১৯৭১ সালে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্বপ্রকাশ করে। একটি নতুন রাষ্ট্র হলেও
জনসংখ্যা ও অবস্থানগত কারণে বিশ্বে বাংলাদেশের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। পরস্পর নির্ভরশীল বিশ্ব-
ব্যবস্থায় বাংলাদেশ যেমন অন্য দেশকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে, তেমনি অন্য দেশের কাছ থেকে
প্রচুর সহযোগিতা পেয়েও থাকে। আধুনিক কালে পরস্পরের মধ্যে দেয়া- নেয়ার ভিত্তিতেই গড়ে ওঠে
আন্ত:রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি এদিক দিয়ে তাই সফল। বাংলাদেশ সবার সাথে
বন্ধুত্বে বিশ্বাস করে, কারো সাথে বিবাদে জড়াতে চায় না। এ জন্যই বাংলাদেশ জোট-নিরপেক্ষ
আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তোলা
বাংলাদেশের অভিপ্রায়। এ লক্ষ্যেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে নিয়ে বাংলাদেশ ‘সার্ক’ গঠনে
উদ্যোগী হয়েছিল এবং এ ব্যাপারে সাফল্যও অর্জন করেছে। শুধু প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্ক
স্থাপনই নয়, বাংলাদেশ মুসলিম বিশ্বের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায়ও মনোযোগী। ধর্ম ও
ঐতিহ্যগত বন্ধনকে জোরদার করার জন্য বাংলাদেশ ও. আই. সি.’র সদস্য হয়ে এ সংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ
ভ‚মিকা পালন করছে। অনুন্নত ও ক্ষুদ্র রাষ্ট্র হলেও বিশ্ব-রাজনীতিতে বাংলাদেশের ভ‚মিকা তাৎপর্যপূর্ণ।
বিশেষ করে বিশ্ব-শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। এ কারণে বিশ্ব-সভায়
বাংলাদেশ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হতে পেরেছে।
পররাষ্ট্র নীতির সংজ্ঞা
বর্তমান যুগে প্রত্যেক দেশকেই অন্যান্য দেশের সাথে কোন না কোন সম্পর্ক বজায় রাখতে হয়।
বর্তমান যুগে অন্য দেশের সাথে সম্পর্ক না রেখে কোন রাষ্ট্রই টিকে থাকতে ও উন্নতি করতে পারে না।
পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্ব-ব্যবস্থায় নিজ রাষ্ট্রের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা ও অগ্রগতি অর্জন
করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক সমাজের সদস্য হিসেবে রাষ্ট্রসমূহের সম্পর্ক পররাষ্ট্র নীতির মাধ্যমে নির্ধারিত
ও নিয়ন্ত্রিত হয়। প্রতিটি রাষ্ট্রই নিজের জাতীয় নীতি, লক্ষ্য এবং স্বার্থ বাস্তবায়নের জন্য সচেষ্ট থাকে।
পররাষ্ট্রনীতি মূলত: একটি রাষ্ট্রের জাতীয় নীতি, লক্ষ্য এবং স্বার্থ বাস্তবায়নের একটি বিশেষ পদ্ধতি বা
মাধ্যম। অর্থাৎ এক রাষ্ট্রের সাথে অন্য রাষ্ট্রের সম্পর্ক কোন নীতির ভিত্তিতে স্থাপিত হবে এবং
পরস্পরের মধ্যে আদান-প্রদানের ব্যবস্থা কিভাবে কার্যকর হবে সেই দৃষ্টিভঙ্গীই পররাষ্ট্রনীতি হিসেবে
প্রতিফলিত হয়। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে বলতে হয়, নির্দিষ্ট আন্ত:রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম অনুসরণের জন্য
গৃহীত রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তই হল পররাষ্ট্র নীতি। পররাষ্ট্র নীতিকে সংকীর্ণ ও ব্যাপক অর্থে ব্যাখ্যা করা যায়।
সংকীর্ণ অর্থে পররাষ্ট্র নীতি হলো, অন্য কোন রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে নিজ রাষ্ট্রের
অর্থনৈতিক, সামরিক, মতাদর্শগত ও সাংস্কৃতিক লক্ষ্য বাস্তবায়নের নীতিমালা। আর ব্যাপক অর্থে
পররাষ্ট্র নীতি বলতে বিশ্ব-ব্যবস্থা ও তার পরিবেশ সম্পর্কে কোন রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা এবং
ক্রিয়াকলাপকে বুঝায়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির বৈশিষ্ট্য
বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য। সে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনেরও সদস্য। সুতরাং সে স্বভাবতই
সম্মিলিত জাতিসংঘের সনদ (ঈযধৎঃবৎ) ও জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের মূলনীতিসমূহ মেনে চলে।
এ ছাড়াও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান মূলনীতিটি বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান অতি চমৎকারভাবে ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলছেন যে, ‘‘আমাদের দেশটি ক্ষুদ্র তাই কারও
প্রতি বিদ্বেষ নয়, আমরা চাই সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব।’’ তাঁর এই উক্তির মধ্যেই আমাদের পররাষ্ট্র নীতির
বৈশিষ্ট্য নিহিত। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান দিকগুলো হল :
১.সকলের প্রতি বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয় : যেহেতু বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য
বৈদেশিক সাহায্যের উপর নির্ভরশীল, সেহেতু বাংলাদেশ বৃহৎ শক্তিগুলোর মধ্যে কোন একটির
পক্ষাবলম্বন করে অন্যটির বিরাগভাজন হতে চায় না। এর চেয়েও বড় কথা হল যে, এক রক্তক্ষয়ী
সংগ্রামের মাধ্যমে আÍপ্রকাশের পর বাংলাদেশ চায় না যে, সে কোন বৃহৎ শক্তির খুঁটি হিসেবে ব্যবহৃত
হবে।
২. অন্য রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা ও ভৌগোলিক অখন্ডতার প্রতি যথাযথ সম্মান
প্রদর্শন করা: এ মূলনীতিটি জাতিসংঘ সনদের ২(৪) ধারার সাথে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ।
৩.অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা : এ মূলনীতিটিও জাতিসংঘ সনদের ২(৭)
ধারার উপর প্রতিষ্ঠিত। প্রকৃতপক্ষে ২ ও ৩ নম্বর মুলনীতি দুটি রাষ্ট্রীয় আচরণের ক্ষেত্রে পারস্পরিক
সমঝোতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা আদর্শের বুনিয়াদের উপর প্রতিষ্ঠিত।
৪. বিশ্ব শান্তি : বাংলাদেশ যে শান্তি কামনা করে, তা ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে জাতির জনক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের মাটিতে পা রাখার সাথে সাথেই ব্যক্ত করেছিলেন। তখন তিনি
দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেছিলেন যে, ‘আমি বাংলাদেশকে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসেবে দেখতে
চাই।’ এ ব্যাপারে বাংলাদেশের একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী যথার্থই বলেছেন যে, ‘বাংলাদেশ শুধু শান্তির
উদ্দেশ্যেই শান্তি চায় না, এর আরও কারণ হল তার জাতীয় উন্নতি ও নিরাপত্তার ব্যাপারে
সুপরিকল্পিত বিবেচনা।’ বাংলাদেশ কর্তৃক অন্বেষিত শান্তির এই মূলনীতির কয়েকটি তাৎপর্য নিæরূপ :
ক্স প্রথমত: বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাস করে;
ক্স দ্বিতীয়ত: বাংলাদেশ যে কোন বিবাদ শান্তিপূর্ণ উপায়ে মীমাংসার পক্ষপাতি; এবং
ক্স তৃতীয়ত: বাংলাদেশ চায় যে, যে কোন আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন শান্তিপূর্ণ উপায়ে হবে।
এই প্রসঙ্গে এ কথাও সবসময় মনে রাখতে হবে যে, বাংলাদেশ কখনও বিশ্বের কোন রাষ্ট্রের শান্তি ও
নিরাপওার প্রতি হুমকি প্রদর্শন না করার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
আগেই বলা হয়েছে, যে কোন দেশ বহির্বিশ্বের কাছ থেকে তার উদ্দেশ্যাবলি অর্জনের জন্য তার
পররাষ্ট্র নীতি প্রণয়ন করে থাকে। বাংলাদেশও এই প্রচলিত রাষ্ট্রীয় নিয়মের বাইরে নয়। বাংলাদেশের
পররাষ্ট্র নীতির প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যাবলিকে আমরা বর্ণনা করতে পারি :
১. আত্বরক্ষা,
২. অর্থনৈতিক অগ্রগতি,
৩. অন্য রাষ্ট্রের তুলনায় নিজের জাতীয় শক্তিকে রক্ষা ও প্রয়োজনবোধে বৃদ্ধি করা,
