গর্ভবতী মায়ের শুশ্রূষা কেন ? গর্ভবতী মায়ের চিকিৎসা ডা. খোদেজা বেগম

গর্ভিনীর শুশ্রূষা
ডা. খোদেজা বেগম
গর্ভবতী মায়ের শুশ্রূষা কেন ? যে নতুন মুখটি এ পৃথিবীতে আসছে, যে একদিন দেশ ও জাতির বিরাট খেদমতে আত্মনিয়োগ করবে, তার জন্য একজন গর্ভবতী মায়ের শুশ্রূষা করা এবং সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর থেকে আরম্ভ করে গর্ভোত্তরকাল পর্যন্ত তার স্বাস্থ্যের যথার্থ যত্ন নেয়া অপরিহার্য। বিবাহিত জীবনে মেয়েদের মা হওয়া মানে তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটা। আর সে আশা ফলপ্রসূ হয় যদি উপযুক্ত সময়ে প্রকৃতভাবে গর্ভবতী মায়ের সেবাযত্ন নেয়া হয়। আমাদের দেশে মেয়েরা পুঁথিগত বিদ্যার অগ্রবর্তী হলেও অনেকে এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ অজ্ঞ। এ সময়টায় যত্ন নেয়াকে নেহায়েত অপ্রয়োজন বলে মনে করে, যার জন্য সময় উত্তীর্ণ হওয়ার পর চৈতন্যোদয় হলে এ সময়ে প্রকৃত ক্ষতির মাশুল দেয়া সাধ্যাতীত হয়ে পড়ে। একজন গর্ভবতী মা হচ্ছেন সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তি তথা চাবিকাঠি —দেশের সম্পদ। তার প্রতি যদি এভাবে অবহেলা প্রদর্শিত হয় তাহলে সমস্ত জাতিকেই এর খেসারত দিতে হয়। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান হতে আমরা যা কিছু শিখতে পেরেছি তার চাইতেও সত্য কথা হচ্ছে আল্লাহ্ আমাদের আশরাফুল মাখলুকাত সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সৃষ্টি করে আমাদের আলোকোজ্জ্বল জ্ঞান ও বোধশক্তি দিয়েছেন। এর বদৌলতে আমরা নিজেদের জীব-জন্তু থেকে আলাদা করে অনেক ঊর্ধ্বে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি। এরপরও যদি আমরা ভুল করি এবং এ গুরুদায়িত্বকে অবহেলার চোখে দেখি তা হলে এর খেসারত আমাদের হয়ে আর কেউ বহন করবে না।
গর্ভবর্তী পরিচর্যাকে ইংরেজিতে বলে এন্টিনেটাল কেয়ার। এ অবস্থায় ভাল পরিচর্যার অভাবে রক্তহীন, তা তড়কা, অতিরিক্ত বমি, গর্ভস্রাব ও রক্তস্রাব প্রভৃতি কারণে বহু প্রসূতির মৃত্যু হয় । প্রসূতির খুব সাবধানে থাকা দরকার। অনুমান করা হয় আমাদের বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় চার লক্ষ গর্ভপাত হয় আর ত্রিশ হাজার স্ত্রীলোক সূতিকা-সংক্রান্ত রোগে মারা যায়। সাবধান হলে গর্ভরক্ষা করা যায়। গর্ভবতীর খাওয়া-পরা, পরিশ্রম, ঘুম, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, মনের অবস্থা এ সমস্ত বিষয়ে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখা আবশ্যক- যাতে গর্ভাবস্থায় রোগগুলো না হয় তারও ব্যবস্থা করা দরকার। সময়মত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা প্রয়োজন ।
যা সহজে হজম হয় অথচ যাতে বেশি পুষ্টি বিদ্যমান এমন খাদ্য খেতে দেয়া উচিত। যেমন ঃ ঢেঁকিছাঁটা চালের চিন্তা করা অবান্তর তবুও চেষ্টা করা ভাল। ফ্যান না ফেলে ভাত রাঁধলে প্রসূতির জন্য অমোঘ মহৌষধ। মাছের ঝোল, মুগের কিংবা মশুরীর ডাল, পটল কি ডুমুরের তরকারী, মোচার তরকারী কিংবা ভর্তা খুবই উপকারী। দুধ, ঘি ও মাখনের তো তুলনাই নেই। ডিম, মাংস এ অবস্থায় শ্রেয় নয়। পোয়াতি সব সময় টাটকা জিনিস খাবে। বাসি মাছ তরকারীর মত বিষ আর নেই ।
