খাদ্য গ্রহণের জন্য বসার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে হাদীসে কোনো বর্ণনা এসেছে কি?

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে বুসর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, একদা এক গ্রাম্য লোক রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হাঁটুতে ভর দিয়ে (নামাযের ভঙ্গিতে) বসে খেতে দেখে বলল, এটি কেমন বসা? লোকটির কথা শুনে রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “মহান আল্লাহ্ আমাকে উদার, দয়াশীল করে সৃষ্টি করেছেন। তিনি আমাকে অবাধ্য, হঠকারী ও উদ্ধৃত করেননি। অতঃপর তিনি বললেন, তোমরা বর্তনের একপার্শ্ব হতে খাও এবং উপরের অংশ বাদ রেখো। কারণ আল্লাহ্ এটি থেকে তোমাদের জন্য বরকত নাযিল করেন।" (আবূ দাউদ ও ইবনে মাজাহ)
এই হাদীসটি আমাদের সেই ভাইদের জন্য প্রযোজ্য যারা তাবলীগে গিয়ে একত্রে বসে বড় থালে খানা খান। আবূ জুহায়ফা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, “আমি তাকিয়া লাগিয়ে (ঠেস দিয়ে বসে) খাইনা।” (সহীহ আল বুখারী ও আবূ দাউদ) ২৫৮ অর্থাৎ কখনো হেলান দিয়ে আহার করিনা। অন্যভাবে বলা যায় নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো হেলান দিয়ে আহার করতেননা।
"I do not eat while leaning on my side, that is, while reclining." (Sahih Al-Bukhari and Abu Dawood) 258
হেলান দিয়ে খাদ্য গ্রহণ অহংকারী ব্যক্তিদের কাজ। এভাবে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সোজা হয়ে খাদ্য গ্রহণ করলে খাদ্যদ্রব্য সরাসরি খাদ্যনালি দিয়ে পাকস্থলীতে প্রবেশ করে এবং সহজে হজম হয়। হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, "জিবরাঈল আলাইহিস সালাম নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আসলেন, যখন তিনি হেলান দিয়ে খাচ্ছিলেন। অতঃপর তিনি সোজা হয়ে বসলেন। এরপর তাকে আর কোনো দিন হেলান দিয়ে বসতে দেখা যায়নি।” রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “আমি আল্লাহ্র একজন গোলাম মাত্র। আমি খানা খাই সেভাবে যেভাবে একজন গোলাম খানা খায় এবং আমি পান করি সেভাবে যেভাবে একজন গোলাম পান করে।” এ হাদীসটি ইবনে আদি রচিত আল-কামিল ফী দুয়াফা ইর-রিজাল হাদীস গ্রন্থ থেকে নেয়া হয়েছে।
হাদীসটিতে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিনয়, নম্রতা, বন্দেগি ও দাসত্বের উজ্জ্বল বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
Look at the level of gratefulness, humility, obedience and submission of the Prophet (SAWS) to Allah, the Cherisher, Nourisher and Sustainer of the Worlds, and all praises are for Him.
অন্যদিকে আমাদের মধ্যে অনেকেই খাওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটিকে ফ্যাশন মনে করে উদ্ধত ও বাবুয়ানায় লিপ্ত থাকে, তাদের জন্যে এটি একটি অনুকরণীয় বিষয়। তবে অসুস্থতা বা অন্য কোনো অপরাগতার কারণে কখনো তাকিয়া লাগিয়ে খানা খেলে তাতে কোনো দোষ নেই। একজন সুস্থ সমর্থ ব্যক্তির হেলান দিয়ে বা তাকিয়া লাগিয়ে খাওয়ার অনুমতি নেই। In fact eating is a good practice. It is a kind of Ibadah. It is not a fun, fashion or play.
হযরত সালিম যুহরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তার পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন যে “রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো ব্যক্তিকে উপুড় হয়ে শুয়ে খানা খেতে নিষেধ করেছেন।” (আবূ দাউদ ও ইবনে মাজাহ) ২৬০ এ হাদীসটির শিক্ষা চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। শারীরিক সুস্থতার জন্য এ উপদেশ মেনে চলা জরুরী । কারণ উপুড় হয়ে খেলে এটি হজমশক্তি ও পরিপাক ক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায়।

FOR MORE CLICK HERE
NTRCA COLLEGE LEVEL HISTORY/ইতিহাস গাইড/ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ইতিহাস
১০ তম বিসিএস -৪৪তম বিসিএস এর প্রশ্ন ও সমাধান 10th BCS to 44th Bcs MCQ Question Solution
বিসিএস ব্যাংক প্রাইমারি পরীক্ষার-এর প্রশ্ন ও সমাধান
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO বই লেখক : মোঃ মিজানুর রহমান
মাতৃস্বাস্থ্য/Motherhood
ওষুধ নির্দেশিকা
সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৫৬৩ টি হাদিস)
সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৪৫৩ টি হাদিস)
সুনানে তিরমিজি শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৩৯৫৬ টি হাদিস)
সুনানে নাসায়ী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫৭৫৮ টি হাদিস)
সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৪৩৪১ টি হাদিস)
সুনানে আবু দাউদ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫২৭৪ টি হাদিস)

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]