ন্যায়বিচার কি? বাংলাদেশের সংবিধানে ‘ন্যায়পাল’ প্রতিষ্ঠার বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করুন।

আধুনিক রাষ্ট পরিচালনায় নানা জটিল ও বিচিত্র দিকসমূহ বিবেচনায় ক্রমশঃ বিভিন্ন ধরণের প্রতিষ্ঠান
সৃষ্টি করা হয়। এগুলোর মধ্যে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য নানাবিধ ব্যবস্থাদি বিশেষতঃ ন্যায়পাল
নামক একটি প্রতিষ্ঠান তাৎপর্যপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। বর্তমান পাঠে এ বিষয়ে আলোকপাত করা
হবে।
ন্যায়বিচার
সুসভ্য মানব জীবনের মূল ভিত্তি হ’ল ন্যায়বিচারের প্রতি আস্থা ও নিষ্ঠা। মানুষ একাকী জীবনধারণ
করলে অন্যের সাথে তার মিথষ্ক্রিয়ার প্রয়োজন হয় না এবং ন্যায়-অন্যায়ের প্রসংগও গুরুত্ব পায় না।
কিন্তু মানুষের পক্ষে একাকী সমাজ বর্হিভূত জীবনযাপন অসম্ভব। তাই সমাজবদ্ধ জীবন যাপনের স্বার্থে
মানুষকে একে অপরের প্রতি ন্যায্য আচরণের অত্যাবশ্যকীয় শর্ত পূরণ করতে হয়। সমাজ সৃষ্টির
মূলেই রয়েছে সমষ্টির প্রয়োজনের আলোকে ব্যক্তির প্রয়োজনকে সমন্বিত করা। এ থেকে উদ্ভুত হয়েছে
ন্যায়বিচারের ধারণা। সভ্য মানুষ অপরের প্রতি কী আচরণ প্রদর্শন করবেন এবং বিনিময়ে অন্যের
নিকট হ’তে কী আচরণ প্রত্যাশা করবেন তা নিয়মিত, বাধাহীন ও সুসভ্যভাবে স্থির করার জন্য
ন্যায়বিচারের উদ্ভব।
সুশৃংখল ব্যবস্থাধীনে নিরাপত্তা ও স্বস্বির সাথে জীবনধারণ এবং সুশোভন প্রক্রিয়ায় স্ব স্ব জীবনের
বিকাশ সাধনের অধিকার সকল মানুষেরই আছে। সকলকে এই অধিকার ভোগের সামর্থ্য প্রদানের
ব্যবস্থা শুধু ন্যায়বিচারভিত্তিক শাসন ব্যবস্থাতেই পাওয়া সম্ভব। এর আওতায় প্রত্যেকে যেমন নিজের
প্রাপ্য অধিকার অক্লেশে পেতে পারেন, তদ্রæপ কেউ কারো অধিকারের সীমারেখায় অযাচিত হস্তক্ষেপ
করেন না। অন্যের অধিকারভঙ্গের বা ক্ষতিসাধনের কারণে দায়ী ব্যক্তির জন্য যথোপযুক্ত শাস্তি বা
দমনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ন্যায়বিচারের নিরীখে অত্যাবশ্যক। আইন, নৈতিকতা ও সাধারণ
বিবেচনাবোধের আলোকে অনুশীলিত ন্যায়বিচারের অভাবে সমাজের শৃংখলা ও বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়।
আধুনিক ব্যবস্থায় আইনের ব্যাখ্যার আলোকে দুই প্রকৃতির ন্যায়বিচার ক্রিয়াশীল ঃ দেওয়ানী ও
ফৌজদারী। জীবনের অর্ন্তনিহিত সম্পদ ও ভৌত সম্পত্তির অধিকার হ’তে কাউকে অন্যায্যভাবে
বিচ্যুত করা হলে তিনি আইনের ব্যাখ্যার আলোকে যথাযথ আদালত হ’তে প্রাতিষ্ঠানিক দেওয়ানী
ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করতে পারেন। পক্ষান্তরে, কোন ব্যক্তির জীবন ও সম্পত্তিতে অন্য কেউ
ক্ষতিসাধন করলে উক্ত ব্যক্তি ও সেই সাথে তার সমাজ একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হ’য়েছেন বলে বিবেচিত
হয়। তখন উক্ত অপরাধমূলক কাজের জন্য উপযুক্ত প্রতিবিধান করা ফৌজদারী ন্যায়বিচারের উদ্দেশ্য।
