যমযমের পানি ব্যবহারে রোগী আরোগ্য লাভ করে, এ বিষয়ে হাদীস শরীফে কী কী বর্ণনা এসেছে?

যমযমের পানি সারা বিশ্বের মানুষের কল্যাণের জন্য সৃষ্ট মহান আল্লাহর অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিয়ামত । এ নিয়ামত কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে। এখানে আমি যমযমের পানি সম্পর্কিত নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কয়েকটি হাদীস আলোচনায় আনবো যা থেকে আমরা জানতে পারবো, যমযমের পানির রোগ নিরাময়সহ অন্যান্য উপকারিতার কথা।
সহীহ মুসলিম শরীফে উদ্ধৃত হাদীসটির বর্ণনাকারী হচ্ছেন হযরত উবাদা ইবনে সামিত রাদিয়াল্লাহু আনহু। তিনি বলেন, আবূ যার রাদিয়াল্লাহু আনহু কা'বা শরীফ ও তার আশপাশের এলাকায় যমযমের পানি ব্যতীত অন্য কোনো পানীয় গ্রহণ বা খাদ্যদ্রব্য না খেয়ে ত্রিশদিন অবস্থান করেন। নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কতোদিন সেখানে অবস্থান করেছিলে?” হযরত আবূ যার রাদিয়াল্লাহু আনহু উত্তর দেন, “ত্রিশ দিন ও রাত।” নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন তাকে পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, “এই দীর্ঘ সময় কে তোমাকে খাইয়েছে?” তিনি উত্তর দেন, “যমযমের পানি ছাড়া আমার নিকট আর কোনো পানীয় বা খাদ্যদ্রব্য ছিলোনা এবং আমি অনেক মোটা হয়ে গেছি এবং পেটে চামড়ায় ভাঁজ পড়েছে। আমি কোনো ক্লান্তিবোধ করিনি, ক্ষুধায় দুর্বল হইনি এবং জীর্ণশীর্ণও হইনি।” তখন নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “নিশ্চয়ই এটি বরকতময় পুষ্টি এবং এটি এমন একটি খাদ্যদ্রব্য, যা পুষ্টিকর।” (সহীহ মুসলিম) ৫৩৭
হাজী সাহেবগণ হেরেম শরীফে স্থাপিত যমযমের পানির সরবরাহ লাইন থেকে পানি পান করছেন। (Pilgrims drinking Zamzam water in the Baitullahil Haram)
হাদীস গ্রন্থে আরো একটি হাদীস লিপিবদ্ধ আছে, যা হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যমযমের পানিতে রোগ নিরাময় রয়েছে।” (মু'জামুল কাবীর) ৫৩৮
That is a cure from ailment, a cure from sickness. বস্তুত এই হাদীস দুটোর উপর ভিত্তি করে যমযমের পানি মুসলিম জাহানে এতো প্রিয় এবং এর ব্যবহার এতো বেশি ব্যাপক । প্রতিবছর হাজী সাহেবগণ এজন্যই এ পানি কষ্ট করে দেশে নিয়ে আসেন। অপরদিকে আত-তাবারানী আল-মু'জামুল আওসাত গ্রন্থে যমযমের পানির গুণাগুণ বা বৈশিষ্ট্য প্রসঙ্গে আবূ যার গিফারী রাদিয়াল্লাহু আনহুর উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করেন যে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যমযমের পানি সুস্বাদু খাবার এবং এতে রোগ নিরাময় বা রোগ নিরাময়ের উপাদান রয়েছে।” (মুসনাদে আল বাযযার ও আল-মু'জামুল আওসাত) ৫৩৯
হাজী সাহেবগণ প্লাস্টিকের পাত্রে জমজমের পানি নিয়ে দেশে আসেন।
(Pilgrims carry Zamzam water home in plastic containers)
হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহ আনহু বর্ণনা করেন যে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যমযমের পানি যে উপকার লাভের আশায় পান করা হবে, তা অর্জিত হবে।” (ইবনে মাজাহ) ৫৪০
অর্থাৎ যে উদ্দ্যেশ্যেই পান করা হোক না কেন, যমযমের পানি খুব কার্যকর। That is, Zamzam water is effective for whatever was intended behind drinking it.
