পরিবেশ সংক্রান্ত ধারণা
গত কয়েক বছর ধরে সারা পৃথিবীতে যে শব্দটি নিয়ে প্রচন্ড উদ্বেগ ও আশংকা এবং প্রচুর বিতর্ক
অনুষ্ঠিত হচ্ছে তা হলো পরিবেশ। কেননা, বিশ্ব পরিবেশ আজ মারাÍক বিপর্যয়ের সম্মুখীন। জনসংখ্যার
ক্রমবর্ধমান চাপ, দ্রæত শিল্পায়ন, বন উজাড়, কৃষি জমির স¤প্রসারণ, মরুময়তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ,
বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর বিলুপ্তি ইত্যাদি কারণে পৃথিবীর পরিবেশ সংকটাপন্ন। তা’ছাড়া গ্রীনহাউস
প্রতিক্রিয়ার ফলে আবহাওয়ামন্ডলের সম্ভাব্য তাপমাত্রা বৃদ্ধি পরিবেশের বর্তমান অবস্থাকে পুরোপুরি
বদলে দিতে পারে। অনুমান করা হচ্ছে যে, এর ফলে বিলুপ্ত হবে অনেক প্রজাতি, খাদ্যেৎপাদন হ্রাস
পাবে, বদ্বীপ এলাকার বিশাল অংশ ডুবে যাবে পানির নীচে। এছাড়া লোনা জলের গ্রাসে কৃষি বিপর্যস্থ
হবে, সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রার পরিবর্তনে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসের প্রকোপ বাড়বে, ফসলের উৎপাদন
হ্রাস পাবে, কোথাও কোথাও মরুময়তা আরো বাড়বে, মৎস্য সম্পদের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে।
মোট কথা বিশ্বকে মোকাবিলা করতে হবে এক দুর্যোগময় পরিস্থিতির।
সাধারণভাবে বলা যায় একটি প্রাণীর চারপাশে যা কিছু বিরাজ করে বা যা কিছু থাকার কারণে একটি
প্রাণী স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারে সেগুলোর সমন্বয়ে গঠিত অবস্থাই হচ্ছে পরিবেশ। আমরা
মানুষ। আমাদের চারপাশের গাছ-পালা, বন-জংগল, নদ-নদী, খাল-বিল, জীব-জন্তু, কীট-পতঙ্গ,
দালান-কোঠা, পায়ের তলার মাটি, মাথার উপরের আলোবাতাস এ সব নিয়েই আমাদের পরিবেশ
গঠিত। গোটা পরিবেশকে দুটো ভাগে ভাগ করা হয়। একটি হচ্ছে জৈব পরিবেশ, অন্যটি হচ্ছে জড়
পরিবেশ। যাদের প্রাণ আছে তাদের নিয়ে জৈবিক পরিবেশ গঠিত। সব ধরনের উদ্ভিদ এবং মানুষসহ
সব ধরনের জীব-জন্তু, পশু-পাখী, কীট-পতঙ্গ জৈবিক পরিবেশের অন্তর্ভুক্ত। তাপ, আলো, মাটি,
পানি, বাতাস, দালান-কোঠা, ঘর-বাড়ী, কল-কারখানা এসবের প্রাণ নেই। এগুলো জড় পরিবেশের
অন্তর্গত। জড় পরিবেশকে আবার দু’ভাগে ভাগ করা চলে। এর একটি হলো প্রকৃতির সৃষ্টি। যেমনআলো, বাতাস, মাটি, পানি ইত্যাদি। অপর ভাগটি হল মানুষের গড়া। যেমন- দালান-কোঠা, কলকারখানা ইত্যাদি।
পরিবেশ দূষণের কারণ
একদিকে বিশ্ব পরিবেশ সংকটের দায়ভার, অন্যদিকে প্রবৃদ্ধিমুখী উন্নয়ন প্রক্রিয়ার অনুসরণ তৃতীয়
বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মতো বাংলাদেশেরও একটি ‘ধ্বংসাত্বক আবস্থার সুষ্টি করেছে। মূখ্যতঃ
অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে এ দেশের মৃত্তিকারথ উর্বরতা হ্রাস পেয়েছে এবং
শিল্পসমূহের নির্গত বিষাক্ত বর্জ্য দ্বারা নদী, ও মুক্ত জলাশয়সমূহ দূষিত হয়ে পড়েছে। এর ফলে
আশঙ্কাজনক গতিতে বাংলাদেশের উদ্ভিদ ও প্রাণীক‚ল, মৎস্য প্রজাতি এবং বিভিন্ন প্রকার শস্য-বীজের
