দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা উচ্চকক্ষের গঠন দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার সুবিধাগুলো দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার অসুবিধাগুলো

সিনেট, প্রতিনিধিসভা, রাজনৈতিক শিক্ষা, জাতীয় ঐতিহ্য, শ্রেণিস্বার্থ, প্রগতি।
দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা
দুটি কক্ষ বা পরিষদ নিয়ে যখন আইনসভা গঠিত হয় তখন তাকে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা বলে। এরূপ
আইনসভার প্রথম কক্ষকে ‘নি¤œকক্ষ’ এবং দ্বিতীয় কক্ষকে ‘উচ্চকক্ষ’ বলে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স,
ভারতসহ পৃথিবীর অনেক রাষ্ট্রে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা রয়েছে।
নি¤œ কক্ষের গঠন
আইনসভার নি¤œ কক্ষ কত জন সদস্য নিয়ে গঠিত হবে তার কোন নির্ধারিত সংখ্যা নেই। প্রত্যেক রাষ্ট্রের নি¤œ কক্ষের সদস্য
সংখ্যার তারতম্য রয়েছে বা থাকতে পারে। যেমন- যুক্তরাষ্ট্রের নি¤œ কক্ষ তথা প্রতিনিধিসভার সদস্য সংখ্যা ৪৩৫, ব্রিটেনের
কমন্সসভার সদস্যসংখ্যা ৬৫২। তবে পৃথিবীর প্রতিটি রাষ্ট্রের নি¤œ কক্ষই প্রতিনিধিত্বমূলক। সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কদের
ভোটাধিকারের ভিত্তিতে নি¤œ কক্ষ গঠিত হয়। জনপ্রতিনিধিত্বমূলক হওয়ার কারণে সাধারনত নি¤œ কক্ষ উচ্চ কক্ষ অপেক্ষা
অধিকতর ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের অধিকারী।
নি¤œকক্ষের সদস্যসংখ্যা ও কার্যকাল রাষ্ট্রভেদে ভিন্ন হতে পারে। যেমন- অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের নি¤œকক্ষ অর্থাৎ হাউস
অব রিপ্রেজেনটেটিভসের কার্যকাল ৩ বছর। পক্ষান্তরে, ব্রিটেনের কমন্স সভার কার্যকাল ৫ বছর। উচ্চ কক্ষের গঠন
পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রের আইনসভার উচ্চকক্ষের কত জন সদস্য হবে তার কোন নিয়ম নেই। যেমন, মার্কিন সিনেটের সদস্য
সংখ্যা ১০০ জন কিন্তু ব্রিটেনের লর্ডসভার সদস্য সংখ্যা ৮১৫ জন। আবার উচ্চ কক্ষসমূহের কার্যকালও এক নয়। মার্কিন
সিনেটের কার্যকাল ছয় বছর। প্রতি দুই বছর পর এর এক তৃতীয়াংশ সদস্য অবসরে যান। অন্যদিকে, ব্রিটেনের লর্ডসভার
সঠিক কোন কার্যকাল নেই। লর্ডসভার সদস্যরা আজীবনের জন্য সদস্যপদ লাভ করেন। রাষ্ট্রভেদে উচ্চকক্ষের গঠনপ্রকৃতি
ভিন্ন ভিন্ন ধরনের হয়। যেমন-
(র) কোন কোন রাষ্ট্রে ধর্মসূত্রে উচ্চকক্ষের সদস্যপদ দেয়া হয়। যেমন, ব্রিটেনের লর্ডসভাতে চার্চ অব ইংল্যান্ডের প্রতিনিধি
হিসেবে বিশপ পদবিধারী ২৬ জন ধর্মগুরু স্থান পেয়ে থাকেন।
(রর) কোন কোন রাষ্ট্রে আইনসভার উচ্চকক্ষ প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত হয়। যেমন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি অঙ্গরাজ্য
থেকে ২ জন করে মোট ১০০ জন সিনেট সদস্য নির্বাচিত হন।
(ররর) কোন কোন রাষ্ট্রে আইনসভার উচ্চকক্ষ মনোনীত সদস্য কর্তৃক গঠিত হয়। যেমন, কানাডার সিনেট।
(রা) কোন কোন রাষ্ট্রে আইনসভার উচ্চকক্ষ পরোক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত হয়। যেমন, ফ্রান্সের সিনেট।
দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার সুবিধা
পৃথিবীর বহু রাষ্ট্রে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা পরিলক্ষিত হয়। বিশেষ করে আয়তনে বৃহৎ রাষ্ট্রে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার
জনপ্রিয়তা বেশি লক্ষ্য করা যায়। নি¤েœ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার সুবিধাসমূহ তুলে ধরা হল১। সুচিন্তিত আইন প্রণয়ন: দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভায় যথেষ্ট বিচার বিবেচনার সাথে জাতীয় স্বার্থের অনুক‚ল আইন প্রণীত হয়। এক-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভায় কখনো কখনো আকস্মিক আবেগের বশে অবিবেচনাপ্রসূত হঠকারী ও জাতীয় স্বার্থের
পরিপন্থী আইন পাশ হয়ে যাবার আশঙ্কা থাকে। এ ব্যবস্থায় পুনর্বিবেচনার কোন সুযোগ থাকে না। দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট
আইনসভায় এরূপ আশঙ্কা থেকে মুক্ত। দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভায় প্রতিটি বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার-বিশ্লেষণের
সুযোগ পাওয়া যায়। এতে বিলটির কোন দোষ-ত্রæটি থাকলে তা ধরা পড়ে এবং সংশোধন করা হয়।
২। স্বৈরাচার রোধ: দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভায় স্বৈরাচার রোধ হয়ে থাকে। এ প্রসঙ্গে লর্ড অ্যাকটন
বলেন, “দ্বিতীয কক্ষ হল স্বাধীনতার একটি অপরিহার্য নিরাপত্তা, একটিমাত্র কক্ষ নিয়ে আইনসভা গঠিত হলে তা স্বৈরাচারী
হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।” দ্বিতীয় কক্ষের উপস্থিতি এককক্ষের স্বৈরাচার রোধ করতে পারে।
৩। নি¤œ কক্ষের সহায়ক: বর্তমান জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্রে আইনসভার কাজের চাপ বিশেষভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। একটিমাত্র
সভার পক্ষে এ সকল কার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা কঠিন। আইনসভার দু’টি কক্ষ বা পরিষদ থাকলে, গুরুত্বপূর্ণ ও
বিতর্কমূলক বিলগুলো বিচার বিবেচনার জন্য নি¤œ কক্ষ প্রয়োজনীয় সময় পেতে পারে। অধ্যাপক অ্যালেন আর বল এ প্রসঙ্গে বলেন-
৪। বিদগ্ধ ব্যক্তিদের মনোনয়ন: প্রত্যেক দেশেই এমন অনেক জ্ঞানী-গুণী ও বিদগ্ধ ব্যক্তি থাকেন যারা প্রত্যক্ষ নির্বাচনের
বিড়ম্বনা ও জটিলতার মধ্যে জড়িয়ে পড়তে রাজি থাকেন না। উচ্চকক্ষে পরোক্ষ নির্বাচন বা মনোনয়নের দ্বারা দেশের
এইসব পন্ডিত ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের আইনসভায় স্থান করে দেওয়া যায়। এতে দেশ শ্রেষ্ঠ জ্ঞান-বুদ্ধির মানুষদের সেবা লাভ করতে পারে। এর ফলে আইনসভায় জনমতের উন্নততর প্রতিফলন ঘটে।
৫। জনমতের সুষ্ঠু প্রতিফলন: দ্বি-কক্ষ ব্যবস্থায় জনমতের সুষ্ঠু প্রতিফলন ঘটে। আইনসভার দুটি কক্ষ ভিন্ন সময়ে নির্বাচিত
হলে প্রবহমান জনমত যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়। দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট ব্যবস্থায় পরিবর্তনশীল জনমতের গতি-প্রকৃতি অনুসন্ধান ও পরিমাপ করা যায়।
৬। রাজনৈতিক শিক্ষা বিস্তার: উচ্চকক্ষ জনগনের রাজনৈতিক শিক্ষা বিস্তারে সাহায্য করে। উচ্চকক্ষে প্রতিটি বিলকে
পুনরায় বিচার বিশ্লেষণ করে দেখা হয়। আইনসভায় বিভিন্ন আলোচনা ও বিতর্ক বেতার, টেলিভিশন, সংবাদপত্র এবং
সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে জনগনের কাছে পৌঁছায়। এতে তাদের রাজনৈতিক শিক্ষার প্রসার ঘটে।
৭। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় উপযোগী: দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় অপরিহার্য বিবেচনা করা হয়।
আইনসভা দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট হলে, নি¤œকক্ষে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিনিধিত্বের পাশাপাশি উচ্চকক্ষে সকল প্রদেশ বা রাজ্যের