সামাজিক শৃংখলা রক্ষার মাধ্যমে সমাজের ইস্পিত বিকাশের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত ফৌজদারী ন্যায়বিচারের
বা অপরাধের শাস্তিবিধানের পেছনে কয়েকটি যুক্তি রয়েছে ঃ
প্রতিশোধমূলক (
বর্বর জীবন থেকে উত্তরণের পর এইসব অনুভুতি সভ্যতার প্রথম পাদ হতে প্রায় অক্ষ‚ণœভাবে প্রবহমান।
কারো জীবন ও সম্পত্তির বিরুদ্ধে ক্ষতিকর কাজের কারণে উক্তরূপ কাজের হোতাকে সমরূপ বা
এমনকি কঠোরতর ক্ষতির সম্মুখীন করার এটি একটি মানবীয় প্রবণতা। ‘নাকের বদলে নাক’ -এরূপ
প্রকৃতির এই মনোভাবটি অপরাধের প্রতিবিধান সংক্রান্ত ন্যায়বিচার শাস্ত্রে ক্রমশঃ কমজোর হ’য়ে চলেছে।
দেওয়ানী ও ফৌজদারী ন্যায়বিচারের অপরাধের শাস্তি বিধানের পেছনে যুক্তিগুলো হচ্ছেপ্রতিশোধমূলক, দৃষ্টান্তমূলক, নিবৃত্তিমূলক, ক্ষতিপূরণমূলক এবং সংশোধনমূলক
দৃষ্টান্তমূলক
অপরাধমূলক কাজের কারণে কঠিন সাজা আরোপিত হবার বাস্তব সম্ভাবনার কথা জানা থাকলে সম্ভাব্য
অপরাধী অপরাধ করা হতে বিরত থাকবে বলে এই মতবাদে আশা করা হয়। জঘন্য অপরাধের
কারণে মৃত্যুদন্ডের বিধান এ ধরণের আরো অপরাধ সংঘটনকে কার্যকরভাবে নিরুৎসাহিত করে।
নিবৃত্তিة) চৎবাবহঃরাব)
প্রমাণিত অপরাধী কর্তৃক অনুরূপ বা জঘন্যতর অধিক অপরাধ সংঘটনের সুযোগ বন্ধ করার জন্য এসব
অপরাধীকে কারাগারে বন্দী করা হয়।
ক্ষতিপূরণমূলক
অপরাধকর্মের হোতা অপরাধমূলক কাজের মাধ্যমে যাতে লাভবান না হ’তে পারে বা অনুরূপ কাজের
কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ক্ষতি যাতে কিছু পরিমাণে হলেও লাঘব হয়, সেজন্য এই মতবাদ
ক্রিয়াশীল। দেখা যায় যে, প্রমাণিত অপরাধীর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তার স¤পূর্ণ বা কিয়দংশ উক্ত
অপরাধের শিকার নিরীহ ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করা হয়।
সংশোধনমূলক
অপরাধীরা সমাজের বোঝা ও অগ্রগতির প্রতিবন্ধক। সংশোধনের মাধ্যমে এদের ক্ষতিকর প্রবণতা
দূরীকরণ ও কল্যাণকর সম্ভাবনার উজ্জীবন এই মতবাদের উদ্দেশ্য। অপরাধীকে অসুস্থ হিসেবে গণ্য
ক’রে সমাজদেহ হ’তে এই ব্যাধি নিরাময়ের জন্যই অপরাধীদেরকে সংশোধন কেন্দ্রে নেয়া হয়।
পাশ্চাত্যের বিত্তবান দেশগুলিতে বিশেষতঃ নবীন বয়সের অপরাধীকে এরূপ সংশোধনের জন্য নানাবিধ
প্রক্রিয়া প্রবর্তিত হ’য়েছে।
কোন সমাজব্যবস্থায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য কিছু স্বয়ংক্রিয় বা সততঃ পরিচালিত ব্যবস্থা থাকে।
মানুষের মননগত বৈশিষ্ট্য, সামাজিক মূল্যবোধ, আইনের উপযুক্ততা ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাদির
যথার্থতা-- এর সবগুলি নিয়ামকই এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের যেমন উৎকৃষ্ট ও অপকৃষ্ট স্বভাব আছে,
তেমনি আইন ও প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যধারায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সাফল্য ও ব্যর্থতা আছে।
