প্লেটো (৪২৭-৩৪৭ অব্দ) গ্রীক রাষ্ট্রদর্শনের এক অতি উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি বিশ্বেভাববাদী বা
ইউটোপিয়ান দর্শনের জনক। তাঁর দর্শন বিশ্বের জ্ঞান ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে। তিনি ছিলেন
সক্রেটিসের সুযোগ্য শিষ্য এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক এরিষ্টটলের শিক্ষক। প্লেটো ছিলেন রাষ্ট্র
সম্পর্কিত দর্শনের সুসামঞ্জস্য রূপকার। তাঁর হাতেই রাষ্ট্রদর্শন সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গ এবং স্বার্থকভাবে
চিত্রিত হয়। প্লেটোর মূল রচনা প্রায় পঁয়ত্রিশটি। এর মধ্যে ‘দি রিপাবলিক' ‘দি লজ’, ‘দি-
স্টেটসম্যান’ ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সক্রেটিসের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে প্লেটো
প্রকৃতিবাদী এবং বস্তুনির্ভর দর্শনকে অস্বীকার করেন ও ভাববাদী দর্শনের সূত্রপাত ঘটান।
তিনি বিশ্বাস করতেন, দৃশ্য জগতের বস্তুসত্য নয়। সৃষ্টির পেছনে আছে অ-বস্তুতথা ভাব।
এই ভাবের মূলে আছে বিশ্বআত্মা, যার সৃষ্টি বা লয় নাই। এ আত্মা অবিনশ্বর ও অতিন্দ্রিয়।
জন্মসূত্রে তিনি পেয়েছিলেন অভিজাত রক্ত। তাঁর শিক্ষা ও পারিপার্শ্বিকতা তাঁকে গণতন্ত্রের
বিপরীত প্রান্তেনিয়ে যায়। সক্রেটিসের অমর বাণী ‘সদগুণই জ্ঞান' (ঠরৎঃঁব রং শহড়ষিবফমব)
তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন। সক্রেটিসের ন্যায় তিনিও দৃঢ়ভাবে মনে করতেন, জীবন
একটি শিল্প (ধৎঃ), যা কেবল জ্ঞানের মাধ্যমেই প্রকাশ পেতে পারে। এ শিল্পের পরিপূর্ণতা
জ্ঞানের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব। এর সুষ্ঠুবাস্তবায়নের জন্য চাই প্রজ্ঞা।
প্রাচীন মূল্যবোধের অবক্ষয়, অভিজাত ও গণতন্ত্রীদের মধ্যে অবিরাম ক্ষমতার অদল বদলের
ফলে সমাজ, ব্যক্তি ও রাজনৈতিক জীবনে নেমে আসে চরম অস্থিরতা। প্রাচীন বিশ্বাস ও
মূল্যবোধ চরম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল। এ অবক্ষয় প্লেটোকে ব্যথিত করেছিল।
এমতাবস্থায় প্রাচীন মূল্যবোধকে পুন:প্রতিষ্ঠা করাই ছিল তাঁর মূল লক্ষ্য।তিনি ভেবেছিলেন শ্রম
বিভক্তির মাধ্যমে ন্যায়বিচার (ঔঁংঃরপব) প্রতিষ্ঠার ভেতর দিয়ে দার্শনিক (জ্ঞানীর) শ্রেণীর দ্বারা
দেশ শাসিত হলেই সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এ উদ্দেশ্যেই তিনি তাঁর বিখ্যাত ‘দি
রিপাবলিক' পুস্তকে তাঁর নিজস্বধারণা প্রসূত ন্যায়বিচার ভিত্তিক দার্শনিক রাজা শাসিত ‘আদর্শ
রাষ্ট্রের' কল্পনা করেছিলেন। আর এ আদর্শরাষ্ট্রের কর্মসূচী হিসেবে শিক্ষা এবং এক ধরনের
সাম্যবাদী ব্যবস্থার বর্ণনা করেছিলেন।
