পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা পুষ্টিকর খাবার পুষ্টিকর ফলের তালিকা বয়স অনুযায়ী খাদ্য তালিকা মোরশেদা বেগম

প্রত্যেক পিতা-মাতাই চান তার সস্তান স্বাস্থ্যবান হোক, লেখা-পড়ায় ভালো হোক, বুদ্ধিমান হোক, উদ্যমী এবং কর্মঠ হোক। শুধু পিতা-মাতা কেন, সমাজ এবং জাতিরও প্রত্যাশা তাই। প্রত্যাশা করলেই তা পাওয়া যায় না। এই জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা যথাসময়ে যথাযথভাবে গ্রহণ করতে হয়। মানব দেহকে সুস্থভাবে গড়ে তুলতে হলে ভিত্তি থেকেই সেটাকে শক্ত করতে হবে। কোনো শিশু ভ্রূণ হয়ে মায়ের পেটে জন্ম নিলেই তার জীবনের ভিত্তি শুরু হয় এবং তখন থেকেই তার শরীরটাকে শক্ত করে গড়ে তুলতে হয় ।
মায়ের গর্ভে ভ্রূণ হয়ে যেদিন মানব সন্তান জন্ম নেয়, সেদিন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তার শরীরে নানা রকম পরিবর্তন ঘটে। জন্মের পর থেকে ২০/২৫ বছর সময় পর্যন্ত তার শরীর বৃদ্ধি পায়, তারপর আর পায় না। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নানা রকম কাজের জন্য মানুষের শক্তি ব্যয় হয় এবং শরীর ক্ষয় হয়। মানুষের শরীরের এই পরিবর্তন তথা বৃদ্ধি, ক্ষয়ক্ষতি মেটানো, শক্তি যোগানো এবং জীবাণুর আক্রমণ থেকে শরীরটাকে রক্ষা করার জন্য যেসব প্রয়োজনীয় জিনিস শরীরে সরবরাহ করতে হয় সেসব জিনিসের সমষ্টিকে বলা হয় খাবার। মায়ের পেটে ভ্রূণ হয়ে যেদিন মানুষ জন্ম নেয়, সেদিন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তার খাবারের প্রয়োজন হয়।
খাবারের কাজ মূলত তিনটি ঃ
১. শরীরের বৃদ্ধি সাধন ও ক্ষয়পূরণ করা;
২. বিভিন্ন কাজের জন্য শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তি যোগানো এবং
৩. বিভিন্ন রোগের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করা ।
আমিষ
যেসব খাবার শরীরের বৃদ্ধি সাধন ও ক্ষয়পূরণ করে তাকে আমিষজাতীয় খাবার বলে। আমিষ হলো একাধিক এমাইনো এসিডের যোগফল। আর এমাইনো এসিড হলো কার্বন, অক্সিজেন, হাইড্রোজেন ও নাইট্রোজেনের যোগফল। আমিষ মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরী। কেননা চামড়া, রক্ত, মাংস, হাড়, মগজ ইত্যাদি আমিষ দিয়ে তৈরি হয়। যেহেতু আমিষ চামড়া, রং, মাংস, হাড় ও মগজ তৈরি করে সে জন্য যার বয়স যতো কম হবে তাঁর শরীরের গঠনের জন্য ততো বেশি পরিমাণে আমিষ লাগবে। যে সমস্ত খাদ্যদ্রব্যে অন্যান্য খাদ্য উপাদানের তুলনায় আমিষের পরিমাণ বেশি সে সমস্ত খাদ্যদ্রব্যকে আমিষ জাতীয় খাদ্য বলে। আমিষ জাতীয় খাদ্যকে দু'ভাবে ভাগ করা যায় :
১. প্রাণিজ আমিষ- যেমন-মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদি।
২. উদ্ভিজ্জ আমিষ- যেমন-বিভিন্ন ডাল, শুকনো মটর শুটি, শুকনো সীমের বীচি, সয়াবিন ও চীনা বাদাম ।
