টমাস হব্স্ এর রাষ্ট্রচিন্তার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করুন।

টমাস হব্স্ (১৫৮৮-১৬৭৯) ইংল্যান্ডের এক যাজক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ২০
বৎসর বয়সে মেধাবী হব্স্ অক্সফোর্ডবিশ্ববিদ্যালয় থেকে ¯œাতক হন এবং রাজ পরিবারের
গৃহশিক্ষকের পদে যোগ দেন। ইংল্যান্ডে এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশে নানা ঘাত প্রতিঘাতের
মধ্য দিয়ে তিনি তাঁর জীবনকাল অতিক্রান্তকরেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যে জন্য তিনি খ্যাত
হয়ে আছেন সেই আলোড়ন সৃষ্টিকারী রচনা লেভিয়েথান ১৬৫১ সালে প্রকাশিত
হয়। লেভিয়াথানে তিনি চরম রাজতন্ত্রের প্রতি শর্তহীন সমর্থন জ্ঞাপন করেন। তৎকালীন
রাজনৈতিক পেক্ষাপটে তিনি চরম রাজতন্ত্রকে উপযুক্ত শাসন ব্যবস্থা মনে করেছিলেন এবং
উক্ত পুস্তকে তারই প্রতিফলন ঘটেছে। কিন্তু তাঁর এ লেখা তৎকালে পার্লামেন্টপন্থী,
রাজতন্ত্রবাদী, গীর্জা কাউকেই খুশী করতে পারে নি। ফলে দেশে-বিদেশে চরম অনিশ্চয়তার
মধ্যে তাঁকে দিন যাপন করতে হয়। হব্স্রে রাষ্ট্রীয় দর্শন সমসাময়িক ঘটনাবলীর দ্বারা অংশত
প্রভাবিত বলে অনেকে মনে করে থাকেন। অবশ্য হবস নিজেও স্বীকার করেছেন যে,
সমসাময়িক ঘটনার দ্বারা তিনি প্রভাবিত হয়েছিলেন। উল্লেখ্য, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্তহব্স্
তৎকালীন ইংল্যান্ডের সীমাহীন অশান্তরাজনৈতিক পরিস্থিতি অবলোকন করেছেন। হব্স্-এর
জীবদ্দশায় ঐ সময়টি ছিল ইংল্যান্ডের গৃহযুদ্ধ এবং রাজা ও পার্লামেন্টের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দে¡র
যুগ। ১৬০৩ সালে এলিজাবেথ মারা যাবার পর থেকে ১৬৮৮ সালের গৌরবময় বিপ্লব পর্যন্ত
ইংল্যান্ডের এই গৃহযুদ্ধ কমবেশী একটানা স্থায়ী ছিল। ফলে দেশ জুড়ে নৈরাজ্য,
নিরাপত্তাহীনতা বিরজমান ছিল। ইতিাহাসের এরূপ যুগসন্ধিক্ষণে হব্স্ আর্বিভ‚ত হয়েছিলেন।
অংশত রাজপরিবারের প্রতি দুর্বলতার কারণে এবং অংশত আত্ম উপলব্ধি থেকে তাঁর মধ্যে এ
ধারণা বদ্ধমূল হয় যে, রাজার হাতে বিপুল ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন। আর এ জন্যই তিনি রাজার
হাতে চরম সার্বভৌম ক্ষমতা তুলে দিতে চেয়েছেন। ব্রিটেনকে নৈরাজ্য, ও গৃহযুদ্ধাবস্থা থেকে
রক্ষা করার জন্য তিনি প্রচার করলেন ‘চরম সার্বভৌমতত্তে¡র।'
একজন বস্তুবাদী চিন্তাবিদ হিসাবে হব্স্ই প্রথম দার্শনিক যিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে ‘বৈজ্ঞানিক নীতি'র
উপর প্রতিষ্ঠিত করেন। অধ্যাপক স্যাবাইনের মতে, তাঁর এ বৈজ্ঞানিক নীতি ‘বস্তুবাদ' বলে
অভিহিত। তাঁর মতে, যা কিছুঅস্তিত্বশীল তাই বস্তুএবং পরিবর্তন মানে গতি। এই গতিতত্ত¡কে
