অসুস্থতা থেকে আরোগ্য লাভের জন্য নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো কোনো দু'য়া পাঠ করতে বলেছেন কী?

অসুস্থ ব্যক্তি বা তার আপনজনেরা আল্লাহ্র নিকট রোগ মুক্তির জন্য দু'য়া করতে পারে। আমি এখানে আরো তিনটি সহীহ হাদীস আলোচনা করবো, যেখানে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে দু'য়াটি পাঠ করতে বলেছেন তা বর্ণিত হয়েছে।
আল্লাহর নিকট দু'য়ারত অবস্থায় দু'ভাইবোন
হযরত আব্দুল আযীয রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ও সাবিত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে গেলাম । অতঃপর সাবিত বললো, হে আবূ হামযা! আমি তো অসুস্থ হয়ে পড়েছি। তখন আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, হে সাবিত, “আমি কি তোমাকে রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে দু’য়া দ্বারা ঝাড়-ফুঁক করতেন তাদ্বারা ঝাড়-ফুঁক করবোনা? হযরত সাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, হ্যাঁ, অবশ্যই করবেন। হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু তখন এই দু'য়া পড়লেন, “আল্লাহুম্মা রব্বানাস আযহিবিল বা'স, ইশফি আনতাশ শাফী, লা শাফিয়া ইল্লা আন্তা, শিফায়ান লা মৃগাদিরু সাকামান।” “হে আল্লাহ্! হে সকল মানুষের রব! কষ্ট দূর করুন। আরোগ্যদান করুন, আপনিই আরোগ্য দানকারী। আপনি ছাড়া আর কোনো আরোগ্য দানকারী (নিরাময় দানকারী) নেই। আপনি এমন আরোগ্য দান করুন, যারপর আর কোনো অসুখ থাকবেনা।” (সহীহ আল বুখারী) ৪৮১
হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণিত হাদীসটিও হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসকে সমর্থন করে। হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, “নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিবারের কারো অসুখ হলে, তাকে ইয়াদাত করার সময় ডানহাত তার শরীরে ফেরাতেন এবং মুখে এ দু'য়া পাঠ করতেন, আমসিহিল বাসা রব্বাননাস, বিইয়াদিকাশ শিফায়ূ, লা কাশিফা লাহু ইল্লা আংতা।” “হে মানুষের মালিক! এ ব্যথাটি দূর করে দিন। আরোগ্য দান করুন। আরোগ্য দান তো একমাত্র আপনারই হাতে । আপনি ছাড়া আর কোনো আরোগ্য দানকারী নেই।” (সহীহ আল বুখারী) ৪৮২ কুরআনের বিভিন্ন সূরা ও দু'য়ার মাধ্যমে নিরাময়ের বিষয়ে অনেকে হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত নিম্নের হাদীস থেকে যুক্তি প্রদর্শন করে থাকেন। হাদীসটি সহীহ আল বুখারী, মুসলিম, আত-তিরমিযী, মুসনাদে আহমাদ, আবূ দাউদ ও ইবনে মাজাহতে উদ্ধৃত হয়েছে। সহীহ আল বুখারীতে উদ্ধৃত হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনাও এটা সমর্থন করে। আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, “নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কয়েকজন সাহাবীকে একটি অভিযানে পাঠান। তারা পথে একটি আরব গোত্রের পল্লীতে আসেন। ঐ গোত্রের লোকেরা তাঁদের কোনো মেহমানদারী করেনি। ঐ সময় উক্ত গোত্রের সরদারকে একটি বিষাক্ত