ইসলামে আর্তমানবতার সেবা মানব সেবা নিয়ে ইসলামিক উক্তি

ইসলামে আর্তমানবতার সেবা
মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম
ইসলাম মানবতার আদর্শ। মানুষের কল্যাণ সাধনই ইসলামের কাম্য। জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে আর্ত-মানবতার সেবা দীন ইসলামের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য। সমাজ হতে অত্যাচার অনাচার বিশৃংখলা ও ভেদাভেদ দূর করে একটি সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য ইসলামের আবির্ভাব। গোটা মানব জাতিকে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ করে দুনিয়ায় সত্যিকার শান্তি --- ইসলামের কাম্য। ইসলামে শাসক-শাসিতে বা ধনী- দরিদ্রে কোনও ভেদাভেদ নেই। সবাই সমান, পরস্পর পরস্পরের ভাই, আপদে-বিপদে একে অন্যের সহায়ক। আর্ত-মানবতার সেবা বা খেদমতে খালক মহানবী (সা)-এর আদর্শের উত্তরাধিকার। এখন থেকে চৌদ্দশ বছর পূর্বে স্বয়ং মহানবী (সা) সমাজের নিরন্ন ও দুঃখী মানুষের সেবা ও রহমতের জন্য 'হিলফুল ফুজুল' নামে একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন, স্বাধীনভাবে কিংবা বিক্ষিপ্তভাবে হলেও যুগে যুগে মহানবী (সা)-এর অনুসারিগণ কর্তৃক এই গণ কর্মধারা অব্যাহত থেকেছে। এটি ইতিহাস স্বীকৃত সত্য যে দীন ইসলামের প্রচার ও প্রসার ঘটেছে মূলত ধর্মপ্রাণ মুসলমান, আলেমে দীন, মুবাল্লিগদের সৎ উপদেশ, শান্তির অমীয় শুদ্ধ চারিত্রিক মাধুর্য, দয়া দাক্ষিণ্য এবং সেবা, জনকল্যাণ ও সাহায্যের মাধ্যমে। শুধু আত্মিক উন্নয়ন বা তাত্ত্বিক আলোচনা নয়, সেবামূলক কাজের উপর ইসলাম বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। বস্তুত মানুষের কল্যাণ সাধনই যে ইসলামের প্রধান কাম্য, তার উপর কুরআন মজীদেও বিশেষ তাগিদ দেয়া হয়েছে। অথচ আত্মকেন্দ্রিক (Self-centred) এ সমাজে সেবামূলক কর্মকাণ্ডের প্রতি যতটা গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন ছিল তা দেয়া হচ্ছে না। পরিতাপের বিষয় হলেও এ কথা সত্য যে, ইসলামের সেবা কর্মকাণ্ডের মহান বৈশিষ্ট্য তার অনুসারীদের মাঝে দিন দিন যেন গৌণ থেকে গৌণতর হতে চলেছে, বরং একবারে শূন্যের কোঠার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বললেও মনে হয় খুব একটা অত্যুক্তি হবে না। আর এজন্যেই মানুষ আজ নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। অথচ মানুষকে ভালবাসলে আল্লাহ সবচেয়ে বেশি খুশি হন। মানুষকে নিয়েই তো আল্লাহ্র সব আয়োজন, এই দুনিয়া, আকাশ মহাবিশ্ব সবকিছুই আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন মানুষের জন্য। নবী-রাসূলরা এসেছিলেন মানুষের কল্যাণের জন্যই ।