প্রতিনিধি প্রেরণ করা সম্ভব হয়। এতে করে আকার-আয়তন বা জনসংখ্যার কম-বেশিজনিত কারণে কোন রাজ্য বা প্রদেশ
বাড়তি সুবিধা বা অসুবিধা ভোগ করে না।
৮। জাতীয় ঐতিহ্য সংরক্ষণ: বহুজাতি এবং আয়তনে বৃহৎ রাষ্ট্রের জন্য দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা উপযোগী। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট ব্যবস্থাতে একটি রাষ্ট্রে বাসকারী সকল ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের প্রতিনিধি আইন সভাতে স্থান পাবার সম্ভাবনা থাকে। সংখ্যায় কম হলেও, মনোনয়ন পদ্ধতি ব্যবহার করে আইনসভার উচ্চকক্ষে এদের প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা করা যায়।
পরিশেষে বলা যায়, বৃহদায়ন বহুজাতি গোষ্ঠীর মানুষ বাসকারী একটি রাষ্ট্রের জন্য দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার বিকল্প নেই।
এর মাধ্যমে আইনসভার কাজের চাপ প্রশমন এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষিত হয়। জে এ আর ম্যারিয়ট
দ্বি কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার অসুবিধা
রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার নানাবিধ অসুবিধা নানা সময়ে চিহ্নিত করেছেন। নি¤েœ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট
আইনসভার কিছু অসুবিধা উল্লেখ করা হল১। অনাবশ্যক ও ক্ষতিকর: অনেকের মতে, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা অনাবশ্যক এবং ক্ষতিকর। এ প্রসঙ্গে আবে সিঁয়ে
মনে করেন, দ্বিতীয় কক্ষ যদি প্রথম কক্ষকে অনুসরণ করে তবে এটা অনাবশ্যক। আর যদি তা প্রথম কক্ষকে অনুসরণ না
করে তবে তা অনিষ্টকর।
২। অনিয়ন্ত্রিত: নি¤œকক্ষের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে উচ্চকক্ষের ভূমিকা পালন প্রসঙ্গটিকে অনেকে অতিরঞ্জিত মনে করেন।
বিশেষ করে বর্তমান যুগে জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত নি¤œকক্ষের ইচ্ছাকে উচ্চ কক্ষ আদৌ কতটুকু প্রতিরোধ করতে
পারে সে ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ আছে। এছাড়া নি¤œকক্ষের জনপ্রতিনিধিদের উপর উচ্চকক্ষের মনোনীত
সদস্যগণ নিয়ন্ত্রণ আরোপের বিধানকেও অনেকে গণতন্ত্র সম্মত নয় বলে মনে করেন।
৩। অগণতান্ত্রিক গঠন পদ্ধতি: অনেক দেশের দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার গঠনপদ্ধতি অগণতান্ত্রিক। গণতন্ত্রের আদর্শ
অনুসারে আইনসভা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হওয়াটাই সঙ্গত। কিন্তু অনেক দেশেই দ্বিতীয় কক্ষ
সাধারণত বিত্তবান, মনোনীত ও রক্ষণশীল ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত হয়।
৪। দায়িত্ব বিভক্ত: দু’টি পরিষদ নিয়ে গঠিত হলে আইনসভার দায়িত্ব বিভক্ত হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় আইন প্রণয়নের
সঠিক দায়িত্ব নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। উদাহরণস্বরূপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন সভাতে, দুটি কক্ষ অর্থাৎ হাউজ অব
রিপ্রেজেনটেটিভ ও সিনেটের আইন পাস করাকে কেন্দ্র করে কখনো কখনো বিরোধ দেখা দেয়।
৫। শ্রেণিস্বার্থ প্রাধান্য: দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভায় কোন কোন দেশে উচ্চ শ্রেণির স্বার্থ প্রাধান্য পেয়ে যেতে পারে। ইতিহাসের একটি পর্ব পর্যন্ত উচ্চকক্ষে জনগণের সামাগ্রিক কল্যাণের পরিবর্তে উচ্চ শ্রেণির স্বার্থরক্ষার আগ্রহই বেশি প্রকাশ
