বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্ব বর্ণনা করুন।

ঊণসত্তরের গণঅভ্যুত্থান বা গণআন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই
আন্দোলনের মধ্যদিয়ে পাকিস্তানের কথিত লৌহমানব ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের স্বৈরাচারী শাসনের
অবসান ঘটে। জনসাধারণের চেতনা বৃদ্ধির ফলে মিলিটারী, পুলিশ ও আমলার প্রতিপত্তি ও মর্যাদা
বহুলাংশে হ্রাস পায়। আন্দোলনের তীব্রতার মুখে সরকার আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল।
উল্লেখ্য যে ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদের যে ক্রমবিকাশ
শুরু হয়েছিল ৬৯ এসে তা প্রচন্ড গতিবেগ লাভ করে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে অবশ্যম্ভাবী করে
তুলেছিল ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে ১৯৬৯’র গণঅভ্যুত্থান হচ্ছে
একটি বিরাট মাইল ফলক।
গণঅভ্যুত্থানের পটভ‚মি
১৯৬৮ সালের শেষভাগে আইয়ুব খানের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন তীব্ররূপ ধারন করে।
৭ ডিসেম্বর মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর আহবানে পুলিশী নির্যাতনের প্রতিবাদে প্রদেশব্যাপী
এক অভ‚তপূর্ব হরতাল পালিত হয়। ১৪ ডিসেম্বর ভাসানী ন্যাপের পক্ষ থেকে ঘেরাও আন্দোলন
কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় এবং ২৯ ডিসেম্বর ঘেরাও আন্দোলনের সূচনা করা হয়। এ ভাবে একের পর
এক কর্মসূচির সুবাদে আন্দোলন দানা বেঁধে ওঠে।
সারা দেশের মানুষ যখন আন্দোলনমুখী তখন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৬৯’র ৪জানুয়ারী ডাকসু
কার্যালয়ে ছাত্র সংগ্রাম কমিটি ১১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আলোড়ন সৃষ্টিকারী ১১ দফা কর্মসূচি
আন্দোলনে নতুন গতিবেগের সঞ্চার করে। ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা কর্মসূচি ঘোষিত হবার
পরপরই ৮ জানুয়ারী সাতটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে ‘ডাক’ কমিটি গঠন করা হয়। সকল কালাকানুন বাতিল, শেখ মুজিবের মুক্তিসহ সকল
রাজবন্দীদের মুক্তি দাবি সম্বলিত ৮ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে এই কমিটি। ১৯৬৯’র ১৭ জানুয়ারী
ঢাকা শহরে দু’টি পৃথক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। একটি বায়তুল মোকাররমে ডাক-এর আহবানে, অন্যটি
বটতলায় ছাত্রদের আহবানে। সরকার ঢাকা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেন। বায়তুল মোকাররমে
জনতা-পুলিশ সংঘর্ষ ঘটে। ছাত্রসমাজ ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমে পড়লে ছাত্রদের সাথে
পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। বহু ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী দিনও বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে ছাত্র পুলিশ
সংঘর্ষ হয়।
পুলিশী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ২০ জানুয়ারি বটতলায় ছাত্রসভার আয়োজন ও প্রতিবাদ মিছিলের কর্মসূচি
নেওয়া হয়। সভার পর হাজার হাজার ছাত্রের মিছিল রাস্তায় নামলে শত শত পুলিশ আর ই.পি.আর.
