সুশাসনের ধারণা
পৌরনীতি শাস্ত্রের যাত্রালগ্ন থেকেই শাসনের (এড়াবৎহধহপব) ধারণাটি বিস্তার লাভ করেছে। তাই বর্তমান বিশ্বে
‘শাসন’ শব্দটি বহুল প্রচলিত হলেও, এটা কোনো নতুন ধারণা নয়। মৌলিক অর্থে, শাসন বলতে বুঝানো হয়, সমাজ ও
অর্থনীতিকে সকলের কল্যাণের স্বার্থে পরিচালনা করা। বব জেসপের (ইড়ন ঔবংংড়ঢ়) ভাষায় শাসন হচ্ছে একটি গতিশীল
প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে অর্থনীতি ও সমাজের অগ্রগতির প্রচেষ্টার সাথে সকল শ্রেণির মানুষকে খাপ
খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়। সহজ কথায়, শাসন-এর অর্থ সমাজের জন্য সমষ্টিগত লক্ষ্য নির্ধারণ করা এবং কীভাবে এই
লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় তার উপায় ঠিক করা। বর্তমানে শাসন শুধুমাত্র সরকারের একার কাজ নয়। সরকারের পাশাপাশি
নাগরিকদের সেবা দিতে এগিয়ে আসছে বাজার ব্যবস্থা ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। বেসরকারি খাত শাসন কার্যক্রমে
ইউনিট সমাপ্তির সময় ইউনিট সমাপ্তির সর্বোচ্চ সময় ১ সপ্তাহ
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সরকারি হাসপাতালগুলোর পাশাপাশি এখন জনগণকে স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছে বেসরকারি
হাসপাতালগুলোও। যদিও এই স্বাস্থ্য সেবা গরীব মানুষের নাগালের বাইরে। কারণ, বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার
খরচ অনেক বেশি। বিকল্প হিসেবে কিছু-কিছু এনজিও স্বল্প মূল্যে দরিদ্রদের স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছে।
১৯৯০-এর দশক থেকেই শাসন প্রত্যয়টি বিশ্বব্যাপী নতুন করে গুরুত্ব পেতে শুরু করেছে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক দাতা
সংস্থাগুলো উন্নয়নশীল দেশের উন্নয়নের পথে বাঁধা হিসেবে সুশাসনের (এড়ড়ফ এড়াবৎহধহপব) অভাবকে চিহ্নিত করে।
শাসনের গুনগত মান যে সব সময় একরকম হবে, তা নয়। সে কারণে প্রাচীন গ্রীসে আজ থেকে ২৬০০ বছর আগে
দার্শনিক প্লেটো আদর্শ শাসকের কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, আদর্শ শাসক হবেন একজন দার্শনিক রাজা, যার ব্যক্তিগত
সম্পত্তি ও পরিবার থাকবে না। কারণ, এগুলো থাকলে একজন শাসক জনগণকে যে ধরনের ওয়াদা করেন, সে অনুযায়ী
কাজ করতে পারবেন না। তিনি ব্যক্তিগত লোভে আসক্ত হয়ে পড়বেন। প্লেটোর পর থেকে আধুনিক যুগের দার্শনিকগণও
উত্তম শাসনের বিষয়ে ভেবেছেন। জন লকের ভাষায়, উত্তম রাষ্ট্র হবে সেই রাষ্ট্র, যে রাষ্ট্র জনগণের জীবন, স্বাধীনতা ও
সম্পত্তির নিরাপত্তা দেয়। কার্ল মার্কস মনে করেন শ্রমজীবী মানুষের সরকারই উত্তম সরকার। বৃহত্তর অর্থে নাগরিকদের
কল্যাণের উদ্দেশ্য ভালোভাবে শাসন পরিচালনার নামই সুশাসন। জনগণকে দেয়া সরকারের প্রতিশ্রæতি ও তার
বাস্তবায়নকেই সুশাসনের আওতায় ভাবা যায়। তবে একটি দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ায় সেই দেশের রাজনৈতিক
সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্তর এবং সামাজিক পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সুশাসনের অন্ত:সার হচ্ছে সুষ্ঠু, বাস্তবায়নযোগ্য নীতি এবং নীতি বাস্তবায়নের জন্য একটি পেশাদারী আমলাতন্ত্র এবং
