হেগেলের দর্শনের প্রধান দিকগুলো আলোচনা করুন।

ঊনবিংশ শতাব্দীর ইউরোপীয় দার্শনিক জর্জ উইলহেল্ম ফ্রেডারিক হেগেল ১৭৭০ সালে
জার্মানীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর নিজ শহর স্টাটগার্টে বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় শিক্ষা
সমাপনান্তে হেগেল ১৭৮৮ সালে টিউবিনজেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে পি এইচ ডি.
ডিগ্রী এবং অত:পর ধর্মশাস্ত্রে উচ্চশিক্ষা অর্জন করেন। প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক প্লেটোর রচনাবলীর
প্রতি ছিল তাঁর প্রগাঢ় আগ্রহ। তাঁর পরিণত বয়েসের দিনগুলো কেটেছে হাইডেলবার্গ ও বার্লিন
বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা পেশায়। যৌবনে হেগেল ফরাসী বিপ্লবের সমর্থক ছিলেন এবং জার্মান
রাজতন্ত্র ও সামন্ততন্ত্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে অংশ নেন। ফরাসী বিপ্লবের ব্যর্থতা ও নেপোলিয়নের
রাজনৈতিক উত্থানের ফলে হেগেলের দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা দেয় দ্বৈততা। ইউরোপের বিপ্লবী
পরিস্থিতি ও জার্মান বুর্জোয়াদের রক্ষণশীলতা এ দু‘য়ের প্রভাবে দোদুল্যমানতা দেখা যায়
হেগেলের চিন্তাধারায়।
যে সব গ্রন্থ হেগেলকে রাষ্ট্রচিন্তার ইতিহাসে অমর করে রেখেছে সেগুলোর মধ্যে ‘দি ফিলসফি
অব রাইট’ (১৮২১ সাল) এবং ‘দি ফিলসফি অব হিস্ট্রি’ (১৮৩৭) অন্যতম। প্রথমোক্ত গ্রন্থে
হেগেলের যুক্তি হল জড় জগতে প্রকৃতিই হচ্ছে জ্ঞান ও দর্শনের মূল লক্ষ্য। জ্ঞানের কাজ হল
প্রকৃতির মাঝে যে ‘শাস্বত ঐকতান’ ও ‘সহজাত যুক্তিবাদিতা’ লুকিয়ে আছে তা আবিষ্কার করা।
পক্ষান্তরে, ‘ফিলসফি অব হিস্ট্রি গ্রন্থে’ তিনি রাষ্ট্রকে মানব জীবনের পরম সত্তা হিসেবে উপস্থাপন
করেন। তাঁর মতে, রাষ্ট্র হচ্ছে মানুষের স্বাধীনতার মূর্ত প্রতীক এবং যুক্তির চ‚ড়ান্ত অভিব্যক্তি।
ব্যক্তিজীবনের নৈতিক ম‚ল্য কেবল রাষ্ট্রের সদস্য হিসেবেই অর্জন সম্ভব। রাষ্ট্রের মাধ্যমেই
ব্যক্তির যথার্থ মুক্তি। হেগেলের ভাববাদী ধারণায় রাষ্ট্রের একটি স্বতন্ত্র্য ব্যক্তিত্ব ও স্বকীয় ইচ্ছা
রয়েছে এবং ব্যক্তির বা নাগরিকের খন্ড খন্ড ব্যক্তিত্ব ও ইচ্ছাসমূহ রাষ্ট্রের ব্যক্তিত্ব বা ইচ্ছার
মাধ্যমেই যথার্থতা অর্জন করে।
প্লেটো থেকে শুরু করে বর্তমান যুগ পর্যন্ত যেসব চিন্তাবিদ গণতন্ত্রের বিরূপ সমালোচনা
করেছেন, হেগেল তাঁদের অন্যতম। তাঁর মতে, নৈরাজ্যের পথে গণতন্ত্র হচ্ছে প্রথম সোপান।
গণতন্ত্রকে তিনি ‘বিবেকবুদ্ধি বর্জিত জনতার’ শাসন বলে আখ্যায়িত করেন। তাঁর মতে, একটি
সমাজে বিদ্যমান পরস্পরবিরোধী দাসিমূহের মাঝে সুষ্ঠু সমন্বয় সাধন গণতন্ত্রের পক্ষে দু:সাধ্য।
