উত্তর : আধুনিক চিকিৎসার একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো রোগীকে মানসিকভাবে স্থিতিশীল করা । আর এ কাজটি কীভাবে করতে হয় তাও ইসলামের মহান নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে শিখিয়েছেন। এ কাজটি হচ্ছে নানাবিধ কাজের সমষ্টি। রোগীর প্রতি আচরণ, রোগী দেখার বিশেষ পদ্ধতি, রোগীর কাছে অবস্থান, রোগীকে সান্ত্বনা দান ইত্যাদি সবই এর অন্তর্ভুক্ত।
রোগীর সাথে বা তার সামনে তার রোগের জটিলতা বা মারাত্মক অবস্থার ব্যাপারে আলোচনা করলে তাতে
সে চিন্তান্বিত হবে। মানসিকভাবে ভেঙে পড়বে। মানসিক বিপর্যস্ততার কারণে সে আরো অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই কোনো রোগীর সামনে এসব বিষয়ে আলোচনা করা অনুচিত, বরং তাকে অভয় দেয়া উচিত । তার মনে সাহস জোগানো বাঞ্ছনীয়। নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোগীকে অভয় ও সাহস দিতেন। তাঁর সামনে তার রোগকে সাধারণ, হালকা বা সহজেই আরোগ্য হবে বলে আলোচনা করতেন। তাঁর উম্মতকে তিনি এ শিক্ষাই দিয়েছেন যে রোগীর সামনে ভালো কথা বলবে, তার দীর্ঘায়ুর জন্য আশ্বাস দেবে এবং তার মনে সাহস জোগাবে। এসব করা হলে রোগী মানসিকভাবে সুস্থ এবং চিন্তামুক্ত থাকবে ।
রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহুকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “তুমি যখন কোনো রুগ্ন ব্যক্তির কাছে তার সেবা করতে যাবে, তখন তার জীবনের ব্যাপারে শঙ্কামুক্ত করো। অর্থাৎ তার দীর্ঘ জীবন (হায়াত) সম্পর্কে আশাবাদ ব্যক্ত করবে। এটা অবশ্য তাকদীরকে রদ করতে পারবেনা। তবে এতে রোগীর মন অবশ্যই খুশি হবে।" (আত-তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ) ৭৫
প্রখ্যাত মুহাদ্দিস হযরত শাহ্ আবদুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী রহমাতুল্লাহি আল্লাইহি তাঁর হাদীসগ্রন্থে লিখেছেন, “রোগীকে তার জীবনের ব্যাপারে শঙ্কামুক্ত ও চিন্তামুক্ত করো' এ কথার মর্ম হলো, তোমরা তার দীর্ঘায়ুর জন্য দু'য়া করো, তাকে অভয় দাও, আনন্দিত করো। তাঁকে বলো, চিন্তা করবেননা । আপনার রোগ কোনো জটিল রোগ নয়। চিকিৎসায় এসব রোগ ভালো হয়। ইনশাআল্লাহ্! আপনি শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবেন।” এসব কথায় রোগী খুশি হবে। তার চিন্তা ও পেরেশানি দূর হবে। ফলে তার অসুস্থতা তার কাছে অতি সাধারণ ও হালকা মনে হবে। ফলে সে মানসিকভাবে সুস্থ থাকবে। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অভ্যাস ছিলো, তিনি যখন রোগী দেখতে যেতেন তখন তাকে বলতেন, “চিন্তার কোনো কারণ নেই, সবকিছু ভালো ও ঠিক আছে ইনশা আল্লাহ্ । আপনি সমস্ত গুনাহ থেকে পাক-পবিত্র হয়ে সুস্থ হয়ে উঠবেন।" (সহীহ আল বুখারী) ৭৬ উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা যখন কোনো রুগ্ন ব্যক্তির নিকট যাবে, তখন তার সাথে ভালো ভালো কথা বলবে। কারণ তোমরা যাকিছু বলো ফেরেশতারা তা শুনে ‘আমীন' বলে থাকে।” (সহীহ মুসলিম) ৭৭
FOR MORE CLICK HERE
NTRCA COLLEGE LEVEL HISTORY/ইতিহাস গাইড/ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ইতিহাস
১০ তম বিসিএস -৪৪তম বিসিএস এর প্রশ্ন ও সমাধান 10th BCS to 44th Bcs MCQ Question Solution
বিসিএস ব্যাংক প্রাইমারি পরীক্ষার-এর প্রশ্ন ও সমাধান
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO বই লেখক : মোঃ মিজানুর রহমান
মাতৃস্বাস্থ্য/Motherhood
ওষুধ নির্দেশিকা
সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৫৬৩ টি হাদিস)
সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৪৫৩ টি হাদিস)
সুনানে তিরমিজি শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৩৯৫৬ টি হাদিস)
সুনানে নাসায়ী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫৭৫৮ টি হাদিস)
সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৪৩৪১ টি হাদিস)
সুনানে আবু দাউদ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫২৭৪ টি হাদিস)