স্বামী-স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে আলোচনা করুন।

দাম্পত্য জীবন কি ?
একজন পুরুষ ও একজন নারী যখন আইনগত স্বীকৃতি ও সামাজিকভাবে অনুমোদিত বিবাহের মাধ্যমে
একসঙ্গে জীবন-যাপন করতে শুরু করে, তখনি একটি পরিবারের ভিত্তি স্থাপিত হয়। এখানে পুরুষ হয়
স্বামী, আর নারী হয় স্ত্রী। এ দু’য়ের সম্মিলিত যৌথ জীবনকে বলা হয় দাম্পত্য জীবন। নারী-পুরুষের
দাম্পত্য জীবনের মাধ্যম হলো বিবাহ। বিবাহের মাধ্যমে নারী-পুরুষের দৈহিক চাহিদা পূরণ, মানসিক
সাহচর্য, সামাজিক এবং নৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। মানবসমাজে এই দাম্পত্য জীবন একটি
আইনগত প্রধান প্রতিষ্ঠান যা দৈহিক চাহিদা নিয়ন্ত্রণ, বৈধ পারিবারিক সম্পর্ককে স্থায়ীকরণ এবং
ভবিষ্যৎ মানব প্রজন্মকে বৈধতা দান করে। স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও ঐকারিÍকতা
দাম্পত্য জীবনের বন্ধনকে সুদৃঢ় করে। মানুষের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে যে যৌন চাহিদা রয়েছে বিবাহ
বন্ধনের মাধ্যমেই এই চাহিদা বৈধভাবে পূরণ হতে পারে।। নারী-পুরুষের মধ্যে বৈধ সম্পর্ক ও
ভবিষ্যৎ বংশধারা সংরক্ষণই হচ্ছে দাম্পত্য জীবনের বৃহত্তর উদ্দেশ্য।
দাম্পত্য জীবন বিশ্ব প্রকৃতির এক স্বভাব সম্মত বিধান, যা কার্যকর রয়েছে মানবজাতির প্রবাহমান
ধারায় এবং প্রকৃতির মধ্যে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআন মজীদে ইরশাদ করেছেন,
‘প্রত্যেকটি প্রাণিকেই আমি জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি।’ কুরআন অনুযায়ী মানব জাতির প্রথম
পরিবার গড়ে উঠেছিল হযরত আদম ও বিবি হাওয়াকে কেন্দ্র করে।
বিবাহিত হয়ে পারিবারিক জীবন-যাপন করা ইসলামের দৃষ্টিতে প্রত্যেক বয়স্ক নারী-পুরুষের অপরিহার্য
কর্তব্য। এতে যেমন শান্তিপূর্ণ জীবন-যাপন সম্ভব; তেমনি যৌন মিলনের অনাবিল পরিতৃপ্তি লাভ করা
যায়। কেননা, স্ত্রী পুরুষের জন্য আর পুরুষ স্ত্রীর জন্য শান্তি ও স্থিতিস্বরূপ।
পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে- ‘‘তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে জুড়ি সৃষ্টি করেছেন, যেন তারা
একে অপরের কাছে পরম প্রশান্তি ও স্বস্তি লাভ করতে পারে। আর এভাবে তোমাদের পরস্পরের
মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব ও দয়া-মায়া জাগিয়ে দিয়েছেন।’’ বস্তুত নারী ও পুরুষ যেন একটি বৃক্ষমূল থেকে
উদগত দু’টি শাখা।
নারী-পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে বিবাহ হচ্ছে একমাত্র বৈধ উপায় ও বিধিবদ্ধ ব্যবস্থা।
বিবাহ ছাড়া অন্য কোনভাবে অন্য কোন পথে নারী-পুরুষের মিলন বা সম্পর্ক স্থাপন ইসলামে সম্পূর্ণ
নিষিদ্ধ। বিবাহ হচ্ছে আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি অসাল্লাম-এর সুন্নাত।
বিবাহকে নারী-পুরুষের চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষার দূর্গ বলা হয়েছে। কেননা, বিবাহ নারী-পুরুষকে
কুপ্রবৃত্তি থেকে দূর্গের মত বাঁচিয়ে রাখে। বিবাহ নৈতিক চরিত্র পবিত্র, পরিচ্ছন্ন ও কলুষমুক্ত রাখে।
মনের গভীর প্রশান্তি ও স্থিতি লাভ হয় বিবাহের মাধ্যমে। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ সকল ধর্মে
বিবাহের মাধ্যমে পারিবারিকভাবে জীবন-যাপনের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। মানব
জীবনকে পরিপূর্ণতা দান, মানব সৃষ্টির ধারা এবং মানবিক গুণাবলী-¯েœহ-মায়া মমতা, ভক্তি-শ্রদ্ধা ও