সুপ্রিয় দর্শক-পাঠক! মনে করুন, আপনার মূত্রথলিতে পাথর রয়েছে। নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই হাদীসের উপর ভিত্তি করে যদি আপনি নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে যমযমের পানি পান করেন, তাহলে ইনশাআল্লাহ সে পাথর আস্তে আস্তে মূত্রের সাথে বের হয়ে যেতে পারে। আপনি একাধারে ৩ মাস এ পানি পান করুন। এ প্রসঙ্গে আমি যমযমের পানির সাহায্যে রোগ নিরাময়ের দুটো ঘটনা উল্লেখ করবো।
যমযমের পানির সাহায্যে মূত্রথলির পাথর অপসারণ
ঘটনা বর্ণনাকারী ও রোগী ডাঃ ফারুক অন্তরের ureter এ পাথর হলে তার চিকিৎসক তাকে সার্জারী করার পরামর্শ দেন। কিন্তু তিনি তার জন্য নির্ধারিত সার্জিক্যাল অপারেশনের সময় পিছিয়ে দিয়ে হেরেম শরীফে চলে যান। সেখানে ওমরাহ হজ্জ সম্পন্ন করেন। তারপর প্রচুর পরিমাণে যমযমের পানি পান করেন। তারপর হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করেন এবং দুই রাকায়াত নামায আদায় করেন। এর পরপরই তার ureter এ তীব্র ব্যথা অনুভব করেন এবং wash room এ ছুটে যান। সেখানে গিয়েই তিনি লক্ষ্য করেন যে বেশ বড় একটি পাথর প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে এসেছে। কোন প্রকার সার্জারী ছাড়াই তার পাথর অপসারণ হওয়ায় তার চিকিৎসকরা অতিশয় বিস্ময় প্রকাশ করেন ।
যমযমের পানির সাহায্যে চোখের ulcer নিরাময়
যমযমের পানির সাহায্যে রোগ নিরাময়ের আরেকটি ঘটনা উদ্ধৃত করছি। ইউশ্বরিয়া আব্দুর রহমান হাররাজ নামে জনৈকা ভদ্র মহিলা তার বামচোখে ulcerative keratitis রোগে ভুগছিলেন। দীর্ঘদিন corneal ulcer রোগে আক্রান্ত থাকায় তার চোখে migraine শুরু হয়, যা তাকে অনবরত কষ্ট দিতে থাকে। কোনো ব্যথানাশক ওষুধে তার নিরাময় হচ্ছিলনা। তার চোখের ওপর একটি পাতলা আবরণ পড়ায় তিনি তাঁর চোখের দৃষ্টিশক্তি প্রায় হারিয়ে ফেলেছিলেন। তার চিকিৎসক চোখের ব্যথা নিরাময়ের জন্য একটি ইনজেকশন দেয়ার পরামর্শ দেন। তবে আশংকা প্রকাশ করেন যে এতে আক্রান্ত চোখের দৃষ্টিশক্তি একেবারে নষ্ট হয়ে যেতে পারে ।
এ সংবাদে ভদ্রমহিলা ভেঙ্গে পড়েন। তিনি হঠাৎ সিদ্ধান্ত নেন যে ওমরাহ হজ্জে গিয়ে পবিত্র গৃহে আল্লাহর নিকট নিরাময়ের জন্য দু'য়া করবেন। পরে তিনি মক্কায় গিয়ে কাবাঘরে তওয়াফ শেষে কালো পাথর চুম্বন করেন। যেহেতু ঐ সময়ে অল্প সংখ্যক লোক তওয়াফ করছিলেন, তাই তারপক্ষে পাথরটি চুম্বন করা সহজ হয়েছিলো এবং তিনি তার চোখটি কালো পাথরের সাথে ঘষে নেন। পরে তিনি যমযমের পানি একটি কাপে নিয়ে উক্ত চোখ ভালভাবে ধুয়ে নেন। এরপর সাফা-মারওয়ায় সা'ঈ করার পর হোটেলে ফিরে যান। তারপরই তিনি লক্ষ্য করেন যে তার চোখের আর কোন ব্যথা নেই এবং তার দৃষ্টিশক্তিও স্বাভাবিক হয়েছে। কীভাবে সার্জারী ছাড়া তার চোখের ulcer দুর হলো? কীভাবে তিনি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেলেন? উত্তর সহজ। ভদ্রমহিলা অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে আল্লাহকে ডেকে ছিলেন । যার ওপর এ দুনিয়ার কোনো ওষুধ কাজ করেনি, তার চিকিৎসা করলেন এ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ চিকিৎসক আল্লাহ রব্বুল আলামীন। তাই তিনি সুস্থ। আলহামদুলিল্লাহ । আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা'য়ালা বলেন,
وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِى فَإِنِي قَرِيبٌ أُجِيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ فَلْيَسْتَجِيْبُوا لِي وَلْيُؤْمِنُوا بِي لَعَلَّهُمْ يَرْشُدُونَ
“যথন আমার বান্দা তোমার কাছে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে, তখন তাদেরকে বলে দাও, আমি তাদের কাছেই থাকি । যে আমাকে ডাকে আমি তার ডাক শুনি এবং জবাব দেই। কাজেই তাদের আমার আহবানে সাড়া