পেয়ারা, কলা, লেবু, আনারস, বেল, পেঁপে, আঙুর, নাসপাতি, আম-জাম, খেজুর, কিসমিস যখন যা ভাল পাওয়া যায় খেতে দেয়া উচিত। দুধ, ঘি, মাখন, টাটকা ফলমূল, শাক-সবজির ভিতর 'ভিটামিন' বলে একরকম পুষ্টিকর জিনিস থাকে। ঐসব প্রত্যহ খেতে দেয়া উচিত। আস্ত মুগছোলা, মটর, অল্প ভিজিয়ে রাখলে তা থেকে যখন অঙ্কুর গজায় তখন এতে বেশি 'ভিটামিন' থাকে। বাজারের বাজে খাবার না দিয়ে অঙ্কুরিত ছোলা, মটর প্রভৃতি আদা ও গুড় দিয়ে খেতে দিলে ক্ষিধে বাড়ে, পুষ্টি হয় ও কোষ্ঠ পরিষ্কার হয়।
টাটকা মুড়ি নারিকেলও ভাল । আজকাল চর্বি মেশানো বিস্কুট প্রভৃতি নরম জিনিস খেয়ে শক্ত জিনিস কেউ খেতে চায় না। তাই দাঁত-মাড়ী, গালের মাংসপেশী তেমন শক্ত ও পুরু হয় না। তাই অকালে দাঁত পড়ে যায়।
কেউ কেউ মনে করে পোয়াতির দুজনের খাবার খেতে হয়। এটা নিয়মিত ভুল । গর্ভের শেষ ২/৩ মাসে সন্তান বাড়ে- এ সময় অতিরিক্ত এক গ্লাস দুধ খেলেই যথেষ্ট। একসঙ্গে খুব খাওয়া যাবে না। রাতে শুরু আহার কিংবা অনেকক্ষণ পেট খালিও রাখা ঠিক নয়। ঘুম থেকে উঠেই কিছু খাওয়া উচিত। এমনকি সকাল বেলা শরীর ম্যাচ ম্যাচ করে বিছানা থেকে উঠে আগেই দুধ খাওয়া উচিত। একরকম জিনিস না খেতে দিয়ে মাঝে মাঝে খাবার বদলানো আবশ্যক। পরিষ্কার এবং সেখানে সহজে বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় বসে খাওয়া উচিত। খাওয়ার ঠিক পরেই কোনও রকম কঠিন পরিশ্রম করা যাবে না। ঘুমালে হজম হতে দেরী হয়, খাবার পর গোসল করলে ও খাদ্য খাওয়ার সময় কি তার ঠিক পরে কোনও চিন্তা, দুঃখ বা রাগ করলে অজীর্ণ হয়। এসব নিয়ম মানলে কোনদিনও কঠিন অসুখ হবে না, গর্ভবতী মায়ের মনে রাখা উচিত তাদের ব্যবহারের দরুন যেন কোনও প্রাণীর অনিষ্ট না হয়। পেটে অসুখ হলে অনেক সময় গর্ভ নষ্ট হয়ে যায়। গর্ভাবস্থায় প্রস্রাব খোলাসা রাখার জন্য জলীয় জিনিসের বিশেষ প্রয়োজন। রাতে যদি পাঁচ পোয়ার কম প্রস্রাব হয় তাহলে মনে করতে হবে পানি কম খাওয়া হচ্ছে। দুধ ঘোলে পানিতে মধুশুদ্ধ অন্তত প্রতিদিন ৩/৪ সের তরল জিনিস খাওয়া দরকার। চা পান না করা ভাল। গম ভেঙে গুঁড়ো করে চায়ের মত করে খেলে বেশী উপকার হয়।
পোশাক
পরনের কাপড় খুব ঢিলা করে পরিধান করা ভাল। অন্যথায় কাশি, প্রস্রাবের অসুস্থ হতে পারে। যারা জুতো মোজা পরে তাদের পা বেশীক্ষণ বেঁধে রাখা উচিত নয় এবং উঁচু হিলের জুতা পরাও ঠিক নয়। তাতে পায়ের শিরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কিংবা ফুলো বাড়তে পারে। আঁটসাঁট পোশাকের দরুন স্তনের বোটা চ্যাপ্টা হয়ে যায়। ভিতরে ঢুকে যায়। দুধের বোঁটা শিশু অনেক সময় জোরে টানে বলে, টাটায়, ঘা হয় এবং ফেটে যেতে পারে ও পরে রক্ত পড়ে।
পরিশ্রম