প্রচলিত আইন ও নিয়মিত প্রতিষ্ঠানের সীমাবদ্ধতা যুক্তিযুক্তভাবে অতিক্রম করার জন্য আধুনিক বিশ্বে
ন্যায়পাল নামক একটি প্রতিষ্ঠান দেশে দেশে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে।
ন্যায়পাল
দেওয়ানী ও ফৌজদারী ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজে শান্তি স্থাপন ও জীবনমানের
উন্নতিসাধনের কাজে রাষ্ট্র সর্বাধিক কার্যকর ভ‚মিকা পালন করে। রাষ্ট্রের এই মহান দায়িত্ব প্রধানতঃ
সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের দ্বারা নির্বাহ করা হয়। এ সব প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের
কর্মকর্তাগণের সঠিক মনোভাব ও কর্মকুশলতা এক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নাগরিকদের অধিকার
সংরক্ষণ ও শাসন ব্যবস্থার ইস্পিত মান যাতে যথাযথভাবে নিশ্চিত হয় তা পরিবিক্ষণের জন্য একটি
নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা আছে। সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থায় কর্মরত ব্যক্তিবর্গ
সঠিকভাবে দায়িত্বপালন করছেন কি না তা পর্যালোচনাপূর্বক যথাবিহীত নির্দেশদানের ক্ষমতাসম্পন্ন
নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানই ন্যায়পাল।
স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে ন্যায়পাল নামক প্রতিষ্ঠানের উদ্ভব হয়। ১৮০৯ সালে সুইডেনে প্রতিষ্ঠিত
হবার পর অন্যান্য নরডিক দেশে (যথা - ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও আইসল্যান্ডে) প্রতিষ্ঠানটি
দ্রুত বিকাশলাভ করে। পরবর্তীকালে পৃথিবীর প্রায় ৭০টি দেশে ‘ন্যায়পাল’ সৃষ্টির ব্যবস্থা করা হয়।
বিভিন্ন দেশে প্রায় অভিন্নার্থক এই প্রতিষ্ঠানটি ‘ন্যায়পাল’ ছাড়াও অন্যান্য নাম পরিগ্রহ করে। এরূপ
দু’একটি প্রতিষ্ঠানের নাম উলে খ করা যায় ঃ- -
অস্ট্রিয়া ঃ
ফ্রান্স ঃ গ
লিথুয়ানিয়া ঃ
নেদারল্যান্ড ঃ
পোল্যান্ড ঃ
পর্তুগাল ঃ
রুশ ফেডারেশন ঃ
শ্লোভেনিয়া ঃ
স্পেন ঃ
যুক্তরাজ্য ঃ
প্রচলিত আইন ও
নিয়মিত
প্রতিষ্ঠানের
সীমাবদ্ধতা যুক্তি
যুক্তভাবে অতিক্রম
করার জন্যে
যথাবিহীত নির্দেশ
দানের ক্ষমতা
সম্পন্ন নিরপেক্ষ
প্রতিষ্ঠানই
ন্যায়পাল।
জাম্বিয়া ঃ
কোন কোন দেশে জাতীয় এখতিয়ারসম্পন্ন একাধিক ন্যায়পাল থাকেন, আবার কোন কোন দেশে
আঞ্চলিক এখতিয়ারসম্পন্ন ন্যায়পালও আছেন। কোন কোন দেশে বিষয়-ভিত্তিক এখতিয়ারসম্পন্ন
ন্যায়পালও দেখতে পাওয়া যায়।
ন্যায়পাল নাগরিকদের প্রেরিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বা এমন কি স্বতঃপ্রণোদিত হ’য়ে কোন
সরকারী প্রতিষ্ঠান বা অফিসের কার্যক্রম বা বিশেষ কোন কাজ সম্বন্ধে অনুসন্ধান করতে পারেন। তবে
সাধারণভাবে বলা যায় যে, ন্যায়পাল আদালতের বিচারাধীন কোন বিষয়ের উপর অনুসন্ধান হ’তে
বিরত থাকেন। ন্যায়পাল কর্তৃক কৃত কোন অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ন্যায়পাল আদালতের মর্যাদা পরিগ্রহ
