গ্রীক নগর রাষ্ট্রসমূহের কখন বিকাশ ঘটে? প্রাচীন গ্রীসে রেনেসাঁ কখন সংঘটিত হয়? এথেন্সে কোন্ ধরনের গণতন্ত্র প্রচলিত ছিল? নগর রাষ্ট্রে ধর্মের গুরুত্ব কেমন ছিল?

ভূমিকা : রাষ্ট্রদর্শন এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ইতিহাসে প্রাচীন গ্রীসের রাষ্ট্রচিন্তা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য
স্থান দখল করে আছে। প্রাচীন গ্রীসের রাষ্ট্রচিন্তাকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্রদর্শনের পরিপূর্ণ পাঠ
অকল্পনীয়। রাজনৈতিক দর্শন বিষয়ের বিশিষ্ট লেখক আর্নেস্ট বার্কার-এর মতে, যুক্তিবাদ
পরিমন্ডিত পরিবেশে প্রাচীন গ্রীসেই রাষ্ট্রচিন্তার প্রথম সূত্রপাত ঘটেছিল। ভারতবর্ষ, চীন, মিশর
প্রভৃতি দেশে প্রাচীন কালে রাষ্ট্রচিন্তার অস্তিত্ব ছিল। তবে রাজনৈতিক মতবাদের কোন সুসংহত
রূপ এ সমস্ত দেশে বিকশিত হতে পারে নি। ইউরোপে যে রাষ্ট্রচিন্তার উদ্ভব হয়েছিল এবং
বর্তমান বিশ্ব যে রাষ্ট্রচিন্তার ধারক, তা মূলত: প্রাচীন গ্রীসে সেখানকার নগর রাষ্ট্রের রাষ্ট্রচিন্তাকে
কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল। গ্রীক সমাজের বিভিন্ন মনীষীগণ, বিশেষত: প্লেটো, এরিস্টটলের
আবির্ভাবের সাথে রাষ্ট্রচিন্তার সুসংগঠিত ধারা বিকশিত হয়। সুতরাং পাশ্চাত্য রাষ্ট্রচিন্তার
ইতিহাস জানতে হলে প্রাচীন গ্রীসের রাষ্ট্রচিন্তার সাথে ভালোভাবে পরিচিত হতে হবে।গ্রীক সভ্যতার আদি পীঠস্থান প্রাচীন গ্রীসের বিকাশ ঘটে খ্রীষ্টপূর্ব অষ্টম থেকে তৃতীয় শতাব্দীর
মাঝামাঝি সময়ে। হোমারিক যুগে বিভিন্ন গোত্রের লোকদের নিয়ে শুরু হয় এখানকার গ্রামীণ
জীবন। মহাকবি হোমারের মহাকাব্যগুলোতে তৎকালীন গ্রীসের যে সমাজচিত্র দেখা যায়,
সেখানে আদি গণতন্ত্রের জন্মবৃত্তান্তের সন্ধান মিলে। অনেকগুলো গ্রাম নিয়ে প্রাকৃতিকভাবে
স্বতন্ত্র রাজনৈতিক সমাজ তথা ‘চড়ষরং’ (পোলিস)-এর উদ্ভব ঘটে। রাজাকে নিয়েই এ সব
পোলিসের রাজনৈতিক গোড়াপত্তন হলেও ক্রমশ: জনপদের সম্পদ ও সংস্কৃতিকে নিয়ন্ত্রণের
নেতৃত্ব নিয়ে বিবাদ ও কলহের ফলে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানাদির বিকাশ ঘটে এ সব জনপদে।
ভ‚মধ্যসাগরীয় অঞ্চলে গ্রীকদের আবাসস্থলগুলোকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে প্রাচীন গ্রীসের
সমাজ, সভ্যতা ও নগর রাষ্ট্র। এশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে ইজিয়ান সাগর বিধৌত দ্বীপমালা নিয়ে
বিস্তৃত ছিল এ সব রাষ্ট্র।
পোলিনেশিয়দের সহচার্যে গ্রীকদের বর্ণমালা ও ব্যাকরণ আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রাচীন