প্লেটোর সমগ্রদর্শন তাঁর ন্যায়বিচার তত্তে¡র উপর প্রতিষ্ঠিত। ন্যায়বিচার তত্ত¡ তাঁর ‘দি
রিপাবলিক' পুস্তকের মূল আলোচ্য বিষয়। এমনকি ‘দি রিপাবলিক' গ্রন্থের বিকল্প শিরোনাম
হলো ‘ন্যায়বিচার বিষয়ক গ্রন্থ' অধ্যাপক স্যাবাইন বলেন, ‘‘দি
রিপাবলিকের ন্যায়বিচার তত্তে¡র মধ্য দিয়ে প্লেটোর রাষ্ট্রীয় মতবাদ চূড়ান্তবা সর্বোচ্চ শিখরে
দাঁড়িয়েছে।''
প্লেটোর কাছে ন্যায়বিচার এর সাধারণ অর্থের মত তথা ‘ঔচিত্য' বা ‘অন-ঔচিত্যবোধক' নয়,
বরং তা যোগ্যতা ও শ্রমবিভক্তির ধারণার উপর সুপ্রতিষ্ঠিত। প্লেটোর সময় ক্রম:ক্ষয়িষ্ণু
এথেন্সের নগররাষ্ট্রেযে সংকট দেখা দিয়েছিল, তিনি সে সংকটকে সাধারণভাবে ‘ন্যায়ের
সংকট' বলেই মনে করেছিলেন। ন্যায়ের সংকট বলতে তিনি বুঝাতে চেয়েছেন, ‘যার যে
যোগ্যতা আছে, সে সেখানে না থেকে অন্যত্র অবস্থান করছে। অর্থাৎ যারা শাসন করছেন তারা
শাসক হওয়ার উপযুক্ত নন। শাসন একটি শিল্প ও গুণ। এই গুণ যাদের মধ্যে বিরাজমান
কেবলমাত্র তারাই হবেন শাসক। তবেই রাষ্ট্রের কাজকর্মসুষ্ঠুও ঐক্যের ভিত্তিতে পরিচালিত
হবে। মানুষের জীবনে আসবে স্থায়ী শান্তি।
উপরোক্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে প্লেটো মানুষকে তিনটি ভাগে ভাগ করেছেন। প্লেটোর মতে
প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে তিন ধরনের উপাদান রয়েছে, যেমন (১) প্রজ্ঞা (রিংফড়স), (২) সাহস
( ও (৩) প্রবৃত্তি । ব্যক্তি জীবনের এই তিন ধরনের অবস্থার সমন্বয়
বিভিন্নব্যক্তির মধ্যে বিভিন্নভাবে ঘটে থাকে। যেমন, কারও মধ্যে প্রজ্ঞার মাত্রা অধিক, আবার
কারও মধ্যে প্রবৃত্তির মাত্রা অধিক। আবার কারও মধ্যে সাহসের মাত্রা বেশী। এমতাবস্থায়
ব্যক্তির জীবনের তিনটি অবস্থার হেরফের রাষ্ট্রীয় জীবনে তিনটি শ্রেণী তৈরী করে যাকে, যথা
(১) প্রজ্ঞা বিশিষ্টরা দার্শনিক শ্রেণীভুক্ত (২) সাহসীরা যোদ্ধা শ্রেণী ও (৩) প্রবৃত্তির দ্বারা
পরিচালিতরা কৃষক বা উৎপাদক শ্রেণীভুক্ত। ব্যক্তি জীবনে যখন বিক্রম ও প্রবৃত্তি প্রজ্ঞার দ্বারা
পরিচালিত হয়, তখন ঐ ব্যক্তির জীবনে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে ধরা হয়। রাষ্ট্রীয় জীবনের
বেলাতেও অনুরূপভাবে দার্শনিক, যোদ্ধা ও উৎপাদক শ্রেণী যখন নিজ নিজ যোগ্যতা, প্রকৃতি
ও প্রশিক্ষণ অনুযায়ী কাজকর্মকরবে তখন ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠিত হবে। সুতরাং প্লেটোর
মতে ন্যায়বিচার হলো কর্মবিশেষীকরণের মাধ্যমে কর্মবন্টন করা ও যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ
করা এবং এ ভাবে পারস্পরিক সুষ্ঠুসমম্বয় সাধন করা। তাই প্লেটোর ভাবধারা অনুযায়ী বলা
যায়, ‘ন্যায়বিচার হলো সমম্বয় সাধনকারী ও সম্প্রীতিপূর্ণএকটি বন্ধন যা সমাজের বিভিন্ন