ইসলামের একজন অনুসারীর রবুবিয়াত বা আল্লাহর একত্ববাদকে স্বীকার করার পর যমীনে আল্লাহ্র খলীফা হিসেবে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য দ্বিবিধ। এক. নিজের প্রতি কর্তব্য, অপরের প্রতি কর্তব্য। প্রথমটি হক্কুল্লাহ বা আল্লাহ্র প্রাপ্য এবং দ্বিতীয়টি হক্কুল ইবাদ আল্লাহ্র বান্দাহর প্রাপ্য। হক্কুল্লাহ আসলে নিজের জন্যই। কারণ মহান আল্লাহ অসীম ও অসীম ক্ষমতার মালিক। তিনিই সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। কাজেই তিনি কারও নিকট কিছু পাওয়ার জন্য মুখাপেক্ষী নন। নিজের মুক্তির জন্যই মানুষকে হক্কুল্লাহ বা আল্লাহ্র প্রাপ্য করতে হয়। যেমন- নামায, যাকাত, রোযা, হজ্জ, তসবীহ, তাহলিল ইত্যাদি। অপরদিকে হক্কুল ইবাদ বা আল্লাহ্র বান্দার প্রাপ্য বা খিদমতে খালকের দায়িত্ব পালন করা ফরয। আর মহাপরাক্রমশালী এবং দয়ালু হিসাবে হয়ত স্বীয় প্রাপ্য ছেড়ে দিতে পারেন এ এখতিয়ার রয়েছে কিন্তু হক্কুল ইবাদ বা তাঁর বান্দার প্রাপ্য যদি কেউ আদায় না করে, তা আল্লাহ মাফ করবেন না- যতক্ষণ না ঐ বান্দাহ তা মাপ করে দেয় সে প্রাপ্য কম বা বেশি যাই হোক। বস্তুত আন্তরিকতার সাথে হক্কুল ইবাদ আদায় করা ইসলামী সমাজ জীবন যাপনে শর্ত। এ ক্ষেত্রে ইসলামের নির্দেশ এত দৃঢ় যে, গৃহদ্বারে মানবেতর প্রাণী একটি কুকুর উপবাসী রেখে নিজে উদর পূর্ণ করে আহার করা মুসলমানের জন্য নাজায়েয। কুরআন পাকে বলা হয়েছে যারা, ইয়াতীমের প্রতি বিরূপভাবাপন্ন, যারা ক্ষুধার্তকে অনুদানে বিমুখ এবং যারা প্রতিবেশীর উপকারের প্রতি উদাসীন, সে সকল ইবাদতকারী অভিশপ্ত। কুরআনে বলা হয়েছে :
১১. অতঃপর সে ধর্মের ঘাঁটিতে প্রবেশ করেনি।
১২. আপনি জানেন, সে ঘাঁটি কি ?
১৩. তা হচ্ছে দাসত্বশৃংখল থেকে মুক্তি
১৪. অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে অনুদান
১৫. ইয়াতীম আত্মীয়কে
১৬. অথবা ধূলি-ধূসরিত মিসকীনকে
(সূরা আল-বালাদ : ১১-১৬ আয়াত)
“সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পাশ্চিম দিকে মুখ করবে বরং বড় সৎকাজ হল এ যে, ঈমান আনবে আল্লাহ্র উপর, কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রাসূলের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তারই মহব্বতে আত্মীয়-স্বজন ইয়াতীম, মিসকীন, মুসাফির, ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্য।” (সূরা আল বাকারা : ১৭৭)
আর্তমানবতার সেবা, পারস্পরিক দায়িত্ববোধ এবং প্রতিবেশীর প্রতি কর্তব্য সম্পাদনে নবী মুহাম্মদ (সা) এবং তাঁর অনুসারী সাহাবায়ে কিরাম অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। এখানে উল্লেখ্য যে আর্তমানবতার সেবার বহু দিক রয়েছে। সমাজের প্রতিটি মানুষের মধ্যে সকলের মঙ্গলের জন্য, সেবার জন্য চেতনাবোধ জাগিয়ে তোলাও আর্তমানবতার সেবার অন্তর্ভুক্ত। পরস্পর পরস্পরকে আপদে-বিপদে সাহায্য করা ও সমবেদনা প্রকাশ আর্তমানবতার সেবার সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য দিক।