গ্রীসের সভ্যতা। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দী থেকে এথেন্স ও স্পার্টা হয়ে দাঁড়ায় গ্রীক সভ্যতার প্রধান
দু’টি প্রাণকেন্দ্র। এ সব এলাকায় ক্রমশ: বিকশিত হয় গণতন্ত্র, দর্শন, ক্রীড়া, নাট্যচর্চা,
সাহিত্য, শিল্পকলা, শিক্ষা, গবেষণা ও রাজনীতি চর্চা। স্বাধীনতা ও স্বায়ত্বশাসনসহ অপরাপর
রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদির বিকাশও ঘটে এ সব নগর রাষ্ট্রকে কেন্দ্র করে।
এথেন্সের জনসংখ্যা ছিল চার লক্ষ। তন্মধ্যে আড়াই লক্ষ ছিল দাস। দাসরা ছিল মনিবের
স¤পদ এবং যাবতীয় নাগরিক মর্যাদা বহির্ভূত প্রাণী। নাগিরকদের মাঝে ধনী ও অভিজাতরা
ছিল উঁচু শ্রেণীর মর্যাদাসম্পন্ন এবং সব ধরনের সুযোগ সুবিধার অধিকারী। কারিগর, ব্যবসায়ী,
বণিক, কৃষক, শ্রমিক, নাবিক প্রভৃতি পেশার লোকেরা ছিল কেবলই সাধারণ নাগরিক; দ্বিতীয়
শ্রেণীর মর্যাদাস¤পন্ন। মেটিক্স বা বহিরাগত অধিবাসীরা ছিল তৃতীয় শ্রেণীর মর্যাদাপ্রাপ্ত। তারা
নাগরিকদের মত সামাজিক অধিকার ভোগ করলেও রাজনৈতিক অধিকারের প্রশ্নে ছিল
বৈষম্যের শিকার।
এথেন্সের সংবিধানে সর্বোচ্চ আইনসভার নামকরণ করা হয় এক্লেসিয়া। প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের চর্চা
ছিল এথেন্সে। কুড়ি বছর বয়সী প্রতিটি এথেনীয় নাগরিক নগরসভার সদস্য ছিল। এই
নগরসভা বছরে নিয়মিত দশবার এবং প্রয়োজনে পাঁচশত নাগরিকের আহবানে জরুরি সভায়
মিলিত হত। সময়ের বিবর্তনের সাথে সাথে ক্রমশ: পাঁচশত নাগরিকের পরিষদ এবং উনষাট
জনের প্রতিনিধিত্বমূলক পরিষদ গঠিত হয়। পাঁচশত জনের পরিষদ গঠিত হত এথেন্সের দশটি
প্রধান গোত্র থেকে ৫০ জন করে প্রতিনিধি নিয়ে প্রাথমিক রাজনৈতিক ইউনিট থেকে নির্বাচন
ও লটারীর মাধ্যমে এসব প্রতিনিধি কেন্দ্রে পাঠানো হত। কালক্রমে ৫০০ জনের পরিষদ
সংবিধানে থাকলেও বাস্তব প্রয়োজনে তা ৫৯ জনের শাসনকার্যে পরিণত হয়। গোত্রের
প্রতিনিধিত্বকারী নাগরিকদের মধ্যে থেকে লটারীর মাধ্যমে জীবনে একবারের জন্য পরিষদ
সভাপতিত্ব করার সুযোগ দেয়া হত। প্রশাসন, ম্যাজিস্ট্রেসি বা বিচার ব্যবস্থার জবাবদিহিতা
নিশ্চিত করা হত কাউন্সিলের মাধ্যমে।
এথেন্সের অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিষদ ছিল দশাধিনায়ক পরিষদ। দেশের প্রতিরক্ষা
ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে নাগরিকদের সরাসরি ভোটে প্রতিবারের জন্য ১০ জন জেনারেল
নির্বাচিত হত। নগররাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়নের দায়িত্ব ছিল এদের হাতে। এথেন্সের জনগণ
প্রশাসনের ওপর পরিপূর্ণ জবাবদিহিতা স্থাপন করে গণজুরি আদালতের মাধ্যমে। ত্রিশ বছরের
অধিক বয়সী নাগরিকদের নিয়ে গঠিত আদালতের সদস্য সংখ্যা থাকত সর্বনি¤œ ২০১ থেকে