ব্যক্তিকে এক সূত্রে আবদ্ধ করে।' তিনি মনে করেছিলেন, ‘ন্যায়বিচার' ঠিকমত প্রতিষ্ঠিত হলে
সমাজে কোন প্রকার সংঘাত ও সংঘর্ষদেখা দিবে না। প্রতিষ্ঠিত হবে স্থায়ী ভিত্তিক ঐক্য।
সংঘাত দূর করাই ছিল প্লেটোর লক্ষ্য। প্লেটোর ন্যায়বিচার তত্ত¡বিশ্লেষণ করলে বুঝা যায় যে,
তিনি নৈপূন্যের (ংশরষষ) উপর জোর দিয়েছিলেন। যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পেলে এবং প্রত্যেকে
নিষ্ঠার সাথে উক্ত কাজ সম্পন্নকরলে দক্ষতা অর্জিত হবে এবং সমাজ উন্নতির দিকে এগিয়ে
যাবে। কেউ কারও কাজে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ পাবে না। প্লেটোর ন্যায়বিচার তত্ত¡তাঁর
শাসন একটি শিল্প
ও গুণ। এই গুণ
যাদের মধ্যে
বিরাজমান
কেবলমাত্র তারাই
হবেন শাসক
প্লেটোর মতে
ন্যায়বিচার হলো
কর্মবিশেষীকরণের
মাধ্যমে কর্মবন্টন
করা ও যোগ্যতা
অনুযায়ী কাজ করা
এবং এ ভাবে
পারস্পরিক সুষ্ঠু
সমম্বয় সাধন করা
আদর্শরাষ্ট্রথেকে বিছিন্ননয়। তিনি তাঁর ন্যায়বিচার তত্ত¡কে প্রত্যক্ষ করার জন্য আদর্শরাষ্ট্রের
রূপরেখা অংকন করেছিলেন, যেখানে তাঁর মতে প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিরাই অর্থাৎ দার্শনিক শ্রেণী
হবেন কেবল মাত্র শাসক।
প্লেটোর ন্যায়বিচার তত্তে¡র সমালোচনা
প্লেটোর ন্যায়বিচার তত্ত¡নানা দিক থেকে সমালোচিত হয়েছে। যথা:
● এতে রাষ্ট্রের ক্ষমতা অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়ে তা প্রকারান্তরে ব্যক্তির অস্তিত্ববিপন্নকরে তুলেছে
বলে প্লেটোর ছাত্র এবং প্রায় সমসাময়িক, এরিস্টটল মন্তব্য করেছেন।
● সর্বাত্মকবাদী দর্শন হিসেবে প্লেটোর ন্যায়বিচার তত্ত¡কে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিখ্যাত
লেখক কার্লপপার এ জন্য প্লেটোকে ‘সর্বাত্মকবাদী ধারণার জনক' বলে আখ্যায়িত করতে
চান। কারণ, প্লেটো তাঁর ন্যায়বিচার তত্তে¡ব্যক্তি ও সমাজকে রাষ্ট্রের ইচ্ছার মধ্যে বিলীন
করতে চেয়েছেন।
● প্লেটো তাঁর ন্যায়বিচার তত্তে¡র মাধ্যমে মূলত একটি মাত্র শ্রেণীর আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত করতে
চেয়েছেন- শ্রেণীটি হলো অভিভাবক শ্রেণী। কারণ, তাঁর ন্যায়বিচার তত্ত¡ানুযায়ী অভিভাবক
শ্রেণী (দার্শনিক)ব্যতীত অন্য কোন শ্রেণীর শাসন করার যোগ্যতা ও অধিকার নাই। এভাবে
প্লেটো শ্রেণী আধিপত্যকে রক্ষা করতে চেয়েছেন।
● প্লেটোর ন্যায়বিচার তত্ত¡ গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি পাকাপোক্ত ধারণা। তা'ছাড়া এটি
মানবাধিকার বিরোধীও বটে। তিনি তার দর্শনে অভিভাবক শ্রেণীর জন্য ব্যক্তিগত পরিবার
