদন হয়েছিল ৩৮১.৭৪ লাখ মেট্রিক টন, আমদানি করা হয়েছিল ৩১.২৪ লাখ
মেট্রিক টন। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে (ফেব্রæয়ারি ২০১৫ পর্যন্ত) সার্বিকভাবে দেশে খাদ্যশস্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে
২৮.৪৩ লাখ মেট্রিক টন।
নিচের সারণিতে ২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে ২০১৪-১৫ অর্থবছর পর্যন্ত খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিসখ্যান দেখানো হলোÑ
সারণি ১.৩.১: খাদ্যশস্য উৎপাদন
খাদ্যশস্য ২০০৮-০৯ ২০০৯-১০ ২০১০-১১ ২০১১-১২ ২০১২-১৩ ২০১৩-১৪ ২০১৪-১৫ (লক্ষমাত্রা)
আউশ ১৮.৯৫ ১৭.০৯ ২১.৩৩ ২৩.৩২ ২১.৫৮ ২৩.২৬ ২৩.২৮ (প্রকৃত)
আমন ১১৬.১৩ ১২২.০৭ ১২৭.৯১ ১২৭.৯৮ ১২৮.৯৭ ১৩০.২৩ ১৩১.৯০ (প্রকৃত)
বোরো ১৭৮.০৯ ১৮৩.৪১ ১৮৬.১৭ ১৮৭.৫৯ ১৮৭.৭৮ ১৯০.০৭ ১৮৯.৭৭
মোট চাল ৩১৩.১৭ ৩২২.৫৭ ৩৩৫.৪১ ৩৩৮.৮৯ ৩৩৮.১৪ ৩৪৩.৫৬ ৩৪৪.৯৫
গম ৮.৪৯ ৯.৬৯ ৯.৭২ ৯.৯৫ ১২.৫৫ ১৩.০২ ১৩.৩৩
ভুট্টা ৭.৩০ ৮.৮৭ ১৫.৫২ ১২.৯৮ ২১.৭৮ ২৫.১৬ ২৫.২১
মোট ৩২৮.৯৬ ৩৪১.১৩ ৩৬০.৬৫ ৩৬১.৮২ ৩৭২.৬৬ ৩৮১.৭৪ ৩৮৩.৪৯
(উৎস: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, কৃষি মন্ত্রণালয়, জানুয়ারি ২০১৫ পর্যন্ত)
বাংলাদেশে খাদ্য সমস্যা শুধু পরিমাণগতই নয়, গৃহীত খাদ্যের গুণগতমানও অত্যন্ত নি¤œ পর্যায়ের। পৃথিবীর উন্নত
দেশগুলোতে তিন হাজার কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তিকে ন্যূনতম দৈনিক মাথাপিছু প্রয়োজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো পরিচালিত ২০০৫ সালের
পারিবারিক আয়-ব্যয় জরিপের তথ্যানুযায়ী পল্লীর জনগোষ্ঠীর
৩৯.৫ শতাংশ এবং শহরের ৪৩.২ শতাংশ লোক দৈনিক মাথাপিছু
২,১২২ কিলোক্যালরি গ্রহণ করে। অন্যদিকে মাথাপিছু দৈনিক
১,৮০৫ কিলোক্যালরি গ্রহণ করে গ্রামের ১৭.৯ শতাংশ এবং শহরে
২৪.৪ শতাংশ লোক। দেশের জাতীয় উৎপাদনে খাদ্যঘাটতির
চক্রাকার প্রভাব নিচের চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হলোÑ
খাদ্যের মতো মৌলিক মানবিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থতা থেকে
পুষ্টিহীনতা, স্বাস্থ্যহীনতা, উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস, শিল্পায়নের
মন্থরগতি ইত্যাদি সমস্যার সৃষ্টি হয়। খাদ্যঘাটতি পূরণ করতে
গিয়ে সামগ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনা ব্যাহত হয়। ফলে অন্যান্য
মৌলিক চাহিদা পূরণ সম্ভব হয় না।
২। বস্ত্র (ঈষড়ঃযরহম): মৌলিক মানবিক চাহিদার মধ্যে খাদ্যের
পরই বস্ত্রের স্থান। বস্ত্র সভ্যতার সর্বপ্রধান নির্দেশক ও নিদর্শন। বাংলাদেশে বস্ত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক মানবিক
চাহিদা আর্থিক কারণে সব শ্রেণির জনগণের পক্ষে যথাযথভাবে পূরণ সম্ভব হচ্ছে না। ত্রæটিপূর্ণ বস্ত্রনীতি, বস্ত্রশিল্পের
জাতীয়করণের ফলে সৃষ্ট অনিয়ম, দুর্নীতি, অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, প্রতিকূল পরিবেশ, দুর্ঘটনা, উৎপাদন হ্রাস ইত্যাদি
বাংলাদেশের বস্ত্র সমস্যাকে তীব্র করে তুলেছে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব মতে মাথাপিছু বস্ত্রের চাহিদা হলো বছরে ১০