সর্বোচ্চ ৫০১ পর্যন্ত। এদের ভোটের মাধ্যমে অপরাধীর অপরাধ ও শাস্তি নির্ধারিত হত।
এথেন্সের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো এক্লিসিয়া থেকে ডেমি পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। স্থানীয়
স্বায়ত্তশাসন কার্যকর করার জন্য গোটা এথেন্স একশতটি ডেমিতে বিভক্ত ছিল। এ গুলোকে
আমাদের ওয়ার্ড বা ইউনিয়নের সাথে তুলনা করা চলে।
এথেন্সের তুলনায় স্পার্টা ছিল অনেকটা সাম্যবাদী ধাঁচের সামরিক রাষ্ট্র। এখানে আধুনিক
সর্বাত্মকবাদী রাষ্ট্রের মতো মানুষের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ
ছিল প্রকট। সকল নাগরিকের জন্য ব্যারাক জীবন ছিল বাধ্যতামূলক। ধনী-দরিদ্র, স্বদেশীপ্রবাসী সবাই মিলে প্রায় একই ধরণের খাবার খেত। ঘর-ঘোড়া, দাস সবকিছুর উপর ছিল
সবার সাধারণ মালিকানা। লোহার তৈরী মুদ্রাকে বিনিময় মাধ্যম হিসেবে এরা ব্যবহার করত।
কৃষি ছিল নগরীর মানুষের প্রধান পেশা। নাগরিকদের নামে মাত্র যে জমিজমা থাকতো সেগুলো
দেখা-শুনার দায়িত্ব ছিল ভ‚মিদাসদের ওপর।
ডোবিয়ান বংশোদ্ভুত মাত্র কয়েকশ নাগরিকের সমন্বয়ে গঠিত স্পার্টার সমাজ ছিল কঠোরভাবে
দাসনির্ভর। হেলট্স নামে পরিচিত এই দাসদের সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার ছিল না।
দাসদের যাবতীয় অধিকার ছিল রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য নিবেদিত। এখানে রাষ্ট্রই হয়ে দাঁড়ায় রাষ্ট্রের
উদ্দেশ্য। প্রতিটি মানুষের জন্ম, মৃত্যু, সাফল্য, ব্যর্থতা ছিল রাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে জড়িত। এক
সময় স্পার্টা আইন-শৃঙ্খলার বিকাশ ও ব্যক্তির সৃজনশীলতার উৎকর্ষতা প্রদর্শনে সক্ষম হয়।
¯পার্টার শাসনব্যবস্থায় দ্বৈত রাজতন্ত্রের অস্তিত্ব ছিল। ভিন্ন ভিন্ন অভিজাত গোত্র থেকে মনোনীত
রাজাদ্বয় ক্ষমতার দিক থেকে ছিল একে অপরের সমকক্ষ। সিনেট ছিল সরকার ব্যবস্থার দ্বিতীয়
গুরুত্বপূর্ণ স্তর। দু’জন রাজাসহ ষাটোর্ধ্ব বয়সী ২৮ জন অভিজাত ব্যক্তি নিয়ে গঠিত হত
সিনেট। সরকারের তৃতীয় শাখা ছিল এসেম্বলী। স্পার্টার সমুদয় নাগরিকদের সমন্বয়ে গঠিত
হত এই এসেম্বলী বা কাউন্সিল অব পিপল্স।
¯পার্টার সমুদয় সুস্থ ও সবল নাগিরক ছিল সৈনিক। নগর রাষ্ট্রের কাঠোর নিয়মাবলী একদিকে
যেমন ¯পার্টাকে শক্তিশালী নগর রাষ্ট্রে পরিণত করে আবার এগুলোর বাড়াবাড়ির ফলে এই
রাষ্ট্রের ধ্বংসও অনিবার্য হয়ে পড়ে। পিলোপনেসিয়ান যুদ্ধে ¯পার্টা কর্তৃক এথেন্সের পরাজয়
হলে এখান থেকেই শুরু হয় ¯পার্টার বিশৃঙ্খখলা ও পতনের সূচনা।
আয়তন জনসংখ্যার দিক থেকে পোলিস বা নগর রাষ্ট্রগুলো ছিল এমন আকৃতির যাতে রাষ্টীয়
