ধূমপান আত্মহত্যার শামিল ইসলামের দৃষ্টিতে ধূমপান আত্মহত্যার শামিল

ধূমপান আত্মহত্যার শামিল
এম. আবদুর রব
সারা বিশ্বে ধনী-দরিদ্র, নর-নারী, যুবক-বৃদ্ধ শিক্ষিত-অশিক্ষিত, ছাত্র-শিক্ষক, মালিক-চাকর, সাহেব-পিওন, কবি-সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, বিজ্ঞানী সর্বস্তরের কোটি কোটি মানুষ তামাকের গুঁড়োর মাধ্যমে নেশা করে থাকে। আর এই তামাকের গুঁড়ো দিয়ে তৈরী হয় বিড়ি সিগারেট, চুরুট, হুক্কার মশল্লা, পানবিলাসীদের জন্য জর্দা-সাদা, দাঁতের ব্যবহারের গুল আর নাকে নেয়ার নস্যি। ব্যবহারকারীদের বিভ্রান্ত করার নিমিত্ত এতে সুগন্ধী মেশানো হয়।
তামাকের মধ্যে লুকিয়ে আছে জীবন-নাশক মারাত্মক ধরনের বিষাক্ত কেমিক্যালস যা এর ব্যবহারকারীকে যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যুর দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় । একজন ধূমপায়ীকে ধুকে ধুকে এর চরম মূল্য পরিশোধ করতে হয় ।
তামাকে রয়েছে নিকোটিন, কার্বন মনোঅক্সাইড, কারসিনোজেনসহ অন্যান্য বিষাক্ত কেমিক্যালস। নিকোটিন নামক মারাত্মক বিষের একটি অংশের নাম নাইট্রোসাসিন । আর এই নাইট্রোসাসিন ক্যান্সার তৈরীর মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
ধূমপানের ফলে নিম্নোক্ত মারাত্মক ও যন্ত্রণাদায়ক রোগসমূহ হয়ে থাকে :
১. ক্যান্সার ২. যক্ষ্মা ৩. গ্যাস্ট্রিক ৪. আলসার ৫. ফুসফুসের প্রদাহ ৬. হাই ব্লাড প্রেসার ৭. হৃরোগ ৮. কাশি-হাঁপানি ৯. কোষ্ঠ-কাঠিন্য ইত্যাদি।
এছাড়া তামাকের নিকোটিন এবং কার্বন মনোঅক্সাইড মানুষের যৌনক্ষমতাও নষ্ট করে দেয়। ধূমপায়ী যে শুধু নিজেরেই ক্ষতি করছে তাই নয়, সে তার সন্তান এবং যারা তার সাথে চলা ফেরা করে তাদেরও ক্ষতি করছে।
যে জিনিস মানুষের জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য নয় বা মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে নয় বরং বেঁচে থাকার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর তবুও সে জিনিসের দিকে মানুষ কিভাবে আকৃষ্ট হয়। প্রথমে দেখাদেখি, বন্ধু-বান্ধবের পাল্লায় পড়ে সখের বশে অথবা ফ্যাশন হিসেবে তা গ্রহণ করা হয়। কিছুদিন যেতে না যেতেই এটা নিয়মিত নেশায় পরিণত হয়। ধূমপানের এই নেশা সাধারণত কিশোর বয়সেই হয়ে যায়।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ধূমপান
বাংলাদেশ বিশ্বের দরিদ্রতম দেশের মধ্যে অন্যতম। জনগণের বাৎসরিক গড় মাথাপিছু আয় ১৪০ ডলার বা সাড়ে চার হাজার টাকা। গড় আয় সাড়ে চার হাজার টাকা হলেও শতকরা ৮০ ভাগ লোকের আয় এর অনেক নিচে অর্থাৎ ৮০ ভাগ লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে জীবন ধারণ করে থাকেন এবং এরা প্রায় সবাই অপুষ্টির শিকার। এক জরীপে দেখা গেছে শহরাঞ্চল অপেক্ষা গ্রামাঞ্চলে এবং ধনী অপেক্ষা