মহানবী (সা) বলেছেন : গরীব-দুঃখী ও বিধবা নারীদের খিদমতগারের মর্যাদা ও সম্মান আল্লাহ্র পথে জিহাদকারী অথবা রাত্রিভর নামায আদায়কারী ও দিনভর রোযা পালনকারীর মর্যাদার সমপর্যায়ভুক্ত। মহানবী (সা) আরো বলেছেন : মানুষের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি হচ্ছে সেই যে সেবা ও জনকল্যাণমূলক কাজ করে থাকে।
অন্য একটি হাদীসে আছে, হুযূর (সা) বলেছেন : যারা মানুষকে অনুদান করে এবং সালামের জবাব দেয় তারাই তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ।
অন্য আর একটি হাদীসে মহানবী (সা) বলেছেন : যে ব্যক্তি আপন ভাইয়ের অভাব দূর করার চেষ্টা করবে, আল্লাহ তার অভাব দূর করবেন। যে ব্যক্তি আপন মুসলিম ভাইয়ের বিপদ দূর করবে, আল্লাহ পাক কিয়ামতের দিন তার কঠিনতর বিপদ দূর করবেন । মহানবী (সা) আরো বলেছেন : ঐ ব্যক্তি মু'মিন নয় যে নিশ্চিন্তে পেট ভরে খায় অথচ তার প্রতিবেশী অভুক্ত থাকে।
তিনি আরো বলেছেন : কোন ব্যক্তিকে খাওয়ানো সর্বাপেক্ষা নেকীর কাজ।
রাসূল (সা) বলেছেন : যারা অন্যের প্রতি সমবেদনা ও করুণা দেখায়, আল্লাহ তাদের উপর দয়া করেন। বস্তুত প্রিয়নবী (সা) তাঁর এসব বাণীকে বাস্তবেও আমল করেছেন। তাঁর জীবনের সমগ্র দিকই সেবামূলক কাজে ভারপুর। যে বুড়ী শত্রুতা করে মহানবী (সা)-এর পথে কাঁটা বিছিয়ে রাখত তিনি অসুস্থতার সময় তার সেবা করেছিলেন। যে মক্কাবাসী একদিন নিজ মাতৃভূমি হতে তাকে তাড়িয়ে দিয়েছিল, মক্কা বিজয়ের পর তিনি তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। দয়া ও সেবায় যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত মহানবী (সা) প্রদর্শন করেছিলেন, তা পৃথিবীতে কেউই দেখাতে পারেনি।
একজন মু'মিনের উপর অন্য একজন মু'মিনের ছয়টি দাবির কথা ইসলামে রয়েছে।
১. একজন রুগ্ন হলে অন্যজন তার সেবা করবে।
২. একজনের মৃত্যু হলে অন্যজন তার জানাযায় শরীক হবে।
৩. একজন ডাকলে অন্যজন সাড়া দেবে।
৪. পরস্পর সাক্ষাৎ হলে একে অন্যের মঙ্গল কামনা করবে অর্থাৎ সালাম দেবে। ৫. একজনের হাঁচি উঠলে অন্যজন বলবে : আল্লাহ আপনার উপর দয়া করুন। ৬. একজন অন্যজনের সাক্ষাতে ও অসাক্ষাতে সর্বদা পরস্পরের মঙ্গল কামনা করবে।
মহানবী (সা) বলেছেন : যে আমার কোনও উম্মতকে খুশি করার জন্য তার অভাব মোচন করল, সে আমাকেই যেন খুশি করল এবং যে আমাকে খুশি করল সে আমার আল্লাহকে খুশি করল। আর যে আল্লাহকে খুশি করে আল্লাহ তাকে বেহেশতে দাখিল করেন।
আর্তমানবতার সেবার ইসলামী রূপ

১. পারস্পরিক অধিকার ও সম্পর্কের মাধ্যমে সেবা
০ ক. মানুষের সাথে স্রষ্টার সম্পর্কের কারণে সেবা
০ খ. মানুষের সাথে মানুষের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পর্কের কারণে সেবা
