ই-সেবা, বিশ্বায়ন, ওয়েবসাইট, দীর্ঘসূত্রিতা।
ই-গভর্নেন্সের বৈশিষ্ট্য
ই-গর্ভনেন্সের ধারণা থেকে এটি পরিষ্কার হয়েছে যে বর্তমান যুগে সরকারি সেবাদানের এটি একটি শক্তিশালী
মাধ্যম। এই প্রক্রিয়ার সময়, অর্থ ও শ্রম সবই সাশ্রয় হয়। ই-গর্ভনেন্সের কার্যপ্রক্রিয়া লক্ষ্য করলে নি¤œলিখিত কিছু বৈশিষ্ট্য
পাওয়া যায়সরকার ও জনগণের মধ্যকার দূরত্ব হ্রাস
১। আমলাতন্ত্র হ্রাস: ই-গভর্নেন্সের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারের সাথে জনগণের দূরত্ব
কমিয়ে আনা। সরকারের সকল সেবামূলক কর্মকাÐকে জনগণের হাতের কাছে পৌঁছে দেয়া। এতে করে আমলাতন্ত্রের
ওপর জনগণের নির্ভরতা কমে আসে।
২। ই-সেবা: ই-গর্ভনেন্সের প্রধান বৈশিষ্ট্যই হল ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেবা প্রদান। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ, সরকারি
ফর্ম ডাউনলোডের সুবিধা, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধীকরণ, অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত কাজ, ভিজিডি-ডিজিএফ
কার্ড সংক্রান্ত তথ্য, চাকুরি সংক্রান্ত তথ্য, ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ও ফর্ম সংগ্রহসহ নানা ধরনের সেবা ই-গর্ভনেন্সের বরাতে
ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাওয়া যায়।
৩। আন্তর্জাতিক সেবা: বিশ্বায়নের এই যুগে কেবলমাত্র দেশের ভেতরে নয় বরং দেশের বাইরে অবস্থানকারী নাগরিকদের
ই-গর্ভনেন্সের সুফল দেয়া সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষ বিদেশে কর্মরত রয়েছে। এই
বিপুল সংখ্যক মানুষ নানাবিধ দাপ্তরিক প্রয়োজন পূরণে ই-গর্ভনেন্স সুবিধা নিতে পারছে।
৪। মতামত প্রদানের সুযোগ: ই-গর্ভনেন্স চালু হলে জনগণ খুব সহজে মতামত প্রদান করতে পারে। বর্তমানে অধিকাংশ
সরকারই কোন নীতি প্রণয়নের পূর্বে তার একটি খসড়া সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে যুক্ত করে জনগণের মতামত
কামনা করে। পরবর্তীতে তা থেকে গুরুত্বপূর্ণ মতগুলোকে যুক্ত করে একটি নীতি চূড়ান্ত করা হয়। তাছাড়াও ইগর্ভনেন্সের অধীনে বিভিন্ন অফিসের সেবার মান সম্পর্কেও মতামত প্রদানের সুযোগ রয়েছে।
৫। অর্থনৈতিক সচলতা: ই-গর্ভনেন্স চালু হলে আমদানি-রপ্তানি, কোম্পানির নিবন্ধন, বিনিয়োগ পরিস্থিতি, কাস্টমস
প্রদানসহ নানাবিধ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যাদি ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাওয়া যায়। এর ফলে সময় বাঁচে, দীর্ঘসূত্রিতা কমে
এবং অর্থনৈতিক গতিশীলতা বৃদ্ধি পায়।
৬। বৈষম্য হ্রাস: ই-গর্ভনেন্স প্রক্রিয়ার সরকারে সেবা লাভের ক্ষেত্রে বৈষম্য কমে আসে। ধনী-দরিদ্র, নারী-পুরুষ, কাছে-
দূরের সকল নাগরিক কম-বেশি সমানভাবে সেবা নিতে পারে।
সার-সংক্ষেপ
ই-গর্ভনেন্সের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল সরকারি সেবায় প্রযুক্তির অধিকতর প্রয়োগ। এর ফলে দেশের এমনকি দেশের বাইরে
অবস্থানকারী নাগরিকেরাও দ্রæত সরকারি সেবা লাভ করতে পারে। ই-গর্ভনেন্স প্রশাসন ব্যবস্থায় গতিশীলতা, স্বচ্ছতা ও
জবাবদিতিহতা নিশ্চিত করে। এক্ষেত্রে ব্যক্তির উপস্থিতি নয়, সেবাই মুখ্য।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৪.৩
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন
১। ই-গভর্নেন্সের মূল ভিত্তি হচ্ছে এটি-
(ক) ব্যক্তিকেন্দ্রিক শাসন (খ) প্রযুক্তিবান্ধব শাসন
(গ) স্থানীয় শাসন (ঘ) উপরের সবই
২। ই-গভর্নেন্সের পরিধি-
(ক) দেশের অভ্যন্তরে সীমাবদ্ধ (খ) শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ
(গ) দেশের ভেতর এবং বাহিরেও বিস্তৃত (ঘ) উপরের কোনটিই না
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র