দরিদ্রের মধ্যে ধূমপানের হার বেশি। দেখা গেছে তিন বেলা পেট ভরে খেতে না পারলেও হুক্কা অথবা বিড়ি ঠিকই খেয়ে যাচ্ছে। গ্রামের ধনী-দরিদ্র উভয় শ্রেণীর প্রায় সব মহিলাই তামাক পাতা দিয়ে পান খেয়ে থাকে। কৃষি শ্রমিকদের মধ্যে প্রায় সবাই হুক্কা অথবা বিড়ি পান করে থাকে। হুক্কার মাধ্যমে ধূমপানের পরিমাণ কমে এখন বিড়ির প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেয়েছে । কৃষি শ্রমিকরা পিতা-পুত্র একখানে বসেই ধূমপান করে থাকে । কৃষক পরিবারের পুত্র অতি অল্প বয়সেই ধূমপানে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। কারণ, কৃষক পিতা যখন হাল চাষ করে বা জমিতে অন্য কোনো কাজ করে তখন ছেলে তার বয়স যতো কমই হোক পিতাকে হুক্কা ধরিয়ে দেয় এবং এই কাজটা পুত্র পিতার নির্দেশেই করে থাকে। এভাবে অতি অল্প বয়সে কৃষক পরিবারের লোকজনও ধূমপানে আসক্ত হয়ে যায়। এছাড়া কৃষকদের রোদে পুড়ে এবং বৃষ্টিতে ভিজে জমিতে কাজ করতে হয়। তখন সে হুক্কার মাধ্যমে ধূমপান করে একটু জিরিয়ে নেয় এবং নেশা শেষে পুনরায় কাজে উদ্যমী হয়। কৃষক পরিবারে ধূমপান করা অপরিহার্য বলে ধরে নেয়। কৃষি শ্রমিকরা ভাতের চেয়ে ধূমপান করাটাকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।
শিল্প শ্রমিকদের মধ্যে ধূমপানের পরিমাণ কৃষি শ্রমিকদের মতো এতো সর্বজনীন না হলেও অধিকাংশ শ্রমিক ধূমপান করে থাকে। এরা আবার হুক্কা-বিড়ির মাধ্যমে ধূমপান করতে চায় না, সিগারেটের প্রতি তাদের ঝোঁক বেশি। রিক্সাওয়ালা, ঠেলাগাড়ীওয়ালা, ইটভাঙা-শ্রমিক এরা প্রায় সবাই বিড়ির মাধ্যমে ধূমপান করে থাকে। ড্রাইভার, কন্ডাক্টর সকল পরিবহণ শ্রমিক ধূমপান করে সিগারেটের মাধ্যমে। এদের সিগারেটের ব্রান্ড আবার উন্নত মানের। অনেক সময় সিগারেট ধরাতে গিয়ে বা টানতে গিয়ে ড্রাইভাররা একসিডেন্টও করে বসে। শিক্ষকদের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগ শিক্ষক ধূমপান করেন। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সিগারেটের মাধ্যমে আর মাদ্রাসা শিক্ষকরা পানের সাথে জর্দা অথবা তামাক পাতা খেয়ে থাকেন। লেখক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদদের অবস্থাও অনুরূপ। ছাত্রদের মধ্যে নিচের ক্লাসের চেয়ে উপরের ক্লাসের ছাত্রদের ধূমপানের হার বেশি অর্থাৎ উপরের দিক যত ওঠে ততই এতে অভ্যস্ত হতে থাকে। চাকরিজীবীদের মধ্যে নিম্ন শ্রেণীর মাঝে এই হারটা তুলনামূলকভাবে বেশি। এরা প্রায় শতকরা ৮০/৮৫
ভাগ ধূমপান করে থাকে। আর উচ্চ শ্রেণী চাকরিজীবীদের মধ্যে এ হার ৭০ ভাগ । ব্যবসায়ী শ্রেণীদের প্রায় নব্বই ভাগ ধূমপানে অভ্যস্ত ।