এ জন্য প্রয়োজন অত্যন্ত শক্তিশালী রাজতন্ত্রের। তিনি মনে করেন গণতন্ত্রের শান্তিপূর্ণ আলাপ
ও ভোটাভুটির মাধ্যমে এ সব দ্ব›েদ্বর সমাধা করা যায় না। এ জন্যে প্রয়োজন চরমতন্ত্র বা
স্বৈরতন্ত্রের শক্তিশালী শাসন এবং এই শাসন হেগেলীয় ভাববাদের অপরিহার্য পরিণতি।
সংবিধান সম্পর্কে হেগেলের ধারণা ব্যতিক্রমধর্মী। তিনি একে রাষ্ট্রের মৌলিক আইন হিসেবে
স্বীকার করলেও তাঁর মতে ‘কালের বিবর্তনে যদিও সংবিধান নির্দিষ্ট কোন পর্বে আবির্ভূত হয়
তথাপি একে তৈরীকৃত কোন বিধান হিসেবে বিচেনা করা ঠিক নয়। বরং একে প্রণয়নকৃত
বিষয়াদির উর্ধ্বে অবস্থিত এমন একটি গৌরবদীপ্ত স্থির ও ঐশ্বরিক বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা
অত্যাবশ্যক, পূর্বে থেকেই যার অস্তিত্ব বিদ্যামান।’ হেগেলের মতে, রাষ্ট্র যেহেতু ‘পৃথিবীর বুকে
ইশ্বরের জয়যাত্রা‘র প্রতীক, সেহেতু রাষ্ট্রের সংবিধানের ক্ষেত্রে সাধারণ নশ্বর প্রাণীদের হস্তক্ষেপ
অযাচিত।
হেগেল যুদ্ধকে বলিষ্ঠ জাতীয়াতাবাদের অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য বলে মনে করেন। তাঁর মতে স্থায়ী
শান্তি তথাদীর্ঘ দিনযাবৎ শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজের ফলে জাতীয় জীবনে দুর্নীতি বাসা বাঁধে
এবং জনগণ তাদের কর্মম্পৃহা হারিয়ে ফেলে, তাদের জীবন আবদ্ধ জলাসয়ের মত নিশ্চল ও
স্থির হয়ে পড়ে। পক্ষান্তরে, যুদ্ধের ফলে মানুষের কর্মক্ষমতা ও জাতিসমূহের শক্তি বৃদ্ধি ঘটে।
যুদ্ধে জয়-পরাজয়ের মাধ্যমে এক এক জাতি এক এক সময় জগৎ-সত্ত¡ার প্রতিভ‚ হিসেবে
আবির্ভূত হয়। তাঁর মতে, যুদ্ধই বিভিন্ন জাতির মাঝে সম্পর্ক নির্ধারণের স্বাভাবিক উপায়।
উপরন্ত, পরস্পরবিরোধী জাতিসমূহের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে যুদ্ধ হল একমাত্র মাপকাঠি।
হেগেলের যুদ্ধ সম্পর্কিত মতবাদ পরবর্তীতে হিটলারের রাজনৈতিক উত্থান ও জার্মানীর
বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে অবদান রেখে থাকছে বলে অনেকে মনে করেন।
হেগেল প্রধানত: দর্শন ও তর্কশাস্ত্রের উপর গ্রন্থ রচনার মাধ্যমে বিখ্যাত হয়ে আছেন। দর্শন
শাস্ত্র সম্পর্কিত তাঁর প্রথম গ্রন্থ ‘ফেনোমেনোলজি অব স্পিরিট’ ১৮০৭ সালে এবং ‘দি সায়েন্স
অব লজিক’ ১৮১৬ সালে প্রকাশিত হয়। হেগেলের দর্শনের একটি মৌলিক ধারণা হল জীবন
একটি আধ্যাতিœক তৎপরতার সমাহার। তিনি মনে করেন, ব্যক্তিজীবনের মতোই সৃষ্টির মূলেও
একটি সামগ্রিক প্রক্রিয়া বিরাজমান। হেগেল এই পরিবর্তনশীল বিশ্ব প্রক্রিয়ার নামকরণ করেন
‘পরম ধারণা’ হিসেবে। হেগেলের কথায়, পরম ধারণার চেয়ে বাস্তব আই কিছু নেই। হেগেলের
ধারণা প্রত্যয়টি প্লেটোর ‘আইডিয়া বা ধারণার সমার্থক মনে করা হয়। হেগেল তাঁর
‘ফেনোমেনোলজি অব্ স্পিরিট’ গ্রন্থে পরম ধরণাকে এক পরম অস্তিত্ব হিসেবে ব্যাখ্যা করনে।
