শিশুদের সক্ষমতার পূর্ণ বিকাশের মাধ্যমে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করে
যাচ্ছে ইউনিসেফ। দুর্যোগকবলিত, সুবিধাবঞ্চিত, অসুবিধাগ্রস্ত, যুদ্ধকবলিত, প্রতিবন্ধী ও সহিংসতার শিকার শিশুদের
উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে ইউনিসেফ। ইউনিসেফ শিশুদের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, নিরাপদ পানি সরবরাহ,
শিশু অধিকারের জন্য এ্যাডভোকেসিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে। ইউনিসেফ’র বিভিন্ন কার্যক্রমে সমাজকর্ম
পদ্ধতির প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়।
২০০৬ সাল থেকে ইউনিসেফ বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় পার্বত্য চট্রগ্রাম, নগর বস্তি এবং অন্যান্য অবহেলিত
এলাকায় প্রাক-শিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিশুদের সার্বিক উন্নয়নে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে। শিশুদের অশিক্ষার মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে ভাষাগত, সামাজিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক
উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দেয় ইউনিসেফ যা সমাজকর্মের ব্যক্তি সমাজকর্ম পদ্ধতির মূল দর্শনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
দারিদ্র্যের কারণে বাংলাদেশের অনেক শিশু স্কুল থেকে ঝরে পরে। আবার অনেক সময় বাবা-মা দারিদ্র্যের কারণে ছেলে
মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে চান না এবং অনেক দরিদ্র পিতামাতা তাদের সন্তানদের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত করেন।
ইউনিসেফ বাংলাদেশ এসব ঝরে পড়া শ্রমজীবী শিশুদের বাস্তবমুখী ও জীবনমুখী শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে।
এসব কার্যক্রমে অভিভাবকদের সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি কমিউনিটি ভিত্তিক সচেতনতা সৃষ্টিমূলক কার্যক্রম পরিচালনা
করে যা সমাজকর্মের সমষ্টি উন্নয়ন পদ্ধতিরও অন্যতম কার্যক্রম।
নগরের বস্তি অঞ্চলে দারিদ্র্য বিমোচন, মৌলিক সেবার উপস্থিতি বৃদ্ধি, মাদকাসক্ততা নির্মূল করা এবং সেবা নিশ্চিত করার
লক্ষ্যে ইউেিনসেফ কাজ করে। এ কার্যক্রমে অনেকটাই সমাজকর্মের সমষ্টি সংগঠন ও সমষ্টি উন্নয়ন নীতিমালা গ্রহণ করা
হয়। তাছাড়া কমিউনিটি এ্যাডভোকেসি এবং অংশীদারিত্ব কমিউনিটি উন্নয়নের অন্যতম উপাদান বলে মনে করা হয়।
ইউনিসেফ ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্নমুখী গঠনমূলক তৎপরতাকে উৎসাহিত করে
থাকে। তাই বলা যায় ইউনিসেফ’র বিভিন্ন কার্যক্রমে সমাজকর্ম পদ্ধতির প্রয়োগ লক্ষণীয়।
সারসংক্ষেপ
ইউনিসেফ’র বিভিন্ন কার্যক্রম যেমনÑ শিশু সুরক্ষা, শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, জীবনমুখী শিক্ষা, কিশোরদের জীবন
দক্ষতা মূলক শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কার্যক্রম, পানি এবং স্যানিটেশন সেবা ইত্যাদিতে ব্যক্তি সমাজকর্ম, দল সমাজকর্ম
এবং সমষ্টি উন্নয়ন ও সমষ্টি সংগঠন পদ্ধতির প্রয়োগ লক্ষণীয়।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৮.৯
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন:
১। সমষ্টি উন্নয়নের অন্যতম উপাদান কোনটি?
ক) শিশু সুরক্ষা খ) স্বাস্থ্য সচেতনতা
গ) জীবনমুখী শিক্ষা ঘ) কমিউনিটি অংশীদারিত্ব
২। ইউনিসেফ পার্বত্য অঞ্চলে প্রাক-শিক্ষণ কার্যক্রম চালু কওে কত সালে?
ক) ২০০৫ সালে খ) ২০০৮ সালে
গ) ২০০৬ সালে ঘ) ২০১০ সালে
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র