সর্বশ্রেণীর ধূমপায়ীদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে যে, তারা গড়ে তাদের আয়ের ভাগ ব্যয় করে তামাক সেবনের পেছনে। আর এই অপ্রয়োজনীয় ক্ষতিকর দ্রব্যটি সেবন করতে গিয়ে বঞ্চিত রাখতে হয় নিজেকে এবং নিজের ছেলে-মেয়েদেরকে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার মতো জীবন ধারণের জন্য মৌলিক চাহিদা থেকে। উপরের এই আলোচনায় অনুমান করা যেতে পারে যে, ধূমপানের ব্যাপকতা এই দরিদ্র দেশে কতো বেশি এবং এর জন্য জাতীয় আয়ের কতো অংশ ব্যয় হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এই ব্যাপক ব্যবহৃত দ্রব্যটি কত মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে অকালে বিভিন্ন যন্ত্রণাদায়ক রোগ সৃষ্টির মাধ্যমে।
গোটা বিশ্ব ধূমপানের এই ব্যাপকতায় এখন আতঙ্কগ্রস্ত। সরকারী বেসরকারী উভয় পর্যায়ে ধূমপানের কুফল সম্পর্কে জনগণকে সতর্ক করা হচ্ছে। উন্নত বিশ্বের স্বেচ্ছাসেবী ও সমাজকল্যাণমূলক সংস্থাসমূহ ধূমপানের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তিতে নেতৃত্বদানকারী ধনী দেশ আমেরিকায় কিশোর- কিশোরীদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৮ বছরের নিচে কারো কাছে সিগারেট বা তামাক বিক্রয় করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ধূমপানকে সরকারীভাবে নিরুৎসাহিত করার পর ধূমপানের হার কমে গেছে।
সম্প্রতি সে দেশের সরকার ৭৫০০ সরকারী ভবনে ধূমপান নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। কর্মচারী সমিতিগুলো সরকারের এই সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানিয়েছে। সেনা ছাউনিগুলোতে ধূমপান নিষিদ্ধ করা যায় কি না সে ব্যাপারেও আমেরিকা সরকার চিন্তা- ভাবনা করছে বলে খবর বেরিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান সরকারও অনুরূপভাবে সরকারী ভবনে ধূমপান নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এভাবে বিভিন্ন দেশ ধূমপান নিরোধের জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে ধূমপানের হার বিশেষ করে গ্রামঞ্চলে ব্যাপক হলেও তা প্রতিরোধ করার জন্য সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে পূর্বে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। সম্প্রতি সরকার অবশ্য রেডিও টেলিভিশনে বিড়ি, সিগারেটের বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে। বিড়ি, সিগারেটের বিজ্ঞাপন বন্ধ করলে কি হবে, টেলিভিশনের প্রায় প্রতিটি নাটকের নায়ককে দিয়ে অথবা নাটকের মূল চরিত্রের ব্যক্তিকে দিয়ে সিগারেট পান করিয়ে ছাড়ছে। সিনেমাতেও একই অবস্থা, নায়ককে দিয়ে ধূমপান অথবা মদ পান করানো হয় না এমন নায়ক কোনও চলচ্চিত্রেই
