টমাস একুইনাসের রাষ্ট্রচিন্তা ব্যাখ্যা করুন। তাঁকে কি মধ্যযুগের এ্যারিষ্টটল বলা যায়?

মধ্যযুগের চিন্তাবিদ টমাস একুইনাস সিসিলি ও ক্যাম্পনিয়া রাজ্যের উপশহর রককানিক্কা নামক
স্থানে ১২২৫ খ্রিষ্টাব্দে এক সম্ভ্রান্তপরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১২৭৪ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ৪৭ বছর
বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এই স্বল্পকালের মধ্যেই তিনি বেশ কয়েকটি গ্রন্থরচনা করেন।
তাঁর রচনাবলীর মধ্যে ঝঁসসধ ঞযবড়ষড়মরপধ অমর গ্রন্থ। এই গ্রন্থেতিনি প্রাচীন গ্রীক চিন্তাবিদ
এরিস্টটলের ধ্যান-ধারণার সাথে রোমের আইন ও খ্রিষ্টান ধর্মের সমম্বয় ঘটান। অল্প বয়স
থেকেই তিনি দর্শন শিক্ষার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেন। তিনি প্যারিসে গমন করে আলবার্টের
শিষ্যত্বগ্রহণ করেন। তার জ্ঞানের গভীরতা ও উদারতার জন্যে তিনি সারা বিশ্বেখ্যাতি অর্জন
করেন। তাঁর মতবাদে মধ্যযুগের তিনটি মহান চিন্তাসূত্র প্রতিফলিত হয়েছে। (১) বিশ্বজনীনতা
(২) পান্ডিত্যবাদ ও (৩) এরিস্টটলীয় দর্শন।
আইন তত্ত¡
আইন সম্পর্কিত তত্ত¡ও চিন্তাধারায় টমাস একুইনাসের মৌলিকত্ববিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায়।
তাঁর আইন সংক্রান্তচিন্তা প্রাচীন গ্রীক ও রোমান ধারণার সাথে সংমিশ্রিত হয়ে ইউরোপীয়
চিন্তাধারার মাধ্যমে আধুনিক যুগ পর্যন্তসম্প্রসারিত হয়েছে। একুইনাসের মতে,আইন হল
ক্রিয়াকর্মের পদ্ধতি ও নিয়ম। এই পদ্ধতি ও নিয়ম দ্বারা মানুষ কোন কাজ করতে প্রলুব্ধ হয়
অথবা কোন কাজ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখে।(তিনি বলেন যে, আইন
হল যুক্তির প্রকাশ। জীবনের উদ্দেশ্য সাধন এবং রাষ্ট্রও নাগরিকের নৈতিক উন্নতির জন্য
তিনি আইনকে সামাজিক কল্যাণ বাস্তবায়িত করার একটি কার্যকর পদ্ধতি বলে বর্ণনা
করেছেন।
একুইনাস আইনকে চারটি শ্রেণীতে বিভক্ত করেছেন। যেমন ঃ
● শাশ্বত আইন
● প্রাকৃতিক আইন
● ঐশ্বরিক আইন
● মানবিক আইন
শাশ্বত আইনঃ শাশ্বত আইন বা চিরন্তন আইনকে একুইনাস সর্বোচ্চ আইনের মর্যদা দিয়েছেন।
চিরন্তন আইন হল সেই স্বর্গীয় যুক্তি যার মাধ্যমে গোটা বিশ্বপরিচালিত হচ্ছে। তিনি বলেন,
আইন সমগ্রবিশ্বব্যাপী পরিব্যাপ্ত এবং ক্রিয়াশীল। এ আইন দ্বারা সমগ্রসৃষ্টি জগৎ নিয়ন্ত্রিত
হচ্ছে। তাঁর মতে এ আইনের নির্দেশ অন্যান্য আইনকে মেনে চলতে হবে। ঐশ্বরিক প্রজ্ঞাই শাশ্বত আইনের আকারে পার্থিব সমাজে প্রচলিত। আইন হল যুক্তির প্রকাশ
প্রাকৃতিক আইন: প্রাকৃতিক বা স্বাভাবিক আইন বিবেক ও যুক্তির মাধ্যমে সৃষ্টি হয়। টমাস
একুইনাসের মতে,“এটি শাশ্বত আইনের সেই অংশ যা যুক্তিবাদী প্রাণী মানুষ এবং অযুক্তিবাদী
