কোন কোন মহান ব্যক্তির নামের সাথে বিশেষণ জুড়ে যায়। তখন তাঁকে ওই বিশেষণ থেকে বিযুক্ত
করা চলে না। রাজনীতিবিদ মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নামের আগে বিশেষণ হল ‘মজলুম
জননেতা’। আব্দুল হামিদ ১৮৮০ সালে সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। উদার ও আদর্শ
দরিদ্র, ভদ্রলোক হাজী শরাফত আলী ছিলেন তাঁর পিতা। হামিদ খানের বয়স ছয় বছর হলে পিতার
মৃত্যু হয়। হামিদের বয়স যখন এগারো বছর তখন তার মায়ের মৃত্যু হয়। চাচার অনুগ্রহে মাদ্রাসায়
ভর্তি হলেও লাঠি খেলা, গান গাওয়া, বক্তৃতা নকল করা ইত্যাদি গুণের কারণে দ্রুত তার কিছু গুণগ্রাহী
জুটে যায়। ব্রিটিশ রাজত্বের বিরুদ্ধে এই যুবকের মনোভাবে শঙ্কিত জমিদারদের সম্ভাব্য অনিষ্ট হতে
রক্ষার জন্য ¯েœহশীল শিক্ষক মাওলানা আব্দুল বাকি তাকে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে পাঠিয়ে দিলেন।
আব্দুল হামিদ জ্ঞান অন্বেষণ ও মানুষের
সেবার মোহে আকৃষ্ট হয়ে উত্তর ও উত্তরপূর্ব ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিশিষ্ট
নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাৎ করতে
থাকলেও আসামের গোয়ালপাড়ায় পীর
নাসির উদ্দীন বোগদাদীকে খেদমত ও
তাঁর কাছে অগাধ জ্ঞান আহরণ করে
‘মাওলানা’ আখ্যা লাভ করেন। আসামের
গরীব মানুষদের সাথেও তার নিবিড়
পরিচয়ের পর কলকাতায় মহাত্বা,
দেশবন্ধু, নেতাজী প্রমুখের সংস্পর্শে
এসে তাঁদের দেশপ্রেমে অভিভ‚ত হয়ে
কংগ্রেসে যোগদান করেন। এর আগে
তিনি মাওলানা মনিরুজ্জামান ও আকরাম
খাঁ-র মত নেতার সংস্পর্শে এসে মুসলিম
লীগেও যোগদান করেন। ১৯০৮ সালে
আসাম মুসলিম লীগের সভাপতি, ১৯১৫
সালে আসাম আঞ্জুমানে ওলামার সভাপতি ছিলেন। আবার ১৯১৬ সালে আসাম কংগ্রেসের সভাপতি
নিযুক্ত হন। আব্দুল হামিদ খান আসামের সমসাময়িক রাজনীতিতে একজন অপরিহার্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
আসামেও জমিদার-প্রজা বা শোষক-শোষিতের সংঘাত ছিল। মাওলানা সাহেব ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে
সকলের কাছেই তাঁর ব্যক্তিত্বের জোরে পীর হিসেবে নন্দিত হয়েছেন। কিছুদিন নৌকাবাসের সময়
তিনি ধূবড়ীর কাছে ভাসানচরে নামেন। সেখানে তিনি চরের মানুষদের অবিসম্বাদিত নেতায় পরিণত
হয়ে নিজের নামের সাথে ‘ভাসানী’ অভিধাটি সংযুক্ত করেন।
১৯২২ সালে
কংগ্রেস ওয়ার্কিং
কমিটির সভায়
যোগদান শেষে
আসামে ফিরে
“লাঙ্গল যার জমি
তার” শে াগান -
তুললেন।
ভাসানী ১৯১৯ সালে কিশোরী কৃষককন্যা আলেমা বিবিকে বিয়ে করেন। ১৯২২ সালে কংগ্রেস ওয়ার্কিং
কমিটির সভায় যোগদান শেষে আসামে ফিরে “লাঙ্গল যার জমি তার” শে াগান তুললেন। ১৯২৯ -
সালে তিনি বঙ্গ আসাম কৃষক প্রজা সম্মেলন আহŸান করে শোষণের বিরুদ্ধে দরিদ্র কৃষকদেরকে
