রাতের খাবার গ্রহণ সম্পর্কে রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপদেশ জানাবেন কী?

হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কখনো রাতে না খেয়ে ঘুমাতে যেয়োনা। যদিও তা এক মুঠো খেজুরও হয়। কারণ রাতে আহার ত্যাগ করলে তার বার্ধক্য ঘনিয়ে আসে।" (ইবনে মাজাহ) ২৬৫
এ হাদীসের সনদে ইবরাহীম ইবনে আব্দুস সালাম নামক একজন বর্ণনাকারী রয়েছেন যিনি যয়ীফ (দুর্বল)। অপরদিকে হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন যে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা অবশ্যই বাতে আহার করবে, যদিও তা এক মুঠ খেজুরও হয়। কেননা রাতের খাবার ত্যাগ বার্ধক্যের কারণ।" (আত-তিরমিযী) ২৬৬
ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে মুনকার (প্রত্যাখ্যাত) বলেছেন। এ হাদীস দুটোর বক্তব্য একই। এটি আধুনিক medical science-এর নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কোনো চিকিৎসক এটি অস্বীকার করতে পারবেননা সুপ্রিয় দর্শক-শ্রোতা-পাঠক! এবার চলুন এ হাদীস দুটো চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে আলোচনা করি । সাধারণত আমরা যে আহার করি, তা ৫-৬ ঘণ্টার ভেতর হজম হয়ে যায়। এ জন্যই পরবর্তিতে ক্ষুধা লাগে। সুতরাং ক্ষুধা লাগলে খাওয়ার বিধান আছে। যদি দুপুরে আপনারা খানা খান, মনে করুন ১-২ টার দিকে, তাহলে স্বাভাবিকভাবে রাত ৮টার দিকে আপনার ক্ষুধা লাগবে। যদি আপনি রাতে না খান তাহলে আপনার পেটে ১৫-১৬ ঘণ্টা কোনো খাবার থাকবেনা। এতে স্বাভাবিকভাবেই পেটের physiological process বাধাগ্রস্ত হবে। এটিই তো medical science. নিয়মিতভাবে দীর্ঘক্ষণ যদি আপনার পেটে খাবার না থাকে তবে gastric acidity হতে পারে ।
সুপ্রিয় দর্শক-পাঠক! আমি সম্মানিত medical scientist দের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বার্ধক্য বা aging সম্পর্কে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেকথা বলেছেন তা প্রমাণ করার জন্য controlled conditions-এ clinical trial দিতে হবে। আমরা ২০-২৫ জন সুস্থ মানুষকে, যাদের বয়স ৪০-৫০ বছর এমন লোকদের নির্বাচন করতে পারি। এই লোকদেরকে দুটি দলে বিভক্ত করে এক দলকে
নিয়মিত সকালে, দুপুরে ও রাতে খাবার দেবেন আর অন্য দলকে সকালে ও দুপুরে খাবার দেবেন, আর রাতে কোনো খাবার দেবেননা। তারপর তিন মাস পর বার্ধক্যের চিহ্ন বা signs গুলো measure করতে হবে। Aging characteristic গুলো হচ্ছে চুল পাকা, শরীরের ওজন কমে যাওয়া, গায়ের চামড়া কুঁচকানো, চলাচল কম হওয়া, গায়ের পানির অপ্রতুলতা, চেহারার লাবণ্যহীনতা ইত্যাদি। এ characteristic গুলো মাপলেই বোঝা যাবে রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীসের সত্যতা। কোনো clinical pharmacist তার M. Phil. degree-এর partial fulfilment এর জন্য এই thesis প্রজেক্ট হাতে নিতে পারেন।

> রাতের খাবার গ্রহণের পরপরই ঘুমাতে যাওয়ার ব্যাপারে আল্লাহ্র রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কী বর্ণনা হাদীস শরীফে এসেছে অনুগ্রহপূর্বক জানান ?


উত্তর: আবূ নু'য়াইম রহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন যে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের খাবার গ্রহণের পরপরই ঘুমাতে যেতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ্র নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “খানা আল্লাহ্র নামে এবং দু'য়ার মাধ্যমে হজম করো এবং রাতের খানা খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমাতে যেয়োনা। কারণ এটি তোমার কোষ্ঠকাঠিন্য সৃষ্টি করতে পারে।" (আস-সুয়ূতী) ২৬৭ এ হাদীসটি আবু নুয়াইম রহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেছেন তার তিববুন নববী গ্রন্থে। আর ইমাম আস-সূয়ুতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর তিববুন নববী কিতাবে রিওয়ায়াতটি উদ্ধৃত করেছেন। তবে অন্য কোন কিতাবে হাদীসটি খুঁজে পাওয়া যায়নি ।
ইদানিং অনেক পরিবারে লক্ষ্য করছি যে, তারা অনেক দেরিতে অর্থাৎ রাত ১২-১ ঘটিকায় সময় ঘুমাতে যায়। তারা dinner খায় রাত প্রায় ১ ঘটিকায় দিকে এবং খাওয়ার পর দেরি না করেই বিছানায় শুয়ে পড়ে। এটি স্বাস্থ্যগত কারণেই সঠিক নয় এবং medical science এটি সমর্থন করেনা। এটি সঠিকভাবে খাদ্যদ্রব্য হজম করতে বাধার সৃষ্টি করে এবং পেটের হজমশক্তিকে কমিয়ে দেয় ।
তাই নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপদেশ দিয়েছেন, খাদ্যকে যিকির ও নামায দিয়ে হজম করতে এবং আহারান্তে সঙ্গে সঙ্গে শয়ন না করতে। তিনি দুপুরের খাবারের পর কিছুটা বিশ্রাম নিতে উপদেশ দিয়েছেন। অনেক পণ্ডিত ব্যক্তি বলেন যে রাতের খাবারের পর ইশার নামায পড়া শ্রেয়। অনেক চিকিৎসক রাতে আহারের পর ৪০ কদম হাঁটা উচিত বলে বর্ণনা করেছেন ।

FOR MORE CLICK HERE
NTRCA COLLEGE LEVEL HISTORY/ইতিহাস গাইড/ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ইতিহাস
১০ তম বিসিএস -৪৪তম বিসিএস এর প্রশ্ন ও সমাধান 10th BCS to 44th Bcs MCQ Question Solution
বিসিএস ব্যাংক প্রাইমারি পরীক্ষার-এর প্রশ্ন ও সমাধান
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO বই লেখক : মোঃ মিজানুর রহমান
মাতৃস্বাস্থ্য/Motherhood
ওষুধ নির্দেশিকা
সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৫৬৩ টি হাদিস)
সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৪৫৩ টি হাদিস)
সুনানে তিরমিজি শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৩৯৫৬ টি হাদিস)
সুনানে নাসায়ী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫৭৫৮ টি হাদিস)
সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৪৩৪১ টি হাদিস)
সুনানে আবু দাউদ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫২৭৪ টি হাদিস)

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]