ও সম্পত্তি নিষিদ্ধ করে মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি আঘাত হেনেছেন।
● প্লেটোর ন্যায়বিচার তত্তে¡ এক ধরনের জগদ্দল এবং অনড় শ্রেণী বিন্যাসের প্রস্তাব করা
হয়েছে। এবং সে সাথে এ তত্তে¡পরিবর্তন ও উন্নয়নকে অস্বীকার করা হয়েছে। শ্রেণী বন্ধন
থেকে মুক্ত হওয়ার সুযোগ রহিত করে তিনি রক্ষণশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। বেনজামিন
ফেরিংটন প্লেটোকে তাই একজন ‘প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তাবিদ' হিসেবে চিহ্নিত করতে চান।
● আধুনিক ধারণার সাথে প্লেটোর ন্যায়বিচার তত্ত¡ অসঙ্গতিপূর্ণ। কেননা, আধুনিক কালে
শ্রেণী ও গোষ্ঠীর প্রাধান্যকে অস্বীকার করা হয়। তাছাড়া প্রায় সকল ক্ষেত্রেই আধুনিক
দৃষ্টিভংগি হলো সমতামূখী। অর্থাৎ জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী, নির্বিশেষে সকলেই সমান।
তবে বর্তমানকালে দাঁড়িয়ে এ ধরনের সমালোচনাকে প্লেটোর প্রতি অবিচার বলে অনেকে
মনে করেন।
সারকথা
প্লেটোর ন্যায়বিচার তত্ত¡কর্মবিশেষীকরণের উপর প্রতিষ্ঠিত। যার যে যোগ্যতা আছে সে
শুধুসেই কাজ করবে। তিনি বিশ্বাস করতেন, কেবলমাত্র জ্ঞানীরাই শাসক হওয়ার
যোগ্যতা রাখেন। জ্ঞানী ব্যক্তিরা শাসক হলে রাষ্ট্রেআর কোন সমস্যা থাকবে না। সুতরাং
রাষ্ট্রেপ্রজ্ঞাবান ব্যক্তিদের শাসক, সাহসীদের সৈনিক ও প্রবৃত্তি দ্বারা পরিচালিত ব্যক্তিদের
উৎপাদক শ্রেণীর অর্ন্তভুক্ত সুনিশ্চিত করাই হলো ন্যায়বিচার। সমালোচকেরা মনে করেন,
তাঁর এই তত্তে¡র দ্বারা এক প্রকার সর্বাত্মকবাদের প্রকাশ ঘটেছে। তা'ছাড়া এর ফলে
অনড় শ্রেণী-প্রাধান্য বজায় থাকবে এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ব্যাহত হবে।
সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চিহ্ন দিন।
১। প্লেটোর ন্যায়বিচার তত্ত¡নি¤েœর কোন্ ধারণাটির উপর প্রতিষ্ঠিত।
(ক) সমতার নীতি;
(খ) ঔচিত্য ও অনঔচিত্য;
(গ) রাষ্ট্রের ঐক্য ও সংহতি;
(ঘ) শ্রম বিভক্তি ও কর্মবিশেষীকরণ।
সঠিক উত্তর - ঘ
সংক্ষিপ্ত উত্তরমূলক প্রশ্ন
১। প্লেটো কোন দেশের নাগরিক ছিলেন?
২। এথেন্স এবং স্পার্টার মধ্যে সম্পর্ককেমন ছিল?
৩। প্লেটো কোন ধরনের বংশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন?
৪। প্লেটো সক্রেটিসের কোন ধারণাকে মনে প্রাণে গ্রহণ করেছিলেন?
৫। কোন ধরনের শাসকগোষ্ঠী সক্রেটিসকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছিল?
৬। গণতন্ত্রসম্পর্কেপ্লেটোর ধারণা কিরূপ ছিল?
রচনামূলক প্রশ্ন
১। সমালোচনাসহ প্লেটোর ন্যায়বিচার তত্ত¡আলোচনা করুন।
২। প্লেটোর মতে ন্যায়বিচার কি? কেন তিনি এ ধরনের তত্ত¡গঠনে উৎসাহী হয়েছিলেন?
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র