দুধ :দুধ মহান আল্লাহর এক অপার নিয়ামত কুরআন ও বিজ্ঞানে

দুধ : কুরআন ও বিজ্ঞানে
ডা. মুহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে বলেন : 'তোমাদের জন্যে চতুষ্পদ জন্তুদের মধ্যে চিন্তা করার অবকাশ রয়েছে। আমি তোমাদের পান করাই তাদের উদরস্থিত বস্তুসমূহের মধ্য থেকে গোবর ও রক্তনিঃসৃত বিশুদ্ধ দুগ্ধ যা পানকারীদের জন্য উপাদেয়।' (১৬ : ৬৬)
স্তন্যপায়ী প্রাণীদের প্রথম এবং প্রধান খাদ্যই হচ্ছে দুধ। দুধ একটি আদর্শ খাদ্য। শিশুরা মায়ের দুধ পান করে অনেকদিন পর্যন্ত জীবন ধারণ করে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষও দুধ পান করে বেঁচে থাকার উপকরণ সংগ্রহ করতে পারে। মানুষের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পূর্ণ লৌহ উপাদান না থাকায় বাইরে থেকে লৌহ সরবরাহ করলে দুধ খেয়ে তার পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব।
আল্লাহ্ বলেন, 'তোমাদের জন্য চতুষ্পদ জন্তুদের মধ্যে চিন্তা করার অবকাশ. রয়েছে।' আমরা যাদের কাছ থেকে আমাদের অন্যতম জীবনোপকরণ দুধ পাই তারা হচ্ছে চতুষ্পদ জন্তু। মানুষ হচ্ছে আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। জ্ঞানে- গুণে, বুদ্ধিতে-শিক্ষায় মননে মানুষের সমতুল্য কোনও জাতি আল্লাহ্ পৃথিবীতে সৃষ্টি করেননি। সেই শ্রেষ্ঠ জাতি মানুষের খাদ্য তিনি তৈরি করেছেন চতুষ্পদ জন্তুর স্তনে। যে স্তন থেকে চতুষ্পদ জন্তুর বাচ্চা দুধ খেয়ে জীবন ধারণ করে, সে স্তন থেকে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীবন মানুষের জন্য দুধ আহরিত হয়। মানুষকে মৃত্যুর পর আল্লাহ্র দরবারে হাজিরা দিয়ে ইহকালের কর্মের জবাবদিহি করতে হবে, এ জবাবদিহির উপর নির্ভর করে তাদেরকে বেহেশত বা দোযখের অনন্ত জীবনে প্রবেশ করতে হবে। চতুষ্পদ জন্তুদের বেলায় তা হবে না। ওখানে তাদেরকে অনন্ত জীবনে প্রবেশ করতে হবে না। দুনিয়ার জীবনই তাদের শেষ জীবন। কিন্তু দুনিয়াতে জীবন ধারণের বেলায় মানুষের জীবন ও পশুর জীবনকে দুধের উপর নির্ভরশীল করে পশুকে আল্লাহ্র সৃষ্টির অঙ্গ হিসেবে মেনে নিতে মানুষকে বাধ্য করা হয়েছে। মানুষ যেমন আল্লাহ্র এক সৃষ্টি, "পশুও তেমনি তারই সৃষ্টি। মর্যাদা হিসেবে মানুষ ও পশুর মাঝে বিরাট ব্যবধান থাকলেও সৃষ্টি হিসেবে মানুষ ও জন্তু আল্লাহ্র কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। জন্তুর
দুধ
মানুষের খাদ্য হিসেবে নির্বাচিত করার মাঝে রয়েছে এক অলৌকিক দর্শন। এক সৃষ্টির প্রতি আরেক সৃষ্টির মহব্বত বা মমত্ববোধ তৈরি করার এ যে এক অভূতপূর্ব কৌশল । এখানে নিহিত রয়েছে হক্কুল ইবাদ-এর গূঢ় রহস্য। চতুষ্পদ জন্তুদের মাঝে চিন্তা করার যে অবকাশ রয়েছে বলে আল্লাহ্ বর্ণনা করেন এটি তাঁর একটি নিদর্শন। -