তিনি রাজনীতি বিশ্লেষণে প্রয়োগ করেছেন। গতি-নির্ভর দর্শনকে তিনি তিন ভাগে ভাগ
করেছেন, যথা: (ক) ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য ভৌত ঘটনা, তথা-পদার্থবিদ্যা ও জ্যামিতি, (খ) ব্যক্তির
জ্ঞান অনুভ‚তি বা চিন্তা-নির্ভর মনোবিদ্যা ও শরীরবিদ্যা এবং (গ) কৃত্রিম সংগঠন, তথা রাষ্ট্রীয়
সংগঠন বা রাষ্ট্র। গতিতত্তে¡র সংগে তিনি জ্যামিতির আশ্রয়ে রাষ্ট্রদর্শনকে পাকাপোক্ত
করেছেন। জ্যামিতির ধারা হলো, সহজ ও সরল থেকে ক্রমশ: জটিল রহস্যের দিকে ধাবিত
হওয়া। হব্স্ এ পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন। তিনি প্রথমে মনোবিদ্যার আলোকে মানুষের চরিত্র
বিশ্লেষণ করেছেন এবং তার উপর ভিত্তি করে রাষ্ট্রের কথা বলেছেন। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি স্তর
পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। হব্স্ মনে করতেন, মানুষের মানসিকতা বা মনস্তত্ত¡কে বাদ দিয়ে
রাজনীতি বিজ্ঞান সম্পর্কেআলোচনা করা সম্পূর্ণনিরর্থক।
হব্স্ই প্রথম দার্শনিক যিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে ‘বৈজ্ঞানিক নীতি’র উপর প্রতিষ্ঠিত করেন।
মানব প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক রাজ্য সম্পর্কেহব্স্-এর ধারণা
হব্স্ বিশ্বাস করতেন রাজনীতি বিজ্ঞান মনোবিজ্ঞানের উপর প্রতিষ্ঠিত। তাই মানুষের আচরণ,
আকাঙ্খা, পছন্দ, অপছন্দ ইত্যাদি জানা জরুরী। তিনি মনে করেন মানুষের প্রধানতম
আকাঙ্খা হলো আত্মসংরক্ষণ। আত্মরক্ষার এই মনস্তাত্তি¡ক নীতি মানুষের সমস্তআচরণের মধ্যে
প্রতিফলিত হয়। এ একই কারণে মানুষ অন্যের চেয়ে ক্ষমতাবান হতে চায়। ক্ষমতা অর্জনের
বাসনা মানব প্রকৃতির এক উল্লেখযোগ্য দিক।
হব্স্ মনে করেছেন যে, অন্তত: দেহ ও মনের দিক থেকে মানুষ মোটামুটিভাবে সমান।
মানুষের বিভিন্নগুণাবলীকে একত্রিত করলে তাদের মধ্যে তেমন উল্লেখযোগ্য পার্থক্য দেখা
যায় না। মানুষ প্রত্যেকেই ভাবে যে সে অন্যের চাইতে জ্ঞানী। অন্যদিকে সবাই মনে করে
যে, তারা সকলে সম ক্ষমতা সম্পন্ন। এ মনোবৃত্তি থেকে সকলেই একই ভাবে সব কিছুপেতে
চায়। ফলে বিরোধ, সংঘর্ষএবং কলহ হয় নিত্যসংগী। আত্ম অহংকারী মনোভাব কার্যত:
মানুষকে সংঘর্ষের দিকে নিয়ে যায়। এতে ঐক্য নষ্ট হয়, অনৈক্য ও নৈরাজ্য প্রধান্য পায়।
ফলে কলহপ্রিয়তা স্বার্থাম্বেষী মনোবৃত্তি নিরাপত্তাহীনতাকে অনিবার্যকরে তোলে। মানুষের
জীবন ঘৃণ্য, নি:সঙ্গ ও পশুর মত হয়ে ওঠে। এ অসভ্য ও বর্বর জীবন ধারা রাষ্ট্রপূর্বপ্রকৃতির
রাজ্যে ছিল বলে হব্স্ বর্ণনা করেছেন। রাষ্ট্র-এমনকি সুষ্ঠুসমাজ বিহীন এই প্রকৃতির রাজ্যে
মানুষ ছিল প্রত্যেকে প্রত্যেকের শক্র। এখানে নীতি ছিল: জোর যার মুল্লুক তার। এখানে