সংগঠিত করতে থাকলেন। ইতোমধ্যে মাওলানা দু’বার জেলে গেছেন। ভারতের মুসলমানদের মধ্যে
পৃথক রাষ্ট্র গঠনের দুর্বার বাসনা যে ক’জন মনীষীর চেষ্টায় প্রসার লাভ করে, মাওলানা ভাসানী তাদের
অন্যতম। ১৯৩৭ সালের আসাম প্রাদেশিক নির্বাচনে তিনি মুসলিম লীগ প্রার্থী হিসেবে জয়ী
হয়েছিলেন। কংগ্রেস সরকার এমন এক আইন পাশ করেন যাতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর আসামের
বাঙ্গালীদের তাড়িয়ে অবশিষ্ট বাঙ্গালীদেরকে একটি নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যায়। ভাসানী
এই ‘লাইন প্রথা’ ও ‘বাঙ্গাল খেদাও আন্দোলন’ এর বিরুদ্ধে রুখে দাড়ালেন। ১৯৪৬ সালের নির্বাচনে
আসামের ৩৪টি আসনের মধ্যে ভাসানীর নেতৃত্বে মুসলিম লীগ প্রার্থীগণ ৩১টিতে বিজয়ী হন।
আসামের শাসকগণ পুনরায় বাঙ্গালী মুসলমানদের বিতাড়ণের ব্যবস্থা নেন। ধুবড়ীতে ‘বঙ্গ আসাম
ন্যাশনাল গার্ডের’ বিরাট সমাবেশ ও এক লক্ষ লোকের শোভাযাত্রা করে ভাসানী গর্জে উঠলেন এর
বিরুদ্ধে। ভাসানীকে গ্রেপ্তার করা হলেও তুমুল আন্দোলনের ফলে শাসকরা মুক্তি দিতে বাধ্য হন।
১৯৪৯ সালের ২৩ ও ২৪ জুন ঢাকায় মুসলিম লীগের এক কর্মী সম্মেলনে মাওলানা ভাসানীকে
সভাপতি করে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়। টাংগাইলের এক উপ-নির্বাচনে মুসলিম লীগের
শক্তিশালী প্রার্থীকে পরাজিত করলেন আওয়ামী মুসলিম লীগের সম্পাদক শামসুল হক। মুসলিম
লীগের জনপ্রিয়তার শেষটুকুও চলে যায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারীতে ভাষার মর্যাদা দাবীকারী নিরস্ত্র
মানুষের উপর সরকারের নির্মম হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে। এ সময় ভাসানীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৪ মাস
পর ১৯৫৩ সালের এপ্রিলে তাঁকে মুক্তি দেয়া হয়। ১৯৫৩ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর আওয়ামী মুসলিম লীগ
ও অন্য কয়েকটি দল মিলে একটি যুক্তফ্রন্ট গঠন করে। শেরেবাংলা ও ভাসানী এতে কেন্দ্রীয়
চালিকাশক্তি হন। ১৯৫৪ এর ৮ মার্চের নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের ২৩৭টি আসনের মধ্যে ভাসানীর
নেতৃত্বাধীন আওয়ামী মুসলিম লীগের ১৪৩ টিসহ যুক্তফ্রন্ট মোট ২২৩টিতে জয়ী হয়। এদিকে, ১৯৫৫
সালে আওয়ামী মুসলিম লীগের “মুসলিম’ অভিধা অবলোপ করা হয়। দলের নিখিল পাকিস্তান
সংগঠনের প্রধান হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী কর্তৃক ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হবার
পর তার সাথে পররাষ্ট্র নীতির প্রশ্নে ভাসানীর মতান্তর প্রকট হয়ে ওঠে। ১৯৫৭-র ৭-৯ ফেব্রæয়ারী
টাঙ্গাইলের কাগমারীতে দলের সম্মেলনে বিভাজনটি স্পষ্টতর হয়। ঐ বছর ১৮ মার্চ তিনি দল থেকে