চতুষ্পদ জন্তুদের স্তন থেকে দুধ আহরিত হয়। এখানেও মানুষের জন্য চিন্তা করার যথেষ্ট খোরাক রয়েছে। চতুষ্পদ জন্তুরা ঘাস, লতা-পাতা খেয়ে জীবন ধারণ করে। ঘাস আর লতা-পাতাকে বেঁটে রস বের করলে তা থেকে এক ফোঁটা দুধ তৈরি করা যাবে না। যেটুকু খাদ্য খেয়ে চতুষ্পদ জন্তু যে পরিমাণ দুধ সরবরাহ করে বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় সে বস্তু থেকে তার এক-দশমাংস দুধ কোনমতেই উৎপাদন করা সম্ভব নয় । শুধু খাদ্য পেলেই দুধ তৈরি হয় এমন নয়, খাদ্য না পেলেও চতুষ্পদ জন্তুর স্তন থেকে দুধ পাওয়া যায়। খাদ্যের প্রাচুর্যের সাথে দুধের পরিমাণের হেরফের হয় মাত্র। এ যে আল্লাহর আরেক অপূর্ব হিকমতপূর্ণ কৌশল! মানুষের চিন্তার অতীত এ প্রক্রিয়া। পশুর স্তন ও দেহ যেন এক স্বয়ংক্রিয় দুগ্ধ উৎপাদন কারখানা! এ কারখানার সাথে মানুষের তৈরি কোন কারখানারই তুলনা হতে পারে না। আল্লাহ বলেন, 'আমি তোমাদের পান করাই তাদের উদরস্থিত বস্তুসমূহের মধ্য থেকে গোবর ও রক্তনিঃসৃত বিশুদ্ধ দুগ্ধ.... । হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) বলেন, 'জন্তুর ভক্ষিত ঘাস তার পাকস্থলিতে একত্রিত হলে পাকস্থলি তা সিদ্ধ করে। পাকস্থলির এই ক্রিয়ার ফলে খাদ্যের বিষ্ঠা নিচে বসে যায় এবং দুধ উপরে থেকে যায়। দুধের উপরে থাকে রক্ত। এরপর যকৃত এই তিন প্রকার বস্তুকে পৃথকভাবে তাদের স্থানে ভাগ করে দেয়। রক্তকে পৃথক করে রগের মধ্যে পরিচালিত করে এবং দুধ পৃথক করে জন্তুর স্তনে পৌঁছে দেয়। এখন পাকস্থলিতে শুধু বিষ্ঠা থেকে যায়- যা গোবর হয়ে বের হয়ে আসে।' 1 জন্তুর স্তন তার পেটের নিচের দিকে অবস্থিত। স্তনে রয়েছে পর্যাপ্ত রক্তনালী এ রক্তনালী পুরো স্তনে রক্ত সরবরাহ করে আবার স্তন থেকে টেনে নিয়ে হৃদয়ে (হার্টে) স্থানান্তর করে। এ সকল রক্তনালির গা ঘেঁষেই অবস্থান করে স্তনের দুগ্ধনালী। এ সকল নালী থেকে বেরিয়ে আসে নির্ভেজাল খাঁটি দুধ। স্তনের উপরিভাগে থাকে জন্তুর বৃহৎ পেট। তার মাঝে থাকে তার পাকস্থলি, বৃহদান্ত্র, ক্ষুদ্রান্ত্র, মলভাণ্ড প্রভৃতি। এগুলোর কাছাকাছি স্থান থেকে আল্লাহর সীমাহীন কুদরতে বেরিয়ে আসে দুধ। জন্তুর উদরস্থিত বিভিন্ন খাদ্য ও পানীয় এবং কারিগরি সমন্বয় ও সহযোগিতায় দুধ তৈরি হয়। এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন, 'তাদের উদরস্থিত বস্তুসমূহের মধ্য থেকে'। যে খাদ্য থেকে গোবর ও রক্ত তৈরি হয়, সে খাদ্যই দুধ তৈরিতে সহায়তা করে- যার কারণে আল্লাহ বলেন, 'বস্তুসমূহের মধ্য থেকে গোবর ও রক্তনিঃসৃত দুগ্ধ'।
