মানুষের স্বাস্থ্যের উপর মদপানের কুফল কি? মদপানকে কেনো হারাম ঘোষণা করা হয়েছে? অনুগ্রহপূর্বক চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে সংক্ষেপে আলোচনা করুন ।

একজন জার্মান ডাক্তার বলেছেন, “যারা মদে আসক্ত তারা চল্লিশ বছর বয়সে তেমনি অকার্যকর হয়ে যায়, যা অন্যরা ষাট বছর বয়সে হয়ে থাকে।” অর্থাৎ চল্লিশ বছরেই ষাট বছরের বুড়ো মানুষের
মতো হয়ে যায়। Those who are addicted to drinking wine become inactive at the age of forty like what they could have been at the age of sixty. হিপোক্রাটস্ বলেন, “মদ মানুষের শরীরে যে ক্ষতি সাধন করে তা ভয়ানক। কারণ, এটি মানুষের বুদ্ধি, বিবেক, মেধা ও প্রতিভাকে ধ্বংস করে।" (আস্-সুয়ূতী) ৪৫০ ৪৫১
Royal book-এর প্রখ্যাত লেখক আলী ইবনে আল-আব্বাস আল-মুজাশিঈ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “মদপানের কুফল হচ্ছে, এটি মস্তিষ্ক এবং তার শিরা-উপশিরাকে ধ্বংস করে ফেলে।” (আস্-সুয়ূতী) আধুনিক বিজ্ঞান আমাদের বলে যে মদ বা alcohol মানুষের শরীরে absorbed হয়না। আর assimilatedও হয়না। এটি শরীরে রক্ত তৈরিতেও সাহায্য করেনা। এটি ক্ষণিকের জন্য রক্তে উত্তেজনা সৃষ্টি করে মাত্র, যার ফলে কিছু সময়ের জন্য শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে হয়। মদপানের প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক ক্ষতিকর দিকগুলোর অন্যতম হচ্ছে-
১. এটি আস্তে আস্তে মদে আসক্ত ব্যক্তির হজমশক্তিকে নষ্ট করে ফেলে ;
২. এটি ক্ষুধাহীনতা বৃদ্ধি করে :
৩. এটি শরীরে বিকৃত পরিবর্তন আনয়ন করে ;
৪. এটি স্নায়ুবিক দুর্বলতা সৃষ্টি করে ;
৫. এটি লিভার ও কিডনি ধ্বংস করে ;
যক্ষ্মারোগের আক্রমণ অত্যধিক মাদকাসক্ত থাকার অন্যতম কারণ। বিজ্ঞান আমাদেরকে আরো বলে যে মদ বা alcohol এমন একটি বিষাক্ত পানীয় যার ক্ষতিকর দিক তথা pharmacological action গুলো ধীরে ধীরে কাজ শুরু করে এবং অল্প সময়ের মধ্যে মাদকাসক্ত ব্যক্তির শরীরে দৃশ্যমান হয়। মাদকাসক্ত ব্যক্তির ছেলেমেয়েরা দুর্বল হয়ে জন্মলাভ করে এবং মাঝে মাঝে তারা impotent হয়ে থাকে। অতিরিক্ত মদপান করলে পানকারীর রক্তপ্রবাহের শিরা-উপশিরাগুলো শক্ত হয়ে যায়। ফলে বার্ধক্য দ্রুত ঘনিয়ে আসে। মদপান মানুষের গলা ও শ্বাস-প্রশ্বাসের শিরা-উপশিরাকে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে দীর্ঘস্থায়ী 'কাশি' সৃষ্টি করে এবং এতে গলার স্বর বড় হয়ে যায়।
Drinking of alcohol leads to CNS and CVS disorders. CVS includes intracranial hemorrhage (stroke) cerebral ischaemia / infarction, HTN etc., while CNS disorders leads to intellectual debility. CVS also includes atheros which leads to HTN, IHD and finally cardiac arrest.
সম্মানিত দর্শক-পাঠক! সম্ভবত এতোসব ক্ষতিকর দিক আছে বলেই আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা'য়ালা মদপান হারাম করেছেন। কারণ তিনি আমাদেরকে ভালোবাসেন এবং এসব ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে চান। তিনি ইরশাদ করেন,
يَسْتَلُوْنَكَ عَنِ الْخَيْرِ وَ الْمَيْسِرِ قُلْ فِيْهِمَا إِثْمٌ كَبِيرٌ وَ مَنَافِعُ لِلنَّاسِ وَاثْبُهُمَا أَكْبَرُ مِنْ نَّفْعِهِمَا
(হে রসূল!) “তারা তোমাকে জিজ্ঞেস করছে মদ ও জুয়ার ব্যাপারে নির্দেশ কী? বলে দাও ও দুটোর মধ্যে বিরাট ক্ষতিকর বিষয় রয়েছে, যদিও লোকদের জন্য তাতে কিছুটা উপকারিতাও আছে। কিন্তু এগুলোর উপকারিতার চেয়ে গুনাহ বা ক্ষতিকর বিষয় অনেক বেশি।" (আল বাকারাহ ২:২১৯)
এ আয়াত থেকে আমরা জানতে পারি যে মদে যে সামান্য উপকারিতা রয়েছে, তার চেয়ে অপকারিতা অনেক অনেক বেশি। এটি সম্ভব যে, যখন আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা'য়ালা মদপান হারাম করলেন, তখন তা নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জানিয়ে দিলেন। সম্ভবত তখন মদপানে যে কিঞ্চিত উপকার ছিলো তাও উঠিয়ে নিয়েছিলেন, যার ফলে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মন্তব্য করলেন যে, "wine বা মদ কোনো ওষুধ নয়; বরং এটি নিজেই রোগ বা রোগের কারণ।” (আবূ দাউদ ও ইবনে মাজাহ) ৪৫২
আর তাঁর এই মন্তব্য তো আসমানী প্রত্যাদেশের উপর ভিত্তি করেই করা হয়েছে। তাই সকল আধুনিক বিজ্ঞানী এ বিষয়ে আমার সাথে একমত হবেন যে “ক্ষণিকের জন্য সামান্য একটু stimulating action ছাড়া মদ বা wine এর আর কোনো উপকারিতা বা benefit নেই।” তাই আমি ইসলামিক টিভির অগনিত সম্মানিত দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনাদের ভেতর যদি কেউ যেকোনো কারণেই হোক মদপানে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন, তাহলে অনুগ্রহপূর্বক এই মুহূর্তে তা পরিত্যাগ করুন। দেখবেন আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, সুন্দর থাকবে। অপরিণত বয়সে বার্ধক্যের ধকল আপনাকে সইতে হবেনা।

