কৃমির রাজা ফিতা কৃমি ফিতা কৃমি, কৃমির লক্ষণ ও প্রতিকার

কৃমির রাজা ফিতা কৃমি
ড. এম আলম
কৃমির রাজা ফিতা কৃমি, ফিতা কৃমির আক্রমণে যে রোগ হয় তার নাম “টিনিয়াসিস'। ফিতাকৃমিগুলো আকারে চেপ্টা। দেহ অসংখ্য খণ্ডে বিভক্ত। প্রধানত পাঁচ ধরনের ফিতাকৃমি আছে। এরা হলো- ১. টিনিয়া সাজিনাটা, ২. টিনিয়া সেলিয়াম, ৩. হাইমেনোলেপিস নানা, ৪. ডাইফাইলোবথ্রিয়াম লেটাম, ৫. ইগ্রেনুলোসাস ।
এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় টি. সাজিনাটা। ডি. লেটাম এদেশে দেখা যায় না। এইচ. নানা ক্বচিৎ দেখা যায় ।
কৃমিদের মধ্যে সবচেয়ে বড়ো হলো ফিতাকৃমি। তাদের মধ্যে আবার রাজা হলো টিনিয়া সাজিনাটা। এ ধরনের এক একটি কৃমি লম্বায় দশ হতে বিশ হাত । এদের সারা দেহ এক হাজার থেকে দু'হাজার খণ্ডে বিভক্ত। এর তুলনায় টি. সেলিয়াম আরেকটু খাটো। মাত্র চার হতে ছয় হাত লম্বা। শরীরেও হাজারের কম সেগমেন্ট বা টুকরো থাকে ।
টিনিয়া সাজিনাটার অন্য নাম বিফ উপওয়ার্ম'। এরা জীবনচক্রের এক অংশ গরু বা মহিষের শরীরে কাটায় ফলে এমন ধরনের নাম রাখা হয়েছে। এজন্য অসুস্থ প্রাণীর কৃমিযুক্ত গোশ্ত কাঁচা ও আধাসিদ্ধ অবস্থায় খেলে এ রোগ হতে পারে। অতএব শিক কাবাব খেতেও প্রচুর সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তবে মাংস ভালভাবে সিদ্ধ করলে কৃমিরা মরে যায় ।
টিনিয়া সেলিয়ামের আরেক নাম স্পর্ক-টেপওয়ার্ম'। এটি এদেশে দেখা যায় না। অসিদ্ধ শূকরের মাংস হতে এ রোগের বিস্তার হয়। এখানে শূকরের মাংস খাওয়া হয় না বলে এ রোগ একেবারেই নেই। সব জাতের ফিতাকৃমি একই চেহারার নয়। এদের মাথা ও শরীরেও একটু পার্থক্য আছে। টি. সাজিনাটা মাথা বড়ো, চারকোণাবিশিষ্ট। এর কোনও ঠোঁট বা হুক (রোস্টেলাম) থাকে না কিন্তু টি. সেলিয়ামের মাথা ছোট, গোল, ঠোঁট ও হুকযুক্ত। ফিতাকৃমি পেটের ভেতর ক্ষুদ্রান্ত্রে (স্মল বেটিসটাইন) বাস করে।
রোগের শুরুতে তেমন লক্ষণ দেখা যায় না। পায়খানার সাথে আঁতের মতো ছোট ছোট টুকরোই প্রথম রোগীর চোখে পড়ে। মাঝে মাঝে ডায়রিয়া বা পেটে ব্যথা হতে পারে। ক্ষুধামান্দ্য, শরীরের ওজন কমে যাওয়া, পেট ফোলা— এগুলোই জটিল পর্যায়ে দেখা যায় ।
টিনিয়া সেলিয়াম স্নায়বিক গোলযোগ (নিউরোলজিক্যাল ডিস্টারবেন্স) ও ডি, লোটাস রক্তশূন্যতা (মেকরোসাইটি এনিমিয়া) সৃষ্টি করে। তবে এদেশে নয় ।
পায়খানা পরীক্ষা করলে কৃমির ডিম বা টুকরো পাওয়া যায়। টি. সেলিয়ামের বেলায় মাংসের এক্স-রে ছবিতে কৃমির ক্যালসিয়াম জমাকৃত দেহবল্লরী (কেলসিফাইড সিসটিসারকি) পাওয়া যায় । রোগ প্রতিরোধের প্রধান উপায় :
১. ভাল গোশ্ত দেখে খাওয়া।
২. ভালভাবে গোত সিদ্ধ করা।
৩. অসুস্থ গরু-মহিষের চিকিৎসা করা।
৪. যেখানে-সেখানে পায়খানা না করা ও
৫. সেনিটারী লেট্রিন ব্যবহার করা। চিকিৎসা : নিচের যে কোনও একটি ওষুধ ব্যবহার করা যাবে।
১. প্রাজিকোয়েন্টাল- সবচেয়ে কার্যকর। ডোজ প্রতি কিলোগ্রাম শারীরিক ওজনের জন্য ১০ মিলিগ্রাম। এ হিসেবে রোগীর ওজন নির্ণয় করে মোট ডোজ ঠিক করা হয়। মাত্র একবার মুখ দিয়ে খেতে হয়। ২. নিকলোসামাইড- সকালে খালি পেটে ২ বড়ি। কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই । ৩. ডাইক্লোরফেন- ৬ গ্রাম মাত্রার ওষুধ সকাল দশটায় একত্রে মুখে দিয়ে খেতে হয়। এতে কৃমির মাথা বা স্কোলেজ নষ্ট হয় । ৪. বিথিওনাল- সকালে খালি পেটে এক গ্রাম খেতে হয়। ঘণ্টাখানেক পর আরেক গ্রাম। দুই থেকে আট ঘণ্টার মধ্যে এটি খুব ভাল ফল দেয়।
এ ছাড়াও রয়েছে কুইনাক্রিন হাইড্রোক্লোরাইড নামের ওষুধ। তবে আজকাল ব্যবহার কম।
নোট ঃ ফিতাকৃমি খুব বড়ো সাইজের বলে এরা রোগীর দেহে স্বাভাবিক গঠন ও পুষ্টিতে ব্যাঘাত ঘটায়। সময়মতো চিকিৎসা করলে পূর্ণ সুস্থতা লাভ করা যায় ।

FOR MORE CLICK HERE
NTRCA COLLEGE LEVEL HISTORY/ইতিহাস গাইড/ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ইতিহাস
১০ তম বিসিএস -৪৪তম বিসিএস এর প্রশ্ন ও সমাধান 10th BCS to 44th Bcs MCQ Question Solution
বিসিএস ব্যাংক প্রাইমারি পরীক্ষার-এর প্রশ্ন ও সমাধান
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO বই লেখক : মোঃ মিজানুর রহমান
মাতৃস্বাস্থ্য/Motherhood
ওষুধ নির্দেশিকা
সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৫৬৩ টি হাদিস)
সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৪৫৩ টি হাদিস)
সুনানে তিরমিজি শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৩৯৫৬ টি হাদিস)
সুনানে নাসায়ী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫৭৫৮ টি হাদিস)
সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৪৩৪১ টি হাদিস)
সুনানে আবু দাউদ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫২৭৪ টি হাদিস)

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]