বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর

আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, বিচার বিভাগের স্বতন্ত্রীকরণ,
ন্যায়বিচার।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা
নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা ছাড়া গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা অসম্ভব। আধুনিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অন্যতম পূর্বশত
হিসেবে বিচার ব্যবস্থা ও বিচারপতিদের নির্ভীকতা ও নিরপেক্ষতার কথা বলা হয়। নিরপেক্ষ ও নির্ভীক বিচার ব্যবস্থা,
নাগরিক স্বাধীনতা, আইনের শাসন তথা গণতন্ত্রের স্বার্থে অপরিহার্য বিবেচিত হয়। ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ করার জন্যও
নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী বিচার বিভাগ দরকার হয়। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বলতে বোঝায়, বিচার বিভাগ কোন ধরণের
রাজনৈতিক, শাসন বিভাগীয় এবং আইন বিভাগীয় হস্তক্ষেপ ছাড়াই ন্যায়বিচার সম্পন্ন করতে পারবে। বিচারকেরা
আদালতে উত্থাপিত স্বাক্ষ্য প্রমাণ ও যুক্তির ভিত্তিতে বিরোধের নিষ্পত্তি করবেন।
জেমস কেন্ট বলেন, “বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বলতে বোঝায় এ বিভাগের নিরপেক্ষতা ও অন্য বিভাগের প্রভাব মুক্ত থাকা।”
বিচারপতি আলেকজান্ডার হ্যামিল্টন বলেন, “বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হল সরকারের অন্য বিভাগের হস্তক্ষেপমুক্ত হয়ে
স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে বিচারের রায় ঘোষণা করা।”
হেনরি সিজউইক এর মতে, “সম্পূর্ণরূপে প্রভাবমুক্ত ও স্বাধীন থেকে ন্যায়পরায়ণতা ও সামাজিক বাস্তবতা অনুসারে
নিরপেক্ষতার নীতি অনুযায়ী বিচার কাজ সম্পন্ন করাকেই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বলে।”
বস্তুত বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা পরস্পরের পরিপূরক। সরকারের মান যাচাইয়ের অন্যতম পন্থা হল বিচার
বিভাগের দক্ষতা ও স্বাধীনতার মূল্যায়ন করা। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতার গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
গণতন্ত্রকে সফল করার জন্য যে সকল পূর্বশর্ত রক্ষা করা প্রয়োজন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা তার মধ্যে অন্যতম। কেননা,
ব্যক্তিস্বাধীনতা সংরক্ষণ, আইন অমান্যকারীকে শাস্তি প্রদান, সংবিধানের ব্যাখ্যা ও শ্রেষ্ঠত্ব রক্ষার মত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো
বিচার বিভাগ সম্পন্ন করে তাকে। এ প্রসঙ্গে লর্ড ব্রাইস বলেন, “সরকারের উৎকর্ষতা পরিমাপের জন্য বিচার ব্যবস্থার দক্ষতার চেয়ে উৎকৃষ্টতর কোন মাপকাঠি নেই।”
বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তা
রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষা তথা সর্বজনের জন্য ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতার গুরুত্ব
অপরিসীম। নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা ছাড়া ন্যায়বিচার আশা করা যায় না। আবার স্বাধীনতা ছাড়া বিচার বিভাগ
নিরপেক্ষভাবে বিচারকার্য সম্পাদন করতে পারে না। বস্তুতপক্ষে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা পরস্পরের
পরিপূরক। বিচার বিভাগের উপর আইন বা শাসন বিভাগের কর্তৃত্ব কার্যকর হলে পক্ষপাতহীন ন্যায়বিচার ক্ষুন্ন হতে বাধ্য।
তাই ন্যায়সঙ্গত ও নিরপেক্ষ বিচারের স্বার্থে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অপরিহার্য। বস্তুত: গণতন্ত্রের সাফল্য বিচার
বিভাগের স্বাধীনতা নিরপেক্ষতা ও উৎকর্ষের উপর বহুলাংশে নির্ভরশীল। রাষ্ট্রে জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য একটি
নিরপেক্ষ ও স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা থাকা একান্ত প্রয়োজন।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার উপায়
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান পূর্বশর্ত। আইনের শাসন, সংবিধান রক্ষা এবং বাক্
স্বাধীনতাসহ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো বিচার বিভাগের স্বাধীনতার উপরে বহুলাংশে নির্ভরশীল। বিচার বিভাগের
স্বাধীনতা ছাড়া রাষ্ট্রের সামগ্রিক কল্যাণ সম্ভব নয়। নি¤েœ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার উপায় তুলে ধরা হল:
১। বিচারকদের যোগ্যতা: সুষ্ঠুভাবে বিচারকার্য সম্পাদনের জন্য উপযুক্ত বিচারপতি একান্তভাবে দরকার। দলীয় রাজনীতির
ঊর্ধ্বে সৎ, সাহসী ও যথার্থ আইনজ্ঞ ব্যক্তিগণ বিচারপতিদের পদে আসীন হলে, ন্যায় বিচারের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়।
বিচারপতি নিয়োগের ব্যাপারে প্রার্থীদের গুণগত যোগ্যতা সতর্কভাবে বিচার-বিবেচনা করা দরকার। বিচারপতিগণ অবশ্যই
বিজ্ঞ, স্বাধীনচেতা ও নিরপেক্ষ হবেন। কোন রকম রাজনৈতিক বিচারে বা দলীয় আনুগত্যের কারণে বিচারপতিদের নিয়োগ
করা সমীচীন নয়। এমন নিয়োগ দেয়া হলে ন্যায় বিচারের সম্ভাবনা নস্যাৎ হয়।
২। বিচারক নিয়োগ: বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিচারকদের নিয়োগ পদ্ধতির উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। বিচারপতিদের
সাধারণত তিনটি পদ্ধতিতে নিয়োগ করা যায়। (ক) জনগণের দ্বারা প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচন (খ) আইনসভা কর্তৃক মনোনয়ন
এবং (গ) শাসন বিভাগ কর্তৃক নিয়োগ।
(ক) জনগণের দ্বারা প্রত্যক্ষভাবে বিচারক নিয়োগের পদ্ধতি বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি অঙ্গরাজ্য এবং
সুইজারল্যান্ডের কয়েকটি ক্যান্টনে প্রচলিত আছে।
(খ) আইনসভার দ্বারাও বিচারক নিয়োগ করা যায়। আইনসভার দ্বারা বিচারক নিয়োগ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি
অঙ্গরাজ্যের এবং সুইজারল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতের বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রচলিত আছে।
(গ) বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই শাসন বিভাগ কর্তৃক নির্দিষ্ট নিয়মের ভিত্তিতে বিচারক নিয়োগের পদ্ধতিটি প্রচলিত
আছে। শাসন বিভাগ কর্তৃক বিচারক নিয়োগের তৃতীয় পদ্ধতিটিই বর্তমানে অনেক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর মতে কাম্য বিবেচিত হয়।
৩। বিচারকদের কার্যকাল: বিচারকদের কার্যকালের স্থায়িত্বের উপর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিশেষভাবে নির্ভরশীল।
কার্যকালের স্থায়িত্ব না থাকলে নিষ্ঠার সাথে বিচারকার্য সম্পাদন করা বিচারকদের পক্ষে সম্ভব হয় না। এছাড়াও বিচারকের
কার্যকাল স্বল্পস্থায়ী হলে পদের অপব্যবহারের আশঙ্কা থাকে। বিচারকদের কার্যকাল স্থায়ী হলে তাঁরা নির্ভীক ও
নিরপেক্ষভাবে ন্যায়বিচার করতে পারেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচারকরা অক্ষম হয়ে না পড়লে ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত পদে
বহাল থাকেন। ভারতের সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিরা ৬৫ বছর পর্যন্ত পদে আসীন থাকেন।
৪। বিচারকদের অপসারণ: বিচারকদের অপসারণ পদ্ধতির উপরও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নির্ভরশীল। নিয়ম লঙ্ঘন না
করেও অপসারণের ভয় বা আশঙ্কা থাকলে বিচারকদের পক্ষে ন্যায়বিচার করা সম্ভব হয় না। তাই কোন বিচারককে যাতে
সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া পদচ্যুত হতে না হয় তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা থাকা দরকার। বিচারপতিদের অপসারণ করার জন্য
সাংবিধানিকভাবে বিশেষ বিধান থাকা আবশ্যক। এক্ষেত্রে আইনসভা কর্তৃক অভিশংসন প্রস্তাব এবং সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল এর সুপারিশক্রমে রাষ্ট্রপ্রধানের আদেশে একজন বিচারপতিকে অপসারণ করা যেতে পারে।
৫। বিচারকগণের বেতন ভাতা ও পদোন্নতি: বিচার বিভাগের স্বাধীনতার সাথে বিচারকদের বেতন ভাতারও সম্পর্ক আছে।
স্বল্প বেতনভোগী বিচারপতিদের দুর্নীতিপরায়ণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শ্রেষ্ঠ যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিকে বিচারকপদে আকৃষ্ট
করার জন্য বিচারপতিদের বেতন পর্যাপ্ত হওয়া দরকার। পর্যাপ্ত বেতন ও ভাতা না দিলে কোন অভিজ্ঞ আইনজীবী বা
আইনজ্ঞ পÐিত ব্যক্তি বিচারক হিসেবে কাজ করতে রাজি হবেন না। তাছাড়া তাঁদের বেতন ও ভাতা পদমর্যাদা রক্ষার
উপযোগী হওয়া বাঞ্জনীয়। এছাড়াও বিচারকগণ যাতে যোগ্যতার শর্তাদি পূরণের পরেও পদোন্নতি নিয়ে হতাশায় না ভোগেন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