দায়িত্ব-কর্তব্যবোধ লালন ও বিকাশে বৈধ দাম্পত্য জীবন অপরিহার্য। নর-নারীর অবৈধ সম্পর্কের
কারণে যে সন্তান জæগ্রহণ করে তা মানব সমাজ ও সভ্যতার জন্য খারাপ পরিণতি বয়ে আনে। তাই মানব জীবনে বিবাহ প্রথার গুরুত্ব অত্যন্ত বেশী।
স্বামী-স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য
স্বামী ও স্ত্রী একজন আরেকজনের পরিপূরক। উভয় মিলে পরিপূর্ণ মানব। এ কারণেই স্ত্রী স্বামীর
অর্ধাঙ্গিনী, জীবন সঙ্গিনী ও সহধর্মিনী। এভাবে স্বামীও স্ত্রীর জন্য জীবনসঙ্গী, রক্ষক ও নিরাপদ
আশ্রয়স্থল। মহাপবিত্র আল্-কুরআনে বলা হয়েছে ‘স্ত্রীগণ তোমাদের ভ‚ষণ স্বরূপ, তোমরাও তাদের
ভ‚ষণস্বরূপ।’ এ ভ‚ষণ যত মার্জিত ও সুন্দর হয়; দাম্পত্য জীবন ও পার্থিব জীবন ততই সুন্দর ও
বাসোপযোগী হয়। এ সম্পর্ক যাতে সুন্দর ও অটুট থাকে এ জন্য স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের জন্য পরস্পরের
প্রতি কিছু দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে। আর সে সব দায়িত্ব-কর্তব্য পালনের মধ্যেই রয়েছে সুখী-সংসার
জীবন। স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স:) বলেন‘‘তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের উপর নিশ্চয়ই অধিকার রয়েছে আর তোমাদের স্ত্রীদের জন্যও
রয়েছে তোমাদের উপর অধিকার।’’ এসব অধিকার আদায় ও দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই একটি সুখীসুন্দর সমৃদ্ধ দাম্পত্য জীবন গড়ে তোলা সম্ভব।
বিবাহের পর থেকে স্ত্রীর প্রাপ্য হিসেবে স্বামীর উপর কতগুলো মৌলিক দায়িত্ব অর্পিত হয়। তাহল-
সামর্থ অনুযায়ী স্ত্রীর অন্ন বা আহারের ব্যবস্থা করা;
বস্ত্র বা পোশাকাদির ব্যবস্থা করা;
বাসস্থানের ব্যবস্থা করা;
চিকিৎসার ব্যবস্থা করা;
শিক্ষার ব্যবস্থা করা।
সাধারণভাবে স্ত্রীর খাদ্য ও পোশাক যোগাড় করে দেওয়া স্বামীর দায়িত্ব। রাসুলে করিম (স) পুরুষদের
লক্ষ্য করে বলেছেনঃ স্ত্রীদের খাওয়া ও পরার ব্যবস্থা করার ব্যাপারে তোমরা অবশ্যই গুরুত্বারোপ
করবে। মূলত পারিবার পরিজনের ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব স্বামীর উপর অর্পণ করা হয়েছে। স্ত্রীর
বিপদ-আপদ, রোগে-শোকে সাহায্য-সহযোগিতা করা স্বামীর কর্তব্য। অনুরূপ ভাবে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর
দায়িত্ব ও কর্তব্য কম নয়। স্বামীর পাশাপাশি স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্যকেও অস্বীকার করা কোন উপায়
নেই। স্ত্রী সকল কল্যাণময় কাজ-কর্মে স্বামীর সহযোগি হবে। তার মানসিক প্রস্তুতিকরণ, ঘর-সংসার
পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি করে রাখার ব্যবস্থা করা, ধনসম্পদের রক্ষানাবেক্ষণ ও সন্তানদের লালন পালন
করা এবং সকল সাংসারিক ব্যাপারে স্ত্রী হবে স্বামীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সাংসারিক যাবতীয় কাজে-কর্মে স্বামী-
স্ত্রী উভয়েই অংশগ্রহণ করবেন এবং একে আপরকে সহযোগিতা করবেন। স্বামীর আনুগত্য, কল্যাণ
কামনা ও তাকে ভালো কাজের পরামর্শ দেওয়া স্ত্রীর কর্তব্য। একজন সহনশীল স্ত্রী স্বামীর মনে প্রেম
ভালোবাসা ও মানসিক শক্তি যুগিয়ে পারিবারি জীবনে আরো গতিশীল করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ
বলা যায় স্বামী যখন বাহির থেকে ঘরে ফিরে আসে তখন যদি স্ত্রী সহাস্যবদনে তাকে স্বাগতম জানায়
তবে স্বামী যত ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়েই ঘরে ফিরে আসুক না কেন স্ত্রীর হাসিমাখা মুখ দেখে সে প্রশান্তি লাভ