পাওয়া যাবে না। এছাড়া সিনেমা হলগুলোতেও সিনেমা শুরু করার আগে বিভিন্ন ব্র্যাণ্ডের বিড়ি সিগারেটের বিজ্ঞাপনও প্রচার করা হয়ে থাকে। স্টার বাংলাদেশের একটি বহুল প্রচারিত ব্রাণ্ড এবং প্রচারের দিক থেকেও এই ব্রাণ্ডটি বাজিমাত করেছে। ঢাকা শহরসহ বিভিন্ন শহরের রাস্তার মোড়গুলোতে বিশাল সাইনবোর্ড টানিয়ে এক যুবকের চোখে মুখে অসীম তৃপ্তির দৃশ্য দেখিয়ে তাকে দিয়ে বলানো হচ্ছে, স্টার কেন খাই, পয়লা নম্বর তৃপ্তি পাই'। এমনিভাবে শ্রমিক, রিক্সাওয়ালাকে দিয়ে বিড়ি সিগারেট পান করিয়ে তাদেরকে দিয়ে তৃপ্তি পাওয়ার দৃশ্যযুক্ত বিজ্ঞাপন প্রচার করা হতো পত্র- পত্রিকাসহ সাইনবোর্ড ও সিনেমা হলে। অথচ উন্নত বিশ্বে সিগারেটের প্যাকেটে মাতৃভাষায় লিখে দিতে হয় সিগারেট পানের কুফল সম্পর্কে। এমনকি ভারত, পাকিস্তানেও সিগারেটের প্যাকেটে লিখে দিতে হয় “স্মোকিং ইজ ডেঞ্জারাস টু হেলথ”। আর বাংলাদেশে প্রচার করা হয় ধূমপানের তৃপ্তি সম্পর্কে। সরকারী বা বেসরকারী পর্যায়ে ধূমপানের কুফল সম্পর্কে কোনো প্রচার করা হচ্ছে না বা বিড়ি, সিগারেটের প্যাকেটে কেন এই সম্পর্কে সতর্ক করে দেয়া হচ্ছে না তা আমাদের বোধগম্য নয়। বাংলাদেশ টোব্যাকো কোম্পানি (বিটিসি) দেশে এককভাবে এই ব্যবসা করে যাচ্ছে। এই ব্যবসায় এরা অন্য কাউকে ঢুকতে দেয় না। অনেকে অভিযোগ তুলেছেন এই কোম্পানির স্বার্থরক্ষার্থেই সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে ধূমপানের সতর্কবাণী লেখা হচ্ছে না। এছাড়া অনেকে এ ধরনের অভিযোগও করছেন যে, দেশের অধিকাংশ কর্তা-ব্যক্তিরাই তো ধূমপান করে থাকেন। সুতরাং তারা কিভাবে ধূমপানের বিরুদ্ধে আইন করবেন! তবে আমার কথা এই যে, কিছু কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই ব্যাপারে কিছুটা এগিয়ে আসছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সংখ্যক ছাত্র “ফুলের সৌরভ নিন, ধূমপান ছেড়ে দিন" নামক একটি সংস্থা গঠন করেছে। কিছু দিন আগে খুলনা শহরে ধূমপানের বিরুদ্ধে মিছিল মিটিং হয়েছে। আমাদের দেশে জনগণ আলেম-ওলামা ও ডাক্তারদের কথা শোনে। তারা যা বলেন জনগণ তা বিশ্বাস করেন ও তা মেনে চলতে চেষ্টা করেন। ওষুধ নেয়ার পর ডাক্তারদের জিজ্ঞেসও করে থাকেন কোনো পথ্য বাদ আছে কি না ? তাই ডাক্তারগণ যদি প্রেসক্রিপশনটা রোগীর হাতে তুলে দিয়ে বলে দেন যে, “ধূমপান করবেন না”, তা হলে এই কথাটি ধূমপান প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখতে পারে। এছাড়া আলেম ওলামারা ওয়াজ মাহফিলে ধূমপানের বিরুদ্ধে ওয়াজ-নসিহত করতে পারেন। আমার জানামতে বরিশালের চরমোনাইর মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক সাহেব ওয়াজ করে আমাদের গ্রামের অনেক কৃষককে ধূমপান বন্ধ করিয়েছেন। ফুরফুরা শরীফের পীর হযরত মওলানা শাহ্ সূফী আবূ বকর সিদ্দিকী রহমাতুল্লাহি আলায়হি ধূমপানের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটিয়ে যান। এ সম্পর্কে ফতোয়াও প্রকাশিত হয়।