মানুষের জীবন ছিল নি:সঙ্গ, অসহায়, নোংরা, পাশবিক ও ক্ষণস্থায়ী।
প্রকৃতির রাজ্যের এ অসহনীয় পরিস্থিতি থেকে মানুষ মুক্তি পাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠে।
কিন্তুকেন? হব্স্ বলেন, এর উত্তর মানুষের মনোস্তত্তে¡র মধ্যে তথা তার প্রকৃতির মধ্যে নিহিত
আছে। তাঁর মতে মানুষের মনে দুটি পরস্পর-বিরোধী শক্তি বিরাজমান। একটি হলো আদিম
কলহপ্রিয়তা বা স্বার্থপরতা এবং অন্যটি হলো যুক্তিবোধ এ যুক্তিরোধই মানুষকে
অসহনীয় প্রকৃতির রাজ্য ত্যাগ করে আত্মরক্ষার জন্য সভ্য সমাজ ও রাষ্ট্রীয় সংগঠন গড়ে
তুলতে প্ররোচিত করেছে। যুক্তির প্রয়োগ করে মানুষ বুঝতে পারলো যে নিরাপত্তা যদি তার
মূল লক্ষ্য হয়ে থাকে তবে রাষ্ট্রগঠনের মাধ্যমেই তা যথাযথভাবে নিশ্চিত হতে পারে। তিনি
আরও বলেছেন, প্রকৃতির আইন মানুষের মনে যুক্তিবোধ জাগিয়ে তোলে। হব্স্ প্রাকৃতিক
আইনকে যুক্তি ও ন্যায়পরায়ণতার প্রতীক হিসেবে গণ্য করেছেন। আর এই চেতনাই শেষ
পর্যন্তমানুষকে রাষ্ট্রগঠনে উদ্ধুদ্ধ করে তোলে।
রাষ্ট্রসামাজিক চুক্তির মাধ্যমে সৃষ্ট
টমাস হব্স্ ছিলেন রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্পর্কিত সামাজিক চুক্তি মতবাদের প্রবক্তা। প্রকৃতির
রাজ্যের অসহনীয় অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার মানসে জনগণ নিজেদের মধ্যে একটি চুক্তি
সম্পন্নকরলো। প্রকৃতির রাজ্যে তারা যেসব অধিকার ভোগ করত সেগুলো তারা হয় পরিত্যাগ
অথবা হস্তান্তর করলো -এটিই হল চুক্তির মূল কথা। এ চুক্তির ফলে সৃষ্টি হল রাষ্ট্র। এর পর
তারা নিজেকে শাসন করার অধিকার প্রদান করলো সরকারের হাতে। সমস্তইচ্ছা একটি অভিন্ন
ইচ্ছায় রূপ নিল। এটিই হল মরণশীল ঈশ্বর বা রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ। জনগণ নিজেরা নিজেদের
মধ্যে চুক্তি করেছিল, সরকারী শক্তির কোন অংশগ্রহণ এতে ছিল না।
মানুষ যুক্তির দ্বারা তাড়িত হয়ে রাষ্ট্রগঠন করলো। যুক্তি একা সুষ্ঠুসমাজ নিশ্চিত করতে পারে
না। বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে দমন করে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রীয় সংগঠন ও তার
সার্বভৌম ক্ষমতার আশু প্রয়োগ প্রয়োজন। ব্যাপক ক্ষমতাশালী কর্তৃপক্ষ ব্যতীত মানুষের
নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এ হলো সার্বভৌম যিনি কারো কাছে কৈফিয়ৎ দিবেন না।
তিনি কারও অধীন নন। তাঁর ক্ষমতা চরম ও চূড়ান্ত। এ সার্বভৌম ক্ষমতাই আইন তৈরী
করবে। এ শক্তি অবিভাজ্য। সার্বভৌম শক্তি যেহেতুচুক্তির অংশ নয়, সেহেতুচুক্তির শর্ত
তিনি মানতে বাধ্য নন। তাকে অভিযুক্ত করা যাবে না। সার্বভৌম ক্ষমতার উপর নিয়ন্ত্রণের