তাঁর মতে, এ অস্তিত্বকে উপলদ্ধি করা প্রয়োজন অত্মচেতনার প্রক্রিয়া হিসেবে। এই প্রক্রিয়া
পরিণতি লাভ করে পরিপূর্ণ আতœজ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে। যে মূহুর্তে কোন মানুষ জড় ও চেতনা
এবং চিন্তা ও সত্ত¡ার মধ্যেকার পার্থক্যর উর্ধ্বে উঠতে সক্ষম হয়, সেই মূহুর্তে সে পরিপূর্ণ
আতœজ্ঞান অর্জন করে। হেগেলের মতে, একজন ব্যক্তি নিজেকে যা ভাবে, আসরে সে তাই।
এখানে বিষয়ী এক ও অভিন্ন সত্ত¡ায় মিশে যায়। চিন্তা ও স্বত্ত¡ার ঐকান্তিকতার কল্যাণে যে
অভিন্নতার সূত্রপাত, সে সম্পর্কে চেতনার দ্বারাই আতœজ্ঞান তৈরী হয়।
বস্তু ও স্বত্ত¡ার স্বরূপ, উৎপত্তি ও পরিণতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে হেগেল সালে তাঁর দ্বা›িদ্বক পদ্ধতির
ব্যবহার করেন। হেগেলের পূর্বে কান্টের চিন্তায় এই পদ্ধতির আভাস পাওয়া যায় এবং ফিক্টে
ও শেলিং দ্বা›িদ্বকতার ব্যবহার করেন। দ্বা›িদ্বক পদ্ধতির তিনটি পর্যায়কে চিহ্নিত করেন তিনি।
প্রথম পর্যায়টিকে তিনি বলেন, বিমূর্ত প্রস্তাবনা (থিসিস)। এই বিমূর্ত প্রস্তাবনার মধ্যে সৃষ্টি হয়
এক স্ববিরোধী প্রস্তাবনা (এন্টি থিসিস)। এই দু’টো পরস্পর বিরোধী প্রস্তাবনার সমন্বয়ে তৈরি
হয় সমন্বিত প্রস্তাবনা বা সিনথিসিস। নতুন সমস্যা ও বিরোধের প্রেক্ষাপটে আবার নতুন ধারণার
উন্মেষের সাথে সাথে শুরু হয় নতুন বিমূর্ত প্রস্তাবনা । এই বিরোধের সমন্বয় ঘটে পূর্বেকার
চাইতে উচ্চতর সত্য প্রত্যয়ের মাধ্যমে। এ ভাবে যে দ্বা›িদ্বক প্রক্রিয়া রাস্তবস্বত্ত¡ার বিবর্তনকে
অনুসরণ করে তা এক পর্যায়ে সব বিরোধের সমাধানের মাধ্যমে পরম স্ববিরোধিতার শিকার
হন। তথাপি, কার্লমার্কস হেগেলের দ্ব›দ্বতত্ত¡, ইতিহাস-সচেতনতা ও যুক্তিতত্তে¡র সমালোচনা
করেন। এঙ্গেলস বলেন যে, হেগেলের বস্তুবাদ ছিল যথার্থ, তাঁর পা ছিল শূন্যের দিকে, আমরা
তাঁকে পায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত করে হাঁটতে সহায়তা করেছি মাত্র। এই সমালোচনা সত্তে¡ও
হেগেলীয় দর্শনের সবচেয়ে’ অকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হল এর যৌক্তিক পদ্ধতি ও সুনিশ্চিত সত্য
অবিষ্কার এবং মানুষের জ্ঞানের প্রতিটি শাখায় বিরোধ দূরীকরণ ও সমস্যার সমাধানে একাগ্রতা।
হেগেল রচিত অপরাপর গ্রন্থাদির মাঝে ‘লেকচার্স অন দি ফিলসফি অব রিলিজিয়ন’ এবং
‘লেকচার্স অন এসথেটিকস্’ শীর্ষক দুটো গ্রন্থ সুধী সমাজে সবিশেষ সমাদৃত। বিশেষত:
প্রথমোক্ত গ্রন্থে স্রষ্টাকে হেগেল আইডিয়া বা ধারণা বলে অভিহিত করেন। হেগেলের মতে,
সৃষ্টিজগৎ অনাদিকাল থেকে আছে। স্রষ্টা সৃষ্টি জগতের সজীব গতিশীল বুদ্ধি। তিনি নিজেকে
