ওয়ার্ল্ড ভিশন’র কার্যক্রমে সমাজকর্ম পদ্ধতির প্রয়োগ (Application of Social Work Methods in the Programmes of World Vision)

বিশ্বব্যাপী যেসকল প্রতিষ্ঠান বঞ্চিত অরক্ষিত ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করছে ওয়ার্ল্ড
ভিশন তার মধ্যে অন্যতম। ১৯৭০ সাল থেকে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের নারী ও শিশুদের সার্বিক কল্যাণে কাজ করে
যাচ্ছে। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ’র কৌশলগত উদ্দেশ্যের সাথে সমাজকর্মের উদ্দেশ্যের মিল রয়েছে। সংস্থার বিভিন্ন
কার্যক্রমে সমাজকর্ম পদ্ধতির প্রয়োগ লক্ষণীয়।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশে নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধ, পাচার হওয়া শিশু পুনরুদ্ধার, পাচারকৃত শিশুকে পুনরুদ্ধার করে
যথাযথ পুনর্বানের ব্যবস্থা করে। ওয়ার্ল্ড ভিশন শিশু পাচার রোধে প্রশিক্ষণ দান, গণসচেতনা সৃষ্টি স্থানীয় পর্যায়ে কমিটি
গঠন এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ দল গড়ে তোলে। যেসব শিশু ও নারী ইতোমধ্যেই পাচারের শিকার হয়েছে তাদের উদ্ধার
করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়। এক্ষেত্রে পাচারের শিকার শিশুদের মূল স্রোতধারায় ফিরিয়ে আনার জন্য কাউন্সেলিং
প্রদান উদ্দীপনামূলক কার্যক্রম গ্রহণ এবং শিশুদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করে থাকে যা সমাজকর্মের নীতিমালার বাস্তবিক
প্রয়োগ। একই সাথে পাচার ও বাল্যবিবাহ নিরোধে দলভিত্তিক কার্যক্রমে দল সমাজকর্ম পদ্ধতির প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়।
সমষ্টি উন্নয়ন পদ্ধতির অন্যতম লক্ষ্য হলো সমষ্টির অংশগ্রহণের মাধ্যমে মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি
প্রণয়নে সমষ্টিকে উৎসাহিত করা। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ শিশুদের যথার্থ উৎসাহিত করে। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ
শিশুদের যথাথ বিকাশ ও বৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থা করে এবং
কমিউনিটি ভিত্তিক শিশু নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সহায়তা করে ও কমিউনিটিতে সচেতনতা তৈরি করে। সুতরাং বলা যায় ওয়ার্ল্ড
ভিশন বাংলাদেশ’র কার্যক্রমে সমষ্টি উন্নয়ন পদ্ধতির প্রয়োগ রয়েছে। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ’র শিক্ষা, দারিদ্র বিমোচন,
সুস্থ উন্নয়ন, সংশোধন ও সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ব্যক্তি সমাজকর্মের প্রয়োগ গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তির মূল্য ও মর্যাদার
স্বীকৃতি, আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার ও আত্মনির্ভরশীলতার মাধ্যমে দেশকে উন্নতির দিকে অগ্রসর করার ক্ষেত্রে সমাজকর্মের
অন্যান্য পদ্ধতির ন্যায় ব্যক্তি সমাজকর্মের প্রয়োগ অনস্বীকার্য। ওয়ার্ল্ড ভিশন’র উপরিউক্ত কার্যক্রমে ব্যক্তি সমাজকর্মের
প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়। সমষ্টির জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, দুর্যোগে নারী ও শিশুকে
নিরাপদে রাখা, শিশুদের শিক্ষা বিস্তারে সহায়তা, শিশুদের উন্নয়ন এবং নারীদের কল্যাণে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ সমষ্টি উন্নয়ন পদ্ধতির প্রয়োগ করে থাকে।
সারসংক্ষেপ
ব্যক্তির উন্নয়নের পাশাপাশি দলীয় আন্তসম্পর্ক ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে গঠনমূলক কার্যক্রমে সমাজকর্ম পদ্ধতির প্রয়োগ
অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ শিশুদের উন্নয়নে শিশু সুরক্ষামূলক, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত প্রকল্প, পাচার
রোধে প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক প্রকল্প গ্রহণ করে থাকে। এসব কার্যক্রমে সমাজকর্ম পদ্ধতির প্রয়োগ লক্ষণীয়।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৮.৫
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন :
১। ওয়ার্ল্ড ভিশন কোন শিশুদের জন্য কাউন্সেলিং ও উদ্দীপনামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে কে?
ক) প্রাথমিক শিক্ষার ভর্তিকৃত শিশু খ) ঝরে পড়া শিশু
গ) পাচারের শিকার শিশু ঘ) অনানুষ্ঠানিক শিক্ষায় ভূর্তীকৃত শিশু
২। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের কৌশলগত উদ্দেশ্যের সাথে সাদৃশ্য রয়েছে?
ক) সমাজকর্মের উদ্দেশ্যের খ) ব্যক্তি স্বাতন্ত্রবাদের
গ) সমষ্টি উন্নয়নের ঘ) সমষ্টি সংগঠনের

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]