৪. নিজস্ব মতবাদে দৃঢ় থাকা, ও
৫. জাতীয় মর্যাদা বৃদ্ধি করা।
আÍরক্ষা : অন্যান্য রাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশের বেলায়ও এ কথা সত্যি যে, আত্বরক্ষা হল আমাদের
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ। কোন রাষ্ট্রের আÍরক্ষা বলতে সাধারণতঃ বোঝায় তার সার্বভৌমত্ব,
রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও ভৌগোলিক অখন্ডতা বজায় রাখা। জাতীয় নিরাপত্তা অক্ষুণœ রাখার বিষয়টি
এর সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত। বস্তুতঃপক্ষে জাতীয় নিরাপত্তার ধারণাটি রাষ্ট্রের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব
ও ভৌগোলিক অখন্ডতার সম্মিলিত প্রতিফলন মাত্র। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে এক
রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে আত্বপ্রকাশের পরও বাংলাদেশের নিরাপত্তার প্রতি বহুবার বিভিন্ন দিক
থেকে হুমকি এসেছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রাখা বাস্তবিকই সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ।
অর্থনৈতিক অগ্রগতি : যদি আমরা আমাদের নিরাপত্তা বিধান করতে সক্ষম হই, তবে তার পরেই
আসবে আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশ্নটি। আপাতদৃষ্টিতে বাংলাদেশ একটি গরিব রাষ্ট্র, কিন্তু তবু
এর মধ্যে যে সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে, তা যদি আমাদের সিদ্ধান্তগ্রহণকারীরা উপযুক্তভাবে কাজে
লাগাতে পারেন, তবে তা অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বয়ে আনতে সক্ষম
হবে। বর্তমানে আমাদের যা দরকার তা হল সহজ শর্তে বৈদেশিক সাহায্য গ্রহণ এবং তা যথার্থ
উন্নয়নের জন্য কাজে লাগিয়ে আমাদের উৎপাদন বাড়ানো এবং এ ভাবে নিজের পায়ে দাঁড়াবার ব্যবস্থা
করা। একই সাথে এ দিকের প্রতিও লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে আমাদের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী বিদেশে
উপযুক্ত বাজার পায়।
জাতীয় শক্তি সংরক্ষণ ও বৃদ্ধি : বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির আরেকটি প্রধান উদ্দেশ্য হল আমাদের
জাতীয় শক্তি সংরক্ষণ ও বৃদ্ধির দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখা। জাতীয় শক্তি বলতে এখানে বোঝানো হচ্ছে
আমাদের দেশের সার্বিক ক্ষমতা, যা আমাদের পররাষ্ট্র নীতি পরিচালনার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান
আমাদের
পররাষ্ট্রনীতি
প্রণেতাদের
সার্বক্ষণিক দায়িত্ব
হবে আমাদের
জাতীয় শক্তির
উপাদানগুলো
সংরক্ষণ করা এবং
সময় ও সুযোগমত
এগুলোকে বৃদ্ধির
চেষ্টা করা।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র
নীতির লক্ষ্য ও
উদ্দেশ্য হল আÍরক্ষা,
অর্থনৈতিক অগ্রগতি,
জাতীয় শক্তি রক্ষা ও
প্রয়োজনে বৃদ্ধি করা,
নিজস্ব মতবাদে দৃঢ়
থাকা ও জাতীয়
মর্যাদা বৃদ্ধি করা।
রাখতে পারে। জাতীয় শক্তি হল অনেকগুলো উপাদানের যোগফল। ঐগুলোর মধ্যে প্রাকৃতিক সম্পদ,
খাদ্য ও জ্বালানি উৎপাদন উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, সে উল্লিখিত
সম্পদরাজির উপর তার পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পারে। সেই সাথে তার সমুদ্রের তলদেশ ও
অভ্যন্তরীণ জলসীমার মধ্যে অবস্থিত সম্পদসহ অন্যান্য সম্পদের উপর যে কোন রকম বৈদেশিক
দাবিকে নস্যাৎ করে দিতে পারে। এভাবে আমাদের পররাষ্ট্র নীতি প্রণেতাদের সার্বক্ষণিক দায়িত্ব হবে
আমাদের জাতীয় শক্তির উপাদানগুলোকে সংরক্ষণ এবং সময় ও সুযোগ বুঝে এগুলোকে বৃদ্ধি করার
ব্যাপারে প্রচেষ্টা চালানো।