• স্ত্রীর স্বামীর সম্পর্ক
• সন্তানের সাথে পিতা-মাতার সম্পর্ক
০ ভাই-বোনের সম্পর্ক
• অন্যান্য আত্মীয়তার সম্পর্ক
গ. মানুষের সাথে মানুষের সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের প্রেক্ষিত
০ আত্মীয়-অনাত্মীয়ের সম্পর্ক
• ছোট-এর সাথে বড়-এর সম্পর্ক
• ভৃত্যের সাথে মনিবের সম্পর্ক
০ প্রতিবেশীর সাথে প্রতিবেশীর সম্পর্ক
• পাওনাদারে সাথে দেনাদারের সম্পর্ক
০ অভাবীর সাথে বিত্তবানের সম্পর্ক
ঘ. ব্যক্তিগত স্বভাব ও আচরণের মাধ্যমে সেবা
১. স্নেহ ও শাসন
২. ক্ষমা বনাম প্রতিশোধ
৩. কৃপণতা বনাম অপচয় ৪. সহনশীলতা বনাম প্রতিরোধ
৫. ক্ষমতা বনাম দায়িত্ব
৬. ভালবাসা ও শত্রুতা
৭. ক্ষুধা ও ভোজনের ইসলামী নিয়ম-নীতি
২. প্রতিষেধাত্মক পদক্ষেপ ও শিক্ষার মাধ্যমে সেবা
ক. সম্পদ অর্জন, ভোগ ও বণ্টনে সুনির্দিষ্ট শিক্ষা : ইসলামী নীতির আওতায় সৎ পন্থায় সম্পদ অর্জন ও ভোগ করতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে সমস্ত হারাম ও অবৈধ পন্থা পরিহার করতে হবে। শোষণমূলক পন্থায়, বঞ্চনা চালিয়ে বা অন্যকে ঠকিয়ে আর্তমানবতার নামে ধনী হওয়ার প্রক্রিয়া ইসলামে নেই। খ. হারাম পন্থায় অর্থ উপার্জন নিষিদ্ধ : ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী হারাম অথচ সম্মানজনক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা অবৈধ ও বেআইনী। জুয়া, লটারী, কালোবাজারী, মুনাফাখোরী, চোরাচালান, হারাম পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি, ওজন ও পরিমাপে কম -- ভেজাল পণ্য বিক্রি করা, বেশ্যাবৃত্তি, অশ্লীলতা প্রসারকারী ব্যবসা, মাদক দ্রব্যের উৎপাদন ব্যবসা, জবরদখল, লুণ্ঠন, ছিনতাই, আত্মসাৎ, মওজুদদারী, খেয়ানত ইত্যাদি ক্ষতিকর পন্থা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এগুলো শোষণমূলক ও রাতারাতি অর্থ কেন্দ্রীভূত করার উপায়। এসব নিয়ম বা পন্থার মূলোৎপাটন করা গেলে দেশের ব্যাপক মানুষ আর্তমানবে পরিণত হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাবে।
গ. সম্পদ কেন্দ্রীভূতকরণ নিষিদ্ধ : এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন – সম্পদ যেন কেবল ধনীদের মধ্যেই আবর্তিত না হয় (সূরা আল হাশর : ৭)। যারা স্বর্ণ, রৌপ্য, অর্থ সঞ্চয় করে এবং আল্লাহ্র রাস্তায় ব্যয় করে না, তাদের কঠিন আযাবের সংবাদ দাও। (সূরা আত তাওবা : ৩৪)। কুরআনের এসব নির্দেশনার আলোকে চিন্তা করলে কোন ব্যক্তির পক্ষে অন্ধকে ঠকিয়ে বা শোষণ করে বা অবৈধ উপার্জনের মাধ্যমে অর্থ সঞ্চায় করে বা কেন্দ্রীভূত করে রাখা সম্ভব নয় যা আর্তমানবতা সৃষ্টির অন্যতম কারণ । ঘ. সুদ ও ঘুষ নিষিদ্ধ : সুদের কারণে আর্তমানবতা আরো দরিদ্র হয়। একদল লোক অনেক শ্রমে অন্যের উপার্জনে ভাগ বসায় সুদের সাহায্যেই। ঘুষও অর্থ উপার্জনের হারাম পন্থা। ইসলাম এ দু'টোকে নিষিদ্ধ করে আর্ত-মানবতা সৃষ্টির পথে বাধা দাঁড় করিয়েছে।