গর্ভবতীকে নিয়মিত স্বাভাবিক পরিশ্রম করতে হবে। যে সব পোয়াতি কেবল বসে বসে কাল কাটায় তাদের প্রসবে খুব কষ্ট হয়। ঘরের যে কোনও কাজ করলেই যথেষ্ট পরিশ্রম হয়। কাজ করার লোক থাকলেও নিজের উপকারের জন্য একটা না একটা কাজ করা চাই। উল বোনার কাজ কিংবা সেলাই করা এসব বসার কাজ নয়, একটু যাতে নড়াচড়া হয় কিংবা হাত পা চলে এরূপ কাজ করতে হবে। প্রতিদিন অন্তত ২/৩ ঘন্টা ঘরের বাইরে খোলা বাতাসে চলাফেরা করা উচিত। যাদের কোনও কাজ-কাম নেই তাদের বাগানে, ছাদে বা উঠানে পায়চারি করে বেড়ানো উচিত। কোন কারণে বেশিদিন বিছানায় শুয়ে থাকতে হলে ভাল করে হাত পা ডলানো উচিত। গর্ভবতীর পক্ষে বেশি উঁচু সিঁড়ি উঠানামা করা বা বেশি ভারী জিনিস তোলা নিষেধ। বার বার গাড়ী চড়া, লাফান, ঝাঁপান, দৌড়াদৌড়ি করা একেবারে নিষেধ। পোয়াতিকে কোথাও পাঠাতে হলে সাড়ে চার মাসের পর আর প্রসব সম্ভাবনার ১ মাস আগে পাঠানো উচিত। সাড়ে চার মাসের আগে ভ্রুণ আলগা থাকে। নড়াচড়া পেলে গর্ভ নষ্ট হওয়ার আশংকা থাকে। গর্ভের পূর্বে যে সময় ঋতু হতো সে সময় বিশেষ সাবধানে থাকা দরকার। কারণ সে সময় অনেক পোয়াতির, বিশেষত বাধক রোগীনীদের গর্ভপাত হবার আশংকা থাকে। গর্ভাবস্থায় পায়ে সেলাই মেশিন চালানো ঠিক না। এতে পা ফোলা বাড়ে, পেটে ও পায়ে ব্যথা হয়, পায়ের শিরা ফুলে যায়।
ঘুম
ঘুমের সম্বন্ধে নিয়ম পালন করতে হবে। পোয়াতিকে রাত জাগা উচিত নয়। ১৬/১৭ বছরের পোয়াতির ১০ ঘণ্টা ঘুমের দরকার। রোজ একসময়ে ঘুম চাই। গর্ভাবস্থায় স্বামী থেকে স্বতন্ত্র থাকা উপকারী। তা না হলে গর্ভপাত হওয়ার আশংকা থাকে। শোবার ঘরে খুব পরিষ্কার বাতাস খেলবে, এতে মায়ের রক্ত পরিষ্কার হবে, সেই রক্ত সন্তানের গায়ে চলাচল করবে। রাতে জানালা দরজা খোলা রাখতে হবে যাতে মুক্ত আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারে। তা না হলে উভয়ের ক্ষতির আশংকা। শোবার সময় কোনও দুশ্চিন্তা যেন না থাকে, এতে ঘুমের ব্যাঘাত হয় ।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা বিশেষ প্রয়োজন। প্রতিটি লোমকূপ দিয়ে ঘাম এবং শরীরের দূষিত পদার্থ বের হয়। রীতিমত গোসল না করলে লোমকূপের মুখ বন্ধ থাকার দরুন ভেতরে দূষিত পদার্থ বের হওয়ায় বিঘ্ন ঘটে, এতে নানা রকম কঠিন পীড়ার উৎপত্তি হয়। গর্ভাবস্থায় শরীরের ভেতর অনেক দুষিত পদার্থের সৃষ্টি হয়। এর সময় বেশি বেশি প্রস্রাবের সাথে এবং শরীরের ঘামের সাথে এই দূষিত পদার্থ নির্গত হয়। তাই নিত্য গোসল করা অতীব প্রয়োজন, যাতে লোমকূপের গোড়া পরিষ্কার থাকে।
স্তনের যত্ন
স্তনের প্রতি বিশেষ যত্ন নেয়া আবশ্যক। গর্ভের শেষ কয়মাসে স্তনের বোঁটা দিনে ৫/৭ বার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুছে মাখন লাগিয়ে রাখতে হবে। বোঁটার চামড়া পুরু খসখসে হলে ফাটার আশংকা থাকে। তাই মাখনই ভাল । বোঁটা যদি স্তনের ভেতর ঢুকে যায়। প্রতিদিন অনেকবার বোঁটা টেনে তুলতে হবে। মাঝেমধ্যে স্তনের নিচ থেকে বোঁটার দিকে আস্তে আস্তে মুছে তুলতে হবে। এরূপ করলে প্রসবের পর দুধ আসে। বর্তমানে মায়ের দুধই সন্তানের একমাত্র সম্বল। তাই খুব যত্ন সহকারে ভবিষ্যতের সন্তানদের রিজিকের জন্য হুঁশিয়ার থাকা প্রত্যেক মায়ের গুরু দায়িত্ব। গমের চোকলের মত স্তনের বোঁটায় যা লেগে থাকে- তা যদি সহজে না ওঠে তবে ফোটানো নারিকেল তেল দিয়ে ২৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে সাবান পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তা না হলে পরে বোঁটা ফেটে রক্ত পড়তে পারে ।
দাঁত