জড় বস্তুর জন্য আমাদের প্রতিপালক প্রকাশ করেন।” প্রতিটি জীব ও বস্তুর মধ্যে এ আইনের
প্রতিফলন ঘটে। প্রাকৃতিক আইনের প্রভাবে মানুষ সন্তান জন্মদান এবং লালন পালন করে।
এই আইনের তাড়নার মানুষ নিজের অস্তিত্বরক্ষায় প্রয়াসী হয়। স্বাভাবিকভাবেই মানুষ সৎ ও
ভালকে পেতে চায় এবং অন্যায় ও মন্দ কাজকে এড়িয়ে চলে। দয়া- মায়া,প্রেম-প্রীতি মানুষের
প্রকৃতিসিদ্ধ এবং স্বাভাবিক ব্যাপার। বিধাতা মানুষকে যে স্বাভাবিক গুণাবলী দিয়েছেন সেগুলোর
যথাযথ ব্যবহার করে জীবনকে সুন্দর ও যথার্থভাবে গড়ে তোলা সম্ভব। একুইনাসের মতে
একমাত্র স্বাভাবিক আইনের ব্যবহারের মাধ্যমে এই লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।
ঐশ্বরিক আইন: ঐশ্বরিক আইন বলতে প্রধানত: বিধাতা কর্তৃক যেসব আদেশ-নিষেধ বিভিন্ন
ধর্মগ্রন্থেযেমন, বাইবেল, কুরআন প্রভৃতির মাধমে নির্দেশ করেছেন সেগুলোকে বুঝিয়েছেন।
সৃষ্টিকর্তা যুগে যুগে প্রেরিত দূতের মাধ্যমে মানুষের জন্য করণীয় ও অবশ্য পালনীয় হিসেবে
এ আইন প্রদান করেছেন। এ আইন মানুষের নৈতিক জীবন নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। সাধারণত:
এ আইনগুলো হচ্ছে স্রষ্টার আদেশ-নিষেধ। একুইনাস বলেন যে, ঐশ্বরিক আইনকে স্বাভাবিক
আইনের বিরোধী বলে মনে করা অনুচিত। ঐশী বাণীর মাধ্যমে মানুষ যে নির্দেশ লাভ করেছে
তাই ঐশ্বরিক আইন। ঐশ্বরিক আইন দু'ভাগে বিভক্ত। যথা: আদি বিধি
নববিধি । বিচার-বুদ্ধির সীমাবদ্ধতা হেতুমানুষে-মানুষে প্রায়ই বিরোধ
দেখা দেয়। এর নিষ্পত্তির জন্য ঐশ্বরিক আইনের প্রয়োজনীয়তার কথা তিনি গুরুত্বের সঙ্গে
উল্লেখ করেছেন।
মানবিক আইন: মানবিক আইনের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে একুইনাস বলেন, সমাজ ও সস্প্রদায়ের
দায়িত্বেনিয়োজিত ব্যক্তির মাধ্যমে ঘোষিত এবং যুক্তি থেকে উৎসারিত বিধান হল মানবিক
আইন। মানবিক আইনগুলো হল সাধারণ কল্যাণের জন্য যুক্তির নির্দেশ। সমাজের নৈতিকতা
ও সদাচারকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য মানবিক আইনের গুরুত্বকম নয়। এরিস্টটলকে অনুসরণ
করে তিনি প্রাকৃতিক আইন ও তার বাস্তবায়নের জন্য মানবীয় আইনের গুরুত্বের কথা স্বীকার
করেন। কেবল পাপীকে শাস্তিপ্রদান নয়, ঐশ্বরিক যুক্তিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্যও মানিবক
আইনের প্রয়োজন।
টমাস একুইনাস মানবিক আইনের কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছেন।
যেমনঃ
● মানবিক আইনের বিষয়বস্তুহবে শুধুমাত্র জাগতিক ও মানবিক;
● কোন ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক বিষয়ে মানবিক আইন প্রণীত হবে না;
● মানবিক আইন বৈধ ও সঠিক উৎস হতে উদ্ভুত হবে;
● মানবিক আইনের গ্রহণযোগ্যতা ও কার্যকারিতার জন্য যুক্তির শাসন অপরিহার্য;