তবে প্রাণিজ আমিষ মানুষের শরীরে কাজে লাগে বেশি, কারণ প্রাণীদের শরীর আমাদের শরীরের মতো রক্ত, মাংস, হাড় ও চামড়া দিয়ে তৈরি। অপরদিকে গাছপালার শরীর মানুষের শরীরের মতো নয় বলে তাদের আমিষ মানুষের শরীরে তুলনামূলকভাবে কম কাজে লাগে। প্রাণিজ আমিষ সহজেই মানুষের শরীর বৃদ্ধিতে অংশ নিতে পারে। শরীরের বৃদ্ধিতে কোনো আমিষের অংশ নেয়ার ক্ষমতাকে বলে ঐ আমিষের কার্যক্ষমতা। সব খাদ্যে আমিষের কার্যক্ষমতা এক নয়। মায়ের বুকের দুধ ও ডিমের আমিষের শতকরা ১০০ ভাগই শরীরের কাজে লাগে। মহান আল্লাহতাআলা ডিমে হাঁস-মুরগীর বাচ্চার আর মায়ের বুকের দুধে মানব শিশুর প্রথম পর্যায়ের বৃদ্ধির জন্য যে আমিষ দরকার তা রেখে দিয়েছেন। অপরদিকে গরুর দুধে আমিষের কার্যক্ষমতা ৭৫ শতাংশ, মাছে ৮৩ শতাংশ, মাংসে ৭০ শতাংশ, ডালে ৪০-50 শতাংশ। সুতরাং মায়ের দুধ আর ডিমকে আদর্শ আমিষ জাতীয় খাদ্য বলা যেতে পারে। শিশুর শরীরের বৃদ্ধির কাজটি বেশি। তাই তার বেশি আমিষের প্রয়োজন। সুতরাং শিশুকে মায়ের দুধ, ডিম, মাছ, মাংস বেশি করে খাওয়াতে হবে।
শক্তি
সমস্ত মানুষ কিছু না কিছু কাজ করে। আর এসব করার জন্য শক্তি লাগে। যে যতো বেশি কাজ করে তার ততো বেশি শক্তি লাগে। আবার এমনও অনেক কাজ আছে যা করতে অন্যান্য কাজের চেয়ে বেশি ভাল লাগে। যেমন বসে থাকার চেয়ে হাঁটতে বেশি শক্তি লাগে। আবার হাঁটার চেয়ে দৌড়াতে আরো বেশি শক্তি লাগে ।
এছাড়া শরীরের বৃদ্ধি সাধন ও ক্ষয় পূরণের জন্যও শক্তির দরকার । শিশুর শরীরের বৃদ্ধির কাজটি বেশি। তাই তুলনামূলকভাবে বড়দের চেয়ে এ কাজের জন্য শিশুদের শক্তির প্রয়োজন হয় বেশি। এছাড়া শিশুরা খেলাধূলা করে, এ জন্যও তাদের শক্তির দরকার হয়। গর্ভের শিশুর শরীর বৃদ্ধির জন্য যে শক্তি লাগে তা মাকেই তার নিজের খাবারের মধ্যে দিয়ে যোগাড় করতে হয়। দুগ্ধবতী মা'র দুধ তৈরির জন্য বাড়তি শক্তির দরকার হয়।
সূর্যের আলো এই পৃথিবীতে সমস্ত কাজের শক্তির উৎস। সবুজ রংয়ের উদ্ভিদ বাতাস থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও পানি সংগ্রহ করে নিয়ে সূর্যের আলোর শক্তির সাহায্যে শর্করা জাতীয় পদার্থ তৈরি করে। উদ্ভিদ তার প্রয়োজনে শর্করা তৈরি করলেও তার পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি। তাই উদ্ভিদ এই বাড়তি শর্করা তার ফলে-মূলে ও শস্যে যেমন- ভুট্টা, কলা, আলু, চাল, গম, আখ ইত্যাদিতে বিতরণ করে। যা আমরা খাবার হিসেবে খাই এবং তা খেয়ে শক্তি অর্জন করি। এছাড়া তেল জাতীয় খাবার থেকেও প্রচুর শক্তি পাওয়া যায়। শক্তির পরিমাণ পরিমাপ করতে গিয়ে আমরা “ক্যালরি” শব্দটি ব্যবহার করি। কোন খাবারে শক্তির পরিমাণ কি তা মাপতে হলে ওই খাবারটির প্রতি দেড় ছটাকে কি পরিমাণ শক্তি পাওয়া যায় সে মাপই বোঝায়। শর্করা ও তেল জাতীয় খাদ্যের প্রতি দেড় ছটাকে যে পরিমাণ শক্তি থাকে
তা হলো :
ক. শর্করা ৪০০ ক্যালরি
খ. তেল ৯০০ ক্যালরি
তেল জাতীয় খাদ্যে যেহেতু অন্যান্য খাদ্যের তুলনায় শক্তির পরিমাণ বেশি, সেহেতু শিশুদের ও শারীরিক পরিশ্রমীদের খাবারের সাথে কিছু তেল জাতীয় খাদ্য থাকা উচিত ।
রোগ প্রতিরোধ
সব সময়ে নানা ধরনের জীবাণু মানুষের শরীর আক্রমণ করে। ভিটামিন, লবণ, পানি খাদ্যের এই তিনটি উপাদান মানুষের শরীরকে সুস্থ রাখে। তাই এগুলোকে রোগ প্রতিরোধক খাবার বলা হয়।
ভিটামিন