জৈব-বৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধিমুখী উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের
প্রকৃতি ও পরিবেশের স্বাভাবিকতা।
বাংলাদেশের অভিজ্ঞতায় পরিবেশ দূষণের যে অবস্থা পরিদৃষ্ট হয় এ প্রসঙ্গে তা উল্লেখ করা যায়।
শিল্প-বর্জ্য থেকে পানি দূষণ ঃ বাংলাদেশের প্রধান সম্পদই হল মাটি ও পানি। বাংলাদেশের
অভ্যন্তরীণ জলভাগের পরিমাণ ৩৬২৩ বর্গমাইল এবং সামুদ্রিক জলভাগের আয়তন ১২ নটিকাল
মাইল। এই বিশাল পানি সম্পদের উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল বিপুল জনগোষ্ঠীর জীবন
ও জীবিকা। কিন্তু দিন দিন এই পানি সম্পদ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পানি দূষণ এ
অবস্থা সৃষ্টির অন্যতম কারণ। বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্পের বর্জ্য নদীতে ফেলার কারণে নদীর পানি
দূষিত হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের এক জরীপে জানা যায়, বাংলাদেশের ৪৩৮৬টি শিল্প কারখানার
মধ্যে ৯০৩টি শিল্প কারখানাকে ক্ষতিকর বর্জ্য সরাসরি পানিতে ফেলতে দেখা যায়। ক্ষতিকর শিল্প
বর্জ্য পানিতে ফেলার কারণে নদীর পানি দূষিত হয়ে পড়েছে।
কৃষিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্য উদ্ভ‚ত দূষণঃ বাংলাদেশের কৃষকরা ঐতিহ্যগতভাবে ফসল
ফলানোর জন্য জমির প্রাকৃতিক উর্বরতা ও অজৈব সারের উপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধির
সাথে সাথে খাদ্যের চাহিদা বেড়ে যায় এবং অধিক খাদ্য ফলানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এজন্য
জৈব সারের ব্যবহার শুরু হয়। বাংলাদেশের জমিতে ইউরিয়া, টি এস পি এবং মিউরেট অব পটাশ
এই তিন প্রকারের রাসায়নিক সার ব্যবহৃত হয়ে থাকে। গড়ে বছরে বর্তমানে ১০ লাখ টনের মত সার
ব্যবহৃত হচ্ছে। এব সার (বিশেষতঃ ইউরিয়া) পানিতে দ্রবীভ‚ত হয়ে নদী ও জলাশয়ে মিশে যায় এবং
পানি দূষিত হয়।
গার্হস্থ্য বর্জ্য ও নগরায়ন সৃষ্ট দূষণঃ বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশী হওয়ার কারণে অল্প
জমিতে অধিক সংখ্যক মানুষকে বসবাস করতে হয়। এর ফলে বিপুল পরিমাণ গৃহস্থালি বর্জ্য পরিবেশ
দূষণ সৃষ্টি করছে। আবার শহর ও নগরগুলো অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠার কারণে পরিবেশ
পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। অধিকন্তু, নগরায়িত জনসংখ্যা ও নগরায়নের হার দুটোই বেড়ে যাচ্ছে।
নগরায়ণ দুইভাবে পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। প্রথমতঃ, শহরের বাসগৃহ, অফিস, বাণিজ্য কেন্দ্র ও
রাস্তায় কংক্রিটের আবরণ দেয়ায় বৃষ্টির পানি মাটিতে প্রবেশ করতে পারে না, ফলে এ মাটি স্বাভাবিক
গুণ হারিয়ে ফেলে। দ্বিতীয়ত, পৌর আবর্জনা (শুধু ঢাকা নগরেই প্রতিদিন ৩০০০ মেট্রিক টন আবর্জনা
তৈরী হয়) মাটিকে দূষিত করে।
রাসায়নিক ও যান্ত্রিক প্রক্রিয়াজনিত বায়ু দূষণ ঃ বাংলাদেশের বায়ু কি পরিমাণে দূষিত তার কোন