পদত্যাগপত্র পেশ করেন। অত:পর একই বছরের ২৫ ও ২৬ জুলাই ঢাকায় ‘নিখিল পাকিস্তান
গণতান্ত্রিক কর্মী শিবির’ আয়োজন করে বাম ধারার ‘ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠন করেন।
১৯৫৮-র সেপ্টেম্বরে প্রাদেশিক পরিষদের ডেপুটি স্পীকারের মৃত্যু ঘটে। কয়েকদিন পর দেশে
সামরিক আইন জারী করা হয়। কোন অভিযোগ ব্যতিরেকেই গৃহবন্দী হিসেবে ৪৪ মাস ভাসানী
অন্তরীণ থাকেন।
১৯৬২ সালে অনেক বামপন্থী রাজনৈতিক কর্মী ভাসানীর সাথে যোগ দিলে প্রদেশে বহু কৃষক ও শ্রমিক
সংগঠন গড়ে ওঠে। এরপর তিনি গণচীন সফর করে পাকিস্তানের সাথে চীনের বন্ধুত্বের ভিত্তি রচনা
করেন। ১৯৬৮ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বন্দী থাকাকালে বিরোধী
রাজনৈতিক শিবিরের শূন্যতা তিনি প্রায় এককভাবে পূরণ করেন। ১৯৬৮ ও ১৯৭০ সালে ভাসানী
জোরালোভাবে স্বাধীন পূর্ব বাংলার কথা বলেন। ’৬৯-এর আইয়ুব বিরোধী গণঅভ্যুত্থানে তিনি বলিষ্ঠ
ভ‚মিকা পালন করেন। লাহোরের গোলটেবিল বৈঠকে তিনি যোগ দিতে অসম্মতি জনান। ১৯৭০ সালে
মুসলিম লীগের
জনপ্রিয়তার
শেষটুকুও চলে যায়
১৯৫২ সালের ২১
ফেব্র“য়ারীতে।
সাধারণ নির্বাচনে তাঁর দলকে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করা থেকে বিরত রেখে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
নিরংকুশ বিজয় নিশ্চিত করেন। ইতোমধ্যে ১২ নভেম্বর প্রবল জলোচ্ছ¡াসে পূর্ববাংলার উপক‚লভাগে
লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণহানি ও প্রদেশব্যাপী খাদ্যাভাবের দিকে তিনি মনোযোগ দেন।
১৯৭১-এর মার্চে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী পূর্ববাংলার সংগ্রাম শুরু করেন ও ইয়াহিয়া
খানকে এই স্বাধীন দেশের স্বীকৃতিদানের আহবান জানান। স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে এপ্রিলের
মাঝামাঝি সময়ে ভাসানী ভারতে গমন করেন। ভারত সরকার তাঁকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখে।
ভাসানী দেশে ফিরে আসেন ১৯৭২ এর ২২ জানুয়ারী।
১৯৭৪ সালের এপ্রিলে তাঁর নেতৃত্বে বিরোধী রাজনীতিকরা ছয়দলীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর ভাসানীকে
৩০ জুন সরকারী কর্তৃপক্ষ সন্তোষে রেখে আসে। সেখানে তিনি কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়ে ইসলামী
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় আত্বনিয়োগ করেন। এরপর ভাষানী ক্রমশ: রাজনীতিতে নিষ্পৃহ হয়ে পড়েন।
কিন্তু ১৯৭৬ সালের ১৬ মে তিনি আরেকটি যুগান্তকারী কাজ করলেন। পদ্মার পানি প্রবাহে ভারতের
বিঘœ ঘটানোর প্রতিবাদে ঐতিহাসিক ‘ফারাক্কা মিছিল’ সংগঠিত করেন। রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত এক