তাঁর নির্দেশে শর্ষিনা থেকে গ্রন্থ প্রকাশিত হয় এবং বলা হয় ধূমপান মকরুহ্ তাহরিমী। ফুরফুরা সিলসিলাভুক্ত সকলেই ধূমপানের বিরুদ্ধে এখনও সোচ্চার। এই জন্য চিকিৎসা পেশায় যারা জড়িত তাদের এগিয়ে আসতে হবে এবং এই মাতৃভাষায় পুঁথিপুস্তক লিখে তা প্রচার করতে হবে। ইসলামিক ফাউণ্ডেশন থেকেও এই ধরনের বই বের করা যেতে পারে। পত্র-পত্রিকাগুলো ধূমপানের বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করে দিয়েও এই জনহিতকর কাজে অংশগ্রহণ করতে পারে। সিগারেট ও তামাক আমদানি বন্ধ করে দিয়ে এবং স্থানীয়ভাবে তামাক চাষ নিরুৎসাহিত করে বা তামাক চাষের উপর আরো উচ্চহারে কর বসিয়ে দিয়ে এবং তামাক চাষের জন্য ঋণ বন্ধ করে দিয়ে সরকার ধূমপানের হার কমাতে পারেন। তাহলে তামাক চাষের আওতাধীন জমির পরিমাণ কমে যাবে এবং এতে দু'টি লাভ হবে — প্রথমত, ধূমপানের হার কমে এলে রোগ-ব্যাধির পরিমাণও কমে আসবে। দ্বিতীয়ত, তামাক চাষের আওতাভুক্ত জমিগুলোতে গম অথবা আলুর চাষ হবে। তাছাড়া খাদ্য ঘাটতির পরিমাণ কমে আসবে। পুষ্টিহীনতা লাঘব হবে। এছাড়া নতুনভাবে বিড়ি তৈরির লাইসেন্স প্রদান না করে, সিগারেট ফ্যাক্টরী স্থাপনের অনুমোদন না দিয়ে সরকার ধূমপান প্রতিহত করতে পারেন। যেহেতু বর্তমানে আইন করে ধূমপান বন্ধ করা সম্ভব নয় সেহেতু উপরোক্ত উপায়ে সরকার এর ব্যাপকতা কমাতে পারেন এবং সাথে সাথে স্বেচ্ছাসেবী, সমাজকল্যাণমূলক সংস্থা, যুব সংগঠন, এমনকি রাজনৈতিক দলসমূহও এই ব্যাপারে জনমত সৃষ্টি করতে পারেন যাতে অচিরেই আইন প্রয়োগ করে তা বন্ধ করা যায়।
(সম্প্রতি সরকার ধূমপান-বিরোধী আইন কার্যকর করতে সচেষ্ট হয়েছে। জনগুরুত্ব স্থানে যেমন ধূমপান নিষিদ্ধ হয়েছে, তেমনি রেডিও টেলিভিশনসহ সর্বক্ষেত্রে ধূমপানের বিজ্ঞাপন দেয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকারের এই কল্যাণমুখী পদক্ষেপ অবশ্যই অভিনন্দনযোগ্য ।

FOR MORE CLICK HERE
NTRCA COLLEGE LEVEL HISTORY/ইতিহাস গাইড/ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ইতিহাস
১০ তম বিসিএস -৪৪তম বিসিএস এর প্রশ্ন ও সমাধান 10th BCS to 44th Bcs MCQ Question Solution
বিসিএস ব্যাংক প্রাইমারি পরীক্ষার-এর প্রশ্ন ও সমাধান
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO বই লেখক : মোঃ মিজানুর রহমান
মাতৃস্বাস্থ্য/Motherhood
ওষুধ নির্দেশিকা
সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৫৬৩ টি হাদিস)
সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৪৫৩ টি হাদিস)
সুনানে তিরমিজি শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৩৯৫৬ টি হাদিস)
সুনানে নাসায়ী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫৭৫৮ টি হাদিস)
সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৪৩৪১ টি হাদিস)
সুনানে আবু দাউদ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫২৭৪ টি হাদিস)

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]