ঙ. আয়-উপার্জন বৃদ্ধির শিক্ষা দানের মাধ্যমে সেবা : ইসলাম কর্মসংস্থানকে প্রাধান্য দিয়ে আতমনবতার সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কর্ম ও শ্রমের ব্যাপারে সূরা আল বালাদে আল্লাহ বলেন : নিশ্চিয়ই আমি মানুষকে ক্লেশের মধ্যে সৃষ্টি করেছি। (সূরা আল বালাদ : ৪) অলসতা ও পরমুখাপেক্ষিতা দারিদ্র্য বাড়াতে পারে, যা মহানবী (স) অপছন্দ করেছেন। এ জন্যই আল্লাহ্ বলেছেন : ‘মানুষ ততটুকু পায় যতটুকুর জন্য সে চেষ্টা করে।' (সূরা আন নজম ঃ ৩৯)। আল্লাহ্ এ বাণী মেনে চললে ব্যক্তির জন্য আয় উপার্জনের পথকে উন্মুক্ত করবে এবং জাতীয় পর্যায়ে আয় বৃদ্ধি করবে যা প্রকারান্তরে দারিদ্র্য দূর করে আর্তমানবতার কল্যাণ সাধন করবে।
চ. ভিক্ষুকের হাতকে কর্মীর হাতে পরিণত করার শিক্ষা ঃ একজন আনসারী সাহাবীর ঘটনা এখানে প্রণিধানযোগ্য। ভিক্ষুকের হাতকে তিনি কর্মীর হাতে পরিণত করেছিলেন। অভ্যাসগত ভিক্ষাবৃত্তি ও অযথা হাত পাতাকে ইসলাম খুবই ঘৃণা করে। এ জন্যই তো কবি বলেছেন, 'নবীর শিক্ষা করো না ভিক্ষা মেহনত করো সবে।'
আর্তমানবতার সেবায় ইসলামের বণ্টন ব্যবস্থাসমূহ
আর্তমানবতার সেবায় ইসলামের বণ্টন ব্যবস্থাসমূহ নিম্নরূপ :
বণ্টন ব্যবস্থা
ফরয
যাকাত
ওয়াযিব সাদাকাতুল ফিতর
নফল
সাদাকাতে নাফেলা
ওশর
হিবা
কাফফারাত
ওয়াকফ
ফিদিয়া
ওয়াসিয়াত
জারাইর
উপরোক্ত বণ্টন ব্যবস্থাগুলো কার্যকর করার মাধ্যমে ইসলামী সমাজে আর্তমানবতার মধ্যে সম্পদ বণ্টিত হয়ে যায়। ফলে দরিদ্র ব্যক্তি তথা আর্তমানবতা সম্পদের হয়ে দারিদ্র্যসীমা অতিক্রম করে 'সাহেবে নেসাব' হতে পারে।

FOR MORE CLICK HERE
NTRCA COLLEGE LEVEL HISTORY/ইতিহাস গাইড/ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ইতিহাস
১০ তম বিসিএস -৪৪তম বিসিএস এর প্রশ্ন ও সমাধান 10th BCS to 44th Bcs MCQ Question Solution
বিসিএস ব্যাংক প্রাইমারি পরীক্ষার-এর প্রশ্ন ও সমাধান
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO বই লেখক : মোঃ মিজানুর রহমান
মাতৃস্বাস্থ্য/Motherhood
ওষুধ নির্দেশিকা
সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৫৬৩ টি হাদিস)
সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৪৫৩ টি হাদিস)
সুনানে তিরমিজি শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৩৯৫৬ টি হাদিস)
সুনানে নাসায়ী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫৭৫৮ টি হাদিস)
সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৪৩৪১ টি হাদিস)
সুনানে আবু দাউদ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫২৭৪ টি হাদিস)

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]