গর্ভাবস্থায় থুথু অম্ল হয়- তাই দাঁত প্রায়ই নষ্ট হয়। ফল এবং শাক-সব্জি বেশি করে খাওয়া উচিত। এতে দাঁত নষ্ট না হওয়ার প্রতিষেধক ক্ষমতা বর্তমান থাকে। প্রতিবার খাবারের পর দাঁত ভাল করে পরিষ্কার করতে হবে- যাতে খাদ্যের কণা দাঁতের ফাঁকে জমা না হয়- তা না হলে দাঁতের গোড়ায় পচন ধরে- অকালে দাঁত পড়ে যায়। হাদীস শরীফেও প্রতি ওয়াক্ত নামাযের পূর্বে মেসওয়াক করে অযু করে নামায পড়লে সাধারণ নামায পড়া থেকে ৭০ গুণ বেশি সওয়াবের নির্দেশ রয়েছে।
প্রস্রাব পরীক্ষা
তিন মাস থেকে সাত মাস পর্যন্ত মাসে একবার তারপর প্রসব পর্যন্ত মাসে দুবার প্রস্রাব পরীক্ষা করানো উচিত। প্রথম পোয়াতির কোনও উপসর্গ না থাকলেও প্রস্রাব পরীক্ষা করা অবশ্য কর্তব্য। আর বহু সন্তানবতীর হাত পা ফোলা থাকলে অবশ্যই শীঘ্র প্রস্রাব পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
মানসিকতা
মনের অবস্থার উপর দৃষ্টি রাখা দরকার। ভয় ভাবনা হয় এমন কোনও কাজ করতে, গল্প শুনতে বা পড়তে দেয়া উচিত নয়। ভীতিপূর্ণ বা উত্তেজনাপূর্ণ কোনও দৃশ্য দেখা অনুচিত। রাতে একা যেতে দেয়া ও কোনও পোয়াতির মৃত্যু দৃশ্য দেখতে দেওয়া অনুচিত। সব সময় উৎসাহ এবং যাতে আমোদ থাকে সেই ব্যবস্থা করা উচিত।
ওজন পরীক্ষা
ওজন পরীক্ষার প্রয়োজন ৪র্থ মাস থেকে। বিশেষ কোনও রোগ না থাকলেও যদি ওজন কমে এবং তা যদি প্রসব সম্ভাবনার ১ হতে ৫ দিনের মধ্যে হয় তা হলে প্রসবের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
রক্তের চাপ পরীক্ষা
রক্তের চাপ পরীক্ষা কারানোও আবশ্যক। গর্ভের পাঁচ মাস থেকে তা শুরু করতে হবে। রক্তের চাপ যদি স্বাভাবিক থেকে বেশি থাকে তবে সময়মত চিকিৎসা করতে হবে। আমাদের দেশে প্রায়ই অধিক রক্ত চাপের দরুন একমশিয়া হয়ে প্রসূতি এবং শিশু উভয়েই প্রাণ হারায়। পর পর ফিট হওয়ার দরুন বুঝতে না পেরে মনে করে ভূতে পেয়েছে, তার জন্য সময় মত চিকিৎসা না করার দরুন অকালে নিঃশেষ হয়ে যায় দু'টি প্রাণ । উপরোক্ত নিয়ম-নীতি অবলম্বনে আপনিও স্বাস্থ্যবান সুন্দর নতুন মুখ উপহার পেতে পারেন ।

FOR MORE CLICK HERE
NTRCA COLLEGE LEVEL HISTORY/ইতিহাস গাইড/ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ইতিহাস
১০ তম বিসিএস -৪৪তম বিসিএস এর প্রশ্ন ও সমাধান 10th BCS to 44th Bcs MCQ Question Solution
বিসিএস ব্যাংক প্রাইমারি পরীক্ষার-এর প্রশ্ন ও সমাধান
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO বই লেখক : মোঃ মিজানুর রহমান
মাতৃস্বাস্থ্য/Motherhood
ওষুধ নির্দেশিকা
সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৫৬৩ টি হাদিস)
সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৪৫৩ টি হাদিস)
সুনানে তিরমিজি শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৩৯৫৬ টি হাদিস)
সুনানে নাসায়ী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫৭৫৮ টি হাদিস)
সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৪৩৪১ টি হাদিস)
সুনানে আবু দাউদ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫২৭৪ টি হাদিস)

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]