পেতো। এজন্য দ্বিতীয় কক্ষকে অনেকে প্রতিক্রিয়াশীল শ্রেণিস্বার্থ সংরক্ষণের দুর্গ হিসেবে সমালোচনা করতেন।
৬। সংখ্যালঘুদের স্বার্থরক্ষা: নানাবিধ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্যও দ্বিতীয় পরিষদ অনাবশ্যক। কারণ
সংবিধানেই বিভিন্ন উপায়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যায়। সুতরাং সদিচ্ছা থাকলে এক কক্ষ
বিশিষ্ট আইন সভাতেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষা করা যায়।
৭। আইন প্রণয়নে বিলম্ব: দ্বিতীয় কক্ষ আইন প্রণয়নকে বিলম্বিত করে। দু’টি কক্ষের মধ্যে বিরোধ বাধলে আইন প্রণয়নের
ক্ষেত্রে অচলাবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে প্রশাসন ব্যবস্থায় ধীরগতি চলে আসে এবং রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম বিঘিœত হয়।
জরুরী অবস্থায় আইন প্রণয়ন বিলম্বিত হলে তা থেকে রাষ্ট্রীয় সংকটের সৃষ্টি হতে পারে।
৮। ব্যয়বহুল এবং অপচয়মূলক: দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা ব্যয়বহুল এবং অপচয়মূলক। দু’টি পরিষদ থাকলে অতিরিক্ত
সরকারি অর্থ ব্যয় হবে একথা বলাই বাহুল্য। আর দ্বিতীয় কক্ষ যদি সর্বজনের পরিবর্তে উচ্চশ্রেণি বা কেবলমাত্র সরকারি
দলের স্বার্থ রক্ষা করে তবে এই ব্যয় অপচয় ব্যতীত কিছুই নয়।
পরিশেষে এ কথা বলা যায় যে, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইন সভা প্রদেশ বা রাজ্যের স্বার্থ সংরক্ষণের দিক থেকে ফলপ্রসূ। তবে,
দ্বিকক্ষ আইন সভার সদস্য বাছাই পদ্ধতিতে এখনো অবধি কোন কোন দেশে অগণতান্ত্রিক বা প্রশ্ন সাপেক্ষ নিয়ম বলবৎ
আছে। এছাড়া, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি উপস্থিত না থাকলে, উচ্চকক্ষ দ্বারা নি¤œকক্ষকে নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়টিও অসম্ভব।
আইনসভা দুই ধরনের হতে পারে। যথা, এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা ও দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইন সভা। দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট
আইনসভা উচ্চকক্ষ ও নি¤œকক্ষের সমন্বয়ে গঠিত হয়। নি¤œকক্ষের সদস্যগণ জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়। এ
জন্য নি¤œ কক্ষকে প্রতিনিধিত্ব কক্ষ বলা হয়। দ্বিতীয় কক্ষের মনোনয়ন ও নির্বাচন উভয় পদ্ধতিই অনুসরণ করা হয়। দুই
ধরনের আইন সভার ক্ষেত্রেই একাধারে কতগুলো সুবিধা ও অসুবিধা পরিলক্ষিত হয়।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৯.৪
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন
১। অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের নি¤œকক্ষের কার্যকাল কত বছর?
ক) ৩ বছর খ) ৪ বছর
গ) ৫ বছর ঘ) ৬ বছর
২। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কার্যকাল কত বছর?
ক) ৩ বছর খ) ৪ বছর
গ) ৫ বছর ঘ) ৬ বছর
৩। মার্কিন সিনেটের সদস্য সংখ্যা কত?
ক) ৫০ জন খ) ৭৫ জন
গ) ১০০ জন ঘ) ১২৫ জন
৪। দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা রয়েছেÑ
র) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রর) বাংলাদেশ ররর) নিউজিল্যান্ড
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) র খ) রর
গ) ররর ঘ) র, রর, ররর
৫। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য কয়টি?
ক) ৩০টি খ) ৪০টি
গ) ৫০টি ঘ) ৬০টি

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]