এপিকিউরিয়ানবাদের মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ স্টোয়িক দর্শনের প্রধান ধারাসমূহ

হেলেনীয় যুগে গ্রীক দার্শনিক এপিকিউরাস (৩৪১-২৭০ খ্রী: পূ:)-এর উপর ভিত্তি করে গড়ে
উঠে সুখবাদী মতবাদ। এই মতবাদের মৌলিক শিক্ষা হচ্ছে মানুষের জন্যে সবচেয়ে কল্যাণকর
উপাদান হল ‘আনন্দ’ এবং জীবনের একান্ত উদ্দেশ্য হচ্ছে তা অর্জন করা। এপিকিউরীয়দের
ধারণায় সুখ আসতে পারে যাবতীয় ভয়-ভীতি, বিশেষত ঈশ্বর ভীতি, মৃত্যু ভয় ও পরকালের
ভীতি ইত্যাদিকে জয় করার মাধ্যমে। তাদের দর্শনের প্রধান লক্ষ্য ছিল মানুষকে জগৎ-জীবন
সম্পর্কিত বিষয়াদিতে যাবতীয় ভয়-ভীতির উর্ধ্বে নিয়ে আসা। এপিকিউরীয় দর্শন অতিমাত্রায়
ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদী প্রকৃতির। এই দার্শনিক মহলের প্রতিষ্ঠাতা এপিকিউরাস চেয়েছিলেন মানুষের
সুখ ও সদ্গুণাবলীকে রাজনৈতিক পরিবেশ থেকে মুক্ত রাখতে। তিনি প্রচার করেন যে, ব্যক্তির
কল্যাণ সাধনের জন্য রাষ্ট্রের ধারণা কোন মাধ্যম হিসেবে কাজ করতে পারে না।
এপিকিউরিয়ানবাদের দৃষ্টিতে রাজনীতিতে জ্ঞানী ব্যক্তিদের স্থান নেই; যদি না তারা এ কাজের
জন্যে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এ ধরণের জীবন জ্ঞানী ব্যক্তির স্পৃহা ও নীতিনিষ্ঠ অস্থিত্বের সাথে
বেমানান এবং বোঝাস্বরূপ। এপিকিউরীয়রা যে-কোন ধরণের রাজনৈতিক কর্তৃত্বের প্রতি
আনুগত্যের শিক্ষা দেয়, যদি তা সমাজে সুখ ও শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকে।
এপিকিউরাসের ‘বিজ্ঞ আত্ম-স্বার্থের’ ধারণা সাংবিধানিক দক্ষ সরকার পরিচালনায় পরিপুরক।
এ চিন্তার অনুসারীদের এটাও শিক্ষা দেয়া হয় যে ‘সাংবিধানিক সরকার’ এবং ‘দক্ষ কর্তৃত্ববাদী’
শাসনের মধ্যে পার্থক্য সামান্যই।
এপিকিউরীয় দর্শনের অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ঈশ্বর সম্পর্কে ধারণা। ঈশ্বরের
অস্তিত্বকে মেনে নিয়েই তারা যুক্তি উত্থাপন করতেন যে ‘সুখী এবং বিলয়হীন’ অতিন্দ্রিয় শক্তি
হিসেবে মানুষের কাজকর্মে ঈশ্বরের তেমন কোন আগ্রহ নেই। এভাবে ‘মৃত্যু ভয় ও ঈশ্বরের
ক্রোধ’ থেকে মানুষকে মুক্ত করার প্রয়াস চালায় এপিকিউরীয় দার্শনিকগণ। এপিকিউরাসের
মতে, একজন ব্যক্তি তখনই মৃত্যুভয়কে জয় করতে পারে যখন সে আত্মার গঠন সম্পর্কে
সঠিক ধারণায় উপনীত হতে সক্ষম। বস্তুবাদী চিন্তাধারার আলোকে তারা দাবি করেন যে,