● অভিন্নকল্যাণের (ঈড়সসড়হ মড়ড়ফ) সাথে মানবিক আইন সামঞ্জস্যপূর্ণহবে।
আইন সম্পর্কেটমাস একুইনাসের আলোচনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলেও তাঁর আইন তত্তে¡
যুগের প্রভাব রয়েছে। শাসকের ক্ষমতা অবশ্যই আইন অনুযায়ী পরিচালিত হবে।তাঁর মতে
শাসকের স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতা প্রয়োগ সমর্থন করা যায় না। তিনি স্বেচ্ছাচারী সরকারের পরিবর্তে
বৈধ সরকার সমর্থন করেছেন।
আইনতত্ত¡আলোচনায় টমাস একুইনাস বলেন যে, মানুষের জীবনে দুটি সত্তা বিদ্যমান-একটি
পার্থিব অন্যটি আধ্যাত্মিক। মানুষের পার্থিব লক্ষ্য অর্জিত হয় রাষ্ট্রের মাধ্যমে। কিন্তুআধ্যাত্মিক মুক্তি সম্পূর্ণভাবে ধর্মীয় তত্তে¡র বিষয়। তাঁর আইনতত্তে¡ যুক্তি ও বিশ্বাসের সমম্বয় সাধিত মানবিক আইনগুলো হল সাধারণ কল্যাণের জন্য যুক্তির নির্দেশ।
হয়েছে। তিনি রাষ্ট্রীয়দর্শন ও ধর্মীয়নীতির মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করেছেন। স্যাবাইন বলেন
একুইনাসের উদ্দেশ্য ছিল মানবীয় আইন ও দৈবিক আইনের মধ্যে সম্পর্কস্থাপন করা।
রাষ্ট্রও সরকার সম্পর্কেএকুইনাসের ধারণা
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এরিস্টটলকে অনুসরণ করে টমাস একুইনাস বলেন যে, রাষ্ট্রএকটি স্বাভাবিক
সংস্থা এবং এর উৎপত্তির মূলে রয়েছে মানুষের সহজাত সামাজিক প্রবৃত্তি। রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়েছে
মানুষের সার্বিক কল্যাণ সাধণের জন্যই। একুইনাস এরিস্টটলের সংঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেন,
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজের অস্তিত্বরাষ্ট্রও সরকারকে অপরিহার্যকরে তুলেছে। রাষ্ট্রহল
স্বয়ংসম্পূর্ণও পরিপূর্ণসংস্থা। তিনি উল্লেখ করেন যে, পার্থিব সুখ স্বাচ্ছন্দ কেবল রাষ্ট্রই মেটাতে
পারে। কল্যাণকর সংস্থা হিসেবে রাষ্ট্রের পরিধি অত্যন্তবিস্তৃত। সৎ ও সুন্দর জীবন যাপনের
জন্য রাষ্ট্রের এক উজ্জ্বল ভ‚মিকা রয়েছে। রাষ্ট্রকে এমনভাবে সুসংহত করতে হবে যাতে পার্থিব
সুখের উর্ধ্বেযে অপার্থিব শান্তিও আনন্দ বিরাজমান তা যেন অর্থহীন না হয়ে পড়ে। এজন্য
রাষ্ট্রের উচ্চতর সংগঠন তথা চার্চের প্রতি রাষ্ট্রের আনুগত্য থাকতে হবে। আত্মার মুক্তির জন্য
খ্রিষ্টীয় চার্চযাতে যথাযথ ভুমিকা পালন করতে পারে সেজন্য রাষ্ট্রউপযুক্ত পরিবেশ গড়ে
তুলবে।
সরকার সম্পর্কেএকুইনাসের ধারণা এরিস্টটলের ধারণার অনুরূপ। তিনি রাজতন্ত্রকে শ্রেষ্ঠ
সরকার বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন সমগ্রবিশ্বেরয়েছে এক সৃষ্টিকর্তা, এক ঈশ্বর।
দেহের বা শরীরের হাজারো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে রয়েছে এক অন্তকরণ। যেমন মৌমাছির