করে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে (অনুচ্ছেদ ৭৭) ‘ন্যায়পাল’ প্রতিষ্ঠার বিধান করে বলা হয়েছে যে,
জাতীয় সংসদ আইনের দ্বারা ন্যায়পাল সৃষ্টি করতে পারবে। জাতীয় সংসদ ১৯৮০ সালের ১৫ নং
আইন (ন্যায়পাল আইন, ১৯৮০) প্রবর্তন করে। বলা হয় যে, জাতীয় সংসদের সুপারিশের ভিত্তিতে
রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত একজন ন্যায়পাল থাকবেন।
সুপরিচিত প্রশাসনিক দক্ষতা ও সততা বিবেচনাক্রমে জাতীয় সংসদের সুপারিশ অনুযায়ী নিযুক্ত
ন্যায়পাল তিন বৎসর মেয়াদে অধিষ্ঠিত থাকেন। রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে লিখিত পত্রযোগে তিনি পদত্যাগ
করতে পারেন, কিংবা সংসদে অন্যান দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটে সমর্থিত প্রস্তাবক্রমে
তিনি অসদাচরণ বা অসামর্থ্যের কারণে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অপসারিত হ’তে পারেন।
সরকারের কোন মন্ত্রণালয়, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা সরকারী কর্মকর্তার আচরণের উপর ন্যায়পাল তদন্ত
করতে পারবেন। তবে, দেওয়ানী বা ফৌজদারী আদালতে বিচারাধীন কোন বিষয়ে তদন্ত করা চলবে
না। তদন্তাধীন বিষয়ে সাক্ষ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে ন্যায়পাল দেওয়ানী কার্যবিধি ও দন্ডবিধির বিধান
মোতাবেক একটি আদালতের মর্যাদা ভোগ করবেন এবং অনুরূপ আদালতের মত কার্যধারা অবলম্বন
করতে পারবেন।
তদন্ত শেষে যদি প্রতিষ্ঠিত হয় যে, কারো প্রতি অবিচার করা হয়েছে, তাহলে ন্যায়পাল সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষ বা কর্মকর্তাকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেবেন। তদন্তে যদি
প্রমাণিত হয় যে, কোন কর্তৃপক্ষ বা কর্মকর্তার কাজের দ্বারা কাউকে অন্যায়ভাবে লাভবান করা হয়েছে,
তাহলে এ জন্য দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ক্ষেত্রমত আইনগত, বিভাগীয় বা শৃংখলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের
জন্য সুপারিশ করা যাবে। উভয় ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গৃহীত ব্যবস্থা সম্বন্ধে ন্যায়পালকে এক
মাসের মধ্যে অবহিত করবে। গৃহীত ব্যবস্থা সম্বন্ধে সন্তুষ্ট না হলে ন্যায়পাল সে বিষয়ে রাষ্ট্রপতির
নিকট একটি বিশেষ রিপোর্ট পেশ করতে পারবেন।
ন্যায়পাল তার কার্যক্রমের উপর প্রতিবছর একটি রিপোর্ট প্রণয়ন করে রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করবেন
যা রাষ্ট্রপতির ব্যাখ্যামূলক স্মারকসহ জাতীয় সংসদে প্রেরিত হবে। এই আইন অনুযায়ী তদন্তকালে
কোন আইনে ক্রটি পরিলক্ষিত হ’লে ন্যায়পাল সেই ক্রটির প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন
এবং এ বিষয়ে তাঁর বিবেচনামত সুপারিশ করতে পারেন।
সরল বিশ্বাসে কৃত কাজের জন্য ন্যায়পাল বা তার কোন কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা
গ্রহণ করা চলবে না। ন্যায়পালের কোন কার্যধারা, সিদ্ধান্ত বা সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে
না। সরকার বিজ্ঞপ্তি জারী করে কোন কোন প্রতিষ্ঠানকে ন্যায়পাল আইনের এখতিয়ার-বর্হিভূত বলে
ঘোষণা করতে পারবেন। সবশেষে, ন্যায়পাল আইন ছাড়াও নাগরিকগণের জন্য দেশে প্রচলিত অন্যান্য
আইনের অধীনে প্রাপ্য ন্যায়বিচার দাবী করার অধিকার বজায় থাকবে।
স্বাধীনতার ত্রিশ বছরের বেশী সময় অতিবাহিত হলেও বাংলাদেশে এখনও ন্যায়পাল নিয়োগ করা হয়
নি। সরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের ইপ্সিত সেবামূলক কার্যাবলী, জনগণের প্রতি সরকারী কর্মচারীগণের
জবাবদিহি ও সর্বোপরি সরকারী প্রশাসনব্যবস্থার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে যথাশীঘ্র ন্যায়পাল পদে
নিয়োগদান বাঞ্ছনীয়। উপযুক্ত ন্যায়পাল নিয়োগের পর তাঁকে আইনানুগভাবে কাজ করতে দিলে দেশে
সরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের দক্ষতা, জবাবদিহি ও বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।
স¤প্রতি ন্যায়পাল নিয়োগের বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনাধীন আছে বলে জানা গেছে। ন্যায়পাল কর্তৃক কৃত কোন অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ন্যায়পাল আদালতের মর্যাদা পরিগ্রহণ করে।
সঠিক উত্তরটি লিখুন।
১। অপরাধের শাস্তিবিধানের পিছনে সবচেয়ে আদর্শস্থানীয় মতবাদটি হ’ল ... .......
(ক) প্রতিশোধমূলক;
(খ) দৃষ্টান্তমূলক;
(গ) ক্ষতিপূরণমূলক;
(ঘ) সংশোধনমূলক।
২। ন্যায়পাল প্রতিষ্ঠানটির উদ্ভব হয় ........
(ক) সুইডেনে;
(খ) আইসল্যান্ডে;
(গ) ফিনল্যান্ডে;
(ঘ) নেদারল্যান্ডে।
৩। বাংলাদেশের সংবিধানে ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান আছে ..........
(ক) ৮ অনুচ্ছেদে;
(খ) ৭৭ অনুচ্ছেদে;
(গ) ৫৮ অনুচ্ছেদে;
(ঘ) ১১৬ অনুচ্ছেদে।
৪। ন্যায়পাল পদ হ’তে অপসারণের পদ্ধতি হ’ল ...............
(ক) সংসদের উপস্থিত সদস্যগণের দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থনে অনুমোদিত প্রস্তাবক্রমে
(খ) বাধ্যতামূলক ছুটির নির্দেশ দিয়ে;
(গ) ৫৭ বছর বয়স পূর্ণ হ’লে অবসর দিয়ে;
(ঘ) তাঁর দপ্তর বিলুপ্ত করে।
৫। ন্যায়পাল পদে নিয়োগদানের আইনগত সুযোগ সুষ্টি হয়েছে ..........
(ক) ১৯৭৯ সালে;
(খ) ১৯৮০ সালে;
(গ) ১৯৮১ সালে;
(ঘ) ১৯৯৬ সালে।
সংক্ষিপ্ত উত্তরমূলক প্রশ্ন
১. ন্যায়বিচার কি?
২. বাংলাদেশের সংবিধানে ‘ন্যায়পাল’ প্রতিষ্ঠার বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করুন।
রচনামূলক প্রশ্ন
১. ন্যায়বিচার ও শাস্তির বিভিন্ন প্রকার মতবাদ সম্পর্কে আলোচনা করুন।
২. ‘ন্যায়পাল’ নামক প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করুন।
উত্তরমালাঃ
১। ঘ ২। ক ৩। খ ৪। ক ৫। খ

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]