বিশাল জনসভায় ভাসানীর বক্তৃতাশেষে জনগণ তাঁকে সামনে নিয়ে সীমান্তবর্তী কানসাটে যায়। এরপর
মওলানার স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে। লন্ডনে চিকিৎসা করা হলেও তাঁর স্বাস্থ্যোদ্ধার হয় নি। ১৯৭৬ এর ১৭
নভেম্বর রাতে তিনি ইন্তেকাল করেন।
সারকথা: মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী কৃষক শ্রমিক মেহনতী সাধারণ মানুষের জন্য জীবনভর
রাজনীতি করেছেন। সাধারণ মানুষের ভাষায় সাধারণ মানুষেরই উপযোগী জীবন-যাপন করে তিনি
অকুতোভয়ে ন্যায্য কথা বলে গেছেন। দূরদর্শিতা ও মানুষের জন্য মমত্ববোধে উজ্জীবিত হয়ে স্পষ্ট
কথা বলবার কারণে সমাজের গণ্যমান্য কেউ কেউ তাঁর প্রতি বিরূপ হয়েছেন। কিন্তু জনগণের কাছে
তিনি চিরকাল রয়ে গেছেন অবিসম্বাদিত নেতা। ইতিহাসে তাঁর এ আসন অমলিন।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন
সঠিক উত্তরটি লিখুন।
১। মাওলানা ভাসানী কবে জন্মগ্রহণ করেন ?
(ক) ১৯১৭ সালে; (খ) ১৯০৬ সালে; (গ) ১৮৮০ সালে; (ঘ) ১৮৭৩ সালে।
২। আবুল হামিদ খানের পিতার নাম ----------
(ক) শওকাত হায়দার খান; (খ) সাদাত আলী; (গ) শরাফত আলী; (ঘ) অজ্ঞাত ব্যক্তি।
৩। ভাসানচরের অবস্থান --------
(ক) টাঙ্গাইলে; (খ) ধুবড়ীতে; (গ) সিরাজগঞ্জে; (ঘ) গাইবান্ধায়।
৪। আসামে ভাসানীর গে াগান ছিল ------- -
(ক) ভাত চাই ভোট চাই; (খ) ব্রিটিশরাজ ভারত ছাড়; (গ) অবাঙ্গালী খেদাও; (ঘ) লাঙ্গল
যার জমি তার।
৫। আসামে বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে সরকারের বৈষম্যমূলক নীতি ছিল ---------
(ক) বেগার খাটানো; (খ) লাইন প্রথা; (গ) জেল-জুলুম; (ঘ) আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা।
৬। আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হলে ভাসানী তাতে কোন পদ গ্রহণ করেন ?
(ক) সভাপতি; (খ) সম্পাদক; (গ) যুগ্ম-সম্পাদক; (ঘ) প্রচারক।
৭। আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণ বিষয়ে বিতর্কের জন্য ভাসানী আহুত সম্মেলন কোথায় অনুষ্ঠিত
হয়েছিল ?
(ক) লাহোরে; (খ) ঢাকায়; (গ) কাগমারীতে; (ঘ) পাঁচবিবিতে।
৮। ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি গঠিত হয় ------
(ক) ২৬ জুলাই ১৯৫৭; (খ) ২৪ জুন ১৯৪৯; (গ) ৭ জুন ১৯৬৮; (ঘ) ৬ ফেব্র“য়ারী
১৯৬৬।
৯। ভাসানী ফারাক্কা মিছিল সংগটিত করেন ----------
(ক) ৭ জুন ১৯৬৬; (খ) ১০ ফেব্রæয়ারী ১৯৭২; (গ) ৭ মার্চ ১৯৭৩; (ঘ) ১৬ মে
১৯৭৬।
১০। ভাসানীর মৃত্যু হয় ------
(ক) ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭৫; (খ) ৩১ মে ১৯৮১; (গ) ১৭ নভেম্বর ১৯৭৬; (ঘ) ২৩ মে
১৯৭৬।
উত্তর : ১. গ, ২. গ, ৩. খ, ৪. ঘ, ৫. খ, ৬. ক, ৭. গ, ৮. ক, ৯. ঘ, ১০. গ।
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র