আল্লাহ একই আয়াতে আরো বলেন, 'যা পানকারীদের জন্য উপাদেয়। আধুনিক বিজ্ঞানীদের মতে দুধের মত উপাদেয় খাদ্য আর দ্বিতীয়টি নেই। দুধ একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ খাদ্য। তাই দুধকে বলা হয় আদর্শ খাদ্য। বিভিন্ন জন্তুর দুধে অবস্থিত বিভিন্ন পদার্থে ও রঙে কিছুটা পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। গরুর দুধ হালকা সাদা, ক্যাঙারুর দুধ লাল ও মহিষের দুধ গাঢ় সাদা। তবে গুণের দিক দিয়ে দুধে মৌলিক তেমন কোন পার্থক্য নেই। গরুর দুধ, ছাগলের দুধ ও মহিষের দুধের শতকরা ১০০ ভাগই পানের উপযোগী। গরুর দুধে জলীয়াংশ থাকে ১০০ গ্রামে ৮৭.৫ গ্রাম, ছাগলের দুধে ৮৬.৮ গ্রাম ও মহিষের দুধে ৮১ গ্রাম। এ কারণেই দুধ হয় তরল এবং কমবেশি ঘনত্বপ্রাপ্ত। গরুর দুধে আমিষ থাকে ৩.২ গ্রাম, ছাগলের দুধে ৩.৩ গ্রাম, মহিষের দুধে ৪.৩ গ্রাম। গরু এবং ছাগলের দুধে আমিষের পরিমাণের পার্থক্য নগণ্য হলেও মহিষের দুধের পার্থক্য একটু বেশি। আমিষ মানবদেহের ক্ষয়পূরণ করে, বৃদ্ধি ঘটায়, পুষ্টি সাধন করে; জারক রস, হর্মোন, কিছু শক্তি ও তাপ উৎপাদনে সহায়তা করে, রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণ করে, রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে, মাংসপেশী গঠন করে। আমিষের উদ্বৃত্ত অংশ শর্করা বা চর্বিতে পরিণত হতে পারে। গরুর দুধে চর্বির পরিমাণ থাকে ৪.১ গ্রাম, ছাগলের দুধে ৪.৫ গ্রাম এবং মহিষের দুধে ৮.৮ গ্রাম। গরু ও ছাগলের দুধে চর্বির পরিমাণ কাছাকাছি হলেও মহিষের দুধে চর্বির পরিমাণ বেশি। চর্বি মানব শরীরে শক্তি ও তাপ উৎপাদন করে, চর্মের কোমলতা ও মাংসের নমনীয়তা রক্ষা করে। চর্মের ও মাংসের মেদ বৃদ্ধি করে সৌন্দর্য ও শরীরের গঠনের সৌকর্য বৃদ্ধি করে। দুধে বিভিন্ন খনিজ পদার্থও বিদ্যমান। এর হার গরু, ছাগল ও মহিষে একই অর্থাৎ ০.৮ গ্রাম। খনিজ পদার্থ দেহ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। গরুর দুধে শর্করা জাতীয় পদার্থ থাকে ৪.৪ গ্রাম, ছাগলের দুধে ৪.৬ গ্রাম এবং মহিষের দুধে ৫ গ্রাম । শর্করা দেহে তাপ ও শক্তি উৎপাদন করে, দেহের ওজন বাড়ায়।
গরুর দুধে ক্যালোরীর পরিমাণ ৬৭, ছাগলের দুধে ৭২ এবং মহিষের দুধে ১১৭। মহিষের দুধ এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ক্যালোরী সরবরাহ করে। ক্যালোরী হচ্ছে শক্তির একক । মানুষ ভিটামিনের অভাবে মারা যায় না কিন্তু ক্যালোরীর অভাবে মারা যায় । দুধ প্রয়োজনীয় ক্যালোরী সরবরাহ করে মানুষকে বেঁচে থাকতে সহায়তা করে। এ ছাড়া দুধে আরো অনেক প্রয়োজনীয় মূল্যবান পদার্থ রয়েছে। গরুর দুধে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ১২০ মিলিগ্রাম, ছাগলের দুধ ১৭০ মিলিগ্রাম, মহিষের দুধে ১২০ মিলিগ্রাম। ফসফরাসের পরিমাণ গরুর দুধে ৯০ মিলিগ্রাম, ছাগলের দুধে ১২০ মিলিগ্রাম, মহিষের দুধে ১৩০ মিলিগ্রাম। ক্যারটিন গরুর দুধে ৪৯৭ মাইক্রোগ্রাম, ছাগলের দুধে ১৮২ মাইক্রোগ্রাম আর মহিষের দুধে ১৬০ মাইক্রোগ্রাম ।