সঠিক ধারণা না থাকলেও বাতাস যে দুষিত হচ্ছে তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। অনেক সময স্প্রে দিয়ে
কীটনাশক ছিটানোর সময় তার একটি অংশ বাতাসে মিশে যায়। অর্গানোফ্লোরিন, অর্গানোফসফরাস
জাতীয় বিষাক্ত কীটনাশক বাতাসে মিশে গিয়ে বাতাসকে দূষিত করে। অন্যদিকে, দেশের ছোট বড়
প্রায় ৩০ হাজার শিল্প কারখানা, দুই লক্ষাধিক যানবাহন, কয়েক হাজার লঞ্চ, ষ্টীমার, কার্গো এবং প্রচুর
সংখ্যক পাওয়ার পাম্প ও পাওয়ার টিলারের ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বের হয়ে বাতাসে মিশে যাচ্ছে। ফলে
বাতাসে ক্ষতিকর কার্বন-ডাই অক্রাইডের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে বাতাসে দূষিত হচ্ছে। বাতাসে সীসার
হার বেশী থাকায় প্রতিব›দ্বী শিশু জন্মের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে।
পরিবেশ দূষণের ফলাফল বা প্রতিক্রিয়া
উল্লেখিত উৎপাদন ভিত্তিক ও নগরমুখী উন্নয়ন জনিত দূষণ এবং আওতাবহির্ভ ত বিশ্ব পরিবেশ
দুষণের সুদূর প্রসারী ফলাফল বাংলাদেশের জন্য যেসব বিপদ ডেকে আনছে তা হলোগ্রীণ হাউস প্রভাবে সাগরের পানির উচ্চতা বেড়ে যাবে। আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ সমুদ্র পৃষ্ঠের
উচ্চতা অন্ততঃ ২০ সেঃ মিটার বৃদ্ধি পাবে। ২১০০ সাল নাগাদ ১ মিটার উচ্চতা বৃদ্ধির আশঙ্কা করা
হচ্ছে। এর ফলে ২২ হাজার ৮ শত বর্গ কিলোমিটার উপক‚লীয় জমি (বাংলাদেশের মোট জমির ১৫.৮
ভাগ) পানির নিচে তলিয়ে যাবার আশংকা রয়েছে।
সাগরে পানির পরিমাণ বাড়লে এবং বেশী করে উত্তপ্ত হলে সাইক্লোনের পরিমাণ বাড়বে। ১৯৯১ সালে
বাংলাদেশে ইতিহাসের সর্বোচ্চ গতি সম্পন্ন (২২৫ কিলোমিটার) ঝড় বয়ে গেছে। আগামীতে
ভয়াবহতা আরো বাড়বে। দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু আরো শক্তিশালী হবে। ফলে ঝড় (কাল বৈশাখী
ও টর্নেডো) আরো ভয়ঙ্কর রূপে বেশী করে সংঘঠিত হবে।
বৃষ্টিপাতের প্রকৃতির পরিবর্তন হবে, যার ফলে নদীর প্রবাহেও পরিবর্তন দেখা দেবে। ১৯৮৮ ও ১৯৯৮
সালের মহাপ াবনের মতো বন্যার আশঙ্কা বাড়বে। লবনাক্ততা বৃদ্ধি এবং প্লাবণের ফলে সুন্দরবনের ৪ -
লাখ হেক্টর ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল ধ্বংস প্রাপ্ত হতে পারে। মরুময়তা বেড়ে যাবে। বিশেষ করে
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল মরুময় হয়ে পড়বে। শুকিয়ে যাবে উত্তরাঞ্চলের খাল-বিল, নদী-নালা।
শীতকালে শীতের প্রকোপ বাড়বে। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়বে আকাশ। আবহাওয়া ও জলবায়ুর
পরিবর্তন ঘটবে। ফলে নানা ধরণের গাছ-পালা, পশু-পাখী পরিবর্তিত আবহাওয়া খাপ খেতে না পেরে
বিলুপ্ত হবে। পরিবেশ দূষণের ফলে নানা ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটবে। ফলে মানুষের জীবন
সংকটময় হয়ে পড়বে।
বাংলাদেশের অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা যাচ্ছে, পরিবেশ দূষণের কারণে আবহাওয়া ও জীবমন্ডলে যে
