ই-গর্ভনেন্স ও সুশাসন ই-গর্ভনেন্স বলতে কি বোঝ

সুশাসন প্রতিষ্ঠার আধুনিকতম একটি উদ্যোগ হল ই-গর্ভনেন্স। ই-গর্ভনেন্স হল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে
সরকারি সেবা সমাজের সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া। ই-গর্ভনেন্স ব্যবস্থায় একজন নাগরিক স্বল্প ব্যয়ে,
ঝামেলাবিহীনভাবে সপ্তাহে সাত দিন; দিনে চব্বিশ ঘন্টা সরকারি সেবা পেতে পারে। এর ফলে শাসন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা,
জবাবদিহিতা আসে, দুর্নীতি হ্রাস পায়। এভাবে মূলত সুশাসনই নিশ্চিত হয়। তবে পুরোপুরি ই-গর্ভনেন্স চালু করার জন্য
বিপুল অর্থ, দক্ষ জনশক্তি, সার্বক্ষনিক বিদ্যুৎ এবং দ্রæতগতির ইন্টারনেট সেবা অপরিহার্য। বাংলাদেশের মত রাষ্ট্রে এসব
ক্ষেত্রে এখন অবধি অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। অবশ্য এসব সীমাবদ্ধতা সত্তে¡ও ডিজিটাল বাংলাদেশের ¯েøাগানের
আলোকে ই-গর্ভনেন্স প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম বর্তমানে এগিয়ে চলছে। এ ইউনিটে ই-গর্ভনেন্স কি, এর উদ্দেশ্য, সুফল, ই-গভর্নেন্স
বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত একটি প্রত্যয় হচ্ছে ই-গর্ভনেন্স। বর্তমান পৃথিবীর উন্নত-অনুন্নতসহ বেশিরভাগ রাষ্ট্রেই ইগর্ভনেন্স এর বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রসারের ফলে সমাজ জীবনের সকল ক্ষেত্রেই এর প্রভাব
লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এখন ইচ্ছে করলে এক মুহূর্তে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে যোগাযোগ ও তথ্য প্রেরণ করা যায়। ই-গর্ভনেন্স
এর শাব্দিক অর্থ হল ইলেকট্রনিক গর্ভনেন্স বা ইন্টারনেট ভিত্তিক শাসনব্যবস্থা; অর্থাৎ সরকারি সেবা ও সুযোগ-সুবিধা
ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাওয়া। এর ফলে জনগণের সময়, অর্থ ও শ্রমের সাশ্রয় হয়। ই-গর্ভনেন্স সম্পর্কে বিশেষজ্ঞগণ কী
জে সাফরিজ এবং ই-রাসেল () এর ভাষায় যে সরকার ইন্টারনেটের মাধ্যমে জনগণকে
সরকারি তথ্য সরবরাহ করে এবং জনগণ ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরকারকে যাবতীয় সরকারি বিল বা অন্যান্য পাওনা
পরিশোধ করে সে সরকারই ই-সরকার।
বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞায় ই-সরকার হচ্ছে সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে নাগরিক, ব্যবসা
খাত এবং অন্য সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্ক পুন:নির্ধারণ করা।
সাধারনত তিনটি স্তরে বা পর্যায়ে এই ই-গর্ভনেন্স সেবা পাওয়া যায়-(১) সরকার ও সেবা গ্রহীতা (ব্যক্তি) (২) সরকার ও
ব্যবসা-বাণিজ্য (৩) সরকার থেকে সরকার। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০০৯ সালে ঘোষিত ভিশন-২০২১ এর প্রধান
লক্ষ্যই হল সরকারি সেবা ও শাসনব্যবস্থাকে ডিজিটাল করা। সরকারি সেবা জনগণের দ্বারে পৌঁছে দেবার জন্য স্থানীয়
সরকারের সর্বনি¤œ স্তর ইউনিয়ন পরিষদে একটি ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র বা ডিজিটাল সেন্টার চালু করেছে। তাছাড়া
সরকারি সকল কার্যালয় থেকে দ্রæত তথ্য পাওয়ার জন্য একজন করে তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। দ্রুত তথ্য
পাওয়ার জন্য প্রত্যেকটি সরকারি কার্যালয়ের মৌলিক কিছু তথ্য ওয়েবসাইটে অন্তর্ভূক্তকরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ইগর্ভনেন্স প্রতিষ্ঠিত হলে সর্বাগ্রে প্রাধান্য পাবে সাধারণ নাগরিক। এটি চার ধরনের কাজ করে যার কেন্দ্রে থাকে নাগরিক
সেবা। একাজগুলো হচ্ছে ব্যক্তিকে অবগতকরণ, ব্যক্তিকে প্রতিনিধিত্বকরণ, ব্যক্তিকে পরামর্শ প্রদান এবং ব্যক্তিকে অন্তর্ভূক্তকরণ।
ই-গভর্নেন্সের মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রযুক্তিকে সমাজের বৃহত্তর কল্যাণে ব্যবহার করা। কিন্তু, মনে রাখা দরকার যে, প্রযুক্তিকে
ইতিবাচকভাবে ব্যবহার না করলে এটি সমাজের কল্যাণের চেয়ে অমঙ্গলই ডেকে আনে। এর অপব্যবহার প্রতিরোধ করার
জন্য সব দেশের সরকারই বিভিন্ন ধরনের আইন প্রণয়ন করে থাকে।
সার-সংক্ষেপ
পৃথিবীর প্রায় সব রাষ্ট্রেই বর্তমানে কম বেশি ই-গর্ভনেন্স এর ছোঁয়া লক্ষ্য করা যায়। ই-গর্ভনেন্স এর মাধ্যমে তথ্য প্রবাহ
থেকে শুরু করে, সেবা প্রদানের মত কাজগুলি পূর্বের তুলনায় অনেক কার্যকরভাবে সম্পন্ন করা যায়। এ বাস্তবতা বিবেচনায়
নিয়ে বাংলাদেশে সরকারি সেবা ও শাসন ব্যবস্থার ডিজিটালকরণ শুরু হয়েছে।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৪.১
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন
১। ই-গভর্নেন্সের মূল কাজ হচ্ছে-
(ক) তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা (খ) তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করা
(গ) তথ্য প্রবাহকে বাঁধা দেয়া (ঘ) উপরের সবই
২। ই-গভর্নেন্স যে প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর নির্ভরশীল তা হল-
(ক) লাগসই প্রযুক্তি (খ) প্রিন্ট মিডিয়া
(গ) তথ্য প্রযুক্তি (ঘ) উপরের সবই

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]