ই-গর্ভনেন্সের গুরুত্ব কী তা ব্যাখ্যা কর

স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, ন্যায়বিচার।
ই-গভর্নেন্সের গুরুত্ব
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ই-গভর্নেন্সের গুরুত্ব অপরিসীম। নি¤েœ ই-গভর্নেন্স এর গুরুত্ব উল্লেখ করা হলÑ
১। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য ই-গর্ভনেন্স অপরিহার্য। এর মাধ্যমে সরকারি সেবা যেমন জনগণের দোরগোড়ায়
পৌঁছে দেয়া সম্ভব, তেমনি সম্ভব সরকারের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা ও সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন।
সরকার পরিচালনায় ব্যয় হ্রাসকরণসহ দুর্নীতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব ই-গর্ভনেন্স প্রবর্তনের মাধ্যমে।
২। উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার এখন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অর্থ আদান-প্রদান, প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ,
কর সংগ্রহ, লাইসেন্স প্রদানসহ নানা সুবিধা নাগরিকদের সরবরাহ করে চলেছে। স্বল্পোন্নত একটি দেশ হিসাবে
বাংলাদেশেও এর প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
৩। সরকারের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় করে শাসনকার্য পরিচালনার জন্য ই-গভর্নেন্সের কোন জুড়ি নেই। এর ফলে
সরকারের কাজকর্মে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা দুই-ই বৃদ্ধি পায়।
৪। উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত অনেক দেশের সরকার খরচ করে বেশি, কাজ করে কম এবং তারা জবাবদিহিমূলকও নয়। ইগভর্নেন্স এসব সীমাবদ্ধতাগুলোকে দূর করতে সহায়তা করে। সুশাসনে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে অনেক দেশই
লক্ষণীয় সফলতা অর্জন করেছে। উদাহরনস্বরূপ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে দক্ষিণ আফ্রিকার মত
দেশ তাদের শাসনব্যবস্থাকে পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করায় সক্ষম হয়েছে।
৫। নাগরিক ও সুশীল সমাজের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রতিষ্ঠায় ই-গভর্নেন্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেক
সময় সাধারণ জনগণও সরকারি তথ্য আদান-প্রদান ও মতামত দিয়ে সরকারকে অধিকতর সহযোগিতা করতে পারে।
অর্থাৎ ই-গর্ভনেন্সের মাধ্যমে জনগণের অংশগ্রহণমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
৬। ই-গভর্নেন্সের ফলে সরকারি কাজে দুর্নীতির প্রকোপ কমে যায়। সরকারি কাজে দুর্নীতি হ্রাসে ফিলিপাইন ই-গর্ভনেন্সের
সফল প্রয়োগে অনেকটাই সক্ষম হয়েছে।
৭। টেকসই উন্নয়নের জন্য ই-গর্ভনেন্স সময়ের দাবি; কেননা ই-গর্ভনেন্স উন্নয়নের অধিকাংশ শর্তকে সমর্থন করে।
সার-সংক্ষেপ
ই-গর্ভনেন্স এর গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ এর মাধ্যমে প্রশাসনকে গতিশীল, জনবান্ধব, স্বচ্ছ ও
জবাবদিহিমূলক করেছে। বাংলাদেশে ই-গর্ভনেন্স চালু হওয়ায় এখন ঘরে বসেই কিংবা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার বা
অন্যান্য তথ্যসেবা কেন্দ্র হতে প্রশাসনিক বিভিন্ন তথ্য, চাকুরি, পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্য, স্বাস্থ্য ও কৃষি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেবা
পাওয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে সুবিধার কথা হল কম সময়ে, কম পরিশ্রমে ও সাশ্রয়ী মূল্যে সেবাগুলো পাওয়া যায়। এক
কথায় ই-গর্ভনেন্সের ফলে প্রশাসনে জনগণের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৪.৪
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন
১। ই-গভর্নেন্সের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে-
(ক) ইন্টারনেট (খ) আমলাতন্ত্র
(গ) ইংরেজি (ঘ) উপরের সবই
২। ই-গভর্নেন্সের মাধ্যমে সরকারি কর্মকাÐে সমন্বয় সাধন সহজ হয়। বক্তব্যটি-
(ক) মিথ্যা (খ) সত্য
(গ) আংশিক সত্য (ঘ) পুরোপুরি মিথ্যা

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]