মানুষের শরীরে আমিষ, তেল ও শর্করা জাতীয় খাদ্য যাতে ঠিকমত কাজ করতে পারে সেজন্য ভিটামিনের প্রয়োজন। তাই শরীরে ভিটামিনের অভাব দেখা দিলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে ও রোগাক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে যায়। খাবারের মধ্যে কাজ অনুযায়ী এ. বি. সি. ডি. এবং ই. জাতীয় ভিটামিন পাওয়া যায়। ভিটামিন 'এ' : চোখের স্বাস্থ্য ও দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখা, চামড়া মসৃণ রাখা এবং শ্বাসপথের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ভিটামিন 'এ'-এর প্রয়োজন হয়। শরীরে ভিটামিন 'এ'-এর অভাব হলে চোখে কম দেখা, রাতকানা ও চোখে ঘা হয় এবং ঘা হওয়ার ফলে চোখ সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া চামড়া খসখসে হয়ে যায় ও ঘন ঘন সর্দি-কাশি লাগে। বিভিন্ন ধরনের শাক, হলুদ ও লাল রংয়ের সবৃজি ও ফলে ভিটামিন 'এ' পাওয়া যায়। সবার জন্য এই ভিটামিনের প্রয়োজন হলেও শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রয়োজন। তাই ফলের মৌসুমে শিশুদের প্রচুর পরিমাণ হলুদ ফল খাওয়াতে হয়।
ভিটামিন 'বি' : এই ভিটামিনকে কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন- বি-- ১, বি-২, বি-১১ ইত্যাদি। এই সব ভিটামিনের অভাব হলে বেরিবেরি রোগ, মুখের কোণায় ঘা, বদহজম ও পেটের অসুখ দেখা দেয়। চাল, গম, ভুট্টা, দুধ, সীম ও সবুজ রংয়ের শাকে এই ভিটামিনগুলো পাওয়া যায়। ভিটামিন 'সি' : চামড়া, দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য এই ভিটামিনের দরকার। যে কোন তাজা শাক-সব্জিতে এই ভিটামিন পাওয়া যায়। শুকিয়ে গেলে বা রান্না করলে এই ভিটামিন নষ্ট হয়ে যায়। তাই প্রতিদিন আমাদের কিছু তাজা ও কাঁচা শাক-সব্জি ও ফলমূল খাওয়া উচিত। ভিটামিন 'ডি' : হাড় ও দাঁত ঠিকমত শক্ত হওয়ার জন্যে এই ভিটামিনের প্রয়োজন। দুধ, ডিম, পালংশাক ও সূর্যের আলোতে এই ভিটামিন পাওয়া যায়।
লবণ
শরীরের জন্য সোডিয়াম ক্লোরাইড যা আমাদের অতি পরিচিত খাবার লবণ, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও লৌহগঠিত লবণ খুব প্রয়োজন। সোডিয়াম ও পটাসিয়াম জাতীয় লবণ অন্যান্য খাদ্য দ্রব্যেও প্রচুর পরিমাণ রয়েছে। তবে আমাদের খাবারে লৌহ ও ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দেয় ।
লৌহ : রক্তের মধ্যে হিমোগ্লোবিন নামে একটা বিশেষ আমিষ আছে যার কাজ হলো নিঃশ্বাসের অক্সিজেনকে সারা শরীরে পৌঁছে দেয়া। এই হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে লৌহ লাগে। লৌহের অভাব হলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যায় যাকে রক্তশূন্যতা বলা হয়। মেয়েদের বিশেষ করে গর্ভবতী ও দুগ্ধবতী মেয়েদের রক্তশূন্যতা বেশি দেখা দেয়। তাই তাদের লৌহের প্রয়োজন হয় বেশি। সীম, মটরশুটি, বরবটি, টিউবওয়েলের পানি ইত্যাদিতে লৌহ থাকে। এ ছাড়া লোহার কড়াই ও চামচ ব্যবহার করলেও লৌহ পাওয়া যায়।