কার্যক্রম ও প্রতিরক্ষা বিষয়াদিতে সকল নাগরিক সমবেতভাবে অংশ নিতে সক্ষম হত। নগর
রাষ্ট্রগুলো পরিচালিত হত কোন না কোন পরিষদের মাধ্যমে। এক একটি নগর রাষ্ট্রে
পরিষদগুলোর বৈশিষ্ট্য ছিল এক এক ধরনের। ধনী-দরিদ্র দ্ব›দ্ব, রাজনৈতিক অস্থিরতা, নগর
রাষ্ট্রগুলো পার®পরিক বিরোধ ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করেই এদের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদি
বিকশিত হয়। নগর রাষ্ট্রগুলোতে ছিল নিজস্ব লিখিত সংবিধান। গ্রীক নগররাষ্ট্রে ধর্ম ও রাষ্ট্রকে
দেখা হয়েছে এক বা অভিন্নভাবে। প্রতিটি নগর রাষ্ট্রের নিজস্ব ধর্ম তথা দেব-দেবীর অস্তিত্ব
ছিল। এসব নগর দেবতাকে পূঁজা-অর্চনা দিতে নাগিরকদের কম-বেশী বাধ্যবাধকতা ছিল।
তবে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি ঠিক পছন্দ করত না গ্রীক নাগরিকরা।
সারকথা
রাষ্ট্রদর্শনের ইতিহাসে গ্রীক নগররাষ্ট্রের গুরুত্ব অপরিসীম। সংবিধান, আইনের শাসন,
ব্যক্তি ও নগর রাষ্ট্রের সম্পর্ক, আইনসভা, সরকার পরিচালনায় প্রতিনিধিত্বশীল
অংশগ্রহণ, শ্রেণী সংঘাত, সাম্যবাদ, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য ইত্যাদি বিষয়াদির সাথে আমাদের
প্রাথমিক পরিচিতি ঘটে প্রাচীন গ্রীসের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদির মাধ্যমে।
আধুনিক গণতান্ত্রিক ও সাম্যবাদী রাষ্ট্রের ভ্রƒণ রচিত হয়েছেল গ্রীক নগর রাষ্ট্রসমূহের
রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্যের মধ্য দিয়ে।
পাঠোত্তার মূল্যায়ন
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন
সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চিহ্ন দিন।
১। প্রাচীন গ্রীসের নগর রাষ্ট্রসমূহ কোথায় অবস্থিত ছিল?
ক) মিশরে
খ) আরব সাগরীয় দ্বীপাঞ্চলে
গ) ইজিয়ান সাগর বিধৌত দ্বীপসমূহ নিয়ে
ঘ) পশ্চিম ইউরোপের কেন্দ্রস্থলে।
২। এথেন্সের সর্বোচ্চ আইন সভার নাম কি ছিলো -
ক) মায়ালজিয়া;
খ) এক্লেসিয়া;
গ) পোলিস;
ঘ) কাউন্সিল।
৩। এথেন্সের অধিকাংশ অধিবাসী ছিলেন?
ক) অভিজাত;
খ) দাস;
গ) বিদেশী;
ঘ) উপরের কোনটিই নয়।
সংক্ষিপ্ত উত্তরমূলক প্রশ্ন
১। গ্রীক নগর রাষ্ট্রসমূহের কখন বিকাশ ঘটে?
২। প্রাচীন গ্রীসে রেনেসাঁ কখন সংঘটিত হয়?
৩। এথেন্সে কোন্ ধরনের গণতন্ত্র প্রচলিত ছিল?
৪। নগর রাষ্ট্রে ধর্মের গুরুত্ব কেমন ছিল?
রচনামূলক প্রশ্ন
১। এথেন্সের সমাজ ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদির ব্যাখ্যা প্রদান করুন।
২। স্পর্টার সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি বর্ণনা লিখুন।
সঠিক উত্তর
১। গ, ২। খ, ৩। খ

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]