আত্মা হচ্ছে মানুষের সারা দেহে বিস্তৃত সু²াতিসু² অনেকগুলো কোষের সমষ্টি। মৃত্যুর পর
দেহের বিনাশ সাধনের সাথে সাথে মানুষের আত্মাও বিনাশপ্রাপ্ত হয়। দেহের বাইরে যেহেতু
আত্মা বিরাজ করতে পারে না; এ জন্যেই মৃত্যুর পর কোন মরণোত্তর জীবনের সম্ভাবনা নেই।
তাদের যুক্তিতে, মৃত্যু মানেই পুরোপুরিভাবে বিনাশ হয়ে যাওয়া।
নীতিশাস্ত্রের অন্তর্নিহিত গুণাবলী তথা ন্যায়নীতি, সততা এবং আনন্দ-বেদনার মাঝে ভারসাম্য
রক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয় এপিকিউরীয় মতবাদে। এপিকিউরাস মনে করেন আত্ম-
নিয়ন্ত্রণ, পরিমার্জন ও বন্ধনমুক্তি মানুষকে প্রকৃত সুখের স্বাদ এনে দিতে পারে। বস্তুবাদী হওয়া
সত্তে¡ও তিনি ইচ্ছার স্বাধীনতায় আস্থাশীল ছিলেন। এপিকিউরাস শিক্ষা প্রদান করেন - বিশাল
মৃত্যু ভীতির হাত থেকে অবমুক্ত হয়ে মানুষ কতটা স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে সক্ষম। তাঁর
মতে, ‘মানুষ যা চায় তা হল সুখ এবং যা তারা বর্জন করতে চায় তা হল দুঃখ’। মানুষের
জীবনের উদ্দেশ্য ‘সুখ’ ছাড়া অন্য কিছু নয়। যেহেতু উত্তম কোনকিছুর মাত্রাই হল সুখ, একটি
সুখের চাইতে অপর সুখের মাত্রাগত তারতম্য হতে পারে, তা উৎকৃষ্ট অথবা নিকৃষ্ট হতে পারে
না। এপিকিউরাস আরো দাবি করেন যে, মানুষের সকল উপলব্ধির শুরু এবং শেকড় হল
‘উদরের সুখ’; এমনকি প্রজ্ঞা ও সংস্কৃতির সুখও এর সাথে জড়িত। এপিকিউরীয়রা এক্ষেত্রে যা
দীক্ষা প্রদান করে তা হল “খাও দাও ফ‚র্তি কর, কিছুই না বহন কর।”
এপিকিউরীয় দর্শনকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানের কোন কোন বিশ্লেষক ‘লাগামহীন’ দর্শন বলে অভিহিত
করেন। কেউ কেউ মনে করেন এই দর্শন ছিল অষ্টতায় ভরা। এসব সমালোচনা থাকা সত্তে¡ও
বলা চলে এই দর্শন ছিল ধারাবাহিকতাপূর্ণ। ফলে তাদের সমকালীন স্টোয়িক দর্শনের তুলনায়
ইতিহাসের চড়াই-উৎরাই অতিক্রম করে আরো একটি জীবন্ত— দর্শন হিসেবে অক্ষুন্ন রয়েছে
এপিকিউরীয় চিন্তাধারা। এই দর্শনের অনুসারীদের মাঝে গ্রিক ব্যাকরণবিদ এপোলোডারাস,
রোমান কবি হোরাস, রাষ্ট্রনায়ক প্লিনি দ্য ইয়াংগার, কবি লুকরেটাস উল্লেখ্য। এপিকিউরীয়
চিন্তাধারা চতুর্থ শতাব্দীতে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পর সপ্তদশ শতাব্দীতে ফরাসী দার্শনিক পিয়ারে
গ্যসেন্ডির ছোঁয়ায় পুনর্জীবন ফিরে পায়। অতঃপর ডেভিড হিউম (১৭১১-৭৬) এবং জেরেমি
বেন্থাম (১৭৪৮-১৮৩২) এপিকিউরীয় মতবাদের উপর ভিত্তি করে রচনা করেন তাঁদের