অর্থহবে নিরাপত্তাকে বিঘিœত করা, যার ফলাফল হবে আবার অশান্তির প্রাকৃতিক রাজ্যে আত্ম অহংকারী মনোভাব কার্যত: মানুষকে সংঘর্ষের দিকে নিয়ে যায়। যুক্তিরোধই মানুষকে অসহনীয় প্রকৃতির রাজ্য ত্যাগ করে আত্মরক্ষার জন্য সভ্য সমাজ ও রাষ্ট্রীয় সংগঠন গড়ে তুলতে প্ররোচিত করেছে। ব্যাপক ক্ষমতাশালী কর্তৃপক্ষ ব্যতীত মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। রাজতন্ত্রই চুক্তির লক্ষ্য বাস্তবায়নে সর্বাপেক্ষা উপযোগী ব্যবস্থা।
প্রত্যাবর্তন। তিনি বলেছেন, সার্বভৌম ক্ষমতা বহুজন, কয়েকজন বা একজনের উপর ন্যাস্ত
থাকতে পারে। তার মতে, একজন তথা রাজতন্ত্রই চুক্তির লক্ষ্য বাস্তবায়নে সর্বাপেক্ষা উপযোগী
ব্যবস্থা। হয়তো তৎকালীন ইংল্যান্ডের অশান্তরাজনৈতিক অবস্থা তাঁকে এ সিদ্ধান্তেউপনীত
হতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল।
হব্স্-এর রাষ্ট্রদর্শনের বিরুদ্ধে সমালোচনা
বিভিন্নদৃষ্টিকোন থেকে হব্স্-এর রাষ্ট্রীয় দর্শন সমালোচিত হয়েছে। যেমন,
● নিরাপত্তা বিধান করাই রাষ্ট্রের একমাত্র উদ্দেশ্য, এমন বক্তব্য অহেতুক বলে অনেকে মনে
করেন। রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বহুবিধ। আদর্শ, নৈতিকতা ইত্যাদির জন্য মানুষ
জীবন পর্যন্তদান করতে পারে। তা’ছাড়া সামাজিক ও আর্থিক উন্নতি বিধানও রাষ্ট্রের
অন্যতম লক্ষ্য।
● হব্স্ এর সামাজিক চুক্তি মতবাদকে অনেকে অযৌক্তিক বলতে চেয়েছেন। ইবনেষ্টাইন
বলেন, প্রাকৃতিক আইন যদি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে থাকে তাহলে প্রাকৃতিক আইন
প্রাকৃতিক রাজ্যকে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থহলো কেন? এ প্রশ্নের উত্তর হব্স্ পরিস্কারভাবে নিতে
পারেন নাই।
● তাঁর তত্ত¡ ইতিহাস নির্ভর নয়, বরং কাল্পনিক। ইতিহাসে এমন কোন প্রমাণ নাই যে,
চুক্তির ফলে রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটেছিল। বাস্তবতা বিবর্জিত তাঁর এ তত্ত¡কতটুকুগ্রহণযোগ্য
সেটি ভেবে দেখবার বিষয়।
● হব্স্ এর দর্শনের মধ্যে প্রচুর অসংগতি তাঁকে সমালোচনার পাত্রে পরিণত করেছে। তিনি
প্রাকৃতিক আইন সম্পর্কেএকক কোন তত্ত¡ দিতে ব্যর্থহয়েছেন। কখনও তাকে উত্তম
বলেছেন, আবার কখনও তাকে অধম বলেছেন।
● তিনি চরম সার্বভৌমত্বের কথা বলে এবং রাজতন্ত্রকে সমর্থন করে গণতন্ত্রকে অস্বীকার
করেছেন। অথচ তার দর্শনের প্রভাব তৎকালীন ইংল্যান্ডে উল্টোভাবে প্রতিফলিত
হয়েছিল। ইংল্যান্ডে ১৬৮৮ সালের বিপ্লবের ভেতর দিয়ে গণতন্ত্রের জয়যাত্রা শুরু হয়েছিল
আর রাজতন্ত্রবাস্তবে হলো ক্ষমতাহীন।
● তিনি সরকার ও সমাজের মধ্যে কোন পার্থক্য দেখেন নি। এতে ব্যক্তি স্বাধীনতা ও স্বাতন্ত্র