মিটার। এ হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে বার্ষিক বস্ত্রের চাহিদার পরিমাণ প্রায় ১৫১ কোটি মিটার। তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য
প্রয়োজন প্রায় ২৫০ কোটি মিটার। অর্থাৎ মোট চাহিদা হচ্ছে ৪০১ কোটি মিটার। অথচ বস্ত্রখাতে মোট উৎপাদন প্রায় ৩০০
কোটি মিটার। ফলে বর্তমানে দেশে বস্ত্রঘাটতির পরিমাণ হলো প্রায় ১০১ কোটি মিটার। অন্য এক হিসাবে জানা যায়,
বর্তমানে বাংলাদেশে মাথাপিছু পুরাতন কাপড়ের ব্যবহার ০.১ মিটার এব নতুন কাপড় ১২.৩ মিটার।
উপর্যুক্ত তথ্য থেকে বাংলাদেশে বস্ত্রের সরবরাহ চাহিদার তুলনায় নিতান্তই কম হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। যদি
ব্যষ্টিক পর্যায়ে বস্ত্রের বাস্তব অবস্থা ব্যাখ্যা করা যায়, তাহলে আরও হতাশাজনক চিত্র পাওয়া যাবে। বস্ত্রের চাহিদা পূরণে
প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণ পুরাতন কাপড় বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে। বস্ত্রের অভাবে একদিকে অসংখ্য দরিদ্র ও দুস্থ
মানুষ শীত ও গ্রীষ্মকালে প্রতিকূল পরিবেশে মানবেতর জীবনযাপন করছে, অন্যদিকে বস্ত্রের চাহিদা পূরণের জন্য বিদেশি
পুরাতন কাপড় আমদানি জনস্বাস্থ্যের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।
৩. বাসস্থান (ঐড়ঁংরহম): সমাজ ও সভ্যতাকে স্থিতিশীল রূপদানের ক্ষেত্রে বাসস্থানের অবদান সবচেয়ে বেশি। অথচ
বর্তমানে বাংলাদেশে শহর ও গ্রাম উভয় এলাকায়ই বাসস্থান সমস্যা প্রকট। জাতিসংঘের তথ্যানুসারে এদেশের প্রায় ১০
লাখ লোক গৃহহীন। এরা অন্যের বাড়িতে, অফিস, দোকানপাটের বারান্দায়, পার্কে রাত কাটায়। পরিকল্পনা কমিশনের
হিসাব মতে, গ্রামীণ জনগণের ৭% অন্যের বাড়িতে, ২২.৬% জরাজীর্ণ বাসগৃহে এবং শহরের ৮% লোক বস্তিতে
মানবতের জীবনযাপন করছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশে বসতভিটাহীন পরিবারের সংখ্যা ১৪ লাখ ৯১
হাজার ৮৫৫টি। নি¤েœ জনসংখ্যা ও গৃহগণনা রিপোর্টÑ২০১১ অনুযায়ী এদেশে গৃহনির্মাণ কাঠামোর ধরন তুলে ধরা হলোÑ
সারণি ১.৩.২: গৃহনির্মাণ কাঠামোর ধরন
এলাকা ঝুপড়ি কাঁচা আধাপাকা পাকা
শহর ২.৬% ৩২.৮% ৩২.১% ৩২.৫%
গ্রাম ৩.০% ৭৫.৭% ১৬.০% ৫.৩%
(উৎস: ভূমিমন্ত্রীর জাতীয় সংসদে প্রদত্ত প্রশ্নোত্তর, ১৭ ফেব্রæয়ারি ২০১০)
উপর্যুক্ত বাস্তব তথ্যসমূহ থেকে বাংলাদেশে বাসস্থানের মতো মৌলিক মানবিক চাহিদার করুণ চিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তবে
প্রতি বছর ১.৩৭%। বর্ধিত জনসংখ্যার জন্য প্রায় ৪ লাখ ৩৫ হাজার নতুন বাসগৃহের প্রয়োজন। কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব
হচ্ছে না বলে আবাসন সমস্যা দিন দিন আরও প্রকট হচ্ছে। যদিও আবাসনের চাহিদা মোকাবিলার জন্য নতুন বাসগৃহ
তৈরি হয় এর বৃদ্ধির হার খুবই কম, যা নিচের সারণি থেকে সহজেই বোঝা যায়।
সারণি ১.৩.৩ : ১৯৭৩-২০১১ সাল পর্যন্ত খানা ) বৃদ্ধির হার
এলাকা ১৯৭৩-৮১ ১৯৮১-৯১ ১৯৯১-২০০১ ২০০১-২০১১
শহর ৮.৯ ৫.৭ ৫.৪ ৫.৫
গ্রাম ১.৩ ২.০ ২.৫ ২.৬
