শিঙ্গা লাগানো বিষয়টি কী? এই medical conceptটি বুঝিয়ে বলুন। শিঙ্গা লাগানোর ফলে কী কী রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়?

শিঙ্গা লাগানোর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে শরীরের অস্বাভাবিক ধাতু রসসমূহ অর্থাৎ abnormal body fluid দূর করা । শিঙ্গা লাগানোকে ইংরেজিতে cupping বলা হয়। অর্থাৎ কাপের মাধ্যমে শিঙ্গা লাগানো হয়। এই শিঙ্গা লাগানোর মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন স্থানে চামড়ার নিচ থেকে দূষিত রক্ত টেনে বের করে ফেলে দেয়া হয় । বাংলায় এ পদ্ধতিকে রক্তমোক্ষণও বলা হয়।

Cupping is a simple method of pulling 'stuck', stagnant and congealed blood and fluids out from the infected area. Plastic, glass or bamboo cups are placed on the skin and then applied using suction. Cups are kept for three to fifteen minutes according to the judgement of the acupuncturist / cupper. This Chinese cupping technique releases tight, painful muscles and increases blood circulation. After the first cups are removed, small incisions are made on the skin to release dead blood cells drawn from the body.

এ শিঙ্গা লাগানোর মাধ্যমে চিকিৎসা পদ্ধতি চীন দেশে প্রচলিত আছে এবং এরই উন্নত সংস্করণ হচ্ছে অ্যাকুপাংচার (acupuncture) এখনও আমেরিকার অনেক হাসপাতালে এ পদ্ধতির চিকিৎসা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থা (alternative medicine) হিসেবে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানে এ পদ্ধতিতে চিকিৎসার প্রচলন আছে। এ শিঙ্গা লাগানোর মাধ্যমে চিকিৎসা পদ্ধতি আনুমানিক ৩৫০০ বছর আগে থেকে চলে আসছে। বর্তমানে এটি এশিয়া ও মুসলিম দেশসমূহ যথা চীন, পাকিস্তান, ভারত, ইরান, মালয়েশিয়া ও আরব দেশসমূহে ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে। ইরাকের বেশ কিছু ক্লিনিকে wet cupping এর মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া হয়। থাইল্যাণ্ডে এ পদ্ধতির চিকিৎসা প্রায় ২৫০০ বছরের পুরনো।
এবার আপনার প্রশ্নের দ্বিতীয় অংশের উত্তর দিচ্ছি যে কোন্ কোন্ রোগে শিঙ্গা লাগানো যায় এবং শিঙ্গা লাগালে কী কী উপকার হয়?

Modern science tells us that cupping can be used for respiratory diseases, as well as digestive and gynaecological disorder, headaches and dizziness, and lymphatic blockages. The common cold can be tackled with cupping, as well as insomnia and soft tissue injuries. The bruises resulting from cupping are not

painful and only last a couple of days.

