পল্লী সমাজসেবা (জঝঝ) কার্যক্রম বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক মুক্তির ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী
ইতিহাস সূচনা করে । জাতির জনক বন্ধবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে ১৯৭৪
সালে পরীক্ষামূলকভাবে তৎকালীণ ১৯টি থানায় পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়। এর সফলতার আলোকে
১৯৭৭ সালে আরো ২১ টি থানায় এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হয়। পরবর্তীতে দ্বিতীয় পর্বে (১৯৮০-৮৭) ১০৩টি
উপজেলায়, তৃতীয় পর্বে (১৯৮৭-৯২) ১২০টি উপজেলায়, চতুর্থ পর্বে (১৯৯৫-২০০২) ১১৯ টি উপজেলায়, ষষ্ঠ পর্বে
(২০০৪-২০০৭) ৪৭০টি উপজেলায় পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হয়। এই ধারাবাহিকতায় ২০১১-১২
অথবছর থেকে ৪৮৭ টি উপজেলায় সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম খাতে নিয়মিত বরাদ্দ প্রদান করা হচ্ছে। এ কার্যক্রম
বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি করে মোট ১৬ সদস্য বিশিষ্ট পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন
কমিটি (টচওঈ) উপজেলা পর্যায়ে রয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে আর্থ-সামাজিক জরিপের মাধ্যম্যে লক্ষ্যভুক্ত পরিবারগুলোকে
তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়। শ্রেণিগুলো হলোÑ ‘ক’ শ্রেণি, ‘খ’ শ্রেণি এবং ‘গ’ শ্রেণি। গ্রামের যেসকল পরিবারের
বার্ষিক গড় আয় ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত বা কম হলে ‘ক’ শ্রেণির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে এবং তারা দরিদ্রতম বলে অবিহিত
হবে। পরিবারের বার্ষিক গড় আয় ৫০,০০১ টাকা থেকে ৬০,০০০ টাকা পর্যন্ত হলে ‘খ’ শ্রেণির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে এবং
তারা দরিদ্র বলে অভিহিত হবে। পরিবারের বার্ষিক গড় আয় ৬০,০০১ টাকার উর্ধ্বে হলে ‘গ’ শ্রেণির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে
যারা ধনী বা দারিদ্র্যসীমার উর্ধ্বে অবস্থান করছে বলে অবিহিত হবে। প্রতিটি কার্যক্রমে ‘ক’ ও ‘খ’ শ্রেণির পরিবার হতে
প্রতিনিধি নিয়ে কমপক্ষে ১টি নারী দলসহ সর্বোচ্চ ১০টি কর্মদল গঠন করা হয়। প্রতিটি কর্মদলের সংখ্যা ১০-২০ জন
পর্যন্ত হয়ে থাকে। দরিদ্রতম (‘ক’ শ্রেণিভুক্ত) এবং দরিদ্র (‘খ’ শ্রেণিভুক্ত) পরিবারের জন্য ঋণদান কর্মসূচি প্রযোজ্য হয়।
এছাড়া অন্যান্য কর্মসূচি যেমনÑ পরিবার পরিকল্পনা, স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও সমষ্টি উন্নয়ন কর্মসূচিতে সকল শ্রেণি অর্থাৎ ক, খ ও
গ শ্রেণির পরিবারকে সম্পৃক্ত হয়ে থাকে। পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটির অনুমোদনক্রমে একজন ঋণগ্রহীতা
প্রয়োজনে সর্বাধিক তিনবার ঋণ গ্রহণ করতে পারবে। এ কর্মসূচির আওতায় পরিবার প্রতি সর্বনি¤œ ৫,০০০ টাকা থেকে
সর্বোচ্চ ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে ১০% সার্ভিস চার্জসহ সমান ১০টি কিস্তিতে
সর্বোচ্চ এক বছর মেয়াদে ঋণ পরিশোধযোগ্য দেশের পল্লী অঞ্চলে বসসাসরত দুঃস্থ, অসহায়, অবহেলিত, অনগ্রসর ও
পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য বিমোচনে পল্লী সমাজসেবা বহুমুখী ও সমন্বিত কর্মসূচি পরিচালনা করে থাকে। নি¤েœ প্রধান
কর্মসূচিসমূহ তুলে ধরা হলো:
৬.৬.১.১ বৃত্তিমূলক ও কারিগরি কর্মসূচি: পল্লী সমাজসেবার গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি হচ্ছে গ্রামের লক্ষ্যভুক্ত দরিদ্র জনগণ ও
বেকার যুবক বিশেষ করে নারীদের বৃক্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা। এই কর্মসূচির আওতায় বাঁশ ও বেতের কাজ, মৎস্য
চাষ, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগী পালন, পাট ও কাঠের কাজ, তাঁত ও বয়ন কাজ, এমব্রয়ডারী এবং উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয়ে