উপর্যুক্ত বাস্তব তথ্যসমূহ থেকে বাংলাদেশে বাসস্থানের মতো মৌলিক মানবিক চাহিদার করুণ চিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠে। প্রতিবছর ঝড়বন্যা-জলোচ্ছ¡াস, নদীভাঙন ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাংলাদেশে বাসস্থান সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করছে।
৪. শিক্ষা (ঊফঁপধঃরড়হ): অন্যান্য মৌলিক মানবিক চাহিদার মতো শিক্ষাক্ষেত্রেও আমাদের দেশের অবস্থা সন্তোষজনক
নয়। শিক্ষিতের হার বাড়ছে, তবে তা খুবই ধীরগতিতে। অর্থনৈতিক সমীক্ষা, ২০১৫ অনুযায়ী বর্তমান সাক্ষরতার হার মাত্র
শতকরা ৬২.৩ ভাগ। যার মধ্যে পুরুষ শতকরা ৬৫.০ ভাগ এবং মহিলা ৫৯.৭ ভাগ। বর্তমানে স্কুলে শিশুদের নিবন্ধের হার
বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু তাদের শতকরা ৭৫ জন প্রাথমিক শিক্ষা শেষ না করে স্কুল ছেড়ে দেয়। স্কুলত্যাগী শিশুর হার শতকরা
৩৪ ভাগ। বাংলাদেশে বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। নি¤েœ ১.৩.৪ নং সারনিতে শিক্ষা সক্রান্ত মৌলিক
তথ্য উপস্থাপন করা হলো:
সারণি ১.৩.৪: বাংলাদেশে শিক্ষাক্ষেত্রের বর্তমান মৌলিক তথ্য
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ধরন বছর সংখ্যা শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা
প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০১৪ ১০৮৫৩৭ ৩১৯২৯৪ ১৯৫৫২৯৭৯
মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২০১৪ ১৭২৭ ২১৪৩৭৫ ৮৭৯২৮৫৫
সরকারি কলেজ ২০১৪ ২৬০ ১২৫১১ ১৩১৬৮৬৬
বেসরকারি কলেজ ২০১৪ ১৪৭১ ৫৫৮৮৫ ১৫৯৮৫৬৯
সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় (সরকারি) ২০১৪ ১৫ ৫২৮৬ ৩৪৫৬২৪
সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় (বেসরকারি) ২০১৪ ৭৬ ৮৪৮৫ ২৯৮২০২
(উৎস: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৫)
বর্তমানে শিক্ষাখাতকে ব্যাপক অগ্রাধিকার প্রদান করে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০
অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় ছাত্রছাত্রী ভর্তির সংখ্যা ও হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিচে ২০১০ থেকে
২০১৪ সাল পর্যন্ত সময়ে প্রাথমিক স্তরে ছাত্রছাত্রী ভর্তির হার সারণিতে দেখানো হলোÑ
সারণি ১.৩.৫: প্রাথমিক স্তরে ছাত্রছাত্রী ভর্তির হার
সাল মোট (লাখ) ছাত্র (%) ছাত্রী (%)
২০১০ ১৬৯.৫৮ ৪৯.৫০ ৫০.৫০
২০১১ ১৮৪.৩২ ৪৯.৬০ ৫০.৪০
২০১২ ১৯০.০৩ ৪৯.৮০ ৫০.২০
২০১৩ ১৯৫.৮৫ ৪৯.৯৪ ৫০.০৬
২০১৪ ১৯৫.৫৩ ৪৯.৩০ ৫০.৭০
(উৎস: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়)
১৯৯৪ সালে সরকার প্রবর্তিত মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি কর্মসূচি এদেশে নারী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটিয়েছে।
অর্থনৈতিক সমীক্ষাÑ২০০৮ অনুযায়ি প্রতি ১০০ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ছাত্রী সংখ্যা ৫২ । নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে এই ইতিবাচক
পরিবর্তন বাল্যবিবাহ রোধ, প্রজনন হার হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন এবং আর্থ-সামাজিক কর্মকাÐে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ
করে দিচ্ছে। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা অনেকটাই নগরকেন্দ্রিক এবং সমাজের উচ্চবিত্তের লোকদের সন্তানরাই এর অধিক
সুবিধাভোগী। পল্লি এলাকায় শিক্ষার সুযোগ এবং হার অপেক্ষাকৃত কম। গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষিতের হার শহরের তুলনায়
কম। শহরের শিক্ষিতের হার ৬৫.৮৩ শতাংশ, গ্রামে ৫১.৮১ শতাংশ। বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা, ২০১৫ সালের মধ্যে
সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে বিনা মূল্যে বই সরবরাহ, কারিগরি শিক্ষার
প্রসার, শিক্ষাক্ষেত্রে আইসিটি কার্যক্রম চালু, মেয়েদের মাধ্যমিক থেকে ¯œাতকোত্তর পর্যায় পর্যন্ত ছাত্রী উপবৃত্তি প্রদান, বেতন
মওকুফ সুবিধা প্রদান, নতুন কারিক্যুলাম প্রণয়ন, পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তনসহ নানাবিধ উন্নয়ন ও সংস্কারধর্মী কার্যক্রম
গ্রহণ করা হয়েছে। যার প্রভাবে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৫. স্বাস্থ্য (ঐবধষঃয): বাংলাদেশে স্বাস্থ্য চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ হয় না। স্বাস্থ্যহীনতা এদেশের একটি অতি পরিচিত
চিত্র। প্রতিবছর এ দেশের বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠী বিভিন্ন রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় বিনা চিকিৎসায় প্রাণ হারায়।
অনেকে স্বাস্থ্যহীনতা ও অপুষ্টিতে আক্রান্ত হয়ে কোনো রকমে জীবনের ঘানি টেনে চলে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী,
বাংলাদেশের শতকরা ৬০ ভাগ লোক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ন্যূনতম সুযোগ থেকে বঞ্চিত। অর্থনৈতিক সমীক্ষা, ২০১৫-এর
তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশে চিকিৎসাক্ষেত্রে ২,১২৯ জনের জন্য মাত্র ১ জন ডাক্তার এবং ১,৬৫২ জন রোগীর জন্য সরকারি
হাসপাতালে মাত্র ১টি শয্যার ব্যবস্থা রয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার জন্য সরকারি হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা ও সেবক-সেবিকার
সংখ্যাও হতাশাব্যঞ্জক। দেশের প্রায় ১৫ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য চাহিদা কোনো মতেই পূরণ হচ্ছে না। তারই একটি
সংখ্যাচিত্র নিচে সারণির মাধ্যমে তুলে ধরা হলো:
সারণি ১.৩.৬ : স্বাস্থ্যসেবার সংখ্যাচিত্র
বছর ডিসপেনসারি শয্যাসংখ্যা রেজিস্টার্ড ডাক্তার রেজিস্টার্ড নার্স রেজিস্টার্ড ধাত্রী
২০১০-১১ ১,৩৬২ ৩৯,০৬৩ ৫৩,০৬৩ ২৫,০১৮ ২৩,৪৭২
২০১১-১২ ১,৩৬২ ৫৮,৯৭৭ ৫৮,৯৭৭ ২৮,৭৯৩ ২৭,০০০
২০১২-১৩ ১,৩৬২ ৪৫,৬২১ ৬৪,৪৩৪ ৩০,৫১৬
২০১৩-১৪ ১,১৮৪ ৯৪,৩১৮ ৭১,৯১৮ ৩৩,১৮৩
(উৎস: স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়, উদ্ধৃত: অর্থনৈতিক সমীক্ষা, ২০১৫)
আধুনিক চিকিৎসার সুযোগ বলতে গেলে শহরের এবং উপজেলা সদরে সীমাবদ্ধ। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে আধুনিক চিকিৎসা
একটা দুরাশামাত্র। দেশের প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৪ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ৯ জন চিকিৎসক দ্বারা