করে। স্ত্রী তার কোমলতা ও প্রেমের ছোয়ায় গার্হস্থ্য জীবনকে অনাবিল প্রশান্তির আবেশে ভরে তুলে।
পুরুষ ও নারীর কর্মক্ষমতা এবং দৈহিক কোমলতার স্বাভাবিক পার্থক্যের কারণে পারিবারিক জীবনে
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কর্ম বন্টনের নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। সাধারণত পুরুষের কর্মক্ষেত্র বাইরের জগত ও
কঠিনতর কাজ। পুরুষ বাইরের জগতে নিজের কর্মক্ষমতা প্রয়োগ করে গড়ে তুলবে সমাজ, রাষ্ট্র, শিল্প
ও সভ্যতা। আর নারী সন্তান লালন-পালন ও ভবিষ্যতের উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে সুন্দরভাবে গড়ে
তোলার কাজ করবে। এ জন্য হয়রত মুহাম্মদ (স) বলেন, ‘স্ত্রী তার স্বামীর ঘরের পরিচালিকা,
ধনসম্পদ রক্ষণাবেক্ষণকারী, আমানতদার গৃহিনী’। ঘরের অভ্যন্তরীণ যাবতীয় ব্যাপারে স্ত্রীই মুখ্য
ভ‚মিকা পালন করে থাকে। স্ত্রী কেবল ঘরের কোণে আবদ্ধ থাকবে-এমন কথা ইসলাম বলে না।
শালীনতা রক্ষা করে নিজেকে সংযত রেখে প্রয়োজনে বাইরের জগতে কাজ করতে বাধা নেই। স্বামীর
পাশাপাশি বা স্বামীর অবর্তমানে সংসারের হাল ধরার জন্য স্ত্রীকে অবশ্য সক্ষম হতে হবে। স্ত্রীর বিপদ-আপদ
বর্তমান যুগে মহিলারাও বাইরের জগতে, কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত। তারা পুরুষের পাশাপাশি সমানভাবে কাজ
করছে এবং একইভাবে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উন্নতি করছে। তারা জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্পসাহিত্য ও সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। কোন দেশ ও জাতির সার্বিক অগ্রগতির ও উন্নতির
জন্য পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ প্রয়োজন। একজন পুরুষ ও নারী যদি
সংসার তথা কর্মক্ষেত্রে সমানভাবে না চলেন তাহলে সংসার তথা রাষ্ট্রের উন্নতি বাধাগ্রস্ত হবে। সংসারে
সমস্ত কাজে নারী-পুরুষ যদি পরস্পরকে সহযোগিতা করে তবেই সংসারটি হয়ে উঠে শান্তিময় ও
অনাবিল সুখের নীড়।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সংসার জীবনে টুকিটাকি নিয়ে মন কষাকষি হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এ জন্য অনেক
সময় জটিল পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। এরূপ পরিস্থিতিতে অত্যন্ত শান্ত ও ধীরস্থিরভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হয়
এবং শান্তভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়। একথা সত্য যে, যাবতীয় বিষয়ে ঘরোয়া পরামর্শ
অনেক সময়েই সার্বিকভাবে কল্যাণকর হয়ে থাকে এবং একে অপরের মধ্যে সৌহাদ্য ও স¤প্রীতির
সৃষ্টি করে। স্ত্রীর ইচ্ছা-আকাঙক্ষা ও আন্তরিক ভাবধারার প্রতি লক্ষ রাখা স্বামীর কর্তব্য। তর্ক বিতর্ক
ও ঝগড়া-ঝাটি করে পরিবেশকে বিষাক্ত করে তোলা কখনও উচিত নয়। আল াহতায়ালা -
স্বামীদেরকে স্ত্রীদের প্রতি ভাল ব্যবহার ও সহানুভ‚তিশীল হওয়ার কথা বলেছেন। মহানবী (সঃ) স্ত্রীর
প্রতি সহানুভ‚তিশীল ও প্রেমপূর্ণ আচারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। কাজেই সর্বাবস্থায় স্বামীদের উচিত
ধৈর্যধারণ করে তাদের সঙ্গে নম্রতা, ভদ্রতা, উদারতা, সদিচ্ছা ও আন্তরিকতাপূর্ণ ব্যবহার করা। এর
ফলে তাদের মধ্যে পারস্পরিক প্রেম ভালোবাসার বন্ধন দৃঢ় হয়। খুঁটিনাটি ও ছোট খাটো অনেক দোষ
স্বামীদের ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখা উচিত। স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ক্ষমাশীলতা দাম্পত্য জীবনের মাধুর্য ও