সকল দুধেরই সাধারণ গুণ হচ্ছে বলবর্ধক, আয়ুবর্ধক, স্মৃতিশক্তিবর্ধক, ক্লান্তি, নিদ্রাকারক এবং ত্রিদোষনাশক। প্রাতঃকালে দুধ পান করলে অগ্নিবৃদ্ধি, শারীরিক পুষ্টিবৃদ্ধি ও শুক্র বৃদ্ধি পায়। মধ্যাহ্নে দুধ পান করলে বল বৃদ্ধি ও কফ নাশ হয়। রাত্রে দুধ পান করলে মানসিক শান্তি বৃদ্ধি হয়, আরামপ্রদ নিদ্রা হয়। শৈশব, বাল্য, কৈশোর যৌবন ও বার্ধক্য সকল বয়সেই দুধ পান করা হিতকর। গরুর দুধ বাত, পিত্ত, রক্তদোষ, হৃদরোগ, বেরিবেরি ও ন্যাফ্রাইটিস রোগে উপকার করে। ছাগলের দুধ মলরোধক এবং তা রক্তাতিসার ও রক্ত আমাশয়ে উপকার করে। মহিষের দুধ রক্তপিত্ত ও দাহ নাশ করে।
দুধ থেকে তৈরি হয় দধি, ঘি, মাখন, পনির, ঘোল প্রভৃতি। নানা প্রকার মিষ্টি ও খাদ্য তৈরিতেও দুধ ব্যবহৃত হয়। এগুলো মানব শরীরের জন্য উপাদেয় ও হিতকর। মিষ্টি দই মধুর রস সরবরাহকারক, শুক্রবর্ধক, বায়ুনাশক, রক্তপিত্তের শান্তিদায়ক, পুষ্টিকর ও কফনাশক। তা মেদ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। অম্ল বা টক দই অগ্নিবর্ধক, পিত্ত, রক্ত ও কফ বর্ধক, মলরোধক, শোথজনক, পুষ্টিকর ও অরুচিনাশক। ঘি শরীরে চর্বি সরবরাহের এক শ্রেষ্ঠ উৎস। চতুষ্পদ জন্তুর দুধ থেকে তৈরি সকল ঘি-ই আয়ু বাড়ায়, দেহের দৃঢ়তা বাড়ায়, শীত নাশ করে, বল বাড়ায়, কাশি, সৌকুমার্য বৃদ্ধিসহ স্মৃতিশক্তি বর্ধিত করে। রক্তপিত্তে, নেত্ররোগে, শুক্ররোগে ঘি বিশেষ উপকারী । পুরাতন ঘি আক্রান্ত স্থানে মালিশ করলে ব্যথা-বেদনা ও পুরনো সর্দি উপশম হয় ।
ঘোল ত্রিদোষনাশক, রুচিবর্ধক, শ্রান্ত-ক্লান্তি হরণকারক, বমন, অতিসার, গ্রহণী, অগ্নিমান্দ্য, কলেরা, বাত, জ্বর, ন্যাবা, প্রমেহ, উদর ও কোষ্ঠ সংক্রান্ত রোগের বিশেষ উপকারী
দুধ প্রকৃতপক্ষে এক উপকারী নিয়ামত। দুধ প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গেলে মায়ের দুধের প্রসঙ্গ আসে। আল্লাহ্ পবিত্র কুরআনে বলেন, 'আর সন্তানবতী নারীরা তাদের সন্তানকে পূর্ণ দু'বছর দুধ খাওয়াবে, যদি দুধ খাওয়াবার পূর্ণ মেয়াদ সমাপ্ত করতে চায়।- সূরা বাকারা : ২৩৩ আয়াত । আল্লাহ্ তা'আলা পবিত্র কুরআনের সূরা আহকাম-এর ১৫ নং আয়াতের এক স্থানে বলেন, “.... তার জননী তাকে কষ্ট সহকারে গর্ভে ধারণ করেছে এবং কষ্ট সহকারে প্রসব করেছে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য ছাড়াতে লেগেছে ত্রিশ মাস।.......” ইমাম আবু হানিফা (র) কুরআনের কোনও কোনও আয়াত ও হাদীসের আলোকে শিশুর দুর্বলতার ক্ষেত্রে ত্রিশ মাস পর্যন্ত শিশুকে স্তন্যদান করার পক্ষে মত প্রকাশ করেন ৷ ফলে শিশুর জন্ম পরবর্তী আড়াই বছর শিশুর প্রথম এবং প্রধান খাদ্যই থাকে মায়ের দুধ। মায়ের দুধ শিশুর জন্য একটি আদর্শ খাদ্য। শিশুর জন্য মায়ের দুধের কোনও বিকল্প নেই। শিশুর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জীবাণু ধ্বংসকারী