প্রাণী কামড় দেয়। গোত্রের লোকেরা মুসাফির দলের কাছে এসে আবেদন জানায়, তোমাদের কোনো ওষুধ বা আমল জানা থাকলে আমাদের সরদারের চিকিৎসা করো। হযরত আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমরা জানি ঠিকই। কিন্তু তোমরা আমাদের মেহমানদারী করোনি। তাই যতোক্ষণ তোমরা আমাদের জন্য (এর বিনিময়ে) একটা কিছু নির্দিষ্ট না করবে, ততোক্ষণ আমরা এর কোনোটাই করবোনা। তখন তারা এর বিনিময়ে কয়েকটি বকরি দিতে রাজী হলো । তখন একজন সাহাবী সূরা ফাতিহা পড়ে ফুঁক দিতে থাকেন এবং যে জায়গায় বিচ্ছু কামড়িয়েছে সেখানে নিজের মুখের লালা (থুথু) মলতে থাকেন। অবশেষে বিষের ক্রিয়া খতম হয়ে যায়। (সে ভালো হয়ে গেলে) গোত্রের লোকেরা কয়েকটি বকরি নিয়ে এলো। সাহাবীগণ বললেন, আমরা আমাদের নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস না করা পর্যন্ত বকরিগুলো গ্রহণ করতে পারিনা। তারা এসে ঘটনাটি নবী সল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লামের কাছে বর্ণনা করলেন। তখন তিনি হেসে দিলেন এবং বললেন, তোমরা কি করে জানলে যে সূরা ফাতিহা মন্ত্রের মতো কাজ করে (অর্থাৎ ঝাড়-ফুঁকের কাজে লাগে)? যাহোক তোমরা বকরিগুলো নিয়ে নাও এবং তাতে আমার জন্যও একভাগ রেখে দাও।” (সহীহ আল বুখারী) ৪৮৩
সহীহ আল বুখারী শরীফের এ ঘটনা সম্পর্কিত হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর যে রিওয়ায়াত আছে, তাতে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বক্তব্যে বলা হয়েছে, “তোমরা অন্য কোনো আমল না করে আল্লাহ্র কিতাব পড়ে পারিশ্রমিক নিয়েছো, এটি তোমাদের জন্য সঠিক হয়েছে।” (সহীহ আল বুখারী) ৪৮৪
হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কোনো ব্যক্তি যদি কোনো রোগীকে দেখতে যায়, যার মৃত্যুক্ষণ ঘনিয়ে আসেনি, সে তাকে সাতবার এই দু'য়া করলে তাকে রোগমুক্ত করা হবে।
“আস্‌আলুল্লহাল আযীম রব্বুল আরশিল আযীম আই ইয়াশফিকা।”
“আমি মহান আরশের রব মহামহিম আল্লাহর কাছে দু'য়া করছি, তিনি তোমাকে রোগমুক্তি দান করুন।” (আত-তিরমিযী) ৪৮৫
এবার দুঃখ-কষ্ট ও চিন্তা দূর করার কতিপয় দু'য়া বর্ণনা করছি, যা নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক অনুমোদিত। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যখন কোনো দুঃখ-বেদনা হতো বা কঠিন বিপদ আসতো তখন তিনি এ দু’য়াটি পড়তেন, “লা ইলাহা ইল্লাল্লহুল আলীমুল হালীম। লা ইলাহা ইল্লাল্লহু রব্বুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্ধি ওয়া রব্বুল ‘আরশিল আজীম।”
“মহান আল্লাহ্ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। মহাজ্ঞানী আল্লাহ্ ছাড়া কোনো ইলাহ্ নেই। আসমান-যমীনের প্রতিপালক ও মহান আরশের অধিপতি আল্লাহ্ ছাড়া কোনো ইলাহ বা উপাস্য নেই।” (সহীহ আল বুখারী) ৪৮৬ নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনে যখন কোনো দুঃখ-কষ্ট আসতো তখন তিনি নিম্নোক্ত দু'য়া পড়তেন, “ইয়া হাইয়্যু, ইয়া কাইয়্যুমু বিরহ্মাতিকা আস্তাগিছু।”
“হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী! আপনার রহমত দ্বারা দুঃখ ও চিন্তা থেকে পানাহ চাই।” (আত-তিরমিযী) ৪৮৭ কোনো কোনো বর্ণনায় আছে, নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাঝে মাঝে চিন্তা-ভাবনাযুক্ত ব্যক্তির জন্য এ দু'য়াটি পাঠ করতে বলতেন, “হে আল্লাহ্! আমি আপনার রহমত লাভের জন্য
আশান্বিত। আপনি আমাকে এক মুহূর্তের জন্যও আমার নিজের দায়িত্বে ছেড়ে দেবেন না। আমার অবস্থাকে সংশোধন করুন। আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ্ নেই।” (মুসনাদে আহমাদ) আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, “এক ব্যক্তি রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বললো, ইয়া রসূলাল্লাহ! আমি অত্যন্ত কষ্ট পাচ্ছি। কারণ গতরাতে একটি বিচ্ছু আমাকে দংশন করেছে। তিনি বললেন, তুমি সন্ধ্যায় যদি এ দু’য়াটি পাঠ করতে তাহলে তোমাকে কোনোরূপ কষ্ট পেতে হতোনা। দু'য়াটি হলো, 'আউযুবিকালিমাতিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খলাক্কা।”
“আমি আল্লাহ্র পূর্ণাঙ্গ কালাম দ্বারা তাঁর সৃষ্টির অনিষ্ট হতে আশ্রয় চাচ্ছি।” (সহীহ মুসলিম) ৪৮৯ ইবনে মাজাহ শরীফে উদ্ধৃত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন খাওলা বিনতে হাকীম রাদিয়াল্লাহু আনহা । তিনি বলেন যে নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের কেউ কোনো গন্তব্যে পৌঁছে যদি এ দু'য়া পড়ে : আউযু বিকালিমাতিত তাম্মাতি মিন শাররি মাখলাক্ব” (আমি আল্লাহর কল্যাণকর বাক্যবলির উসীলায় তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি), তাহলে সে ঐ স্থান থেকে বিদায় হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কোন কিছু তার ক্ষতি করতে পারবেনা।” (ইবনে মাজাহ) ৪৯০
সম্মানিত দর্শক-পাঠক ও শ্রোতামগুলি! এসব দু'য়াই হচ্ছে রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঝাড়- ফুঁকের নমুনা। এটিকে প্রচলিত ঝাড়-ফুঁকের নামে নামকরণ করা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়। বস্তুত এটি কতগুলো ছোট বাক্যের সমষ্টি, যা তিনি মুখে পাঠ করতেন। আর অসুস্থ ব্যক্তির আরোগ্যের জন্য সকল রোগের আরোগ্যদানকারী আল্লাহর নিকট দুয়া করতেন, এগুলোর মধ্যে কোনো শিরকী কথাবার্তা বা নিরর্থক কোনো কিছু নেই। পক্ষান্তরে জাদু মন্ত্র ইত্যাদির মধ্যে যেসব ধরনের খারাবি আছে, তাকে কখনো নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীকৃতি দেননি। আসল কথা হচ্ছে, আপনাকে মনে রাখেতেই হবে যে আল্লাহ্ই একমাত্র আরোগ্য দানকারী, আর ডাক্তার ও ওষুধ আরোগ্য লাভের উপায় বা means of healing. অন্তরে এ বিশ্বাস রেখে শুধুমাত্র অসীলা হিসেবে শরীআত-সম্মত ঝাড়-ফুঁক করা যেতে পারে। এতে কোন রকম শিরক হবে না।