৬। বিচার বিভাগের স্বতন্ত্রীকরণ: বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য আইন ও শাসন বিভাগ থেকে তার স্বতন্ত্রীকরণ
অপরিহার্য। প্রাচীনকালে রাজা বা রাজকর্মচারীরাই আইন প্রণয়ন, শাসন ও বিচারকার্য সম্পাদন করতেন। আগে শাসনকার্য
ও বিচারকার্যের মধ্যে কোন পার্থক্য করা হত না। এ ব্যবস্থা স্বৈরাচারের সুযোগ করে দেয়। হ্যারল্ড লাস্কির মতানুসারে
শাসকের হাতে বিচারের ভার ন্যস্ত থাকলে ন্যায়বিচার পাওয়া যায় না। এ রকম ক্ষেত্রে শাসন বিভাগ সহজেই স্বৈরাচারী
হয়ে উঠতে পারে। বাংলাদেশে বিচার বিভাগ ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর শাসন বিভাগ থেকে পৃথকীকরণ করা হয়।
৭। বিচারকদের দৃষ্টিভঙ্গি: বিচারপতিদের দৃষ্টিভঙ্গি ও শ্রেণিচেতনার উপর বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা অনেকাংশে
নির্ভরশীল। বিচারকদের সামাজিক ও পারিবারিক অবস্থান, অর্থনৈতিক ও শিক্ষাগত প্রেক্ষাপট, রাজনৈতিক চেতনা প্রভৃতির
ছাপ তাঁদের পেশাগত দায়িত্বের উপরে পড়তে পারে। এই আশঙ্কা থেকে মুক্ত থাকার জন্য বিচারকরা কি ভাবে পেশাগত
দায়িত্ব পালন করবেন তার একটি সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকতে হবে। নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে কি ধরনের শান্তি হবে তাও সুস্পষ্টভাবে অবহিত করতে হবে।
৮। জনগণ ও রাজনীতিবিদদের আগ্রহ: বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্বাতন্ত্র্য রক্ষার জন্য জনগণ এবং রাজনীতিবিদদের
আগ্রহ ও ঐকান্তিক ইচ্ছা থাকতে হবে। সত্যিকার অর্থে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনবোধে জনগণকে
নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে চাপ প্রয়োগ ও আন্দোলন করতে হবে। এর জন্য বিভিন্নভাবে জনমত গড়ে তুলতে হবে।
৯। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস: বিচারবিভাগের প্রতি জনগণের শ্রদ্ধা, আস্থা ও বিশ্বাস অক্ষুন্ন রাখা এবং তা বৃদ্ধি করার
দায়িত্ব বিচারকগণেরই। বিচারকরা সৎ ও নিষ্ঠার সাথে কর্তব্য পালন করলে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে
পারেন। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অটুট থাকলে ক্ষমতাসীন শাসকগণ বিচারকদের অধিকার ও মর্যাদা ক্ষুন্ন হয় এমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সাহসী হবেন না।
পরিশেষে বলা যায় যে, উপরোক্ত বিষয়গুলো অনুসরণ করলে বিচার বিভাগকে স্বাধীন নিরপেক্ষ ও দুর্নীতিমুক্ত রাখা সম্ভব।
তবে এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয় যে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের সুদৃঢ় অবস্থান ব্যতিরেকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব নয়।
সার-সংক্ষেপ
বিচার বিভাগ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার স্বরূপ ও প্রকৃতি নির্ধারণ করে। বিচারকদের দক্ষতা, যোগ্যতা, নিরপেক্ষতা এবং স্বাধীনতার
ওপরই বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতা নির্ভরশীল। প্রকৃত অর্থে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অর্থ হল কর্তব্য পালনে
বিচারকদের স্বাধীনতা। বিচারকগণ যখন রায় প্রদানের ক্ষেত্রে সর্ব প্রকার সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব এবং
সরকারি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ মুক্ত থাকবেন তখনই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষিত হবে।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৯.১১
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন
১। “বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বলতে বোঝায় এ বিভাগের নিরপেক্ষতা ও অন্য বিভাগের প্রভাবমুক্ত থাকা।”Ñ কথাটি কে
বলেছেন?
ক) আলেকজান্ডার হ্যামিল্টন খ) জেমন কেন্ট
গ) হেনরি সিজউইক ঘ) লর্ড ব্রাইস
২। ‘সরকারের উৎকর্ষতা পরিমাপের জন্য বিচার ব্যবস্থার দক্ষতার চেয়ে উৎকৃষ্টতর কোন মাপকাঠি নেই।”Ñ কার উক্তি?
ক) সিজউইক খ) আলেকজান্ডার হ্যামিল্টন
গ) জেমস কেন্ট ঘ) লর্ড ব্রাইস
৩। বিচারকদের সাধারনত কয়টি পদ্ধতিতে নিয়োগ করা যায়?
ক) ২ খ) ৩
গ) ৪ ঘ) ৫
৪। কোন দেশের বিচারপতিরা আইনসভার সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত হন?
ক) ভারত খ) বাংলাদেশ
গ) বলিভিয়া ঘ) শ্রীলংকা

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]