ক্যালসিয়াম : হাড় ও দাঁত বাড়া ও শক্ত হওয়ার জন্য ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন হয়। এর অভাব দেখা দিলে দাঁত উঠতে দেরী হয়, হাড় খুব নরম হয়ে ধনুকের মতো বেঁকে যেতে পারে। শিশুদের এ অবস্থাকে “রিকেট” বলা হয়। দুধ, ডিম, মাছ, মাংস বিশেষ করে মাছের কাঁটা ও মাংসের হাড়ে ক্যালসিয়াম থাকে। ভিটামিন ও লবণের এই আলোচনায় এ কথা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে যে, মানুষের শরীরে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এ দুটো খাদ্য উপাদান পেতে হলে প্রচুর পরিমাণ শাক-সব্জি ও ফলমূল খেতে হবে। পানি : মানুষের শরীরের ওজনের তিন ভাগের দু'ভাগ বা সত্তর শতাংশ হচ্ছে পানি। খাদ্য ছাড়া কিছুদিন বেঁচে থাকা যায় কিন্তু পানি ছাড়া একদিনও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। তাই পানির অপর নাম দেয়া হয়েছে জীবন। পানি যে শুধু খাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয় তাই নয়, ধোঁয়া-মোছা, রান্না-বান্না, গোসল সব কাজেই পানির দরকার। তাই পানি বিশুদ্ধ তথা রোগ-জীবাণুমুক্ত হতে হবে। তা না হলে কলেরা, ডায়রিয়া, টাইফয়েড, আমাশয়, বদহজম, কৃমি ইত্যাদি রোগ হবে। টিউবওয়েলের পানি রোগ- জীবাণুমুক্ত। তাই সকলকে টিউবওয়েলের পানি পান করতে হবে। আর ধারে কাছে টিউবওয়েল না থাকলে পানি ফুটিয়ে খেতে হবে।
সুষম খাদ্য
এতক্ষণের আলোচনায় একথা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে যে, মানুষের শরীরের প্রয়োজন মিটানোর জন্য প্রত্যেকবারের খাবারে থাকতে হবে :
১. শরীরের বৃদ্ধি সাধন ও ক্ষয়পূরণের জন্য আমিষ ।
২. শক্তি যোগানোর জন্য শর্করা ও তেল ।
৩. রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য রোগ প্রতিরোধক ভিটামিন, লবণ ও জীবাণুমুক্ত পানি।
আর এসবগুলো মিলিয়ে যে খাদ্য তৈরি করা হয় তাই সুষম খাদ্য। সুষম খাদ্যের তালিকা নিম্নরূপ :
ক. চাল অথবা গম+ডাল+শাক-সব্জি
খ. চাল বা গম+মাছ+ডাল+শাক-সব্জি
গ. চাল বা গম+মাংস+শাক-সব্জি
ঘ. চাল বা গম+মাছ+দুধ
ঙ. মায়ের বুকের দুধ শিশুর জন্য সুষম খাদ্য (৪/৫ মাস বয়স পর্যন্ত)
চ. ডিম এককভাবে একটি সুষম খাদ্য, উপরোক্ত ছক থেকে আর্থিক ক্ষমতা অনুযায়ী সুষম খাদ্য খাওয়া যেতে পারে।

FOR MORE CLICK HERE
NTRCA COLLEGE LEVEL HISTORY/ইতিহাস গাইড/ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ইতিহাস
১০ তম বিসিএস -৪৪তম বিসিএস এর প্রশ্ন ও সমাধান 10th BCS to 44th Bcs MCQ Question Solution
বিসিএস ব্যাংক প্রাইমারি পরীক্ষার-এর প্রশ্ন ও সমাধান
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO বই লেখক : মোঃ মিজানুর রহমান
মাতৃস্বাস্থ্য/Motherhood
ওষুধ নির্দেশিকা
সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৫৬৩ টি হাদিস)
সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৪৫৩ টি হাদিস)
সুনানে তিরমিজি শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৩৯৫৬ টি হাদিস)
সুনানে নাসায়ী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫৭৫৮ টি হাদিস)
সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৪৩৪১ টি হাদিস)
সুনানে আবু দাউদ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫২৭৪ টি হাদিস)

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]