ঝাড়-ফুঁক এটা শুধু এ যুগে নতুন নয়, বরং রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগেও ছিল । তিনি নিজেও ঝাড়-ফুঁক করেছেন। সাহাবাগণ থেকেও প্রমাণিত আছে। তবে কেউ যদি ঝাড়-ফুঁক সম্পর্কে এ বিশ্বাস বা ধারণা পোষণ করে যে, ঝাড়-ফুঁকের মধ্যে ক্ষমতা আছে, তা বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করতে পারে, তা না করলে বিরাট বিপদ হতে পারে। এ ধরনের বিশ্বাস বা ধারণা নিয়ে ঝাড়-ফুঁক করা শিরক হবে। ইমহীন লোকেরা সাধারণত এ ধরনের ভ্রান্ত বিশ্বাস নিয়ে ঝাড়-ফুঁক করে থাকে, এটাকে কঠোরভাবে নিষেধ করা চাই এবং সহীহ আকীদা-বিশ্বাসের শিক্ষাকে ব্যাপক ছড়িয়ে দেয়া অতীব জরুরি।
আশান্বিত। আপনি আমাকে এক মুহূর্তের জন্যও আমার নিজের দায়িত্বে ছেড়ে দেবেন না। আমার অবস্থাকে সংশোধন করুন। আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ্ নেই।” (মুসনাদে আহমাদ) আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, “এক ব্যক্তি রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বললো, ইয়া রসূলাল্লাহ! আমি অত্যন্ত কষ্ট পাচ্ছি। কারণ গতরাতে একটি বিচ্ছু আমাকে দংশন করেছে। তিনি বললেন, তুমি সন্ধ্যায় যদি এ দু’য়াটি পাঠ করতে তাহলে তোমাকে কোনোরূপ কষ্ট পেতে হতোনা। দু'য়াটি হলো, 'আউযুবিকালিমাতিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খলাক্কা।”
“আমি আল্লাহ্র পূর্ণাঙ্গ কালাম দ্বারা তাঁর সৃষ্টির অনিষ্ট হতে আশ্রয় চাচ্ছি।” (সহীহ মুসলিম) ৪৮৯ ইবনে মাজাহ শরীফে উদ্ধৃত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন খাওলা বিনতে হাকীম রাদিয়াল্লাহু আনহা । তিনি বলেন যে নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের কেউ কোনো গন্তব্যে পৌঁছে যদি এ দু'য়া পড়ে : আউযু বিকালিমাতিত তাম্মাতি মিন শাররি মাখলাক্ব” (আমি আল্লাহর কল্যাণকর বাক্যবলির উসীলায় তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি), তাহলে সে ঐ স্থান থেকে বিদায় হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কোন কিছু তার ক্ষতি করতে পারবেনা।” (ইবনে মাজাহ) ৪৯০
সম্মানিত দর্শক-পাঠক ও শ্রোতামগুলি! এসব দু'য়াই হচ্ছে রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঝাড়- ফুঁকের নমুনা। এটিকে প্রচলিত ঝাড়-ফুঁকের নামে নামকরণ করা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়। বস্তুত এটি কতগুলো ছোট বাক্যের সমষ্টি, যা তিনি মুখে পাঠ করতেন। আর অসুস্থ ব্যক্তির আরোগ্যের জন্য সকল রোগের আরোগ্যদানকারী আল্লাহর নিকট দুয়া করতেন, এগুলোর মধ্যে কোনো শিরকী কথাবার্তা বা নিরর্থক কোনো কিছু নেই। পক্ষান্তরে জাদু মন্ত্র ইত্যাদির মধ্যে যেসব ধরনের খারাবি আছে, তাকে কখনো নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীকৃতি দেননি। আসল কথা হচ্ছে, আপনাকে মনে রাখেতেই হবে যে আল্লাহ্ই একমাত্র আরোগ্য দানকারী, আর ডাক্তার ও ওষুধ আরোগ্য লাভের উপায় বা means of healing. অন্তরে এ বিশ্বাস রেখে শুধুমাত্র অসীলা হিসেবে শরীআত-সম্মত ঝাড়-ফুঁক করা যেতে পারে। এতে কোন রকম শিরক হবে না।