শাসনবিভাগ, যা এর কর্মকাÐের জন্য জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক হবে। সুশাসনের জন্য আরও প্রয়োজন হচ্ছে জনস্বার্থ
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভূমিকা রাখতে আগ্রহী একটি শক্তিশালী সুশীল সমাজ। সর্বোপরি, সুশাসন তখনই প্রতিষ্ঠিত হবে, যদি
সমাজের সকল সদস্য আইনের শাসন মেনে চলে।
বিশ্বব্যাংক (১৯৯৪) ‘শাসন: বিশ্বব্যাংকের অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক এক রিপোর্টে সুশাসনকে সরকারি খাতের ব্যবস্থাপনা,
জবাবদিহিতা, উন্নয়নের জন্য আইনী কাঠামো, স্বচ্ছতা ও তথ্য এ চারটি কার্যক্রম দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়।
সুশাসন বলতে এমন এক অবস্থাকে বোঝায় যেখানে শাসন এর স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা আছে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে
এবং সম্পদ ও সেবা বিতরণের ফলে দরিদ্রতম ও দরিদ্র নাগরিকেরা মর্যাদাপূর্ণ জীবন-যাপন করার সুযোগ লাভ করেছে।
বস্তুত বর্তমান সময়ে সুশাসনের বিষয়টি চিন্তাজগতে কেবল ভালো লাগা বা না লাগার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বরং সুশাসনের
বিষয়টি এমন এক কার্যকরী প্রক্রিয়ায় পরিণত হয়েছে যে, যখন সম্পূর্ণ অর্থে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন সমগ্র রাজনৈতিক
ব্যবস্থা টেকসই উন্নয়ন ও পরিবর্তনের দিকে ধাবিত হয়। শাসন তখনই ভালো বা সুশাসন হয় যখন তা নি:স্ব ও
সামাজিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর উপকার বা মঙ্গল করে।
সার-সংক্ষেপ
সুশাসন হল রাষ্ট্র, সমাজ ও সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। সুশাসন সকলের স্বার্থই রক্ষা করার চেষ্টা করে থাকে। সুশাসনের
নির্দিষ্ট কিছু উপাদান রয়েছে। সুশাসন চিহ্নিতকরণে সরকারি খাতের ব্যবস্থাপনা, উন্নয়নের জন্য আইনী কাঠামো,
জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা ও অবাধ তথ্য প্রবাহের উপর জোর দেয়া হয়। সুতরাং সুশাসন বলতে এমন এক অবস্থাকে বোঝায়
যেখানে শাসনের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা আছে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং সম্পদ ও সেবা বিতরণের ফলে দরিদ্রতম
ও দরিদ্র নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়নের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
সুশাসন নিজের ভাষায় সংজ্ঞায়িত করুন।
বাংলাদেশ উš§ুক্ত বিশ^বিদ্যালয় এইচএসসি প্রোগ্রাম
ইউনিট দুই পৃষ্ঠা ২৫
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-২.১
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন
১। সুশাসন দ্বারা শাসনের-
(ক) গুণগত দিক বুঝায় (খ) পরিমান বুঝায়
(গ) বিপরীত দিক বুঝায় (ঘ) উপরের সবই বুঝায়
২। কোন দশক থেকে সুশাসন ধারণাটি গুরুত্ব পেতে শুরু করেছে?
(ক) ১৯৬০ (খ) ১৯৭০
(গ) ১৯৮০ (ঘ) ১৯৯০
৩। সুশাসনের জন্য সরকারি খাতের ব্যবস্থাপনার কথা কোন প্রতিষ্ঠান বলেছে?