নিজস্ব মতবাদে দৃঢ় থাকা : বর্তমান বিশ্বে প্রত্যেক রাষ্ট্রই কোন না কোন মতবাদ অনুসরণ করে থাকে
অথবা কমপক্ষে প্রচলিত যে কোন মতবাদের প্রতি তার সমর্থন ঘোষণা করে। বাংলাদেশের ব্যাপারে
বলা যায় যে, সে ধনতান্ত্রিক বা সমাজতান্ত্রিক এ - দুটি পরস্পরবিরোধী মতবাদের কোনটিই
পুরোপুরিভাবে অনুসরণ করে না। বরং দু’টি পদ্ধতির ভাল দিকগুলো নিয়ে একটি মিশ্র অর্থনীতিকে
অনুসরণ করে থাকে।
জাতীয় মর্যাদা বৃদ্ধি : একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে বাংলাদেশের আত্বপ্রকাশের পর তাকে বহুবিধ
সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে প্রধানতঃ এ কারণে যে, তার অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল অতি শোচনীয়।
নয় মাসের যুদ্ধে ব্যাপক ধ্বংস ক্ষয়ক্ষতি এবং উৎপাদনের কর্মকান্ড স্থগিত থাকার কারণে আমরা
স্বাধীনতার পর গভীরভাবে অর্থনৈতিক সংকটে নিপতিত হই। কিন্তু এটা চিরদিনের জন্য চলতে পারে
না। সুতরাং বাংলাদেশ যাতে তার মর্যাদা বজায় রেখে বহির্বিশ্বে একটি মর্যাদাকর ভাবমূর্তি নিয়ে বেঁচে
থাকতে পারে, সে ব্যাপারে প্রচেষ্টা চালানো আমাদের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম উদ্দেশ্য।
সারকথা: পররাষ্ট্রনীতি একটি রাষ্ট্রের জাতীয় নীতি, লক্ষ্য এবং স্বার্থ বাস্তবায়নের একটি বিশেষ পদ্ধতি
বা মাধ্যম। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে যে দৃষ্টিভঙ্গী বা লক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে তা মূলত: জাতিসংঘ
ও জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের নীতিমালার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। সবার সাথে বন্ধুত্ব, সকল রাষ্ট্রের
সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও কারো অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা এবং বিশ্ব শান্তি ও
নিরাপত্তা রক্ষা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মৌলিক বৈশিষ্ট্য। এসব মৌলিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে
প্রতিষ্ঠিত পররাষ্ট্রনীতিতে যে সব লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তা হলো-আÍরক্ষা, অর্থনৈতিক অগ্রগতি,
জাতীয় শক্তি বৃদ্ধি করা, নিজস্ব মতবাদে দৃঢ় থাকা এবং জাতীয় মর্যাদা বৃদ্ধি করা।
সঠিক উত্তরটি লিখুন।
১। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কোন্ দেশসমূহের সহায়তা অধিক প্রত্যাশা
করে?
ক) ধনী ও শিল্পোন্নত দেশসমূহ এবং ইসলামী বিশ্ব;
খ) ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশসমূহ;
গ) রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপীয় অঞ্চল;
ঘ) সাব-সাহারা আফ্রিকা।
২। বাংলাদেশ কোন্ রাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্যিক অসমতা কমিয়ে আনতে সচেষ্ট?
ক) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র;
খ) ভারত;
গ) আর্জেন্টিনা;
ঘ) মায়ানমার।
৩। অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করার নীতিটি সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ সনদের কত নম্বর
ধারার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ?
ক) ১ (২);
খ) ২ (৩);
গ) ৩ (৪);
ঘ) ২ (৭)।
সংক্ষিপ্ত উত্তরমূলক প্রশ্ন :
১। পররাষ্ট্র নীতির উপাদানসমূহের আপেক্ষিক গুরুত্ব কি ভাবে নির্ধারিত হয়?
২। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির বৈশিষ্ট্যসমূহ বর্ণনা করুন।
৩। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ বর্ণনা করুন।
রচনামূলক প্রশ্ন :
১। পররাষ্ট্র নীতির নির্ধারক উপাদানসমূহ বর্ণনা করুন।
উত্তর: ১. ক, ২. খ, ৩. ঘ।
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র