বাহিনী তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ১১ দফা আদায়ের মিছিলে পুলিশের গুলিতে ছাত্রনেতা
আসাদুজ্জামান নিহত হন। আসাদের মৃত্যুতে গণজাগরণের বিস্ফোরণ ঘটে। এতদিনের গণআন্দোলন
গণঅভ্যুত্থানের স্তরে উন্নীত হয়। আইয়ুবী শাসন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভে ফেটে
পড়ে। জনসাধারণ স্বতঃম্ফ‚র্তভাবে অনেক স্থানে আইয়ুবের নামফলক নামিয়ে ফেলে। এ ভাবে আইয়ুব
গেট হয়ে যায় ‘আসাদ গেট’।
ছাত্রনেতা আসাদের মৃত্যুর প্রতিবাদে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ দেশব্যাপী সাধারণ হরতাল ও শোক দিবস
পালনের কর্মসূচি গ্রহণ করে। ২৪ জানুয়ারি ঢাকা শহরে সর্বাত্বক হরতাল পালন করা হয়। ওই দিন
হরতাল মোকাবিলার জন্যে নামানো হয় সেনাবাহিনী। বিক্ষুব্ধ জনতার উপর পুলিশের গুলিতে নবকুমার ছাত্র-জনতা আইয়ুবী শাসন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে মুক্তিযুদ্ধকে অবশ্যম্ভাবী করে তুলেছিল ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান
স্কুলের ছাত্র মতিয়ুর রহমান নিহত হওয়ার ফলে সেদিনের প্রতিবাদ বিদ্রোহ এবং জনতার রোশের
আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছিল দৈনিক পাকিস্তান ও মনিং নিউজ পত্রিকার অফিস। বিপ্লবী জনতা আইন
অমান্য আন্দোলন শুরু করে। ১৫ ফেব্রæয়ারী আগড়তলা মামলার আসামী সার্জেন্ট জহুরুল হককে বন্দী
অবস্থায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে হত্যা করা হয়। ফলে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে। ১৮ ফেব্রæয়ারী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়য়ের শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে সৈনিকরা। ড. জোহার
মৃত্যু ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানকে চরম পর্যায়ে উন্নীত করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্যে
সেনাবাহিনীকে তলব করা হয় এবং সান্ধ্য আইন জারী করা হয়। সেদিন সান্ধ্য আইন উপেক্ষা করে
হাজার হাজার মানুষ রাজপথে নেমে আসায় ঢাকার রাজপথে রক্তের স্রোত বয়ে গিয়েছিল। জনতার
কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছিল ‘জাগো জাগো বাঙালি জাগো’ ‘কারফিউ মানিনা’, ’তোমার নেতা আমার নেতা
শেখ মুজিব, শেখ মুজিব’ প্রভৃতি úোগান।
গণঅভ্যুত্থানের ফলে ২০ ফেব্রæয়ারী পূর্ব বাংলা থেকে সান্ধ্য আইন তুলে নেয়া হয়। ২২ ফেব্রæয়ারী
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে শেখ মুজিবসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি দেওয়া হয়। বাঙালি
জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মুখে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল এবং শেখ মুজিব একটি
জনপ্রিয় নামে পরিণত হলেন। ২৩ ফেব্রæয়ারী রমনা রেসকোর্স ময়দানে, ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের পক্ষ
থেকে শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু‘ উপাধিতে ভ‚ষিত করা হয়।
১১ দফা দাবিসমূহ
‘১। ক.স্বচ্ছল কলেজগুলিকে প্রাদেশিকীকরণের নীতি পরিত্যাগ করতে হবে এবং ইতিমধ্যে যে সব
কলেজ প্রাদেশিকীরণ করা হয়েছে সেগুলিকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ন
ছাত্রদের উচ্চ ক্লাসে ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। কারিগরি, প্রকৌশল, চিকিৎসা ও কৃষি
ছাত্রদের দাবি মানতে হবে, ছাত্র বেতন কমাতে হবে, নারী শিক্ষার প্রসার করতে হবে এবং শিক্ষা
সংকোচন নীতি পরিহার করে শিক্ষার ব্যাপক প্রসার করতে হবে।
খ. কুখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় কালাকানুন সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রদান করতে হবে।