ল্যাকটোফেরিন, কেনডিডা, এলকিবেকনস জাতীয় ফাংগাস ও ইকোলাই, মিগোলা জাতীয় জীবাণুর বিস্তৃতি প্রতিরোধ করে। রক্তে ভাসমান লৌহ কণিকার সংগে যুক্ত হয়ে জীবাণু বেঁচে থাকে ও বিস্তৃতি লাভ করে। মায়ের দুধে লৌহের উপস্থিতি না থাকায় জীবাণু সংক্রমণ প্রতিহত হয়। মায়ের দুধে পলি আনস্যাচুরেবেজ চর্বি বেশি থাকে। এ চর্বি শিশু সহজেই হযম করতে পারে। শিশুর কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের আবরণের জন্য অতি প্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল মায়ের দুধে বেশি থাকে। মায়ের দুধে থাকে দুধের চর্বি হযমের জন্য প্রচুর লাইসেস্ জাতীয় এনজাইম। মায়ের দুধে থাকে প্রয়োজনীয় ল্যাকটোজি, উপরন্তু বিফিডাস ফ্যাক্টর নামক এক ধরনের বিশেষ শর্করা থাকে চল্লিশ গুণ বেশি। তা ছাড়া মায়ের দুধে থাকে পানি, আমিষ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্লোরাইড, ভিটামিন, এ্যামাইনো এসিড, হিস্টিডিন, লিউসিন, থ্রিওনিন প্রভৃতি পদার্থ।
মায়ের দুধ যেমন উপাদেয় তেমনি উপকারী। মা ও শিশুর মধ্যে স্নেহের বন্ধন দৃঢ় করে এ দুধ। মায়ের কর্তব্য সচেতনতা বৃদ্ধি করে। শিশুর বাঁচার উপকরণ এ দুধ। এ দুধ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফলে শিশু হয় সুস্থ, সবল, স্বাস্থ্যবান ও উজ্জ্বল । মায়ের দুধ পানকারী শিশুদের উদরাময়, ফ্লু ও চর্মরোগ হয় না। নিয়মিত দুধ দানকারী মায়ের স্তন্য ক্যান্সারের আশংকা থাকে না । দুধ মায়েরই হোক বা চতুষ্পদ প্রাণীরই হোক, আল্লাহ্ পক্ষ থেকে আমাদের জন্য বিশেষ নিয়ামত। কুরআন দুধের প্রশংসা করেছে, দুধ প্রকৃতপক্ষেই মানুষের প্রভূত কল্যাণ সাধন করে। কুরআনের কথার সত্যতা বিজ্ঞানেও স্বীকৃত। ফলে এ কথা দিবালোকের মত স্পষ্ট যে দুধ প্রসঙ্গে বিজ্ঞান কুরআন-বর্ণিত আল্লাহ্র বাণীরই সত্যতার প্রতিধ্বনি করে।

FOR MORE CLICK HERE
NTRCA COLLEGE LEVEL HISTORY/ইতিহাস গাইড/ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ইতিহাস
১০ তম বিসিএস -৪৪তম বিসিএস এর প্রশ্ন ও সমাধান 10th BCS to 44th Bcs MCQ Question Solution
বিসিএস ব্যাংক প্রাইমারি পরীক্ষার-এর প্রশ্ন ও সমাধান
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO বই লেখক : মোঃ মিজানুর রহমান
মাতৃস্বাস্থ্য/Motherhood
ওষুধ নির্দেশিকা
সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৫৬৩ টি হাদিস)
সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৪৫৩ টি হাদিস)
সুনানে তিরমিজি শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৩৯৫৬ টি হাদিস)
সুনানে নাসায়ী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫৭৫৮ টি হাদিস)
সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৪৩৪১ টি হাদিস)
সুনানে আবু দাউদ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫২৭৪ টি হাদিস)

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]