দেয়া এবং আমার ওপর ঈমান আনা উচিত, হয়তো তারা সত্য-সরল পথের সন্ধান পাবে।” (বাকারাহ ২:১৮৬) উপরোক্ত ঘটনা দুটোই “আল ইজাহ্ আল ইলমি ফিল্ ইসলাম ওয়াস্ সুন্নাহ আন নব্বীয়াহ” গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃত করা হয়েছে।
মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে আবূ বাক্ রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, “আমি ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহ আনহুর নিকট বসা ছিলাম । এক ব্যক্তি তাঁর নিকট এলে তিনি জিজ্ঞেস করেন, তুমি কোথা থেকে এসেছো? সে বললো, যমযমের নিকট থেকে। তিনি জিজ্ঞেস করেন, তুমি কি তা থেকে প্রয়োজনমতো পানি পান করেছো? সে বললো, তা কিরূপে? তিনি বলেন, তুমি তা থেকে পান করার সময় কিবলামুখী হবে, আল্লাহ্র নাম স্মরণ করবে, তিনবার নিঃশ্বাস নিবে এবং তৃপ্তি সহকারে পান করবে। পানি পানশেষে তুমি মহামহিম আল্লাহ্র প্রশংসা করবে। কারণ রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাদের ও মুনাফিকদের মধ্যে নিদর্শন এই যে, তারা তৃপ্তি সহকারে যমযমের পানি পান করেনা।” (ইবনে মাজাহ) 083
যমযমের পানি পান করার মাধ্যমে ক্যান্সার থেকে নিরাময় লাভ
আমি এখানে প্রচুর পরিমাণে যমযমের পানি পান করার মাধ্যমে ক্যান্সার থেকে নিরাময় লাভের একটি ঘটনা বর্ণনা করবো :
বিস্ময়কর এই ঘটনাটি ঘটে লায়লা আল হেলু নামে জনৈকা মরোক্কান ভদ্রমহিলার জীবনে। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় তার পুরো chest এ তা ছড়িয়ে পড়ে। তার চিকিৎসক তাকে বললেন যে তিন মাসের বেশি তিনি আর বাঁচবেননা, কারণ ক্যান্সার তার শরীরে metastasized. তার স্বামী তাকে পবিত্র মক্কা শরীফে গিয়ে ওমরাহ করার পরামর্শ দিলেন। তিনি হেরেম শরীফে মহিলাদের জন্য নির্ধারিত নামাযের স্থানে এক কোণায় নিজেকে আলাদা করে নিয়ে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে যমযমের পানি পান করতে থাকেন। আর খাদ্য হিসাবে শুধুমাত্র এক টুকরা রুটি ও একটি ডিম প্রতিদিন খেতেন। নামাযের সময় ছাড়া বাকী সব সময় তিনি আল্লাহর নিকট প্রার্থনায় কান্নাকাটি করতেন এবং কুরআন পড়তেন । চারদিন তিনি বলতে পারেন নি যে কখন দিন বা রাত হয়েছে। এ সময়ের মাঝে তিনি বেশ কয়েকবার কুরআন খতম দিয়েছেন। তিনি তার সিজদার সময়কে দীর্ঘায়িত করতেন এবং জীবনে যে সমস্ত ইবাদত করতে পারেননি তার জন্য কাঁদতে থাকেন। আর তিনি সর্বদা যিকির ও দু'য়ায় লিপ্ত থাকতেন। এর কয়েকদিন পর তিনি লক্ষ্য করলেন যে তার সারা শরীরে যে লালচে স্পট ছিলো তা দূর হয়ে গেছে এবং তিনি অন্তরে অনুভব করলেন যে তার কোন কিছু ঘটেছে। তিনি তখন প্যারিসে ফিরে গিয়ে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে মনস্থ করলেন। তার চিকিৎসকরা কয়েকবার পরীক্ষা করার পর বললেন তার বুকে ক্যান্সারের কোনো লেশ নেই । আমি তখন তাদেরকে সেই বিস্ময়কর অবস্থার মাঝে রেখে আমার নিজ দেশে চলে যাই, আমার এই বিস্ময়কর নিরাময়ের ঘটনা বর্ণনা করতে।
[সূত্র ঃ সৌদি আরবের দারুসসালাম কর্তৃক ২০১০ সালে প্রকাশিত, ইউসুফ আলহাজ্ব আহমাদ কর্তৃক সংকলিত এবং হুদা খাত্তাব সম্পাদিত ইসলামিক মেডিসিন, পৃষ্ঠা ৪৪-৪৫]
একটি বালক যমযমের পানি পান করছে (A cute boy drinking Zamzam water)। হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “ভূপৃষ্ঠের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট পানি হচ্ছে যমযমের পানি। এতে ক্ষুধা নিবারণের জন্য খাদ্যের উপকরণ আর রোগ থেকে আরোগ্য লাভের উপাদান রয়েছে।” (আল-মু'জামুল কাবীর ও আল- মু'জামুল আওসাত) ৫৪২