আল্লামা ইবনুল কাইয়িম রহমাতুল্লাহ আলাইহি ও আস্-সুয়ূতী রহমাতুল্লাহ আলাইহি বিভিন্ন রিওয়ায়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন যে, শিঙ্গা লাগানোর মাধ্যমে চিকিৎসা ব্যবস্থায় শরীরের অত্যধিক রক্তচাপ কমায়, দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং পাগলামি দূর করে। এছাড়া এ পদ্ধতির চিকিৎসায় leprosy ও epilepsy রোগ দূর হয়। পাকিস্তানে ও বাংলাদেশের অনেক প্রাচীন ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেন যে, চিবুকের নিচে শিঙ্গা লাগালে গলা ও দাঁতের ব্যথা উপশম হয়। মাথায় আরাম বোধ হয়। পায়ের গোড়ালিতে শিঙ্গা লাগালে রান ও পায়ের গোছার ব্যথা নিরাময় হয় এবং খোস-পাঁচড়া জাতীয় চর্মরোগ ভালো হয়। সিনার নিচে শিঙ্গা লাগালে ফোঁড়া, পাঁচড়া, খুজলি, দুম্বল, চর্মরোগ ও অর্শ্বরোগ দূর হয় । নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাগল, কুষ্ঠরোগী ও মৃগী রোগের জন্য শিঙ্গা লাগানোকে চিকিৎসা হিসেবে নির্ধারণ করেছেন।
উপরোক্ত হাদীসসমূহের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারি যে তদানীন্তন আরব সমাজে যখন উচ্চ রক্তচাপের কোনো সুনির্দিষ্ট ওষুধ ছিলোনা, তখন নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই ব্যবস্থাপত্র দিতেন, যা আধুনিক বিজ্ঞান সমর্থন করে ।
টনসিলাইটিস ও ফুসফুস আবরক ঝিল্লির প্রদাহ (Tonsilytis and pleurisy) প্রশ্ন-২০৭ : টনসিলাইটিসের চিকিৎসার জন্য রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোনো হাদীস আছে কি? উত্তর : হযরত উম্মে কায়েস বিনতে মিহসান রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “তোমরা এই উদে হিন্দী (কুসত) ব্যবহার করবে। কেননা, এতে সাত প্রকার রোগের নিরাময় আছে। (শিশুদের) আলজিব ফুলে ব্যথা হলে তা ঘষে পানির সাথে ফোঁটা ফোঁটা করে তাদের নাকে দিবে। ফুসফুস আবরক ঝিল্লির প্রদাহ হলে ঐরূপে (তৈরি করে) পান করাবে।” (সহীহ আল বুখারী) ৬১৬
উদে হিন্দী বা ভারতীয় কাঠ হলো গিরি মল্লিকা ফুলগাছের কাঠ। ইউনানি শাস্ত্রমতে এর নাম কুসতে হিন্দী বা কুসতে শিরীন। আরবীতে উদ মানে কাঠ। উম্মে কায়েস রাদিয়াল্লাহু আনহা আরো একটি হাদীস বর্ণনা করেন যার ভাষা বেশ আলাদা। তিনি বলেন, "আমি আমার ছেলেকে নিয়ে রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হাজির হলাম। ছেলেটির আলজিহ্বা ফোলার অসুখ ছিলো। আমি তার জিহ্বায় সজোরে চাপ দিয়ে তালু দাবিয়ে দিয়েছিলাম। তিনি বললেন, এভাবে নিজ সন্তানদের গলা চেপে দিয়ে কেনো কষ্ট দিচ্ছো? তোমরা এই কুসতে হিন্দী ব্যবহার করো। কেননা তাতে সাতটি রোগের নিরাময় আছে। ফুসফুস আবরক ঝিল্লির প্রদাহ (পাঁজরের ব্যথা)ও এর অন্তর্ভুক্ত। আলজিহ্বা ফোলার ব্যথা হলে তা (কুসতে হিন্দী) গুড়া করে ঘসে পানির সাথে মিশিয়ে ফোঁটা ফোঁটা করে নাকের ভিতর দিবে। আর ফুসফুস আবরক ঝিল্লির প্রদাহ (পাঁজরের ব্যথা) হলে মুখ দিয়ে তা খাওয়াতে হবে।" (সহীহ আল বুখারী ও মুসলিম) ৬১৭ এ হাদীসটি অন্যত্র একটু আলাদা ভাষায় বর্ণিত করেছেন হযরত আনাস ইবনে মালিক রাদিয়াল্লাহু
আনহু। তিনি বলেন যে আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তোমরা যেসব পদ্ধতিতে চিকিৎসা করাচ্ছো, রক্ষমোক্ষণ করানো এবং কুসতে বাী ব্যবহার করা তার মধ্যে অতি উত্তম ব্যবস্থা। তিনি আরো বলেছেন, (গলগ্রহ হলে) তোমাদের শিশুদের জিহ্বার তালু দাবিয়ে তাদের কষ্ট দিওনা। (বরং) তোমরা কুস্ত ব্যবহার করো।” (সহীহ আল বুখারী) ৬১৮

কুসতে বাী এক জাতীয় সাদা বর্ণের কাঠবিশেষ । এটি রোগে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ইবনে মাজাহ শরীফে বর্ণিত হাদীসের শব্দাবলী কিছুটা ভিন্ন । ৬১৯