ক) আইএমএফ খ) জাতিসংঘ
গ) বিশ্বব্যাংক ঘ) ইইউ
পাঠ-২.২ সুশাসনের বৈশিষ্ট্য
(ঈযধৎধপঃবৎরংঃরপং ড়ভ এড়ড়ফ এড়াবৎহধহপব)
উদ্দেশ্য
এই পাঠ শেষে আপনি
ক্স সুশাসন এর প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করতে পারবেন।
ক্স সুশাসন এর বৈশিষ্ট্যগুলো কিভাবে রক্ষা করা যায় তাও জানতে পারবেন।
মুখ্য শব্দ (কবু ডড়ৎফং)
অংশগ্রহণ, আইনের শাসন, স্বচ্ছতা, সংবেদনশীলতা, কার্যকারিতা, দক্ষতা, সুশীল
সমাজ।
সুশাসনের বৈশিষ্ট্য
সুশাসনের মৌলিক ও প্রাথমিক চরিত্র হচ্ছে- সুশাসনের আওতায় সকল কাজ হবে অপব্যবহার ও দুর্নীতিমুক্ত
এবং ন্যায়পরায়ণভিত্তিক ও আইনের শাসনের প্রতি শর্তহীনভাবে অনুগত। সুশাসনের এই চরিত্র বা বৈশিষ্ট্য বিস্তারিতভাবে
আলোচনা করলে তা কয়েকটি বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে। নি¤েœ এ সম্পর্কে আলোচনা করা হল:
(ক) অংশগ্রহণ: নারী-পুরুষ নির্বিশেষে শাসনের কাজে সকলের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অংশগ্রহণ হচ্ছে সুশাসনের অন্যতম
ভিত্তি। রাষ্ট্রের আয়তন ও জনসংখ্যা অধিক হওয়ার কারণে বর্তমানকালে প্রত্যক্ষভাবে সকলে শাসন কার্যে অংশগ্রহণ
করতে পারে না। সে কারণে পরোক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যম হচ্ছে বৈধ প্রতিষ্ঠানসমূহ। অংশগ্রহনের অর্থ হচ্ছে, বৈধ ও
কার্যকরী যে কোন সংগঠন গড়ে তোলার স্বাধীনতা এবং এসব সংগঠনের মাধ্যমে মতামত প্রকাশের অবারিত সুযোগ।
শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রের সুশীল সমাজকেও নিরপেক্ষ, কল্যাণকর ও সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সুসংগঠিত থাকতে হবে।
(খ) আইনের শাসন: সুশাসনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আইনের শাসন। সুশাসনের জন্য এমন আইনগত
কাঠামোর উপস্থিতি প্রয়োজন যা আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনে সক্ষম। নিরপেক্ষভাবে আইন
প্রয়োগের বিশেষভাবে প্রয়োজন মানবাধিকার সংরক্ষণ, বিশেষ করে চরম দরিদ্র ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং সংখ্যালঘু
সম্প্রদায়ের জন্য। আবার এসব কিছুর জন্য প্রয়োজন স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং নিরপেক্ষ ও দুর্নীতিমুক্ত আইন
প্রয়োগকারী সংস্থা।
(গ) স্বচ্ছতা: সাধারণভাবে স্বচ্ছতা বলতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ও তা বাস্তবায়নে আইনসম্মত পদ্ধতি অবলম্বন করাকে বোঝায়।
কেবল তাই নয়, স্বচ্ছতা দ্বারা এটিও বুঝানো হয় যে, আইনসম্মতভাবে গৃহীত সিদ্ধান্ত ও তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে যারা
প্রভাবিত হবে তাদের জন্য সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে তথ্য প্রবাহ অবাধ করা এবং তথ্য জানার অধিকার উন্মুক্ত করা। একথার
অর্থ হচ্ছে তথ্য প্রবাহ যেন সকল স্তরের জনগণের কাছে সহজবোধ্য হয় এবং বিভিন্ন মাধ্যমে সকলের কাছে পৌঁছায়।