রয়েছে এক রাজা। অনুরূপভাবে প্রতিটি স্বাভাবিক সরকার হল একজনের সরকার।
ধর্মবিশ্বাসের ভিত্তিতে তিনি রাজতন্ত্রকে সমর্থন করেছেন। একাধিক ব্যক্তির সমম্বয়ে গঠিত
সরকার সামাজিক ঐক্য ও শান্তিবিঘিœত করে তুলতে পারে। একজন শাসকই হচ্ছে শান্তি
প্রতিষ্ঠার যোগ্যতম প্রতিভু। রাজতন্ত্রযাতে সেচ্ছাচারী না হয়, সে জন্য তিনি বংশানুক্রমিক
রাজতন্ত্রের চেয়ে নির্বাচিত রাজতন্ত্রকে শ্রেষ্ঠ মনে করেছেন। তিনি রাজতন্ত্রের ক্ষমতা সীমিত
করার পরামর্শদিয়েছেন। এরিস্টটলের অনুকরণে একুইনাস দু'টি নীতির ভিত্তিতে সরকারের
শ্রেণী বিভাগ করেছেন। প্রথমত: সকলের মঙ্গল, দ্বিতীয়ত, শুধুশাসকের মঙ্গল।
সরকার যখন নিজেদের স্বার্থেশাসন করে তখন তা অকল্যাণকর, বিকৃত ও অবৈধ সরকার।
সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা রোধ করার জন্য তিনি জনসাধারণকে রাষ্ট্রীয় কাজে সংক্রিয়ভাবে
অংশগ্রহণ করার পরামর্শদেন। তিনি উল্লেখ করেন, যে সরকার আইন অনুযায়ী পরিচালিত
হয় না তা অবৈধ ও পীড়নমূলক সরকার। সমাজের শান্তিও ঐক্য বিনষ্ট হলে কল্যাণ সাধন সম্ভব নয়।
সারকথা
টমাস একুইনাস প্রাচীন গ্রীক রাষ্ট্রচিন্তাবিদ এরিস্টটলের ধ্যান ধারণার মধ্যে রোমের আইন
ও খ্রিষ্টীয় ধর্মের সমম্বয় সাধন করেছেন। আইন সম্পর্কিত তত্ত¡ ও চিন্তাধারায় তাঁর
মৌলিকত্ব বিশেষভাবে লক্ষণীয়। তিনি মধ্যযুগের রাষ্ট্রচিন্তায় যুক্তিবোধের গোড়াপত্তন করেছিলেন।
সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চিহ্ন দিন।
১। টমাস একুইনাস কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
(ক) ১২৭৪ সালে; (খ) ১২২৫ সালে;
(গ) ১২৩০ সালে; (ঘ) ১২২০ সালে।
২। টমাস একুইনাস জনসাধারণকে রাষ্ট্রীয় কাজে কেন অংশ গ্রহণ করতে বলেছেন?
(ক) সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা রোধ করার জন্য; (খ) জনকল্যাণের জন্য;
(গ) শোষণ বন্ধ করার জন্য; (ঘ) অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য।
৩। নাগরিকের নৈতিক উন্নতির জন্য একুইনাস কিভাবে রাষ্ট্রের ক্ষমতা ব্যবহারের কথা
বলেছেন?
(ক) ধর্মীয় নীতি অনুযায়ী; (খ) বিবেক অনুসারে;
(গ) বিচারকের নির্দেশ অনুযায়ী; (ঘ) আইন অনুযায়ী।
৪। একুইনাসের মতে সৃষ্ট জীব-জন্তুও বস্তুর মধ্যে কোন আইনের প্রতিফল ঘটে?
(ক) ঐশ্বরিক আইনের; (খ) মানবিক আইনের;
(গ) প্রাকৃতিক আইনের; (ঘ) রাষ্ট্রীয় আইনের।
সঠিক উত্তর মালা ঃ ১। খ ২। খ ৩। ঘ ৪।গ
রচনামূলক প্রশ্ন
১। রাষ্ট্রও সরকার সম্পর্কেটমাস একুইনাসের ধারণা ব্যাখ্যা করুন।
২। আইনতত্ত¡সম্পর্কেএকুইনাসের চিন্তা আলোচনা করুন।
৩। টমাস একুইনাসের রাষ্ট্রচিন্তা ব্যাখ্যা করুন। তাঁকে কি মধ্যযুগের এ্যারিষ্টটল বলা যায়?

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]