জগতে, প্রকৃতিতে এবং ইতিহাসে প্রকাশ করে থাকেন। স্রষ্টা সৃষ্টিতে নিমজ্জিত নন, আবার
সৃষ্টি ও স্রষ্টার মাঝে দ্রবীভ‚ত নয়। সৃষ্টিকে বাদ দিয়ে স্রষ্টাকে কল্পনা করা যায় না। স্রষ্টাকে বাদ
দিয়ে সৃষ্টির কোন বাস্তব সত্ত¡া নেই। স্রষ্টা বলতে হেগেল আগে থেকেই অস্তিত্বশীল সচেতন
সত্ত¡াকে বোঝেন নি, উপলব্দি করেছেন এক বর্ধিঞ্চু স্রষ্টাকে যিনি বিবর্তনের স্বাভাবিক নিয়মে
মানুষের মনে পরিপূর্ণ আত্মসচেতনতা অর্জন করে থাকেন।
দর্শন ও ধর্মের ইতিহাস পাঠ ও অনুশীলনে হেগেলের প্রদত্ত দিকনির্দেশনার ফলে দর্শনের
ইতিহাস বিশারদ এক দার্শনিক সম্প্রদায়ের উদ্ভব ঘটে। ইতিহাস দর্শন, আইন দর্শন, রাষ্ট্র
দর্শন, প্রভৃতি মানবিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর প্রভাব ছিল খুবই ব্যাপক। ১৮২০ সাল
থেকে ১৮৪০ সাল পর্যন্ত তাঁর দার্শনিক মতবাদ জার্মানীর অন্যতম প্রভাবশালী দর্শন হিসেবে
প্রতিষ্ঠিত হয়। হেগেলীয় দর্শনের প্রæশিয়ান রাষ্ট্রের সমর্থন ছিল এবং জার্মানীর প্রতিটি
বিশ্ববিদ্যালয়ে এ দর্শনের প্রভাব পড়ে।
সারকথা
জার্মান ক্লাসিক্যাল দাশিনিকদের অন্যতম পুরোধা হেগেল ছিলেন একাধারে বস্তুবাদী ও
পরম সত্ত¡ায় বিশ্বাসী। তিনি তাঁর দ্ব›দ্বতত্তে¡র ওপর পরম সত্ত¡াকে স্থাপন করতে গিয়ে
স্ববিরোধিতার শিকারে পরিণত হন এবং সমাজ পরিবর্তন সম্পর্কে কোন সুনির্দিষ্ট দিক
নির্দেশনা প্রদানে ব্যর্থ হন। তথাপি, তাঁর দ্ব›দ্বতত্ত¡, ইতিহাস-সচেতনতা ও যুক্তিতত্ত¡
প্রশংসার দাবিদার। হেগেল ও মার্কসের দর্শনের মৌলিক পার্থক্য হল হেগেল তাঁর দর্শনে
ভাবকে বস্তুর আগে স্থাপন করেন আর মার্কস ভাবের পুর্বে বস্তুকে । তবে মার্কস হেগেলের নিকট থেকে দ্বা›িদ্বক পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন।
সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চিহ্ন দিন।
১। হেগেল কোন্ ধরনের দার্শনিক ছিলেন?
ক) হেগেল একজন মার্কসবাদী দার্শনিক ছিলেন; খ) হেগেল একজন বস্তুবাদী দার্শনিক ছিলেন;
গ) হেগেল একজন ভাববাদী দার্শনিক ছিলেন; ঘ) হেগেল একজন প্রাচীন সমাজবিজ্ঞানী ছিলেন।
২। রাষ্ট্রকে হেগেল কিভাবে মূল্যায়ন করেছেন?
ক) রাষ্ট্র মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন; খ) রাষ্ট্র মানব জীবনের পরম সত্ত¡া;
গ) রাষ্ট্র ঐক্যবদ্ধ মানুষের যুক্তির অভিব্যক্তি; ঘ) রাষ্ট্র গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বাহন।
সংক্ষিপ্ত উত্তরমূলক প্রশ্ন
১। রাষ্ট্র সম্পর্কে হেগেলের ধারণা কী?
২। হেগেলের মতে পরম ধারণা কী?
৩। হেগেলের দ্বা›িদ্বক পদ্ধতি কী?
৪। যুদ্ধকে হেগেল কিভাবে মূল্যায়ন করেছেন?
রচনামূলক প্রশ্ন
হেগেলের দর্শনের প্রধান দিকগুলো আলোচনা করুন।
সঠিক উত্তর : ১। গ, ২। খ

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]