ভ‚লুন্ঠিত হয়েছে। তাই কারও কারও মতে তিনি সর্বাত্মকবাদী ধারার জন্ম দিয়েছেন।
তবে সমালোচনা সত্তে¡ও টমাস হব্স্ রাষ্ট্রচিন্তায় এক বিশিষ্ট স্থান দখল করে আছেন। তাঁর
হাতেই জাতি রাষ্ট্রের উৎকৃর্ষসাধিত হয়েছিল। তিনি ম্যকিয়াভেলীর চেয়েও আরও
কঠোরভাবে গীর্জার আধিপত্য অস্বীকার করছেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে প্রথম তিনিই বস্তুবাদী এবং
বৈজ্ঞানিক ধারার প্রবর্তন করেছিলেন। এসব অবদান হব্স্কে একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ
আধুনিক রাষ্ট্রদার্শনিকের আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
সারকথা
একজন বস্তুবাদী দার্শনিক হিসাবে টমাস হব্স্ই হচ্ছেন প্রথম দার্শনিক যিনি রাজনীতি
বিজ্ঞানকে বৈজ্ঞানিক নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তিনি রাজনীতির মনস্তাত্তি¡ক
ব্যাখ্যারও প্রণেতা। রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্পর্কেসামাজিক চুক্তি মতবাদের প্রধান প্রবক্তা
ছিলেন হব্স্। সপ্তদশ শতাব্দীর ইল্যান্ডের গৃহযুদ্ধকালীন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে হব্স্ মনে
করেছিলেন, নিরাপত্তা, আত্মসংরক্ষণই হলো মানুষের মূল আকাংখা। এ জন্য তিনি
রাজতন্ত্রও চরম সার্বভৌমত্ত তত্তে¡র সমর্থক ছিলেন।
সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চিহ্ন দিন।
১। হব্স্ এর সময়ে ইংল্যান্ডের রাজনৈতিক অবস্থা কেমন ছিল?
ক) রাজতন্ত্রের অধীনে জনগণ সুষ্ঠ ও সুন্দর জীবন যাপন করতেন ফলে সমাজ ও
রাষ্ট্রেশান্তিছিল;
খ) পার্লামেন্ট ছিল সর্বময় ক্ষমতার উৎস;
গ) রাজা ও পার্লামেন্টের দ্বন্দ¡একটি চরম গৃহযুদ্ধাবস্থায় নিয়ে গিয়েছিল;
ঘ) রাজা গীর্জার অধীনে থেকে রাষ্ট্রপরিচালনা করতেন।
২। হব্স্ এর মূল পুস্তকের নাম কি?
ক) দি প্রিন্স; খ) দি রিপাবলিক;
গ। লেভিয়েথান; ঘ) দি সোসাল কন্টাক্ট।
৩। হব্স্রে মতে সবাভৌম শক্তির অবস্থান কোথায়?
ক) জনগণের হাতে; খ) রাজার বা শাসকের হাতে;
গ) অভিজাতদের হাতে; ঘ) পার্লামেন্টের হাতে।
সঠিক উত্তর ১। গ ২। গ ৩। গ
২। সংক্ষিপ্ত উত্তরমূলক প্রশ্ন:
১) হব্স্কে কেন বস্তুবাদী দার্শনিক বলা হয়?
২) হব্স্ এর সময়ে ইংল্যান্ডের রাজনৈতিক অবস্থা কেমন ছিল?
৩) হব্স্ কেন রাজতন্ত্রকে সমর্থন করেছিলেন?
৪) হব্স্ এর মতে মানব প্রকৃতির স্বরূপ কী?
৫) হব্স্ এর মতে প্রকৃতির রাজ্যের অবস্থা কেমন ছিল?
৬) প্রাকৃতিক আইনের ধরন কেমন?
৭) হব্স্ এর মতে কাদের মধ্যে ‘চুক্তি' সম্পাদিত হয়েছিল?
৮) সার্বভৌম শক্তি কি চুক্তির অংশ ছিল?
৯) চরম সার্বভৌমতত্ত¡কী?
৩। রচনামূলক প্রশ্ন:
১। টমাস হব্স্ এর রাষ্ট্রচিন্তার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]