গ. শাসকগোষ্ঠীর শিক্ষা সংকোচন নীতির প্রামাণ্য দলিল ‘জাতীয় শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট’ ও ‘মাহমুদুর
রহমান কমিশন রিপোর্ট’ বাতিল করতে হবে এবং ছাত্র সমাজের ও দেশবাসীর স্বার্থে গণমুখী ও
বৈজ্ঞানিক শিক্ষা ব্যবস্থা কায়েম করতে হবে।
২. প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে পার্লামেন্টারী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিতে হবে। দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার ওপর হতে
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।
৩. নি¤œলিখিত দাবিসমূহ মেনে নেয়ার ভিত্তিতে পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে।
ক. দেশের শাসনতান্ত্রিক কাঠামো হতে হবে যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রকৃতির এবং আইন পরিষদের ক্ষমতা হতে
হবে সার্বভৌম।
খ. কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা দেশরক্ষা, বৈদেশিক নীতি ও মুদ্রা এই কয়টি বিষয়ে সীমাবদ্ধ থাকবে।
অঞ্চলের সকল বিষয়ে অঙ্গরাষ্ট্রগুলির ক্ষমতা হবে নিরঙ্কুশ।
গ. দুই অঞ্চলের জন্যে একই মুদ্রা থাকবে। এই ব্যবস্থায় মুদ্রা কেন্দ্রের হাতে থাকবে। কিন্তু শাসনতন্ত্রে
এমন সুনির্দিষ্ট বিধান থাকতে হবে যাতে পূর্ব পাকিস্তানের মুদ্রা পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার না হতে
পারে। এই বিধানে পাকিস্তানে একটি ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থাকবে, দুই অঞ্চলে দুইটি পৃথক
রিজার্ভ ব্যাংক থাকবে এবং পূর্ব পাকিস্তানের জন্যে পৃথক অর্থনীতি প্রবর্তন করতে হবে।
ঘ. সকল প্রকার রাজস্ব-খাজনা, কর ধার্য ও আদায়ের সকল ক্ষমতা থাকবে আঞ্চলিক সরকারের
হাতে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো কর ধার্য করার ক্ষমতা থাকবে না। আঞ্চলিক সরকারের আদায়কৃত
রাজস্বের নির্ধারিত অংশ আদায়ের সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় তহবিলে জমা দিতে হবে। এই মর্মে রিজার্ভ
ব্যাংকসমূহের ওপর নির্দেশ থাকবে।
ঙ. কেন্দ্রের কাছে অর্জিত প্রতি রাষ্ট্রের বহিঃবাণিজ্যের পৃথক হিসাব রক্ষা করতে হবে এবং
বহিঃবাণিজ্যের মাধ্যমে মুদ্রা অঙ্গরাষ্ট্রগুলির এখতিয়ারাধীন থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রয়োজনীয়
বিদেশী মুদ্রা অঙ্গরাষ্ট্রগুলি সমানভাবে অথবা শাসনতন্ত্রের নির্ধারিত হার অনুযায়ী প্রদান করবে।
দেশজাত দ্রব্যাদি বিনা শুল্কে অঙ্গরাষ্ট্রগুলির মধ্যে আমদানি রফতানি চলবে এবং ব্যবসা বাণিজ্য
সম্পর্কে বিদেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের, বিদেশে ট্রেড মিশন স্থাপনের এবং আমদানি রপ্তানি
করবার অধিকার অঙ্গরাষ্ট্রগুলির হাতে ন্যস্ত করে শাসনতন্ত্রে বিধান করতে হবে।
চ. পূর্ব পাকিস্তানকে মিলিশিয়া বা প্যারা মিলিটারী গঠনের ক্ষমতা দিতে হবে। পূর্ব পাকিস্তানে অস্ত্র
কারখানা নির্মাণ ও নৌ-বাহিনীর সদর দপ্তর স্থাপন করতে হবে।
৪. পশ্চিম পাকিস্তানিদের বেলুচিস্তান, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ ও সিন্ধুসহ সকল প্রদেশকে
স্বায়ত্তশাসন প্রদান করে যুক্তরাষ্ট্রের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
৫. ব্যাংক, বীমা, ইন্স্যুরেন্স ও বৃহৎ শিল্প জাতীয়করণ করতে হবে।
৬. কৃষকদের উপর হতে খাজনা ও ট্যাক্সের হার হ্রাস করতে হবে এবং বকেয়া খাজনা ও ঋণ মওকুফ
করতে হবে। সার্টিফিকেট প্রথা বাতিল ও তহশিলদারদের অত্যাচার বন্ধ করতে হবে। পাটের সর্বনিæ
মূল্য মণ প্রতি ৪০ টাকা নির্ধারণ এবং আখের ন্যায্য মূল্য দিতে হবে।
৭. শ্রমিকের ন্যায্য মজুরী ও বোনাস দিতে হবে এবং শিক্ষা বাসস্থান, চিকিৎসা ইত্যাদির ব্যবস্থা করতে