That is, the best water on the surface of the earth is the water of Zamzam. It contains food to satisfy hunger and a healing from sickness." (Al-Mu`zamul Kabir and Al-Mu'zamul Awzat) 542
নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিশিষ্ট সাহাবী ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আমরা যমযমের পানিকে পরিতৃপ্তিকর বলে থাকি এবং এটি আমাদের পরিবারের যত্নে অনেক উপকারী (অর্থাৎ এটি অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য ছাড়াই আমাদের বেঁচে থাকতে সাহায্য করে এবং তা শিশুদের জন্যে পুষ্টি বিধান করে।)” (আল-মু'জামুল কাবীর ও মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক) ৫৪৩
এই হাদীস থেকে আমরা জানতে পারি যে যমযমের পানি তৃপ্তিদায়ক ও পুষ্টিকর। আমি এখানে আরো একটি রিওয়ায়াত পেশ করছি, যা বর্ণনা করেছেন হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা। তিনি বলেন, “নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যমযমের পানি কাঁচের বোতলে বহন করতেন,
অসুস্থ ব্যক্তির গায়ে ঢেলে দিতেন এবং (রোগ থেকে আরোগ্য লাভের জন্যে) তাকে পান করাতেন।” (সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী ও শু'আবুল ঈমান) ৫৪৪
এই রিওয়ায়াতটি থেকেও আমরা নিশ্চিতভাবে জানতে পারি যে যমযমের পানি রোগ নিরাময়ে উপকারী ও কার্যকর। যাদের skin diseases রয়েছে, তারা এ পানিতে নিয়মিত গোসল করলে চর্মরোগ ভাল হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ । অপরদিকে আল্লামা ইবনুল কাইয়িম রহমাতুল্লাহি আলাইহি একটি রিওয়ায়াত পেশ করেন যে আবদুল্লাহ ইবনে আল-মুবারক রহমাতুল্লাহি আলাইহি হজ্জব্রত পালন করার সময় যমযমের কুয়ার নিকটে গিয়ে বলেন, যেহেতু হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীস থেকে আমরা জানতে পারি যে, নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যমযমের পানি যে উদ্দেশ্যেই পান করা হোক না কেনো তা কার্যকর ও উপকারী", তাই আমি এ পানি কিয়ামত দিবসে তৃষ্ণা নিবারণে পান করি।” (যাদুল মা'আদ, শু'আবুল ঈমান ও ইবনুল কাইয়িম) ৫৪৫ কিয়ামতের দিন মানুষ তৃষ্ণায় পাগলপ্রায় থাকবে। পানির জন্যে বিভিন্ন দিকে ছোটাছুটি করবে। তাই এ পানি সেদিনের জন্যও উপকারে আসবে। যাহোক, এতোক্ষণ যেসব হাদীস আলোচনা করা হলো, এসবের উপর ভিত্তি করে অনেক ধর্মীয় পণ্ডিত ব্যক্তি যমযমের পানির অনেক উপকার ও ব্যবহার বর্ণনা করেছেন, যা এখানে আলোচনার অবকাশ নেই। কারণ রোগ নিরাময়ে যমযমের পানির ব্যবহার নিয়ে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বক্তব্যই আমাদের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ।

FOR MORE CLICK HERE
NTRCA COLLEGE LEVEL HISTORY/ইতিহাস গাইড/ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ইতিহাস
১০ তম বিসিএস -৪৪তম বিসিএস এর প্রশ্ন ও সমাধান 10th BCS to 44th Bcs MCQ Question Solution
বিসিএস ব্যাংক প্রাইমারি পরীক্ষার-এর প্রশ্ন ও সমাধান
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO বই লেখক : মোঃ মিজানুর রহমান
মাতৃস্বাস্থ্য/Motherhood
ওষুধ নির্দেশিকা
সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৫৬৩ টি হাদিস)
সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৪৫৩ টি হাদিস)
সুনানে তিরমিজি শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৩৯৫৬ টি হাদিস)
সুনানে নাসায়ী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫৭৫৮ টি হাদিস)
সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৪৩৪১ টি হাদিস)
সুনানে আবু দাউদ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫২৭৪ টি হাদিস)

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]