(ঘ) সংবেদনশীলতা: সংবেদনশীলতা হচ্ছে শাসনযন্ত্রের এমন দক্ষতা, যোগ্যতা ও সামর্থ্য যার মাধ্যমে জনসাধারণের
বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপনের জন্য সকল বৈধ প্রয়োজন ও দাবী-দাওয়া যথাসময়ে পূরণ
করা সম্ভব হয়। অর্থাৎ, সরকার জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণে যথাসময়ে সাড়াদানে প্রস্তুত থাকাটাই
সংবেদনশীলতা।
(ঙ) ঐকমত্য: যেকোন রাষ্ট্রেই নানা মত ও স্বার্থের উপস্থিতি বিদ্যমান। এই সব মত ও স্বার্থের মাঝে সমন্বয় সাধন করে
সামাজিক ঐক্য ধরে রাখা সুশাসনের গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈশিষ্ট্য। সুশাসনের ক্ষেত্রে এরূপ সমন্বয় সাধন কাজ
এমনভাবে সম্পন্ন করা হয় যাতে সামগ্রিকভাবে সমাজের সকল অংশ লাভবান হয়। এভাবে মত ও স্বার্থের সমন্বয়
সাধনের মাধ্যমে সামাজিক ঐক্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক একরূপতা
সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
(ঞ) জবাবদিহিতা: সুশাসনের জন্য জবাবদিহিতা গুরুত্বপূর্ণ একটা বৈশিষ্ট্য। এক্ষেত্রে কেবলমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহই
নয় বরং ব্যক্তিখাত ও সুশীল সমাজের সংগঠনসমূহও তাদের অংশীদারদের নিকট এবং সার্বিকভাবে জনসাধারণের
নিকট তাদের কাজকর্মের জন্য দায়বদ্ধ থাকবে এবং জবাবদিহি করবে। এরূপ দায়বদ্ধতা এবং জবাবদিহিতা স্বচ্ছতা
ও আইনের শাসন ছাড়া সম্ভব নয়।
এসব ছাড়াও সুশাসনের জন্য ন্যায়পরায়নতা, কার্যকারিতা ও দক্ষতার শর্তপূরণ একান্ত আবশ্যক। উপরে আলোচিত
বৈশিষ্ট্যসমূহের আলোকে বুঝা যায় যে, সম্পূর্ণরূপে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সহজ কাজ নয়। খুব কম রাষ্ট্রই সুশাসনের
সম্পূর্ণতা অর্জন করতে পেরেছে। তবুও একথা অস্বীকার করা যাবে না যে, টেকসই উন্নয়নের জন্য সুশাসনের গুরুত্বপূর্ণ
বৈশিষ্ট্যগুলো অর্জন করার কোন বিকল্প নেই।
সার-সংক্ষেপ
কোন রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে সহজেই নাগরিকগণ তা অনুধাবন করতে পারে। অংশগ্রহণ, আইনের শাসন, স্বচ্ছতা,
জবাবদিহিতা, সংবেদনশীলতা, ঐকমত্য, কর্তব্য ও ন্যায়পরায়ণতা ও দক্ষতার মত বৈশিষ্ট্যগুলো তখন খুব সহজেই
অনুমেয় হয়। সুশাসন না থাকলে সমাজে উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো পরিলক্ষিত হয় না।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-২.২
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন
১। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য আইনের শাসনের প্রয়োজন নেই। বক্তব্যটিÑ
(ক) মিথ্যা (খ) সত্য
(গ) আংশিক সত্য (ঘ) উপরের কোনটিই না
২। সুশাসনের বৈশিষ্ট্য-
(র) অংশগ্রহণ (রর) আইনের শাসন (ররর) স্বচ্ছতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) র খ) র ও রর
গ) র রর ও ররর ঘ) র ও ররর
সুশাসন এর বৈশিষ্ট্যগুলো চিহ্নিত করুন।
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র