পরিবর্তন ঘটে চলেছে তার ফলে মানব সভ্যতা সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বিভিন্ন কলাকৌশল
কাজে লাগিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি করার ফলে জীবনের স্বাচ্ছন্দ্য আসে ঠিকই, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এর
পরিণতি হয় ভয়াবহ। পরিবেশ সংরক্ষণে উন্নত দেশগুলো যে পরিমাণ সম্পদ নিয়োজিত করতে পারে
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের পক্ষে নানা কারণে তা সম্ভবপর হয় না। দারিদ্র্য, জনসংখ্যার
চাপ এবং সম্পদের অপ্রতুলতা ও অসম বন্টন ব্যবস্থাই এর জন্য মূলতঃ দায়ী। কিন্তু তারপরেও প্রাণী
জগতের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে, মানুষের সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখার প্রয়োজনে পরিবেশ সংরক্ষণে এগিয়ে
আসতে হবে সবাইকে।
পরিবেশ সংরক্ষণের উপায় বা করণীয়
মানুষ তার বৈষয়িক সমৃদ্ধির জন্যে দীর্ঘকাল ধরে প্রকৃতির উপর চাপ সৃষ্টি করে আসছে। ফলে বিশ্বের
পরিবেশ সংকটাপন্ন হয়ে উঠেছে। সা¤প্রতিককালে পরিবেশ পরিস্থিতির দ্রæত অবনতি ঘটেছে। তবে
পরিবেশের এই অবনতিশীল প্রেক্ষাপটে পরিবেশ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তাও তীব্র হয়ে উঠেছে। এ
প্রেক্ষিতে পরিবেশ সংরক্ষণের উপায় নিয়ে আলোকপাত করা যায়। এ ক্ষেত্রে যেসব করণীয় চিহ্নিত
করা যায় তা হলো ঃ
বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প (রাস্তা, বাঁধ, বড় শিল্প) বাস্তবায়নের আগে সম্ভাব্য পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে
প্রাক-নিরূপন নিশ্চিত করা।
দেশে সামগ্রিক ভ‚মি ব্যবহার পরিবেশ সম্মতভাবে সুনিশ্চিত করা।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার উল্লেখযোগ্য ভাবে কমানো এবং তা ন্যূনতম পর্যায়ে নামিয়ে আনা।
দেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, বিশেষ করে জনসাধারণের জন্য বিশুদ্ধ ও
নিরাপদ খাবার পানির সরবরাহ ও পয়ঃ নিস্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
পরিবেশসম্মত উন্নয়ন ও নগরায়নের ব্যবস্থা করা।
প্রতিটি শিল্প-কারখানায় বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
কাঠের বিকল্প জ্বালানী আহরণে সচেষ্ট হওয়া এবং ব্যাপক সংখ্যায় বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট নির্মাণ, বিদ্যুৎ
উৎপাদন বৃদ্ধি, সৌরশক্তি বায়ুশক্তি কার্যকরীভাবে ব্যবহার।
ব্যাপকভাবে গাছ লাগানো ও সংরক্ষণ করা এবং সামাজিক ও পারিবারিক বনায়নের উপর জোর
দেওয়া।
উপক‚লীয় বনরাজির পরিমাণ বৃদ্ধির ব্যবস্থা গ্রহণসহ উপক‚লীয় পরিবেশ কমিয়ে ভ‚পৃষ্ঠস্থ পানি
ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া।
কৃষি জমিতে রাসায়নিক সার ও কীট নাশকের ব্যবহার কমিয়ে যথাসম্ভব জৈবসার ব্যবহার ও