উপযোগবাদী রাষ্ট্র দর্শন। এপিকিউরাসের দর্শনের সাথে পরিচয় না থাকা সত্তে¡ও তাঁর
নিরীশ্বরবাদী চিন্তাধারা যুগ যুগ ধরে বহু মানুষের মাঝে বিদ্যমান। উপরন্তু, এপিকিউরীয় মতবাদ
অদ্যাবধি নৈতিক দর্শনের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য চিন্তাধারা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে আসছে।
স্টোয়িক দর্শন
এরিস্টটলীয় চিন্তাধারার পর হেলেনীয় যুগে স্টোয়িক দর্শন একটি সাড়া জাগানো মতবাদ
হিসেবে বিকশিত হয়। এপিকিউরিয়ানবাদের প্রতিদ্ব›দ্বী এই মতবাদ এথেন্সের ষ্টোয়া নামক
স্থানকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে। এই মতবাদের প্রবর্তন সিনিকদের মাধ্যমে হয়ে থাকলেও এর
গ্রিক স্থপতি এন্টিসথেনেস ছিলেন সক্রেটিসের শিষ্য। তিন পর্বে বিকশিত হয় এই মতবাদ।
প্রথম পর্যায়ে ৩০০-২০০ খ্রি: পূ:। দ্বিতীয় পর্যায় ২০০-৫০ খ্রি. পূ. এবং তৃতীয় পর্যায় রোমান
শাসনামল পর্যন্ত বিস্তৃত। প্লেটো অনুসৃত ধারায় স্টোয়িক দর্শনের চারটি অন্তর্নিহিত গুণাবলী
হল: প্রজ্ঞা, সাহস, ন্যায়নীতি ও মিতাচার। এপিকিউরিয়ানবাদের মত স্টোয়িক দর্শন ছিল
একান্তভাবেই ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদী।
স্টোয়িক দর্শনের রয়েছে প্রধান তিনটি ধারা। যথা : ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ, বিশ্বজনীনতাবাদ ও
সামাজিক মতবাদ। এই দর্শনের কেন্দ্রবিন্দু হল ব্যক্তি, ইচ্ছার দিক থেকে সে স্বায়ত্বশাসিত,
সে নিজেই তার আত্মার মনিব এবং ভাগ্যের নিয়ামক। স্টোয়িকদের কাছে সদ্গুণ আনন্দময়
এবং বদ্গুণ অনিষ্টকর। সদগুণ এবং বদগুণ হল যথাক্রমে ইচ্ছার সঠিক ও ভ্রান্ত- বহি:প্রকাশ।
স্টোয়িকদের মতে ব্যক্তি মানুষের এসব বৈশিষ্ট্য পুরোপুরিভাবে ইচ্ছার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এ
ভাবে তারা মতামত জ্ঞাপন করেন যে ব্যক্তির প্রকৃত কল্যাণ তার নিজস্ব ক্ষমতার আওতাধীন।
স্টোয়িকদের ধারণা একজন জ্ঞানী ব্যক্তি তার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী কেবল তার ইচছার সঠিক
দিকটির প্রতিফলন ঘটাবেন।
জীবনের তাৎপর্যকে স্টোয়িকরা প্রকৃতিগতভাবে দু’ভাবে উপস্থাপন করেন। প্রথমত: ব্যক্তি তার
সহজাত প্রবৃত্তি অনুযায়ী সাধারণ বাসনাগুলো যুক্তিসঙ্গতভাবে পূরণ করতে তৎপর হবে।
দ্বিতীয়ত: একই মানব পরিবারের সদস্য হিসেবে সে অপরাপর সদস্যের প্রতি সহযোগিতার