স্থায়িত্বের জন্য একান্ত অপরিহার্য।
স্ত্রীর সতীত্ব স্বামীর পবিত্র আমানত। স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের গোপন বিষয় ও ঘটনা প্রকাশ করা
সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্বামীর প্রতি সহানুভ‚তিশীল হওয়া, স্বামীর গোপনীয়তা রক্ষা করা,
স্বামীর মর্যাদা রক্ষা করা, তার আত্বীয়-স্বজনদের সাথে উত্তম ব্যবহার করা, তার আদর-উপহার সাদরে
গ্রহণ করা, এবং তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা স্ত্রীর কর্তব্য। বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, স্বামীর
সাহায্য সহযোগিতার মধ্যে দিয়ে একজন আদর্শ স্ত্রী জীবনের চরম সুখ অনুভব করতে পারে। স্বামী-
স্ত্রীর উভয়ের উচিত প্রেম ও ভালোবাসা দিয়ে মন জয় করা। তারা উভয়ই উভয়ের কল্যাণ কামনা
করবে। স্বামী-স্ত্রী যাবতীয় কাজ যদি পারস্পরিক পরামর্শ এবং একে অপরের সন্তোষের প্রতি লক্ষ্য
রেখে সম্পন্ন করে তাহলে দাম্পত্য জীবন সুখের ও শান্তির হয়।
সারকথা: একজন নারী ও একজন পুরুষ যখন আইনগত স্বীকৃতি ও সামাজিকভাবে অনুমোদিত
বিবাহের মাধ্যমে একসঙ্গে জীবন-যাপন করে তাকে বলা হয় দাম্পত্য জীবন। দাম্পত্য জীবনের বৃহত্তর
উদ্দেশ্য হচ্ছে-স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বৈধ সম্পর্ক স্থাপন, ভবিষ্যৎ বংশধারা সংরক্ষণ এবং পারস্পরিকভাবে
ভালবাসা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ জীবন-যাপন। দাম্পত্য-জীবন সুখী ও সমৃদ্ধশালী হওয়ার জন্য স্বামী-স্ত্রী
উভয়ের জন্য কিছু অধিকার ও দায়িত্ব কর্তব্য রয়েছে। সে সব দায়িত্ব কর্তব্য পালনের মধ্যেই নিহিত
রয়েছে সুখী সংসারজীবন। যেমন-স্বামীর কর্তব্য স্ত্রীর ভরণ পোষণ ও উত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে স্ত্রীকে
আপন করে নেওয়া, ঠিক তেমনি স্ত্রীর কর্তব্য হচ্ছে-স্বামীর আনুগত্য ও সন্তুষ্টি বিধান ও ভাল আচরণ। দেশ ও জাতির সার্বিক অগ্রগতির ও উন্নতির জন্য পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ প্রয়োজন। স্বামী-স্ত্রীর উভয়ের উচিত প্রেম ও ভালোবাসা দিয়ে মন জয় করা।
সঠিক উত্তরটি লিখুন।
১. আল্লাহ প্রত্যেকটি প্রাণীকে কিভাবে সৃষ্টি করেছেন?
ক. জোড়া হিসেবে;
খ. জোড়ায় জোড়ায়;
গ. দু’জোড়া হিসেবে;
ঘ. বহু জোড়া হিসেবে।
২. বিবাহিত হয়ে পারিবারিক জীবন যাপন করা উচিৎ-উক্তিটি কোন ধর্মের?
ক. ইসলাম ধর্মের;
খ. খ্রিস্টান ধর্মের;
গ. বৌদ্ধ ধর্মের;
ঘ. সকল ধর্মের।
৩. নবী করীম কার প্রতি দয়াবান সহানুভ‚তিশীল হবার নির্দেশ দিয়েছেন?
ক. গরীবদের প্রতি;
খ. বিধবার প্রতি;
গ. স্ত্রীর প্রতি;
ঘ. মানুষের প্রতি।
৪. কার মধ্যে মন কষাকষি হওয়া খুব স্বাভাবিক?
ক. ভাই-বোনের মধ্যে;
খ. বাপ-মায়ের মধ্যে;
গ. প্রতিবেশীর মধ্যে;
ঘ. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে।
সংক্ষিপ্ত উত্তরমূল প্রশ্ন
১. দাম্পত্য জীবন কাকে বলে?
২. দাম্পত্য জীবনের গুরুত্ব লিখুন।
৩. স্ত্রীর প্রতি স্বামীর কর্তব্য কি বর্ণনা করুন।
৪. স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য কি বর্ণনা করুন।
রচনামূলক প্রশ্নঃ
১. দাম্পত্য জীবন কাকে বলে? সুখী দাম্পত্য জীবন গড়ে তোলার উপায় বর্ণনা করুন।
২. স্বামী-স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে আলোচনা করুন।
উত্তরঃ ১. খ, ২. ক, ৩. গ. ৪ ঘ।

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]