মুসনাদে আহমাদ-এ অনুরূপ একটি হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে যা হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির ভাষা উপরোক্ত হাদীসের ভাষা থেকে আলাদা। তিনি বলেছেন, “একদা নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার নিকট এলে একটি বালক দেখতে পান, যার নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে। তিনি বলেন, 'ওর কী হয়েছে?' আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, 'বালকটি টনসিলাইটিসে ভুগছে।' তখন নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 'তোমাদের জন্য আফসোস! তোমাদের ছেলেমেয়েদের এভাবে তোমরা মেরে ফেলোনা । অর্থাৎ শিশুদের নালিতে এভাবে চাপ দিওনা, যাতে শিশুরা এ অবস্থার শিকার হয়। যে মায়ের শিশু এ রোগে ভুগছে সে যেনো ইণ্ডিয়ান কুসতা গুঁড়া করে পানির সাথে মিশিয়ে বা পানিতে ভিজিয়ে রস নিংড়িয়ে তার শিশুর নাকে প্রবেশ করায়।' হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা এ ব্যবস্থাপত্র মেনে চলার জন্য মহিলাটিকে উপদেশ দেন। ফলে ওষুধটি ব্যবহারে বালকটির টনসিলাইটিস ভালো হয়ে যায়।” (মুসনাদে আহমাদ ও মুসতাদরাক)
অপরদিকে মুসতাদরাকে হাকীম হাদীস গ্রন্থে হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত দীর্ঘ হাদীসটি এভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে, “এক মহিলা রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমার এই ছেলেটি গলনালির আবদ্ধতাজনিত রোগে (কণ্ঠনালীর ব্যথা) ভুগছে। তখন নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “ তোমরা তোমাদের সন্তানদের গলনালি পুরিয়ে দিওনা। তোমাদের জন্য জরুরি হলো 'কুতে হিন্দি ও ‘ওয়ারস্’। অতঃপর ছেলেটির নাকে ওষুধটি প্রবেশ করানো হলো।” (মুসতাদরাকে হাকিম) ৬২১

ইবনে মাজাহ শরীফে উদ্ধৃত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, উম্মে কায়স বিনতে মিহসান। হাদীসের ভাষ্য বেশ আলাদা। তিনি বলেন, “আমি আমার এক পুত্রসহ নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট প্রবেশ করলাম । তার আলজিহবায় ব্যথার দরুন তা আমি জোরে চাপ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “কেন তোমরা তোমাদের বাচ্চাদের আলজিহবার ব্যথায় এভাবে চাপ দিয়ে কষ্ট দাও? এই চন্দন কাঠ অবশ্য তোমাদের ব্যবহার করা উচিত। কেননা তাতে সাত ধরনের নিরাময় রয়েছে। আলজিহবার ব্যথায় নাকের ছিদ্রপথে তা প্রবেশ করাতে হবে এবং ফুসফুস আবরক ঝিল্লির প্রদাহে তা মুখের ভিতর ঢেলে দিতে হবে।” (ইবনে মাজাহ) ৬২২

‘ওয়ারস্’ হচ্ছে এক প্রকার রঙ্গের গাছ। এর ইংরেজী নাম Pseudo-saffron আর বাংলা নাম হচ্ছে সালপান বা বান জাফরান। ইউনানী, পারস্যীয়, হিন্দি ও উর্দু নাম হচ্ছে ওয়াস্ বা ওয়ারুস ।

ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু ও আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, “রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অসুখের সময় আমরা তাঁর মুখে ওষুধ ঢেলে দেই। কিন্তু তিনি আমাদেরকে ইশারায় তাঁর মুখে ওষুধ দিতে নিষেধ করেন। আমরা মনে করলাম, রোগী ওষুধ খেতে অনীহা প্রকাশ করেই থাকে (অর্থাৎ ওষুধের প্রতি বিতৃষ্ণার কারণে তিনি এরূপ বলেছেন)। অতঃপর চেতনা লাভ করে তিনি বললেন, তোমাদের সকলেরই মুখে ওষুধ ঢেলে দেয়া হবে, একমাত্র আব্বাস ব্যতীত। কারণ তিনি তোমাদের সাথে (আমাকে ওষুধ সেবনে) জড়িত ছিলেননা।” (সহীহ আল বুখারী ও মুসলিম) ৬২৩

FOR MORE CLICK HERE
NTRCA COLLEGE LEVEL HISTORY/ইতিহাস গাইড/ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ইতিহাস
১০ তম বিসিএস -৪৪তম বিসিএস এর প্রশ্ন ও সমাধান 10th BCS to 44th Bcs MCQ Question Solution
বিসিএস ব্যাংক প্রাইমারি পরীক্ষার-এর প্রশ্ন ও সমাধান
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO বই লেখক : মোঃ মিজানুর রহমান
মাতৃস্বাস্থ্য/Motherhood
ওষুধ নির্দেশিকা
সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৫৬৩ টি হাদিস)
সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৪৫৩ টি হাদিস)
সুনানে তিরমিজি শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৩৯৫৬ টি হাদিস)
সুনানে নাসায়ী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫৭৫৮ টি হাদিস)
সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৪৩৪১ টি হাদিস)
সুনানে আবু দাউদ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫২৭৪ টি হাদিস)

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]