হবে। তাদের ধর্মঘটের অধিকার, ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার প্রদান করতে হবে।
৮. পূর্ব পাকিস্তানের বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও জল সম্পদের সার্বিক ব্যবহারের ব্যবস্থা করতে হবে।
৯. জরুরী আইন প্রত্যাহার, নিরাপত্তা আইন ও অন্যান্য আইন প্রত্যাহার করতে হবে।
১০. সিয়াটো, সেন্টো প্রভৃতি পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তি বাতিল করে জোট বহির্ভুত স্বাধীন ও নিরপেক্ষ
পররাষ্ট্র নীতি কায়েম করতে হবে।
১১. দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক সকল ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, রাজনৈতিক কর্মী ও নেতৃবৃন্দের
অবিলম্বে মুক্তি, গ্রেফতারী পরোয়ানা ও হুলিয়া প্রত্যাহার এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাসহ সকল
রাজনৈতিক কারণে জারীকৃত মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।’
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান ছিল মূলতঃ আইয়ুব খানের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে এদেশের ছাত্রজনতার তীব্র আন্দোলন। আসাদ, মতিয়ুর, সার্জেন্ট জহুরুল হক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডঃ
শামসুজ্জোহার মৃত্যু এই আন্দোলনকে প্রাণ দিয়েছিল। আর ছাত্র সমাজের ১১ দফা কর্মসূচি বা দাবী এ
আন্দোলনকে করে তুলেছিল তীব্র। যার ফলশ্রæতিতে আইয় ব খান ক্ষমতা ত্যাগ করতে বাধ্য হন
আর পরবর্তী শাসক ইয়াহিয়া খানও ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করতে বাধ্য হন।
সারকথা: পাকিস্তানের ২২ বছরের গণআন্দোলনের ইতিহাসে ১৯৬৯’র গণঅভ্যুত্থান ছিল একটি দেশকাঁপানো অভ্যুত্থান। এই আন্দোলনের মধ্যদিয়ে সামরিক শাসক আইয়ুব খানের পতন হয়।
উলে খযোগ্য ঘটনা হল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তিলাভের ফে - ল গণচেতনার উন্মোষ ঘটে।
ছাত্রসংগ্রাম কমিটি গণঅভ্যুত্থানে অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করেছিল। জনগণ স্বতঃর্স্ফ‚তভাবে এই
আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল। এই আন্দোলনের মধ্যদিয়ে ছাত্রসমাজ কৃষক-শ্রমিক ও পেশাজীবীর
মধ্যে সমন্বয় সাধিত হয়। বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ লাভের ক্ষেত্রে ১৯৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের ভ‚মিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
সঠিক উত্তরটি লিখুন।
১. পুলিশী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ১৯৬৮ সালের ৭ ডিসেম্বর হরতাল আহবান করছিল কে?
ক. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব;
খ. মাওলানা ভাসানী;
গ. তাজউদ্দিন আহমেদ;
ঘ. আতাউর রহমান;
২. ১৯৬৮, ৬৯ সালে ঘেরাও আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল কোন দল?
ক. আওয়ামী লীগ;
খ. ভাসানী ন্যাপ;
গ. কম্যুনিস্ট পার্টি;
ঘ. মুসলিম লীগ।
৩. ১১ দফা কর্মসূচী গ্রহণ করেছিলক. ছাত্রলীগ;
খ. ছাত্র ইউনিয়ন;
গ. ছাত্র সংগ্রাম কমিটি;
ঘ. আওয়ামী লীগ।
৪. আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা কখন প্রত্যাহার করা হয়েছিল?
ক. ২০ ফেব্রæয়ারী;
খ. ১১ ফেব্রæয়ারী;
গ. ২২ ফেব্রæয়ারী;
ঘ. ২৩ ফেব্রæয়ারী।
সংক্ষিপ্ত উত্তরমূলক প্রশ্ন
১. বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্ব বর্ণনা করুন।
রচনামূলক প্রশ্ন
১. ১৯৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের পটভ‚মি আলোচনা করুন।
উত্তরঃ ১. খ, ২. খ, ৩. গ ও ৪. গ।

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]