ডেঙ্গু : প্রয়োজন সামাজিক ও ব্যক্তিগত উদ্যোগ ডেঙ্গু জ্বর রোধে সচেতনতা ও সামাজিক দায়িত্ব

ডেঙ্গু ঃ প্রয়োজন সামাজিক ও ব্যক্তিগত উদ্যোগ
রশিদ আহাম্মদ
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ ডেঙ্গু জ্বর। বিভিন্ন মিডিয়া ও চিকিৎসক সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, পূর্ববর্তী বছরগুলোর তুলনায় এ মওসুমে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। তুলনামূলক হারে শিশুরাই আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। সরকারি-বেসরকারি সূত্রগুলি থেকে প্রাপ্ত হিসাব মতে দেখা যায় এ পর্যন্ত (নিবন্ধটি লেখাকালীন সময়ে) সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩ হাজার ৫৬৩ জন। আর মৃতের সংখ্যা ৩৯ জন। মাসাধিককালেরও বেশি সময় ধরে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ শুরু হয়েছে এবং তা ক্রমশ ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। দিন দিন যে হারে এই জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে দেশবাসীর আতঙ্কিত হবারই কথা। তবে জ্বর বলেই 'ডেঙ্গু জ্বর' তা মানতে নারাজ চিকিৎসক মহল। তাদের সুস্পষ্ট ঘোষণা- এতে আতঙ্কিত হবার কিছু নাই। এবার আবহাওয়ার কারণে অর্থাৎ অধিক পরিমাণে বৃষ্টিপাতের কারণেই ডেঙ্গু জীবাণুবাহী এডিস মশা বৃদ্ধি পেয়ে থাকতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে ডেঙ্গু মশাবাহিত ভাইরাস রোগ। এডিস (Aedes aegypti) প্রজাতির একটি মশার মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। এ মশা নিলাভ কালো দেহে সাদা ডোরাকাটা দাগসম্পন্ন হয়ে থাকে। এ মশা সধারণত দিনের বেলা কামড়ায়। চার ধরনের ভাইরাসে এ রোগ হয়। এক ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ওই দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই। পরবর্তী সাত-আট মাস দ্বিতীয় কোনও ভাইরাস আক্রমণ করে না। তবে দ্বিতীয়বার ইনফেকশন হলে সাধারণত মারাত্মক ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর হয়। সে জন্যই ডেঙ্গু হেমোরেজি জ্বরের রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
লক্ষণসমূহ
তীব্র জ্বর যা ১০৪ থেকে ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্তও হয়ে থাকে। সেইসঙ্গে প্রচণ্ড মাথাব্যথা, সারা শরীর ব্যথা, চোখের পিছনে তীব্র ব্যথা, পিঠ ও হাড়ের মধ্যে ব্যাথা, বমি অথবা বমি বমি ভাব, মাত্রাতিরিক্ত ঘাম নির্গত হওয়া, তীব্র পেট ব্যথা এবং অনেক সময় শরীরের বিভিন্ন জায়গায় র্যাশও দেখা যায়। আবার কখনও কখনও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় যেমন চামড়ার নিচে, দাঁতে, নাকে, চোখে, ঠোঁটে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এই অবস্থায় তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।
ব্যবস্থাপনা
১. বিশেষজ্ঞদের মতে যেহেতু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ৩/৪ দিনের মধ্যে রক্তে কোন পরিবর্তন হয় না, সেহেতু জ্বরে আক্রান্তকে পর্যাপ্ত পানি পান করাতে হবে, যাতে রোগীর পানিশূন্যতা না দেখা দেয়, এছাড়া উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে। প্যারাসিটামল দেয়া যেতে পারে। রক্তক্ষরণের প্রবণতা বাড়ায় বলে এসপিরিন দেয়া যাবে না।
২. জ্বর জটিলতার দিকে মোড় নিলে (রক্তবমি, রক্তক্ষরণ) হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। প্রচুর পরিমাণ ফ্লুইড খাওয়া যেতে পারে।
৩. ডেঙ্গু রোগীর প্লাটিলেট কাউন্ট নিয়ে অযথা দুশ্চিন্তার প্রয়োজন নেই। রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ ১৫ থেকে ২০ হাজারের মধ্যে নেমে গেলে তখনই এটা দেয়া যেতে পারে। অবশ্য রক্তক্ষরণ এবং হেমোরেজিক উপসর্গ দেখা দিলে আগেও এটা দেয়া যাবে আর এই প্লাটিলেট দিতে হবে 'রানিং ফর্মে'। অন্যথায় এটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ড্রপ বাই ড্রপ নয় ।
৪. এর প্রতিষেধকের ব্যাপারে থাইল্যান্ডের মহিদল ইনিভার্সিটিতে বিশেষজ্ঞরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ৫. ডেঙ্গু জ্বরে স্টেরয়েড এবং এন্টিবায়োটিক ভূমিকা সম্পর্কে এখনও তেমন কিছু জানা যায়নি।
প্রতিরোধ
এডিস মশা ডমেস্টিক বা গৃহপালিত। দেয়ালের কোণে, দরজার ফাঁকে ও পর্দার ভাঁজে সেঁটে থাকে এডিস। মশার ডিম পাড়ার বা লার্ভা জন্মাবার জায়গা হলো জলকান্দা, ডিমের খোসা, নারিকেলের খোসা, গাড়ির পরিত্যাক্ত টায়ার ও ফুলের টবে জমা-থাকা পানি এবং বাসার পাশে জমানো আবর্জনা। এ সমস্ত জায়গায় যাতে এডিস মশা ডিম পেরে বংশ বৃদ্ধি না করতে পারে সেদিকে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রতিরোধ ও প্রতিকার দুটির জন্যই দরকার গণসচেতনতা।

FOR MORE CLICK HERE
NTRCA COLLEGE LEVEL HISTORY/ইতিহাস গাইড/ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ইতিহাস
১০ তম বিসিএস -৪৪তম বিসিএস এর প্রশ্ন ও সমাধান 10th BCS to 44th Bcs MCQ Question Solution
বিসিএস ব্যাংক প্রাইমারি পরীক্ষার-এর প্রশ্ন ও সমাধান
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO বই লেখক : মোঃ মিজানুর রহমান
মাতৃস্বাস্থ্য/Motherhood
ওষুধ নির্দেশিকা
সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৫৬৩ টি হাদিস)
সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৪৫৩ টি হাদিস)
সুনানে তিরমিজি শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৩৯৫৬ টি হাদিস)
সুনানে নাসায়ী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫৭৫৮ টি হাদিস)
সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৪৩৪১ টি হাদিস)
সুনানে আবু দাউদ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫২৭৪ টি হাদিস)

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]