হাত প্রসারিত করবে। স্টোয়িকরা আরো মনে করত যে, প্রত্যেক ব্যক্তি অন্যান্যদের তুলনায়
একটি নির্দিষ্ট ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় প্রকৃতি প্রদত্ত বিধান অনুযায়ী। একজন ব্যক্তি
প্রকৃতিগতভাবে যুক্তির অধীনে কাজ করে এবং যুক্তি হল ব্যক্তির সর্বোৎকৃষ্ট অংশ যার ফলাফল
তার মন:পুত না হলেও একে সে সমর্থন করে। একজন যুক্তিশীল মানুষ হিসেবে সে জানে
সদ্গুণ প্রকৃত অর্থেই ব্যক্তিনিরপেক্ষ এবং তার জীবনে যা কিছু ঘটছে তা প্রকৃতির শাশ্বত
বিধান অনুযায়ী ঘটে চলেছে।
মানুষের যুক্তিশীল চিন্তার প্রতি স্টোয়িকদের ছিল প্রগাঢ় আস্থা। তারা মনে করত ঈশ্বর যুক্তিশীল
এবং মানুষও যুক্তিশীল। মানুষ ঈশ্বরের সন্তান এবং সে হিসেবে প্রতিটি মানুষ একে অপরের
ভাই-বোন। যেহেতু মানুষ যুক্তি দ্বারা পরিচালিত, সে হিসেবে তারা সবাই সমান। এ ভাবে
স্টোয়িকদের ধারণা অনুযায়ী পৃথিবী হল একটি বিশ্ব রাষ্ট্র। এখানে ঈশ্বর ও মনুষ্যক‚ল সবাই
এর নাগরিক এবং এখানে রয়েছে সত্যিকারের যুক্তিশীল সংবিধান, যা মানুষকে কোন্ কাজটি
করণীয় এবং কোন্টি বর্জনীয় তা শিক্ষা দেয়। এখানে সঠিক যুক্তি হল প্রকৃতির আইন, ঈশ্বরের
বিধান যার নীতিমালা, শাসক-প্রজা নির্বিশেষে সবার ক্ষেত্রে যা প্রযোজ্য।
স্টোয়িকদের মতে, প্রতিটি মানুষের জন্য দু’ধরণের আইন রয়েছে। প্রথমত: তার নগরীর
আইন বা রীতি-নীতি; দ্বিতীয়ত: বিশ্ব-নগরের আইন তথা যুক্তির আইন। এ দু’টো আইনের
মধ্যে দ্বিতীয়টির বৃহত্তর ক্ষমতা থাকা চাই; এবং এর ভিত্তিতেই রচিত হবে নগরীর শাসনতান্ত্রিক
বিধি-বিধান, প্রথা ও রীতি-নীতি। নগরীর রীতি-নীতি বহুবিধ হলেও যুক্তি এক। সেদিক থেকে
রীতি-নীতির কাজ হবে যুক্তির উদ্দেশ্যে পরিচালিত হওয়া। এ ভাবে স্টোয়িক মতবাদকে দেখা
হয় বিশ্ব-বিস্তৃত একটি বিধি ব্যবস্থা হিসেবে যার রয়েছে অসংখ্য শাখা-প্রশাখা। এ মতবাদ
ব্যক্তির সামাজিক স্বাতন্ত্রের গুরুত্বকে পরিহার করে রাষ্ট্রসম‚হের মাঝে সমঝোতা বৃদ্ধির প্রয়াস
চালায়। এভাবে স্টোয়িক দর্শন বিশ্বজনীন মতবাদ থেকে মানবতাবাদে পরিণত হয়। অবশ্য,
স্টোয়িকরা প্রচলিত দাসপ্রথার বিরোধিতা করে নি। তাদের ধারণা, মানুষের বাইরের
পদমর্যাদার চেয়ে তার ভেতরের মানুষটির গুরুত্বই অধিক।
রাষ্ট্রতত্তে¡র ইতিহাসে স্টোয়িক দর্শন এক গুরুত্বপুর্ণ স্থান দখল করে আছে। এ মতবাদ
প্রাকৃতিক আইনের ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করে যা পরবর্তীতে রোমান জুরিসপ্রæডেন্সের ভিত্তি