প্রশ্ন-১৫৬ : গত সপ্তাহে আমরা মদ (অ্যালকোহল) ও অন্যান্য হারাম জিনিসের মাধ্যমে চিকিৎসা ও ইসলামের বিধান নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। এক পর্যায়ে fermentation action নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল যে, ঐ সময়ে ৫টি খাদ্যদ্রব্য থেকে মদ তৈরি করা হতো। কতো ঘণ্টা পর fermentation শুরু হয় সে সম্পর্কে কোনো সুস্পষ্ট ধারণা তখনকার লোকদের মাঝে ছিলোনা। তাই আমরা জানতে চাইব, এ বিষয়ে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ কোনো বক্তব্য আছে কী?


উত্তর : মূলত fermentation একটি chemical process, যার মাধ্যমে alcohol তৈরি করা হয়ে থাকে। তবে এই fermentation শুরু হবার সময় খাদ্যদ্রব্যের physical characteristics-এর উপর নির্ভর করে, যা নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানতেন। যেসব খাদ্যদ্রব্য বা শস্য অপেক্ষাকৃত নরম প্রকৃতির, তা পানিতে ভিজিয়ে রাখলে অতি অল্প সময়ের মধ্যে fermentation শুরু হয়। যেমন আঙুর। অপরদিকে কঠিন প্রকৃতির খাদ্যদ্রব্য কিংবা কাঁচা ফলমূল হলে সেগুলোর onset of fermentation process একটু delayed হয়ে থাকে। কারণ পানিতে ভেজানোর পর খাদ্যদ্রব্যের fleshy parts থেকে আস্তে আস্তে active ingredients পানিতে release হতে থাকে। যাহোক, এ বিষয়ে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি হাদীস এখানে আলোচনায় আনবো, যেটি সহীহ মুসলিম ও আবূ দাউদ শরীফে উদ্ধৃত রয়েছে এবং যা বর্ণনা করেছেন ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু "সাহাবাগণ তাঁর জন্য কিছু খেজুর রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখতেন নাবীয তৈরি করার জন্যে। তিনি তা সেদিন, তার পরের দিন এবং তৃতীয় দিন বিকাল পর্যন্ত পান করতেন। অবশেষে তাঁর নির্দেশে কাউকে (খাদিমদের) পান করতে দেয়া হতো কিংবা ফেলে দেয়া হতো।” (সহীহ মুসলিম ও আবূ দাউদ) ৪৫৩
এ হাদীস থেকে আমরা 'খেজুরের fermentation হওয়ার সময়' সম্পর্কে ধারণা করতে পারি। খেজুর পানিতে ভিজিয়ে রাখলে আনুমানিক ৩৬ ঘণ্টা পর fermentation ক্রিয়া শুরু হয়ে alcohol সৃষ্টি হয়। তাই তিনি ৩৬ ঘণ্টা পর সেই খেজুর নিংড়ানো পানি পান না করে ফেলে দিয়েছিলেন। ইমাম আবূ দাউদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন যে খাদিমদের পান করানোর অর্থ হলো নষ্ট হয়ে রাতে মাদকতা সৃষ্টি হওয়ার আগেই তারা তা পান করতো।
বিষয়টি আরো পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করতে গেলে বলতে হয়, ধরুন সাহাবাগণ রাত ১০টায় তাঁর জন্য খেজুর পানিতে ভিজাতেন। পরদিন সকাল ১০টায় অর্থাৎ ১২ ঘণ্টা পর সেই নিংড়ানো পানি তিনি পান করতেন। তার পরের দিন অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টা পর সকালের কোনো এক সময়ে তিনি সেই নিংড়ানো পানি পান করতেন । অর্থাৎ ১২+২৪ = ৩৬ ঘণ্টা পর সে water extract আর তিনি পান করতেননা।

FOR MORE CLICK HERE
NTRCA COLLEGE LEVEL HISTORY/ইতিহাস গাইড/ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ইতিহাস
১০ তম বিসিএস -৪৪তম বিসিএস এর প্রশ্ন ও সমাধান 10th BCS to 44th Bcs MCQ Question Solution
বিসিএস ব্যাংক প্রাইমারি পরীক্ষার-এর প্রশ্ন ও সমাধান
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO বই লেখক : মোঃ মিজানুর রহমান
মাতৃস্বাস্থ্য/Motherhood
ওষুধ নির্দেশিকা
সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৫৬৩ টি হাদিস)
সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৪৫৩ টি হাদিস)
সুনানে তিরমিজি শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৩৯৫৬ টি হাদিস)
সুনানে নাসায়ী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫৭৫৮ টি হাদিস)
সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৪৩৪১ টি হাদিস)
সুনানে আবু দাউদ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫২৭৪ টি হাদিস)

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]