আইনসভার গঠন এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভাএক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার সুবিধাগুলো এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার অসুবিধাগুলো

নির্বাচন পদ্ধতি, উচ্চ কক্ষ, নি¤œ কক্ষ, জাতীয় স্বার্থ, ক্ষুদ্র রাষ্ট্র, যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন।
আইনসভার গঠন
আইন প্রণয়নের সর্বোচ্চ সংস্থা হচ্ছে আইনসভা। আইন সভা কর্তৃক প্রণীত আইন দ্বারা দেশ শাসিত হয়।
পৃথিবীর সব দেশের আইনসভার গঠন এক ধরনের নয়। সরকারের গঠন কাঠামো, সদস্য সংখ্যা, সদস্যপদের যোগ্যতাঅযোগ্যতা, নির্বাচন পদ্ধতি, কার্যকালের মেয়াদ প্রভৃতি বিষয়ে বিভিন্ন দেশের আইনসভার সংগঠনের মধ্যে বিভিন্ন পার্থক্য
লক্ষ্য করা যায়। তবে গঠন কাঠামোর দিক থেকে বর্তমান সময়ের আইনসভাগুলো প্রধানত দুই প্রকার। যথা− এক কক্ষ
বিশিষ্ট আইনসভা ও দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা। একটি কক্ষ নিয়ে গঠিত আইনসভাকে এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা বলে।
এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা সার্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে গঠিত হয়। উদাহরনস্বরূপ, বাংলাদেশে এককক্ষ বিশিষ্ট
আইনসভা চালু আছে। দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা দুটি কক্ষ, অর্থাৎ নি¤œকক্ষ এবং উচ্চকক্ষ নিয়ে গঠিত হয়। জনগনের দ্বারা
নির্বাচিত কক্ষটি নি¤œকক্ষ (বা জনপ্রিয় কক্ষ নামে পরিচিত। উচ্চকক্ষ কে দ্বিতীয় কক্ষ ( বলা হয়। নি¤œকক্ষের সদস্যরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত এবং ক্ষমতার
দিক থেকে এই কক্ষটি অধিক শক্তিশালী। পক্ষান্তরে, উচ্চকক্ষের সদস্যরা বেশির ভাগ দেশে মনোনীত এবং এই কক্ষের
ভূমিকা মূলত উপদেশমূলক। তবে এর কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্র আইনসভার উচ্চকক্ষ, অর্থাৎ সিনেট
সদস্যরা ভোটে নির্বাচিত এবং নি¤œকক্ষ অর্থাৎ হাউস অব রিপ্রেজেটেটিভের তুলনায় এর ক্ষমতা অনেক ক্ষেত্রে বেশি বলে মনে করা হয়।
আইনসভা
এক কক্ষ বিশিষ্ট দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সদস্যগণ নির্বাচিত হন নি¤œকক্ষ উচ্চ কক্ষ সদস্যগণ প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হন
উচ্চকক্ষের সদস্য হন− ১। উত্তরাধিকার সূত্রে ২। মনোনয়নের মাধ্যমে ৩। পরোক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ৪। প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে
এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা
সরকারের যে তিনটি বিভাগ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম বিভাগ হচ্ছে আইন বিভাগ বা আইনসভা। সাংগঠনিক দিক থেকে
আইনসভাকে দু’টি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা− এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা ও দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা। যেসব
আইনসভায় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত একটি মাত্র কক্ষ বা পরিষদ থাকে সেগুলোকে এক-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা বলে।
সাধারণ নির্বাচন বা সার্বজনীন প্রাপ্ত বয়স্ক ভোটাধিকারের ভিত্তিতে এক-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে
বাংলাদেশ, চীন, কিউবা, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, মিশর, ফিনল্যান্ড, গ্রীস, ইন্দোনেশিয়া, ইসরাইল, নেপাল, নিউজিল্যান্ড প্রভৃতি
দেশের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। সাধারণত এককেন্দ্রিক সরকার (টহরঃধৎু মড়াবৎহসবহঃ) ব্যবস্থা প্রচলিত থাকা
দেশগুলোতে এক কক্ষবিশিষ্ট আইন সভা দেখা যায়।
এক-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার সুবিধাসমূহ
রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের অনেকেই এককক্ষ আইনসভার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছেন। জনগণের সরাসরি সম্মতি, দ্রæততা,
কর্মপদ্ধতিতে কম জটিলতাসহ নানাবিধ কারণে এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা অনেকের কাছে বেশি আকর্ষণীয়। নি¤েœ এক
কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার কিছু সুবিধা উল্লেখ করা হলঃ
১। গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ঃ এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গঠিত হয়। এখানে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে
প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। এই কক্ষের মধ্য দিয়েই জনগণ পরোক্ষভাবে রাষ্ট্রের শাসনকার্যে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনে
সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দল সরকার গঠন করে এবং সংখ্যালঘিষ্ঠ দল বিরোধীদলে থেকে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করে।
২। সহজ-সরল পদ্ধতি ঃ এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভাকে বলা যায় একটি সহজ-সরল পদ্ধতি। এটি জনগণের কাছে
সহজে বোধগম্য। এর গঠন পদ্ধতিও সরল। এখানে একটি মাত্র কক্ষ থাকবে এবং সে কক্ষের সদস্যরা জনগণের
প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবে।
৩। সহজ নির্বাচন পদ্ধতি ঃ এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার নির্বাচন অনেকটা সহজ পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। এখানে একই
সময়ে সারাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে জটিল কোন হিসাব নিকাশ নেই। সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন প্রাপ্ত
রাজনৈতিক দল সরকার গঠন করবে।
৪। দ্রæত সিদ্ধান্ত ঃ এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভায় রাষ্ট্রের যে কোন জরুরি প্রয়োজনে দ্রæত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়। এখানে
একটি কক্ষের অনুমতি হলেই যে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব।
৫। অধিক দায়িত্বশীল ঃ এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা অধিক দায়িত্বশীল। জনপ্রতিনিধিরা সরাসরি নির্বাচিত বিধায়
জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রæতিগুলো পূরণে তাদেরকে সচেষ্ট থাকতে হয়। অন্য কোন কক্ষের উপর দায়িত্ব চাপিয়ে
দেওয়ার সুযোগ এখানে নেই। এ জন্য এক-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার সদস্যরা অধিক দায়িত্বশীল ও কর্তব্যপরায়ণ
হয়ে থাকে।
৬। আইন প্রণয়নে সুবিধা ঃ এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভায় জনগণের চাহিদামত সময়োপযোগী আইন দ্রæত প্রণয়ন করা
যায়। যেহেতু আইন পাশ করার জন্য অন্য কোন কক্ষের উপর নির্ভরশীল নয় সেজন্য যে কোন জরুরি প্রয়োজনে
জনগণের কল্যাণার্থে দ্রæত আইন প্রণয়ন করা সম্ভব।
পরিশেষে বলা যায় যে, পৃথিবীর অনেক দেশেই বর্তমানে এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা চালু আছে। দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট
আইনসভার তুলনায় কম ব্যয়, কম সময়ক্ষেপণ ও সরাসরি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিত্বের মত বৈশিষ্ট্যের কারণে এক কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা সারা বিশ্বে বেশ জনপ্রিয়।
এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার অসুবিধা
পৃথিবীর অনেক রাষ্ট্রে এক-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা প্রচলিত থাকলেও এর কিছু ত্রæটি বা অসুবিধা রয়েছে যার ফলে এর
জনপ্রিয়তাকে ¤øান করেছে। নি¤েœ এক-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার বিপক্ষে যুক্তিসমূহ তুলে ধরা হল ঃ
১। অর্থবহ আলোচনার সুযোগ কম ঃ এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভায় কোন একটি প্রসঙ্গে বিস্তারিত ও অর্থবহ আলোচনার
সুযোগ কিছুটা কম থাকে। বিশেষ করে কোন একটি আইন সভাতে কোন একটি দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলে,
বিরোধী দলীয় মতামতগুলো সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতার চাপে অনেকটাই ¤øান হয়ে যায়। বিশেষত, অপরিণত গণতন্ত্রের
দেশগুলোতে এ সমস্যা প্রকট হয়। এ ধরনের পরিস্থিতি অনেক সময়ই দলীয় বিবেচনায় জাতীয় সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে দেখা যায়।