প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। মূলধন বিনিয়োগ ও মূলধন সৃষ্টির জন্য সমবায় স্থাপন, ধানভানা প্রকল্প, ক্ষুদ্র ব্যবসা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত
হয়েছে। এছাড়া ট্রাস্টভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে।
৬.৬.১.২ ঋণদান কর্মসূচি: গ্রামের দরিদ্রতম ও দরিদ্র শ্রেণিভুক্ত পরিবারের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করা
হয়ে থাকে। প্রতিটি লক্ষ্যভুক্ত পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা থেকে ত্রিশ হাজার করে টাকা ঋণ প্রদান করা হয়। ১৯৭৪
সালের মার্চ মাসে ১ কোটি ৭ লক্ষ টাকা নিয়ে দেশের তৎকালীণ ১৯টি থানায় এ কার্যক্রম চালু হয়। ২০১৬-২০১৭
অর্থবছরে সর্বমোট ৫০ কোটি টাকা পল্লী সমাজসেবার সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে বরাদ্দ করা হয়। সমাজসেবা অধিদফতর
(২০১৭) এর তথ্যানুযায়ী, শুরু থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছর পর্যন্ত এ খাতে সর্বমোট ৩৫৪,৯৩,২৫,০০০ টাকা বরাদ্দ দেয়া
হয়। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দরিদ্রতম এবং ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দরিদ্র পরিবারের জন্য ঋণদান কর্মসূচি প্রযোজ্য হলেও
‘গ’ শ্রেণিভুক্ত পরিবারকে ঋণ প্রদান করা হয় না।
৬.৬.১.৩ সচেতনতামূলক কর্মসূচি: পল্লী সমাজসেবা গ্রামের মা ও শিশুস্বাস্থ্য পরিচর্যা সম্পর্কে ব্যবহারিক জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যে
সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
৬.৬.১.৪ সামাজিক কর্মসূচি: স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার, বিশুদ্ধ পানির ব্যবহার, জ্বালানীসাশ্রয়ী চুলা ব্যবহার ও
সামাজিক বনায়নে লক্ষ্যভুক্ত জনগোষ্ঠীকে উদ্বুদ্ধ করা হয়। স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা স্থাপন, বিশুদ্ধ ও আর্সেনিক মুক্ত নিরাপদ
পানি পান ও ব্যবহারে নলকূপ স্থাপনে জঝঝ লক্ষ্যভুক্ত জনগোষ্ঠীকে উদ্বুদ্ধ করে।
৬.৬.১.৫ স্বাস্থ্য কর্মসূচি: জঝঝ মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা সম্পর্কিত বিষয়ে
উদ্বুদ্ধকরণ, মা ও শিশুকে রোগ প্রতিষেধক টিকা প্রদান এবং পারিবার পরিকল্পনায় উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি পরচিালনা করে
থাকে। এছাড়া স্বাস্থ্য ও পুষ্টিজ্ঞান প্রদান, পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রী বিতরণ, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, সামাজিক বনায়ন
ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু রয়েছে।
৬.৬.১.৬ অন্যান্য কর্মসূচি: এছাড়াও পল্লী সমাজসেবার অধীনে দলীয় সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধকরণ এবং খেলাধূলা ও চিত্তবিনোদনের
জন্য প্রতিযোগিতামূলক খেলারও আয়োজন করা হয়।
পরিশেষে বলা যায়, পল্লী অঞ্চলে বসবাসরত দুঃস্থ, অসহায়, অবহেলিত, অনগ্রসর ও পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য
বিমোচনের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধনে পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম বহুমুখী ও সমন্বিত কর্মসূচি পরিচালনা করছে।
৬.৬.২ পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রমে সমাজকর্ম পদ্ধতির প্রয়োগ
বাংলাদেশ একটি গ্রামপ্রধান দেশ। বাংলাদেশ আদমশুমারী-২০১১ অনুযায়ী, এদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭৬% গ্রামে
বসবাস করে। গ্রামই হলো দেশের উন্নয়নের প্রাণকেন্দ্র। গ্রামের অধিকাংশ জনগোষ্ঠী বেকারত্ব, দারিদ্র্য, অজ্ঞতা, অপুষ্টি,
স্বাস্থ্যহীনতা, কুসংস্কার, নিরাপত্তাহীনতাসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। পল্লী সমাজসেবা হলো সমষ্টি উন্নয়নকেন্দ্রিক