জৈবকীট ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন করা।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং আরো অরণ্য প্রতিষ্ঠা করা।
যানবাহন থেকে কালো ধোঁয়া নির্গমন ও উচ্চ শব্দযুক্ত হর্ণ ব্যবহার রোধ করা।
দুই স্ট্রোক-বিশিষ্ট যান নিয়ন্ত্রণ ও সীসা মিশ্রিত পেট্রোল ব্যবহার নিষিদ্ধ করা।
পৌর, বাণিজ্যিক ও গৃহস্থালী বর্জ্যরে নিরাপদ অপসারণ নিশ্চিত করা।
পারমানবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণসহ সব ধরনের তেজস্ক্রিয়তার বিস্তার রোধ করা।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সব পর্যায়ে পরিবেশ শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা এবং পরিবেশ সংক্রান্ত সামাজিক
শিক্ষা কার্যক্রম গ্রহণ ও পরিচালনা করা।
সারকথাঃ সমগ্র বিশ্বেই আজ পরিবেশ সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান চাপ
মোকাবেলা করতে গিয়ে কৃষিতে যান্ত্রিক পদ্ধতির প্রয়োগ ও ব্যাপক শিল্পায়ন করার ফলে প্রকৃতির উপর
প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ এবং সর্বোপরি গ্রীণ হাউস প্রতিক্রিয়ার ফলে পৃথিবীর
অস্তিত্বই বিপন্ন হবার উপক্রম হয়েছে। বাংলাদেশেও পরিবেশ-বিপর্যয়ের ফলে মরুময়তা বৃদ্ধি পাবার
এবং উপক‚ল অঞ্চল সাগরের নিচে তলিয়ে যাবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বনরাজির
পরিমাণ বৃদ্ধি উন্নয়নের জন্যে প্রয়োজনীয় রূপরেখা প্রণয়ন এবং কালো ধোঁয়া ও শিল্প বর্জ্য নিয়ন্ত্রনের
পদক্ষেপ নেয়া অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
সঠিক উত্তরটি লিখুন।
১. আবহাওয়া মন্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধিজনিত পরিবেশ বিপর্যয়কে কি বলে অভিহিত করা হয় ?
ক. এস.ও.এস
খ. মে ডে সিপন্যাল;
গ. কার্বন-ডাই-অক্সাইড;
ঘ. গ্রিণ হাউস প্রতিক্রিয়া।
২. বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলভাগের আয়তন কত ?
ক. ১৬ নটিকাল মাইল;
খ. ১২ নটিকাল মাইল;
গ. ২০ নটিকাল মাইল;
ঘ. ১৮ নটিকাল মাইল।
৩. বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ জলভাগের পরিমাণ কত?
ক. ২২০০ বর্গমাইল।
খ. ৩২০৫ বর্গমাইল।
গ. ৩৬২৩ বর্গমাইল।
ঘ. ৪১২০ বর্গমাইল।
৪. ২১০০ সাল নাগাদ সমুদ্রের পানির উচ্চতা ১ মিটার বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের উপক‚লীয় অঞ্চলের
কত অংশ তলিয়ে যাবে?
ক. ১০ হাজার ২শত বর্গ কিলোমিটার ;
খ. ২২ হাজার ৮শত বর্গ কিলোমিটার;
গ. ৩১ হাজার ৫শত বর্গ কিলোমিটার;
ঘ. ৩৮ হাজার ১শত বর্গ কিলোমিটার।
সংক্ষিপ্ত উত্তরমূলক প্রশ্ন
১. জৈব ও জড় পরিবেশ বলতে কি বুঝায়?
২. বিশ্ব পরিবেশ দূষণের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ কি কি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এবং হবে?
রচনামূলক প্রশ্ন
১. পরিবেশ দূষণের কারণসমুহ বর্ণণা করুন।
২. পরিবেশ সংরক্ষণের উপায় কি কি?
উত্তরমালাঃ ১. ঘ, ২. খ, ৩. গ, ৪. খ।
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র