“রোগ প্রতিকারের চেয়ে রোগ প্রতিরোধের গুরুত্ব বেশি” এ প্রসঙ্গে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোনো সুনির্দিষ্ট বক্তব্য আছে কি?

এ বিষয়ে একটি বিখ্যাত proverbial statement হচ্ছে, "An ounce of prevention is better than one ton of treatment." অর্থাৎ “এক আউন্স রোগ প্রতিরোধ এক টন রোগ নিরাময় থেকে উত্তম।” এ উক্তিটি নবী করীম সল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বলে ইন্টারনেটে তথ্য পেয়েছি। কিন্তু হাদীস গ্রন্থে কোনো রেফারেন্স পাইনি। যাহোক, আমি বেশ কয়েকজন সম্মানিত হাদীসশাস্ত্র বিশারদকে জিজ্ঞেস করেছি। তাঁরা বলেছেন যে এ উক্তিটি রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নয়।
আমরা আরো জানি যে "Prevention is better than cure." রোগ প্রতিরোধ রোগ নিরাময়ের চেয়ে শ্রেয়। বর্তমানে এ কথাও শোনা যায় যে "Prevention is cheaper than cure." অর্থাৎ “রোগ প্রতিরোধ হচ্ছে রোগ নিরাময়ের চেয়ে সস্তা।”
বর্তমানে আরো শোনা যাচ্ছে যে A stitch in time saves nine. অর্থাৎ সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়ের সমান। উদাহরণস্বরূপ, যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধের জন্য BCG vaccine নেয়া আর যক্ষ্মা রোগ হবার পর Anti TB ওষুধের মাধ্যমে ছয় মাসব্যাপী চিকিৎসা গ্রহণ করা, এর মধ্যে কোনটি কম ব্যয়বহুল? নিশ্চয়ই BCG নেয়ার জন্য সম্ভবত কোন টাকা-পয়সাই খরচ হবে না। কারণ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এটা বিনামূল্যে সরবরাহ করে থাকে ।
এসব কারণেই ইসলাম এসব বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। যাহোক, নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোগ প্রতিকারের চেয়ে রোগ প্রতিরোধকে বেশি গুরুত্ব দিতেন তা আমরা বিভিন্ন হাদীস থেকে জানতে পারি। "The Prophet (SAWS) advised the Muslim Ummah that one should try to prevent disease instead of just curing them." তিনি রোগ প্রতিরোধের বিভিন্ন পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন। যেমন, প্রতিদিন সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খাওয়া। হযরত সা'দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি প্রত্যহ সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে তাকে ওই দিন কোনো বিষ বা যাদু ক্ষতি করতে পারবে না ।” (সহীহ আল বুখারী ও মুসলিম)
তা ছাড়া রমযানের রোযা রাখা, নিয়মিত সলাত বা নামায আদায় করা, পাঁচবার উযূ করা, পরিমিত পরিমাণে নিয়মিত হালাল খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করা ও হারাম খাদ্য বর্জন করা, দাম্পত্য জীবনে বিভিন্ন বৈধ নিয়ম-নীতি মেনে চলা, ব্যক্তিগত জীবনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা ইত্যাদির মাধ্যমেও রোগ প্রতিরোধ করা যায়। আমরা এগুলোকে ধাপে ধাপে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ ।
পরিমিত খাদ্যদ্রব্য গ্রহণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ
হযরত মিকদাম ইবনে মা'দীকারব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, “মানুষ পেটের তুলনায় নিকৃষ্ট কোনো পাত্র পূর্ণ করেনা । আদম সন্তানের জন্য কয়েক লোকমা খাদ্যই যথেষ্ট যা তার মেরুদণ্ড সোজা রাখে। তবে যদি এর অতিরিক্ত গ্রহণ করতে হয় তাহলে পেটের এক-তৃতীয়াংশ খাদ্যের জন্য, এক-তৃতীয়াংশ পানীয়ের জন্য আর এক- তৃতীয়াংশ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য রাখবে।” ( মুসনাদে আহমাদ ও আত-তিরমিযী) :