ঝাড়-ফুঁক এটা শুধু এ যুগে নতুন নয়, বরং রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগেও ছিল । তিনি নিজেও ঝাড়-ফুঁক করেছেন। সাহাবাগণ থেকেও প্রমাণিত আছে। তবে কেউ যদি ঝাড়-ফুঁক সম্পর্কে এ বিশ্বাস বা ধারণা পোষণ করে যে, ঝাড়-ফুঁকের মধ্যে ক্ষমতা আছে, তা বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করতে পারে, তা না করলে বিরাট বিপদ হতে পারে। এ ধরনের বিশ্বাস বা ধারণা নিয়ে ঝাড়-ফুঁক করা শিরক হবে। ইমহীন লোকেরা সাধারণত এ ধরনের ভ্রান্ত বিশ্বাস নিয়ে ঝাড়-ফুঁক করে থাকে, এটাকে কঠোরভাবে নিষেধ করা চাই এবং সহীহ আকীদা-বিশ্বাসের শিক্ষাকে ব্যাপক ছড়িয়ে দেয়া অতীব জরুরি।
অনুরূপভাবে কোনো ঝাড়-ফুঁক দ্বারা কাঙ্ক্ষিত ফল লাভ না হলে এরূপ বলার বা ভাবার অবকাশ নেই যে কুরআন-হাদীস কি তাহলে সত্য নয়? যেহেতু ঝাড়-ফুঁকে কাজ হওয়াটা নিশ্চিত নয়, হতেও পারে নাও হতে পারে। যেমন, দু'য়া করা হলে রোগ-ব্যাধি আরোগ্য হওয়াটা নিশ্চিত নয়, আল্লাহর ইচ্ছা হলে আরোগ্য হয়, নতুবা হয় না। তদ্রূপ ঝাড়-ফুঁকও একটি দু'য়া। ঝাড়-ফুঁকে কাজ হলেও সেটা ঝাড়-ফুঁকের নিজস্ব ক্ষমতা নয়, বরং আল্লাহ পাকের ইচ্ছাতেই সব কিছু হয় ।
সামান্য কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় সব ঝাড়-ফুঁকই অভিজ্ঞতালব্ধ আমল। কুরআন-সুন্নাহয় যার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়নি যে অমুক ঝাড়-ফুঁক দ্বারা অমুক কাজ হবে। সুতরাং ঝাড়-ফুঁকে উপশম হলেও তার ক্ষমতায় বিশ্বাস রাখা যাবে না যেমন, তেমনিভাবে ঝাড়-ফুঁকে কাজ না হলেও খারাপ অসমীচীন মন্তব্য করা যাবে না। তবে যারা শহরে ও গ্রামে বসে একমাত্র কোনো প্রকার বাছ-বিচার ছাড়াই ঝাড়- ফুঁকের কারবার চালায় এবং একে নিজেদের অর্থ উপার্জনের একমাত্র মাধ্যমে পরিণত করে, তাদের উপরোক্ত ঘটনাকে নযীর হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারেনা। নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবায়ে কিরাম, তাবিঈ, তাবে-তাবিঈন ও প্রথম যুগের ইমামগণের মধ্যে এর নযীর পাওয়া যায়না।

FOR MORE CLICK HERE
NTRCA COLLEGE LEVEL HISTORY/ইতিহাস গাইড/ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ইতিহাস
১০ তম বিসিএস -৪৪তম বিসিএস এর প্রশ্ন ও সমাধান 10th BCS to 44th Bcs MCQ Question Solution
বিসিএস ব্যাংক প্রাইমারি পরীক্ষার-এর প্রশ্ন ও সমাধান
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO বই লেখক : মোঃ মিজানুর রহমান
মাতৃস্বাস্থ্য/Motherhood
ওষুধ নির্দেশিকা
সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৫৬৩ টি হাদিস)
সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৪৫৩ টি হাদিস)
সুনানে তিরমিজি শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৩৯৫৬ টি হাদিস)
সুনানে নাসায়ী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫৭৫৮ টি হাদিস)
সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৪৩৪১ টি হাদিস)
সুনানে আবু দাউদ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫২৭৪ টি হাদিস)

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]