হিসেবে কাজ করে। রাষ্ট্রতত্তে¡ খ্রিষ্টিয় মতবাদ, মধ্যযুগীয় ও আধুনিক চিন্তাধারা বহুলাংশে স্টোয়িক দর্শনের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে।
সারকথা
এপিকিউরিয়ানবাদের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হল ব্যক্তি জীবনের জন্য সর্বময় সুখের
অনুসন্ধান। তাদের মতে, যা-কিছুই সুখ বা আনন্দদায়ক তা-ই ‘ভালো’, আর যা দুঃখ
দেয় তা-ই ‘মন্দ’। যাবতীয় অকল্যাণ ও ভয়-ভীতির শৃঙ্খল থেকে ব্যক্তিকে অবমুক্ত করে
স্বাধীন আনন্দ চর্চাই তাদের লক্ষ্য। তবে এক্ষেত্রে আনন্দ-উপভোগ যাতে লাগামহীন হয়ে
না পড়ে সেজন্যে ন্যায়নীতি, সততা ও আনন্দ-বেদনার মাঝে ভারসাম্য রক্ষা করার
পরামর্শ রয়েছে এই মতাদর্শে। স্টোয়িক দর্শন অত্যন্ত পরিচ্ছন্নভাবে মানুষের সমতার
বাণীকে প্রতিষ্ঠা করে গেছে। ‘বিশ্ব নাগরিকত্বের’ ধারণা স্টোয়িকদের সৃষ্টি। মানুষের মাঝে
বিশ্বভ্রাতৃত্বের বন্ধন এবং বিশ্ব সরকারের ধারণা প্রচার স্টোয়িক দর্শনের মৌলিক অবদান।
মানুষের নৈতিক মূল্যবোধের প্রতি গুরত্বারোপের মাধ্যমে এই মতবাদ রাষ্ট্রতত্তে¡র ইতিহাসে আজো সমুজ্জ্বল হয়ে আছে।
সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চিহ্ন দিন।
১। এপিকিউরিয়ানবাদ কোন্ ধরণের মতবাদপুষ্ট?
(ক) এপিকিউরিয়ানবাদ গণতন্ত্রের সমর্থক;
(খ) এটি স্বৈরতান্ত্রিক শাসনকে সমর্থন করে;
(গ) এটি ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদকে উৎসাহিত করে;
(ঘ) এটি নৈরাজ্যবাদী ভাবধারাকে সমর্থন যোগায়।
২। স্টোয়িক দর্শন অনুযায়ী ব্যক্তি কিসের প্রভাবে কাজ করে?
(ক) ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় আইনের প্রভাবে কাজ করে থাকে;
(খ) পুলিশী নির্যাতন ও হয়রানির ভয়ে কর্মতৎপর হয়;
(গ) প্রকৃতিগতভাবে যুক্তির অধীনে কাজ করে থাকে;
(ঘ) রুটি-রোজির প্রয়োজনে কাজ করে।
সংক্ষিপ্ত উত্তরমূলক প্রশ্ন
১। এপিকিউরিয়ানবাদে মানুষের জীবনের একান্ত উদ্দেশ্য কি?
২। স্টোয়িক দর্শন কোথায় কখন বিকশিত হয়?
৩। এপিকিউরিয়ানবাদের সাথে স্টোয়িক দর্শনের মৌলিক পার্থক্য কি?
৪। ‘দুষ্টের দমন শিষ্টের লালন’ প্রবাদটি স্টোয়িক দর্শনের সাথে কতটা সঙ্গতিপূর্ণ?
রচনামূলক প্রশ্ন
১। এপিকিউরিয়ানবাদের মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ ব্যাখ্যা করুন।
২। স্টোয়িক দর্শনের প্রধান ধারাসমূহ বর্ণনা করুন।
ঠিক উত্তর : ১। গ, ২। ঘ

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]