২। মেধাবী ব্যক্তির শাসন থেকে বঞ্চিত ঃ জনপ্রিয়তা হচ্ছে এক কক্ষ আইনসভার সদস্য হবার প্রধান শর্ত। এক্ষেত্রে মেধা
ও দক্ষতার মত বিষয়গুলি প্রধান বিবেচ্য হয় না। এমতাবস্থায়, আইনসভাতে একটি মাত্র কক্ষ থাকলে, সেখানে
নির্বাচনে ব্যর্থ বা অনিচ্ছুক অথচ দক্ষ মেধাবী ব্যক্তিদের সেবা থেকে রাষ্ট্র বঞ্চিত হয়।
৩। জাতীয় স্বার্থ বিরোধী আইন ঃ এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভাতে বিশেষ কোন পরিস্থিতিতে জাতীয় স্বার্থ বিরোধী আইন
প্রণয়নের আশঙ্কা থাকে। দলীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে জাতীয় স্বার্থকে বঞ্চিত করার ঝুঁকি এক-কক্ষ বিশিষ্ট আইন সভাতে থাকে। এছাড়া সাময়িক আবেগ-অনুভূতি কিংবা শক্তিশালী কোন স্বার্থ গোষ্ঠীর চাপে জাতীয় স্বার্থ বিরোধী
আইন প্রণীত হবার আশঙ্কা থাকে।
৪। অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতা ঃ এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার জনপ্রতিনিধিরা অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতার অধিকারী হন। আইন
প্রণয়নে অন্য কোন কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের দায়বদ্ধ থাকতে হয় না। এছাড়াও পার্লামেন্টারি ব্যবস্থাতে আইন বিভাগ
শাসন বিভাগের সাথে অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত থাকে।
৫। যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনে অনুপযোগী ঃ এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থার জন্য উপযোগী নয়। বিভিন্ন
রাজ্য বা প্রদেশের স্বার্থ এক কক্ষ ব্যবস্থাতে সমানভাবে রক্ষিত হয় না।
৬। পুনর্বিচেনার অভাব ঃ এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভায় কোন আইন প্রণীত হলে তা পুনর্বিবেচনার সুযোগ থাকে না। কিন্তু
দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভায় নি¤œকক্ষে আইন প্রণীত হলে উচ্চকক্ষে সেই আইন পুনর্বিবেচনার সুযোগ থাকে। এক কক্ষ
ব্যবস্থাতে পুনর্বিবেচনার সুযোগ না থাকায়, সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের স্বার্থে আইন প্রণয়নের আশঙ্কা থাকে।
পরিশেষে বলা যায় যে, নানা-ক্রটি বিচ্যুতি থাকলেও, জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবার বিধান থাকার কারণে
এক কক্ষ ব্যবস্থার মধ্যেই গণতন্ত্রের প্রধান শর্তটি সংরক্ষিত হয়।
সার-সংক্ষেপ
সরকারের যে তিনটি বিভাগ রয়েছে তার মধ্যে আইনসভা হচ্ছে অন্যতম। গঠন অনুযায়ী আইন সভা এক-কক্ষ ও দ্বি-কক্ষ
বিশিষ্ট হতে পারে। যেসব আইনসভায় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত একটি মাত্র কক্ষ থাকে তাকে এক কক্ষ বিশিষ্ট
আইনসভা বলে। সাধারণত নির্বাচন ও সার্বজনীন প্রাপ্ত বয়স্ক ভোটারদের মাধ্যমে এক-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা গঠিত হয়।
পৃথিবীর অনেক দেশে এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল− বাংলাদেশ, চীন, কিউবা, ডেনমার্ক,
ফিনল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ইসরাইল, নিউজিল্যান্ড ও নেপাল।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৯.৩
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন
১। আইন প্রণয়নের সর্বোচ্চ সংস্থার নাম কি?
(ক) সুপ্রীম কোর্ট (খ) শাসন বিভাগ
(গ) আইন বিভাগ (ঘ) রাজনৈতিক দল
২। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের নাম কি?
(ক) লর্ড সভা (খ) কমন্স সভা
(গ) সিনেট (ঘ) প্রতিনিধি সভা
৩। আইনসভাকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়?
(ক) ২টি (খ) ৪টি
(গ) ৬টি (ঘ) ৮টি
৪। উচ্চকক্ষের সদস্য হন−
(র) উত্তরাধিকার সূত্রে;
(রর) মনোনয়নের মাধ্যমে
(ররর) কোন কোন দেশে জনগণের ভোটে
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) র (খ) র ও রর
(গ) রর ও ররর (ঘ) র, রর ও ররর
৫। এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা রয়েছে−
(র) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে
(রর) যুক্তরাজ্যে
(ররর) ডেনমার্কে
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) র (খ) রর (গ) র ও রর (ঘ) ররর

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]