পরিচালিত হচ্ছে। এ সকল হাসপাতালে সকল প্রকার রোগের প্রধানত প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। বিশেষায়িত
চিকিৎসার সুযোগ অতি সীমিত। বিশেষায়িত চিকিৎসার জন্য জেলা বা বিভাগীয় শহরের আসতে হয়। জনগণকে চিকিৎসা
সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে জুন-২০১৩ পর্যন্ত দেশে ৩,৮৮১টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্র, ৪২১টি উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্স, ৫৯টি জেলা হাসপাতাল ৭৫টি মেডিকেল কলেজ ও ৮২টি সেবিকা প্রশিক্ষণকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
গধঃবৎহধষ গড়ৎঃধষরঃু ধহফ ঐবধষঃয ঈধৎব ঝঁৎাবু, ২০১১-এর রিপোর্টে দেখা গেছে, বাংলাদেশে মাতৃ মৃত্যুহার ২০০১
সালে ৩.২ শতাংশ থেকে ২০১৪ সালে ১.৯৪ শতাংশে নেমে এসেছে। প্রজনন হার ও মৃত্যুহার হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ
নবজাতক শিশু মৃত্যুহার হ্রাসে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। বর্তমানে দেশের প্রায় ৭০% শিশু
রক্তস্বল্পতায় ভুগছে। ভিটামিন ‘এ’র অভাবে বছরে প্রায় ৩০ হাজার শিশু অন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তবে ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়া,
ফাইলেরিয়া ও গলগÐ রোগ নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধিত হয়েছে। বর্তমানে সুপেয় পানি গ্রহণকারী হার ৯৮.৩%
এবং স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহারকারীর হার ৬৩.৮%। সবার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহার ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে
জনগণের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, খাদ্যঘাটতি,
ভেজাল খাদ্যদ্রব্য, খাদ্য গ্রহণের নি¤œমান ও স্বল্পতা, চিকিৎসা সুবিধা ও স্বাস্থ্যসেবার স্বল্পতা, নিরক্ষরতা ও অজ্ঞতা ইত্যাদি
কারণে স্বাস্থ্যহীনতা সমস্যা বিরাজ করছে।
৬. চিত্তবিনোদন ( বাংলাদেশে অন্যান্য মৌলিক চাহিদার মতো চিত্তবিনোদনের চাহিদাও ঠিকমতো পূরণ হয়
না। কারণ নির্মল আনন্দ লাভের ব্যবস্থা বর্তমানে সীমিত হয়ে এসেছে। একসময় গ্রামগুলোতে জারিগান, সারিগান, বাউল
গান, পুঁথিপাঠ, যাত্রানুষ্ঠান, পালাগান, সড়কপথে ভাওয়াইয়া, নদ-নদীতে ভাটিয়ালী এবং মাঠ-ঘাট পল্লিগীতিতে মুখরিত
ছিল। কাবাডি, গোল্লাছুট, দাড়িয়াবান্দা, কানামাছি ইত্যাদি খেলাধুলার মাধ্যমে আমোদ-প্রমোদের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল। এখন
দারিদ্র্য ও শহরায়ণের প্রভাবে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা প্রায় লোপ পেয়ে গেছে। খাদ্যের চাহিদা পূরণের
জন্য মাঠের খালি জায়গা সব আবাদ করে ফেলায় খেলাধুলার জায়গা আর অবশিষ্ট নেই, তেমনি জীবিকার তাড়নায়
সদাব্যস্ত মানুষের কাছে চিত্তবিনোদন অনেকটা বিলাসিতার মতো।
শহরে এক শ্রেণির প্রভাবশালী লোভী মানুষ খালি জায়গা দখল করে বড় বড় দালান ও বহুতল শপিং কমপ্লেক্স তৈরি
করছে। ফলে শহরে পার্ক, মাঠ, লেক, ঝিল আর থাকছে না। বাংলাদেশের নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ
চিত্তবিনোদনের সুযোগ অনেকটা সীমিত। গঠনমূলক চিত্তবিনোদনের সুযোগ-সুবিধার অভাবে দেশের যুবসমাজের আচরণের
বিচ্যুতি ঘটছে। স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ও পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুপ্রবেশের কারণে সুস্থ বিনোদন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। রেডিও,
টেলিভিশন, সিনেমা প্রভৃতি এবং ভি.সি.পি., ভি.সি.আর. ক্যাসেট প্লেয়ার, এফ.এম. রেডিওসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা গৃহের
অভ্যন্তরেই চিত্তবিনোদনের সুযোগ প্রদান করছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রযুক্তির মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা, সোশ্যাল
মিডিয়া যেমন ফেসবুক চিত্তবিনোদনের সুযোগকে অবারিত করেছে। তবে ঐতিহ্যবাহী ঈদ উৎসব, শারদীয় দুর্গোৎসব,
গ্রামীণ মেলা এখনো আছে। বাংলা নববর্ষের মেলার সাথে যুক্ত হয়েছে বিজয় মেলা, স্বাধীনতা উৎসব, বাণিজ্যমেলা,
বইমেলা ইত্যাদি। বর্তমানে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, সংগীত, শিল্পকলা, নাটক, চলচ্চিত্রসহ
শিল্পের সকল শাখার উৎকর্ষ সাধনে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করছে। উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি বইপড়া, খেলাধুলা, ব্যায়াম,
ছবি আঁকা, ছবি তোলা, ভ্রমণ, বাগান করা ইত্যাদির মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি লাভ করে। কিন্তু নি¤œবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণি
বলতে গেলে চিত্তবিনোদনের সুযোগ থেকে সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত। সুতরাং বলা যায়, বাংলাদেশে চিত্তবিনোদনের বর্তমান
অবস্থা সন্তোষজনক নয়।
সবশেষে বলা যায়, বাংলাদেশে মৌলিক মানবিক চাহিদা পূরণের পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়। মুষ্টিমেয় সম্পদশালী গোষ্ঠী
তাদের মৌলিক মানবিক চাহিদা পূরণে সক্ষম হলেও বিপুল দরিদ্র জনসাধারণ মৌলিক মানবেতর জীবন নির্বাহ করছে।
সারসংক্ষেপ
বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ হচ্ছে না দীর্ঘকাল ধরেই। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য,
চিত্তবিনোদন, সামাজিক নিরাপত্তাসহ অন্যান্য চাহিদা অধিকাংশ মানুষের অপূরিত থাকছে। ফলে এরা মানবেতর
জীবন যাপন করছে। যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির কারণে আজ হয়তো কেউ না খেয়ে বা না পরে থাকে
না কিন্তু সার্বিক মানবিক প্রয়োজন মিটছে না। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ,
অনুন্নত কৃষি ও শিল্পব্যবস্থা ইত্যাদি এর অন্যতম কারণ।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-১.৩
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন:
১। খাদ্যের পর কোনটি মৌলিক মানবিক চাহিদার দাবিদার?
ক) বস্ত্র খ) শিক্ষা
গ) বাসস্থান ঘ) চিত্তবিনোদন
২। শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতাকে কি বলে?
ক) পুষ্টিহীনতা খ) স্বাস্থ্যহীনতা
গ) ম্যারাসমাস ঘ) কোয়াশিয়রকর
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র