ধৈর্য ধারণ কতো প্রকার ও কী কী? অনুগ্রহপূর্বক বুঝিয়ে বলুন।

উত্তর : হাফিয ইবনুল কাইয়িম রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, দেহের সাথে মাথার তুলনা যেমন

তেমনি অন্যান্য গুণের মধ্যে ধৈর্যের তুলনাও তেমন। তিনি বলেছেন, তিন প্রকারের ধৈর্য আছে। এক. আল্লাহর আদেশ-নিষেধ পালনের ক্ষেত্রে ধৈর্য ধারণ। দুই. আল্লাহ্র নিষিদ্ধ কাজগুলো থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে ধৈর্য ধারণ। তিন. আল্লাহর ন্যায়বিচার ও ভাগ্যের লিখন তথা ভালোমন্দের উপর বিশ্বাস সহকারে ধৈর্য ধারণ করা। এই তিনটি ক্ষেত্রে ধৈর্য ধারণ করা হলে ধৈর্যের উৎকর্ষ লাভ হয় এবং মানুষের ঈমান পূর্ণতা লাভ করবে। ফলে সে এ পৃথিবী ও পরকালের আনন্দ ও সুখ অর্জনে সক্ষম হবে। প্রশ্ন-২৯৭ : নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুশির সংবাদে আনন্দিত হতেন বা আনন্দ প্রকাশ করতেন। এ বিষয়ে কুরআন মজীদে আল্লাহ কী ইরশাদ করেছেন?

উত্তর : খুশি, উল্লাস আর আনন্দ প্রকাশের বৈশিষ্ট্যাবলি মানুষের অভ্যন্তরস্থ বা ভেতরের কর্মশক্তি বা ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। It strengthens the inward egergy. তাই যে কোনো সুসংবাদে আনন্দ বা উৎফুল্লতা প্রকাশ করা দোষের কিছু নয়। নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও সাহাবাদের উত্তম কাজে আনন্দিত হতেন। ঐ সময় তাঁর চেহারার দিকে তাকালে যে কেউ সে আনন্দের বহিঃপ্রকাশ অনুধাবন করতে পারতো। তবে আনন্দ-উল্লাসের একটা সীমারেখা আছে। সেই সীমালঙ্ঘন করা উচিত নয়। অত্যধিক আনন্দ প্রকাশ বা মাত্রাতিরিক্ত হাসি-তামাশা আমাদের সকলের জন্যেই ক্ষতিকর। ভালো সংবাদে অত্যধিক বা মাত্রাতিরিক্ত আনন্দ প্রকাশ ও উল্লসিত হওয়া নিষিদ্ধ না হলেও কাম্য নয়। ইতিহাস আমাদের বলে যে অত্যধিক আনন্দ প্রকাশের কারণে বেশ কয়েকজন মানুষকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা'য়ালা বলেন,

فَرِحِينَ بِمَا اتُهُمُ اللهُ مِن فَضْلِه

“আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে যা দিয়েছেন তাতে তারা আনন্দিত।” (আলে ইমরান ৩:১৭০)

قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْرٌ مِنَا يَجْمَعُوْنَ ﴾

“হে নবী! বলো, এ জিনিসটি যে তিনি পাঠিয়েছেন, এটি আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাঁর মেহেরবানী। এ জন্য তো লোকদের আনন্দিত হওয়া উচিত।” (ইউনুস ১০:৫৮ )

সূরা কাসাসে আল্লাহ তা'য়ালা বলেন,

إِذْ قَالَ لَهُ قَوْمُهُ لَا تَفْرَحْ إِنَّ اللهَ لَا يُحِبُّ الْفَرِحِيْنَ

“তার সম্প্রদায় তাকে বলেছিল, দম্ভ বা অহংকার করোনা। নিশ্চয়ই আল্লাহ দাম্ভিকদের পছন্দ করেননা।” (কাসাস ২৮:৭৬)

সউদি আরবের Dr. M. T. Al-Hilali and Dr. M. M. Khan রচিত The Nobel Qur'an, 1996 এ আয়াতের অনুবাদ এভাবে করা হয়েছে, “অতিশয় আনন্দ প্রকাশ করোনা বা উল্লসিত হয়োনা। নিশ্চয়ই আল্লাহ অতিশয় আনন্দ উল্লাসীদেরকে পছন্দ করেননা।” (কাসাস ২৮:৭৬)

যা হোক, এ আয়াতে অতিরিক্ত ও সীমাহীন আনন্দ প্রকাশ করা, বিজয়োল্লাস করা, মহাউল্লসিত হতে আল্লাহ

নিষেধ করেছেন। আর যারা এসব করে, তাদের আল্লাহ ভালোবাসেননা। তবে বিজয়ে আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা উচিত। দেখা যায়, অনেক খেলোয়াড় মাঠে এসব বিজয় মুহূর্তে আল্লাহকে সিজদাহ করে থাকেন। তবে রাস্তায় পথচারী মানুষের গায়ে রং বা পানি ছিটিয়ে ও রাস্তায় রং ঢেলে আনন্দ প্রকাশ করা কারো কাম্য নয় । এতে সাধারণ মানুষ বিরক্ত হয়। অনেকে রেগে যায় এবং খারাপ মন্তব্য করে ।

FOR MORE CLICK HERE
NTRCA COLLEGE LEVEL HISTORY/ইতিহাস গাইড/ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ইতিহাস
১০ তম বিসিএস -৪৪তম বিসিএস এর প্রশ্ন ও সমাধান 10th BCS to 44th Bcs MCQ Question Solution
বিসিএস ব্যাংক প্রাইমারি পরীক্ষার-এর প্রশ্ন ও সমাধান
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO বই লেখক : মোঃ মিজানুর রহমান
মাতৃস্বাস্থ্য/Motherhood
ওষুধ নির্দেশিকা
সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৫৬৩ টি হাদিস)
সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৪৫৩ টি হাদিস)
সুনানে তিরমিজি শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৩৯৫৬ টি হাদিস)
সুনানে নাসায়ী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫৭৫৮ টি হাদিস)
সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৪৩৪১ টি হাদিস)
সুনানে আবু দাউদ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫২৭৪ টি হাদিস)

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]