বহুমুখী সমন্বিত গ্রামীণ উন্নয়ন প্রক্রিয়া। গ্রামীণ জনগণের নিজস্ব সম্পদ এবং সরকারি আর্থিক ও কারিগরি সহায়তার
মাধ্যমে জঝঝ লক্ষ্যভুক্ত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে প্রচেষ্টা চালায়। পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়নে সমাজকর্মের
বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়।
জঝঝ-এ সামাজিক জরিপের মাধ্যমে লক্ষ্যভুক্ত জনগোষ্ঠী চিহ্নিত করে পরিকল্পিতভাবে দল গঠন করে বৃক্তিমূলক প্রশিক্ষণ,
সদমুক্ত ঋণদান ও সামাজিক কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এক্ষেত্রে সমাজকর্মের সহায়ক পদ্ধতি সমাজকর্ম গবেষণা
প্রয়োগ করা হয়। দল গঠন, দলীয় নেতৃত্ব বিকাশ, দলীয় গতিশীলতা, দলীয় ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া জঝঝ-এর সফল বাস্তবায়নের
জন্য একান্ত আবশ্যক। যেখানে দল সমাজকর্ম পদ্ধতির নীতিমালা ও কৌশল প্রয়োগ করা যেতে পারে। সামাজিক
সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সমাজকর্মীরা গতিশীল ভূমিকা পালন করতে পারেন। জঝঝ-এর কার্যক্রমে জনগণের অংশগ্রহণ
নিশ্চিতকরণ, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, পারস্পরিক বিশ্বাস তৈরি, সামাজিক নেটওয়ার্কিং তৈরি তথা ংড়পরধষ পধঢ়রঃধষ
সড়নরষুধঃরড়হ এ সমাজকর্মের সমষ্টি উন্নয়ন পদ্ধতি প্রয়োগ করা যেতে পারে। পল্লী সমাজসেবা (জঝঝ) কার্যক্রমে ঝড়পরধষ
পধঢ়রঃধষ সড়নরষরুধঃরড়হ এ হবঃড়িৎশরহম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আর ক্ষেত্রে সমাজকর্মী সমষ্টি উন্নয়ন সমাজকর্মের জ্ঞান
প্রয়োগ করতে পারেন। এ প্রসঙ্গটি ঝ. জ. উবু (২০১৫) তাঁর প্রবন্ধ
সমাজসেবা কর্মকর্তারা গ্রামের লক্ষ্যভুক্ত জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক ও জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করে থাকেন। আর
এক্ষেত্রে সামাজিক হস্তক্ষেপের মতো গুরুত্বপূর্ণ কৌশল প্রয়োগের সুযোগ রয়েছে। সমাজকর্মেও কৌশল হচ্ছে পরিকল্পিত
সামাজিক পরিবর্তন, সামাজিক উপযোজন ও সামাজিক উদ্ভাবন পদ্ধতি প্রয়োগ কার্যক্রমটি জঝঝ-এর সক্ষমতা নিশ্চিতকরণে
ভূমিকা রাখবে। ব্যক্তি সমাজকর্ম, দল সমাজকর্ম এবং সমষ্টি সংগঠন ও সমষ্টি উন্নয়ন পদ্ধতির নীতিমালা ও কর্মকৌশল
প্রয়োগের মাধ্যমে জঝঝ কার্যক্রমকে আরো বেশি ফলপ্রসূ করা যেতে পারে। জঝঝ-এর কর্মদলের উদ্দেশ্য, আদর্শ, আকার,
নিয়মনীতি, মূল্যবোধ, কাঠামো, নেতৃত্ব, দলীয় ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও গতিশীলতা আনয়নে একজন দল সমাজকর্মী ভূমিকা
রাখতে পারে। গ্রামের লক্ষ্যভুক্ত জনগোষ্ঠীর তালিকা প্রণয়ন, বিদ্যমান সমস্যা নির্ণয়ে সামাজিক গবেষণা পদ্ধতি প্রয়োগে
সমাজকর্মী ভূমিকা পালন করতে পারে। গ্রামের আর্থ-সামাজিক সমস্যা নিরসনে সমাজকর্মের মৌলিক পদ্ধতির পাশাপাশি
সহায়ক পদ্ধতিসমূহ প্রয়োগ করা যেতে পারে।
সারসংক্ষেপ
পল্লী সমাজসেবা হচ্ছে সমষ্টি উন্নয়ন কেন্দ্রিক বহুমুখী সমন্বিত গ্রামীণ উন্নয়ন প্রক্রিয়া। গ্রামের পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর
দারিদ্র্য বিমোচন ও আর্থ-সমাজিক উন্নয়নে বৃক্তিমূলক ও কারিগরি প্রশিক্ষণ, ক্ষুদ্রঋণ প্রদান, শিক্ষা ও সচেতনতামূলক
কর্মসূচিসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পরিচালনা করে থাকে। পল্লী সমাজসেবা কর্মসূচি যথাযথ বাস্তবায়নে সমাজকর্মের
জ্ঞান, নীতি, মূল্যবোধ, কৌশল ও পদ্ধতি প্রয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৬.৬
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন:
১। পল্লী সমাজসেবা কর্মসূচির লক্ষ্যভুক্ত জনগোষ্ঠী কয় শ্রেণির হয়ে থাকে?
ক) তিন খ) চার
গ) পাঁচ ঘ) ছয়
২। পল্লী সমাজসেবা কর্যক্রমের টচওঈ কত সদস্য বিশিষ্ট হয়ে থাকে?
ক) ১৫ সদস্য খ) ১৬ সদস্য
গ) ১৭ সদস্য ঘ) ১৮ সদস্য
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র