বিখ্যাত আরবীয় চিকিৎসক ও নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রখ্যাত সাহাবী হারিস ইবনে কালাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, "What is the best medicine ? " “সর্বোৎকৃষ্ট ঔষধ কী?” তিনি উত্তর দিয়েছেন, “প্রয়োজন।” অর্থাৎ necessity hunger বা ক্ষুধা। আর যখন তাকে প্রশ্ন করা হলো, “What is a disease?" অর্থাৎ “রোগ কী?” তিনি উত্তর দিলেন, “entry of food upon food.” অর্থাৎ আগের খাবার হজম হবার আগেই পুনরায় খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করা ।
ইবনে সীনাও একই ধরনের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, "Never have a meal until the one before it has been digested. " অর্থাৎ আগের খাবার হজম হবার পূর্বে পুনরায় খাদ্য গ্রহণ না করাই শ্রেয়।
অপরদিকে চিকিৎসাশাস্ত্রের জনক Hippocrates বলেন, "All excess is contrary to the law of Nature. Let your eating, your drinking, your sleeping and your sexual intercourse all be in moderation." (As Suyuti) 167 অর্থাৎ “সকল প্রকার বাড়াবাড়ি বা অতিরিক্ততাই প্রকৃতির স্বভাব বিরুদ্ধ। তোমার পানাহার, তোমার ঘুম, তোমার নারী সম্ভোগ, সবকিছুই পরিমিত হওয়া বাঞ্ছনীয়।" (আস-সুয়ূতী)
আর আমরা তো প্রায়ই বলে থাকি, Excess of everything is bad. (সবকিছুর অতিরিক্তই খারাপ) একজন প্রখ্যাত কবি বলেছেন, "O! you who eat whatever you feel like and then curse medicine and doctors, you can only reap what you have sown. Prepare yourself for the illness that is coming to you." (হে মানুষ তোমার যা মন চায় তাই তুমি খাও এবং পরে চিকিৎসক এবং ওষুধকে দোষারূপ করে থাক। তুমি যে বীজ রোপণ করবে সে অনুযায়ী তুমি ঘরে ফসল তুলবে। তোমার যে অসুস্থতা তোমার দিকে ধেয়ে আসছে তা থেকে তুমি সতর্কতা অবলম্বন করো।) অতএব মন যা চায় সেরকম নিষিদ্ধ কোন খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পরে অন্যকে দোষারূপ করা উচিত
Therefore we should not eat the prohibited food items and fall sick.
রোযা রাখলে কী কী medical benefits পাওয়া যাবে তা অন্য কোনো পর্বে আলোচনা করা যাবে। মূল কথা হলো বর্তমান বিশ্বেও fasting-কে রোগ নিরাময়ের অন্যতম উপায় মনে করা হয় এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। কোনো কোনো সম্প্রদায়ের লোকেরা জুস fasting করে। আবার কোনো কোনো fasting-এ partial abstinence-এর কথা বলা হয়, যেখানে শুধু পানি
পান করা যাবে। আবার অনেক fasting-এ total abstinence from food and drink-এর কথা বলা হয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে তা শিথিলযোগ্য। তবে ইসলামের বর্ণিত রোযা যুগ যুগ ধরে তার স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রেখে সমাজে পালিত হয়ে আসছে। কোনো কিছু যোগ-বিয়োগ করার সুযোগ বা প্রয়োজন এতে নেই । হিন্দু ধর্মে রোযাকে উপবাস বলা হয়ে থাকে।

FOR MORE CLICK HERE
NTRCA COLLEGE LEVEL HISTORY/ইতিহাস গাইড/ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ইতিহাস
১০ তম বিসিএস -৪৪তম বিসিএস এর প্রশ্ন ও সমাধান 10th BCS to 44th Bcs MCQ Question Solution
বিসিএস ব্যাংক প্রাইমারি পরীক্ষার-এর প্রশ্ন ও সমাধান
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO বই লেখক : মোঃ মিজানুর রহমান
মাতৃস্বাস্থ্য/Motherhood
ওষুধ নির্দেশিকা
সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৫৬৩ টি হাদিস)
সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৪৫৩ টি হাদিস)
সুনানে তিরমিজি শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৩৯৫৬ টি হাদিস)
সুনানে নাসায়ী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫৭৫৮ টি হাদিস)
সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৪৩৪১ টি হাদিস)
সুনানে আবু দাউদ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫২৭৪ টি হাদিস)

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]